কুরআনুল কারীম বিশ্ব মানবতার জন্য এক অফুরন্ত নিয়ামাত। আল্লাহ তা‘আলার বড়ই মেহেরবানী যে, তিনি আমাদের উপর কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। কুরআনেবলা হয়েছে, ‘বড়ই মেহেরবান তিনি(আল্লাহ) কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন’ -[সূরাআর-রহমান : ১-২]।
কুরআন এমন একটি কিতাব যার মাধ্যমে আরবের সেই বর্বর জাতি সৌভাগ্যবান জাতিতে পরিণত হয়েছিল। রাসূলুল্লাহসল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন দিয়েই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তৈরি করেছিলেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বমানবমন্ডলীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠহলো আমার যুগ’ -[সহীহ বুখারী : ২৬৫২]। কুরআন মাজীদের বেশ কিছু হক রয়েছে
যেগুলো আদায় করা আবশ্যক। এর অনেকগুলো হক এমন যে, কেউ যদি তাআদায় না করে কিয়ামাতের দিন নবী
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারবিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে অভিযোগকরবেন। কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আর রাসূল
বলবেন (কিয়ামাতে), ‘‘হে আমার রব,নিশ্চয় আমার জাতি এ কুরআনকেপরিত্যাজ্য গণ্য করেছে’’ -[সূরা আল-
ফুরকান : ৩০] আমাদের উপর কুরআনের যে হকগুলোরয়েছে তা এখানে আলোচনা করা হলো :
১ ঈমান আনা
২ সহীহভাবে পড়তে জানা
৩ তিলাওয়াত করা ও শ্রবণ করা
৪ অপরকে শিক্ষা দেয়া
৫ হিফয বা মুখস্ত করা
৬ বুঝা ও উপলব্ধি করা
৭ আমল করা (বাস্তবায়িত করা)
৮ যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দেয়া
৯ কুর’আন প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা
১ ঈমান আনা: কুরআনের হকসমূহের মধ্যে প্রধানতম হকবা অধিকার হলো কুরআনের প্রতি ঈমানআনা। কুরআনের প্রতি ঈমান আনার অর্থহলো : কুরআন আল্লাহর কালাম, ইহাআসমানী শেষ কিতাব এবং এইকিতাবের মধ্য দিয়ে সকল আসমানীকিতাব রহিত হয়ে গিয়েছে। কুরআন বিশ্বমানবমন্ডলীর জন্য হিদায়াত এবআল্লাহর পক্ষ থেকে নূর বা আলো।কুরআনে এসেছে, ‘অতএব তোমরা আল্লাহও তাঁর রাসূলের এবং আমি যে নূরঅবতীর্ণ করেছি তার প্রতি ঈমান আন।আর তোমরা যে আমল করছ আল্লাহ সে
বিষয়ে সম্যক অবহিত’ -[সূরা আত-তাগাবুন: ০৮]।‘তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশেঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর, সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করেদুনিয়ার জীবনে লাঞ্চনা ছাড়া তাদেরকী প্রতিদান হতে পারে! আর কিয়ামাতের দিন তাদেরকে কঠিনতমআযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরাযা কর, আর আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন’ -[সূরা আল-বাকারাহ : ৮৫]।
২ সহীহভাবে পড়তে জানা: কুরআন শিক্ষা করা ফরয করা হয়েছে।পরত্যেক মুসলিমকে কুরআন পড়া জানতেহবে। কেননা কুরআনে বলা হয়েছে, ‘পড়তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টিকরেছেন’ [সূরাহ আলাক : ১]।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম কুরআন শিক্ষার নির্দেশদিয়ে বলেন, ‘তোমরা কুরআন শিক্ষা করএবং তা তিলাওয়াত কর’ [মুসনাদ আল-জামি‘ : ৯৮৯০]।
