সূচনাঃ আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূলে কারীম (সা.) প্রদর্শিত সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ একমাত্র পূর্ণাঙ্গ দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা ইসলাম। মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে ইসলামে। ইসলামই পারে বিশ্ববাসীকে একটি শান্তিময় পরিবেশ উপহার দিতে। ইসলামই পারে মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র, বৈষম্য, বিভ্রান্তি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে। বিভ্রান্তির ঘূর্ণাবর্তে মানবজাতি যখন ছিল ঘূর্ণায়মান ঠিক তখনই সঠিক পথের দিশা ইসলামের আলোকবর্তিকা নিয়ে বিশ্বদরবারে হাজির হলেন মানবতার নবী মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর আনিত এই জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর কোন বিকল্প ছিল না। যিনি আমরণ জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর কাজে নিয়োজিত ছিলেন, অথচ তাঁর ইন্তেকালের পর তার উম্মতেরাই এই জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ নিয়ে আজ নানা ধরণের বিভ্রান্তিতে জড়িয়ে আছে। বিশ্বমুসলিমের প্রায় প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাজকে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ নামে আক্ষায়িত করছে। তাই এই বিভ্রান্তি নিরসনে আল্লাহ তাআ‘লা এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর ফয়সালা আমাদের জানা উচিত। আর ইসলাম ধর্মে এই জিহাদের কী গুরুত্ব ও মর্যাদা রয়েছে, জিহাদ না করলেই বা সমস্যা কী তা নিজে জানা এবং অপরকে জানানোর অধীর আগ্রহেই এই প্রবন্ধের অবতারণা।
জিহাদের আভিধানিক ও পারিভাষিক সংজ্ঞাঃ
বাংলা জিহাদ শব্দটি আরবী(جهد) জুহ্দুন থেকে উৎপত্তি। যার অর্থ হলো – কোন লক্ষ্য হাসিলের জন্য শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতা ও সাধ্যানুযায়ী র্সবাত্মক বা প্রাণান্তকর চেষ্টা সাধনা।
ইসলামী পরিভাষায় – আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য তার হিদায়াতের পথে চলতে গিয়ে পাহাড়সম বাধা অতিক্রম করার জন্য নিজেকে অবিচল রাখা এবং ইসলামের প্রকৃত রূপ অন্যের নিকট উপস্থাপনের মাধ্যমে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টাকেই জিহাদ বলে।
জিহাদের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাঃ
আল্লাহর নির্দেশ:
وَجَاهِدُوا فِي اللَّـهِ حَقَّ جِهَادِهِ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَـذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّـهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ فَنِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ –
“তোমরা আল্লাহর জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা সাধনা কর যেভাবে প্রাণান্তকর চেষ্টা সাধনা করা উচিত, তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং জীবন ব্যবস্থার ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইবরাহীমের জীবন ব্যবস্থায় ক্বায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কুরআনেও, যাতে রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যদাতা হন এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমণ্ডলীর জন্য। সুতরাং তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর । তিনিই তোমাদের অভিভাবক। অতএব তিনি কত উত্তম অভিভাবক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী” (সূরা আল হাজ্জ্ব- ৭৮)।
হাদীস শরীফে আছে-
عنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْجِهَادُ مَاضٍ مُنْذُ بَعَثَنِي اللَّهُ إِلَى أَنْ يُقَاتِلَ آخِرُ أُمَّتِي الدَّجَّالَ لَا يُبْطِلُهُ جَوْرُ جَائِرٍ، وَلَا عَدْلُ عَادِلٍ،
“জিহাদ সব সময়ের জন্য ফরজ, এটি যখন আল্লাহ আমাকে পৃথিবীতে আমাকে প্রেরণ করেছেন, তা চলবে কিয়ামত পর্যন্ত। জালিম শাসকের জুলুম যেমন জিহাদের ফরজিয়াত বাতিল করতে পারে না, তেমনি ন্যায় বিচারকারী শাসকের ন্যায় পরায়ণতাও জিহাদ থেকে নিষ্কৃতি দিতে পারে ইান” (আবু দাউদ – ৩৭৮১)।
ক্বিতাল এর সংজ্ঞা: ক্বিতাল قتال)) এর অর্থ পারস্পরিক সংঘাত ও সংঘর্ষ। এই ক্বিতাল বা মুক্বাতালা এক ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। সেখানে অবশ্যই দু’টি বিবাদমান পক্ষ থাকতে হবে।
* ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় – দ্বীন প্রতিষ্ঠাকারীর সাথে দ্বীন বিরোধীদের সশস্ত্র সংঘাতকে ক্বিতাল বলা হয়। ক্বিতালে দু’টি পক্ষের একটি ন্যায়ের অপরটি অন্যায়ের। এই ক্বিতাল জিহাদের একটি অংশমাত্র।جهاد জিহাদ(عام) আ’ম আর قتالক্বিতাল হলো (خاص) খাস। জিহাদ সবসময় ফরজ, আর ক্বিতালের ফরজিয়াত শর্তাধীন। শর্ত পাওয়া গেলেই ক্বিতাল বা যুদ্ধ ফরজ। রাসূল (সা.) এর সাহাবীদের উপর নবুয়তের প্রথম ১৩ বছর তথা মক্কী জীবনে জিহাদ ফরজ ছিল কিন্তু ক্বিতাল ফরজ ছিল না। মক্কার নির্যাতিত সাহাবীরা রাসূল (সা.) এর নিকট সশস্ত্র প্রতিরোধের আশা প্রকাশ করলেও তিনি তাদেরকে সশস্ত্র সংঘাতের দিকে না গিয়ে ধৈর্য ও হিকমাতের সাথে দ্বীনের দাওয়াত অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন। পবিত্র কুরআনুল কারীমের মক্কী সূরাসমূহের ৭০ টির অধিক আয়াতে সশস্ত্র প্রতিরোধের পথ পরিহারের নির্দেশ রয়েছে। যেমন:-আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বলেন –
وَاصْبِرْ عَلَى مَا يَقُولُونَ وَاهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيلً
“ কাফিররা যা বলে তজ্জন্য আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদের পরিহার করে চলুন” (সূরা আল মুয্যাম্মিল – ১০)
অন্যত্র আল্লাহ তা’আলা বলেন –
فَاصْبِرْ كَمَا صَبَرَ أُولُو الْعَزْمِ مِنَ الرُّسُلِ وَلَا تَسْتَعْجِل لَّهُمْ كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَ مَا يُوعَدُونَ لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا سَاعَةً مِّن نَّهَارٍ بَلَاغٌ فَهَلْ يُهْلَكُ إِلَّا الْقَوْمُ الْفَاسِقُونَ –
“অতএব আপনি সবর করুন, যেমন উচ্চ সাহসী পয়গাম্বরগণ সবর করেছেন এবং ওদের বিষয়ে তড়িঘড়ি করবেন না। ওদেরকে যে বিষয়ে ওয়াদা দেয়া হতো তা যেদিন তারা প্রত্যক্ষ করবে সেদিন তাদের মনে হবে যেন তারা দিনের এক মুহূর্তের বেশি পৃথিবীতে অবস্থান করেনি, ওটা সুস্পষ্ট অবগতি। এখন তারাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে যারা পাপাচারী সম্প্রদায়”(সূরা আল আহ্ক্বাফ- ৩৫)।
সে সময় দ্বীন প্রচার করার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে বারণ করা হয়েছে , আল্লাহর বাণী-
فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنتَ مُذَكِّرٌ – لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِر –
“অতএব আপনি উপদেশ দিন, আপনিতো কেবল একজন উপদেশ দাতা, আপনি তাদের শাসক (পুলিশ-দারোগা) নন” (সূরা আল গাশিয়া- ২২ও২৩)।
এ আয়াতসমূহ থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, সে সময় দ্বীনে হক্বের দাওয়াত পৌঁছাতে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হলেও শাসন এবং প্রতিশোধের পরিবর্তে বরং ধৈর্যের শিক্ষাটাই বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আর এ অবস্থা একটি স্বতন্ত্র ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ বছর বিরাজমান ছিল। তখন নবী (সাঃ) এবং তার সাহাবীরা শুধু প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ অব্যহত রেখেছিলেন।
শরীয়ত সম্মত ক্বিতালের শর্ত:
১। জুলুম নিপীড়নের শিকার হওয়াঃ রাসূলে কারীম (সা.) এর মদীনায় হিজরতের পর ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে ক্বিতাল তথা সশস্ত্র জিহাদের নির্দেশ আসে এবং এর মাধ্যমেই জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর চূড়ান্ত অধ্যায় ক্বিতাল ফী সাবীলিল্লাহ ফরজ হয় –
أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّـهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ – الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِن دِيَارِهِم بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّا أَن يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّـهُ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّـهِ النَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَاتٌ وَمَسَاجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا اسْمُ اللَّـهِ كَثِيرًا وَلَيَنصُرَنَّ اللَّـهُ مَن يَنصُرُهُ إِنَّ اللَّـهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ –
“যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হলো তাদেরকে যাদের সাথে কাফিররা যুদ্ধ করে, কারণ তাদের প্রতি জুলুম করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম। যাদরেকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যে, তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। আল্লাহ যদি মানব জাতির এক দলকে অপরদল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রিস্টানদের) নির্জন গীর্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যে গুলোতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন যারা আল্লাহর সাহায্য করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।” (সূরা আল হজ্জ্ব-৩৯ ও ৪০)।
২। কোন বৈধ শাসকের নেতৃত্ব:
অন্যত্র আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বলেন –
أَلَمْ تَرَ إِلَى الْمَلَإِ مِن بَنِي إِسْرَائِيلَ مِن بَعْدِ مُوسَىٰ إِذْ قَالُوا لِنَبِيٍّ لَّهُمُ ابْعَثْ لَنَا مَلِكًا نُّقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ قَالَ هَلْ عَسَيْتُمْ إِن كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ أَلَّا تُقَاتِلُوا قَالُوا وَمَا لَنَا أَلَّا نُقَاتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ وَقَدْ أُخْرِجْنَا مِن دِيَارِنَا وَأَبْنَائِنَا فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ تَوَلَّوْا إِلَّا قَلِيلًا مِّنْهُمْ وَاللَّـهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ
-“মূসা (আ.) এর পরে আপনি কি বনী ইসরাঈলের একটি দলকে দেখেননি যখন তারা নিজেদের নবীর কাছে বলেছে যে, আমাদের জন্য একজন বাদশাহ নির্ধারিত করেদিন যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি, নবী বললেন তোমাদের প্রতিও কি এমন ধারণা করা যায় যে, লড়াইর হুকুম যদি হয় তাহলে তোমরা লড়বে না? তারা বলে আমাদের কী হয়েছে যে আমরা আল্লাহর পথে লড়ব না। অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি নিজেদের ঘর-বাড়ি ও সন্তান-সন্ততি থেকে। অতঃপর যখন লড়াইয়ের নির্দেশ হলো তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তাদের সবাই ঘুরে দাঁড়ালো , আর আল্লাহ তাআ’লা জালিমদের ভাল করেই জানেন।” (সূরা আল বাক্বারা – ২৪৬)
উপরিউক্ত আয়াত থেকে প্রমাণ হলো যে, বনী ইসরাঈলীরা বাতিলের বিরুদ্ধে সফল অভিযানের জন্য একজন ক্ষমতাপ্রাপ্ত শাসকের প্রয়োজন অনুভব করছিল। ফলে আল্লাহ সেখানে তালুতকে তাদের শাসক ও নেতা বানিয়ে পাঠালেন যেন তার নেতৃত্বে এবং নির্দেশে জালিম বাদশাহ জালুতের বিরুদ্ধে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর চূড়ান্ত পর্যায় ক্বিতাল ফী সাবীলিল্লাহতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
৩। একই লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে একই কমাণ্ডের অধীনে একদিল একপ্রাণ হয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া, এ সম্পর্কে আল্লাহর বাণী-
إِنَّ اللَّـهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ
– “আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।” (সূরা আস্সফ – ৪)
৪। শাসন কর্তৃত্বের অধিকারী ব্যতীত অন্য কেউ শরীয়ত সম্মত যুদ্ধের নির্দেশ দিতে পারে না –
عن أبى هريرة رضى الله عنه قال أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول نحن الآخرون السابقون و بهذا الإسناد مَنْ أَطَاعَنِي فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ، وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ عَصَى اللَّهَ، وَمَنْ … فَقَدْ أَطَاعَنِي، وَمَنْ يَعْصِ الأَمِيرَ فَقَدْ عَصَانِي، وَإِنَّمَا الإِمَامُ جُنَّةٌ يُقَاتَلُ مِنْ وَرَائِهِ وَيُتَّقَى بِهِ فَإِنْ أَمَرَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَعَدَلَ فَإِنَّ لَهُ بِذَلِكَ أَجْرًا ، وَإِنْ أَمَرَ بِغَيْرِهِ فَإِنَّ عَلَيْهِ مِنْهُ وِزْرًا
“আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি আমরা সর্বশেষ আগমনকারী (পৃথিবীতে) সর্বাগ্রে প্রবেশকারী ( জান্নাতে)। আর এই সনদেই বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (সা.) বলেন, যে আমার আনুগত্য করল সে আল্লাহর আনুগত্য করল, আর যে আমার নাফরমানি করল সে আল্লাহর নাফরমানি করল। আর যে (শরীয়ত সম্মত) আমীরের আনুগত্য করল সে আমারই আনুগত্য করল, আর যে আমীরের নাফরমানী করল সে আমারই নাফরমানী করল, ইমামতো ঢাল স্বরূপ, তার নেতৃত্বে যুদ্ধ এবং তারই মাধ্যমে নিরাপত্তা অর্জন করা হয়, অনন্তর যদি সে আল্লাহর তাকওয়ার নির্দেশদেয় এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে । তবে তার জন্য এর প্রতিদান রয়েছে আর, যদি সে এর বিপরীত করে এবং তার মন্দ পরিণতি তার উপরে বর্তাবে” (বুখারী হাদীস নম্বর- ১৮৫০)।