৩ তিলাওয়াত করা ও শুনা: কুরআন তিলাওয়াত করা কুরআনের অন্যতমহক। কুরআন মাজীদে নির্দেশ দেয়াহয়েছে এভাবে, ‘তোমার প্রতি যেকিতাব ওহী করা হয়েছে, তা থেকেতিলাওয়াত কর’ -[সূরাহ আনকাবুত : ৪৫]।
সহীহভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতেহবে। তিলাওয়াতের আদবগুলো রক্ষাকরতে হবে। বাংলাভাষায় উচ্চারণ করে পড়লে হবে না।আবূ হুরায়রা রাদি আল্লাহু আনহু থেকেবর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে কুরআন সুন্দর
উচ্চারণে পড়ে না, সে আমার উম্মতেরমধ্যে শামিল নয়’ -[সহীহ বুখারী : ৭৫২৭]।ধীরস্থীরভাবে তিলাওয়াত করার নির্দেশ দিয়ে কুরআনে বলা হয়েছে।‘তুমি কুরআনকে তারতীলের সাথেঅর্থাৎ ধীরস্থীরভাবে তিলাওয়াত কর’ –[সূরা আল-মুযযাম্মিল : ৪]। আর কুরআন তিলাওয়াতে রয়েছে বিরাটসাওয়াব। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদরাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতহাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি
হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকিপ্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটিনেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটিহরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটিহরফ’ -[সুনান আত-তিরমিযি : ২৯১০]।কুরআন তিলাওয়াত শুনা একটি গুরুত্বপূর্ণবিষয়।আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদি আল্লাহুআনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন,‘তুমি আমাকে কুরআন পড়ে শুনাও, আমিবললাম, আপনার উপর কুরআন অবতীর্ণহয়েছে, আমি আপনাকে কীভাবে কুরআনশুনাবো? তখন তিনি বললেন, আমিঅপরের নিকট থেকে কুরআন শুনতেভালবাসি’ -[সহীহ বুখারী : ৫০৪৯]।
৪ অপরকে শিক্ষা দেয়া: কুরআনের অন্যতম হক হলো তা অপরকেশিক্ষা দেয়া। আমাদের প্রিয় নবীরঅন্যতম কাজ ছিল মানুষকে কুরআনশিক্ষা দেয়া। আল-কুরআনে বলা হয়েছে,‘অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহকরেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছেন,যে তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহতিলাওয়াত করে এবং তাদেরকেপরিশুদ্ধ করে আর তাদেরকে কিতাব ওহিকমাত শিক্ষা দেয়। যদিও তারাইতঃপূর্বে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিল’’-[সূরাআলে ইমরান : ১৬৪]।
কুরআন শিক্ষা দেয়ার চেয়ে উত্তম কাজআর নেই। হাদীসে এসেছে,উসমান রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যেসর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআনশিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়’-
[সহীহ বুখারী : ৫০২৭]।যদি কেউ অপরকে কুরআন শিক্ষা দেয়,তবে তাঁর জন্য শিক্ষাগ্রহণকারীর সমানসাওয়াবের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।হাদীসে এসেছে,‘ভাল কাজের পথপ্রদর্শনকারী এ কাজসম্পাদনকারী অনুরুপ সাওয়াব পাবে’’ –[সুনান আত-তিরমীযি : ২৬৭০]।
৫ হিফয বা মুখস্থ করা: কুরআন হিফয করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।কেননা আল্লাহ তা‘আলা নিজেই কুরআনহিফযের দায়িত্ব নিয়েছেন। এ হিফযেরইএক প্রকার হচ্ছে, বান্দাদেরকে কুরআনহিফয করানো। যার মাধ্যমে আল্লাহ্তা‘আলা তাঁর কুরআনকে সংরক্ষণকরেছেন। কুরআনে এসেছে,‘নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি, আরআমিই তার হিফাযতকারী’’ -[সূরা আল-
হিজর : ০৯]।যে যত বেশি অংশ হিফয করতে পারবেতা তার জন্য ততই উত্তম। আবদুল্লাহ ইবনেআমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,, নবীকারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বলেন,‘‘ কুরআনের হাফেযকে বলা হবে কুরআনপড়েযাও, আর উপরে উঠতে থাক, ধীর-স্থিরভাবে তারতীলের সাথে পাঠ কর,যেমন দুনিয়াতে তারতীলের সাথে পাঠকরতে। কেননা জান্নাতে তোমারঅবস্থান সেখানেই হবে, যেখানেতোমার আয়াত পড়া শেষ হয়’’ -[সুনান
আত-তিরমিযী : ২৯১৪]।
৬ বুঝা ও উপলব্ধি করা: কুরআনের অর্থ বুঝা ও অনুধাবন করাকুরআনের অন্যতম হক। কুরআনের অর্থ না
বুঝতে পারলে কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্যও দাবী আমরা কেউ পালন করতে পারবোনা। না বুঝে পড়লে কুরআনের আসল মজা
পাওয়া যাবে না। কুরআন বুঝার জন্যশব্দের অর্থ, আয়াতের ব্যাখ্যা, অবতীর্ণহওয়ার কারণ বা প্রেক্ষাপট এবং
কুরআনের আয়াতসমূহের শিক্ষা জানতেহবে। কুরআনে এসেছে, ‘‘নিশ্চয় আমিএকে আরবী কুরআনরূপে নাযিল করেছি
যাতে তোমরা বুঝতে পার’’-[সূরা ইউসুফ:০২]।কুরআন বুঝার ক্ষেত্রে হাদীসের সাহায্যনা নিলে যে কেউ বিভ্রান্ত হতে পারে।সেক্ষেত্রে হাদীসের সাহায্য নিলেই
কেবল সহীহভাবে কুরআন বুঝা সম্ভব।
আল-কুরআনে বলা হয়েছে, ‘‘আর রাসূলতোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর যাথেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তাথেকে বিরত হও’’-[সূরা আল-হাশর: ৭]।কুরআন বুঝার পাশাপাশি তা নিয়েচিন্তা-ভাবনা করতে হবে।‘‘তবে কি তারা কুরআন নিয়ে গভীর
চিন্তা-ভাবনা করে না ? নাকি তাদেরঅন্তরসমূহে তালা রয়েছে’’- [সূরামুহাম্মাদ : ২৪]।
৭ আমল করা: কুরআনের আমল করার অর্থ,কুরআনেরঅনুসরণ করা। কুরআন অনুযায়ী নিজেরজীবনকে গড়ে তোলা। এ বিষয়ে কুরআনেনির্দেশ দেয়া হয়েছে, ‘তোমাদেরপ্রতিতোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিলকরা হয়েছে, তা অনুসরণ কর এবং তাকেছাড়া অন্য অভিভাবকদের অনুসরণ করোনা। তোমরা সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর’ –[সূরা আল-আরাফ : ৩]।কুরআনের জ্ঞানে পারদর্শী আবদুল্লাহইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,‘আমরা যখন নবী সল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম হতে কুরআনের দশটি আয়াতশিক্ষা গ্রহণ করতাম, এরপর ততক্ষণপর্যন্ত আমরা পরবর্তী দশটি আয়াতশিক্ষা করতাম না, যতক্ষণ পর্যন্ত নাআমরা এই দশ আয়াতের ইলম ও আমলশিখতাম’ -[শরহে মুশকিলুল আছার : ১৪৫০]।
৮ যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দেয়া: কুরআন মাজীদ সম্মানিত এবং যারাকুরআনের সাথে থাকবে তাঁরাওসম্মানের অধিকারী। এজন্য কুরআনেরযথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। কুরআনতিলাওয়াতের সময় তাঁর হক আদায় করতেহবে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যাদেরকেআমি কিতাব দিয়েছি, তাঁরা তা পাঠকরে যথার্থভাবে। তাঁরাই তাঁর প্রতিঈমান আনে। আর যে তা অস্বীকার করে,সে-ই ক্ষতিগ্রস্থ’ -[সূরা আল-বাকারাহ :
১২১]।কুরআনকে মহববত করা আল্লাহ ও তাঁররাসুলকে মহববত করার শামিল। আবদুল্লাহইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
‘যে কুরআনকে মহববত করল সে যেনআল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে মহববত করল’-[জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম : ৩২৯]।
৯ কুরআন প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা: কুরআনের প্রচার, প্রসার ও তাপ্রতিষ্ঠার কাজ করা কুরআনের অন্যতমহক। নিজ ব্যবস্থাপনায় কুরআনশিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, কুরআনতিলাওয়াত প্রতিযোগিতা, হিফযপ্রতিযোগিতা, কুরআন বুঝার আসর,তাফসীর প্রতিযোগিতা, মাকতাব চালুকরা, বিভিন্ন এলাকায় কুরআনেরমুয়াল্লিম প্রেরণ বা মুয়াল্লিম স্পন্সরকরা, কুরআন বিতরণ করা, কুরআনেরমুয়াল্লিম তৈরি করা, কুরআনের প্রচার ওপ্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিতসংস্থাকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানকরা, এ কাজের অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি
কুরআনের বিধান সমাজে প্রতিষ্ঠারকাজ করতে হবে। কুরআন মাজীদে বলাহয়েছে, ‘আর আমি যেন আল-কুরআন অধ্যয়ন করি, অতঃপর যে হিদায়াত লাভকরল সে নিজের জন্য হিদায়াত লাভকরল; আর যে পথভ্রষ্ঠ হল তাকে বল,আমিতো সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত’ –[সূরা আন-নামল : ৯২]।হে রাসূল, তোমার রবের পক্ষ থেকেতোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে,তা পৌঁছে দাও [সূরা আল-মায়িদাহ : ৬৭]।কুরআন তিলাওয়াত, হিফয, প্রচার, প্রসারএবং প্রতিষ্ঠার কাজে আনন্দ প্রকাশকরার সুযোগ রয়েছে। কুরআন এমন একটিকিতাব যা নিয়ে ঈমানদার বান্দাহগণআনন্দ প্রকাশ করতে পারে। কেননা আল-কুরআনে বলা হয়েছে,
﴿ﻳَٰٓﺄَﻳُّﻬَﺎ ﭐﻟﻨَّﺎﺱُ ﻗَﺪۡ ﺟَﺎٓﺀَﺗۡﻜُﻢ ﻣَّﻮۡﻋِﻈَﺔٞ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻜُﻢۡ ﻭَﺷِﻔَﺎٓﺀٞ ﻟِّﻤَﺎ ﻓِﻲ
ﭐﻟﺼُّﺪُﻭﺭِ ﻭَﻫُﺪٗﻯ ﻭَﺭَﺣۡﻤَﺔٞ ﻟِّﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻴﻦَ ٥٧ ﻗُﻞۡ ﺑِﻔَﻀۡﻞِ ﭐﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﺑِﺮَﺣۡﻤَﺘِﻪِۦ ﻓَﺒِﺬَٰﻟِﻚَ ﻓَﻠۡﻴَﻔۡﺮَﺣُﻮﺍْ ﻫُﻮَ ﺧَﻴۡﺮٞ ﻣِّﻤَّﺎ ﻳَﺠۡﻤَﻌُﻮﻥَ
٥٨﴾ [ ﻳﻮﻧﺲ: ٥٧، ٥٨]
‘হে মানুষ, তোমাদের রবের পক্ষ থেকেতোমাদের কাছে এসেছে উপদেশ এবংঅন্তরসমূহে যা থাকে তার শিফা, আরমুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত। বল,আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে। সুতরাং এনিয়েই যেন তারা খুশি হয়। এটি যা তারাজমা করে তা থেকে উত্তম’ -[সূরা ইউনুস :৫৭-৫৮]।আবূ সাইদ খুদরী রাদি আল্লাহু আনহুবলেন, ‘আল্লাহর অনুগ্রহ হলো আল-কুরআন
এবং এর অধিকারী হওয়াই রহমত’ -[শুয়াবুলঈমান]।
প্রিয় পাঠক!আমরা কি কুরআনের হকগুলো আদায়করতে পারছি? আদায় করার জন্য কোন
পরচেষ্টা আছে কি? আসুন কুরআনেরহকগুলো আদায় করি, কিয়ামাতের সেই
য়াবহ দিনে কুরআনের সুপারিশ পাওয়ারযোগ্যতা অর্জন করি। আল্লাহ তা‘আলাআমাদেরকে কুরআনের হকগুলো
থাযথভাবে পালন করার তাওফীক দিন।
আমীন!