মাসায়েল রমজান

imagesCAHPY7OX

   রোজার ফিদইয়া
বার্ধক্য বা জটিল কোনো রোগের কারণে যার রোজা রাখার সামর্থ্যএকেবারেই নেই এবং পরে কাজা করার সামর্থ্য ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও নেইএমন ব্যক্তিরোজার পরিবর্তে ফিদইয়া প্রদান করবে।
ফিদইয়া হলো, একজন মিসকিনকে দু’বেলাতৃপ্তিসহ খানা খাওয়ানো বা এর মূল্য দেয়া। এক সদকা ফিতরও দেয়া যায়। অর্থাত্ পৌনে দুইকেজি গম বা তার মূল্য।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন
আর যাদের জন্য রোজাঅত্যন্ত কষ্টকর হয় তারা এর পরিবর্তে ফিদইয়া তথা মিসকিনকে খাদ্য দান করবে। (সূরাবাকারা ২ : ১৮৪)
য়এক রোজার পরিবর্তে এক ফিদইয়া ওয়াজিব হয়। (আদদুররুল মুখতার২/৪২৬)
য়যাদের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদইয়া দেয়ার হুকুম রয়েছে তারা রমজান শুরুহওয়ার পর পুরো মাসের ফিদইয়া একত্রে দিয়ে দিতে পারবে। (আদদুররুল মুখতার২/৪২৭)
উপরোক্ত দুই শ্রেণীর মানুষ (অর্থাত্ দুর্বল বৃদ্ধ ও এমন রোগী, বাহ্যতযার রোজা কাজা করার শক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই) ছাড়া আরও যাদের জন্য রোজা ভঙ্গকরা জায়েজ আছে (যেমন—মুসাফির, গর্ভবতী ও শিশুকে স্তন্যদানকারিনী ইত্যাদি) তারাওজরের কারণে রোজা না রাখলে রোজার ফিদইয়া দেবে না; বরং পরে কাজা করবে। আর যদি ওজরঅবস্থায় মারা যায় তাহলে তাদের ওপর কাজাও নেই, ফিদইয়ার অসিয়ত করাও জরুরি নয়। অবশ্যওজর শেষ হওয়ার পর কাজার সময় পেয়েও যদি কাজা না করে থাকে অতঃপর মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাহলে ওজরের পর যে ক’দিন রোজা রাখার সময় পেয়েছে সে ক’দিনের জন্য ফিদইয়ার অসিয়ত করেযেতে হবে। (রদ্দুল মুহতার ২/৪২৩-৪২৪)
য়ওজরবশত ছুটে যাওয়া রোজার কাজা করা সম্ভবনা হলে মৃত্যুর আগে ফিদইয়া দেয়ার অসিয়ত করে যাওয়া জরুরি। অসিয়ত না করে গেলেওয়ারিশরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে এমনিতেই ফিদইয়া আদায় করে দেয় তবে আশা করা যায়, আল্লাহতায়ালা তা কবুল করবেন। (রদ্দুল মুহতার ২/৪২৪-৪২৫)
য়এক রোজার ফিদইয়া একজনমিসকিনকে দেয়াই উত্তম। তবে একাধিক ব্যক্তিকে দিলেও ফিদইয়া আদায় হবে। তদ্রূপ একাধিকফিদইয়া এক মিসকিনকেও দেয়া জায়েজ। (রদ্দুল মুহতার ২/৪২৭)
য়ছোট বাচ্চা বানাবালেগকে খাওয়ালে ফিদইয়া আদায় হবে না। (ফাতাওয়া খানিয়া ২/২০)
য়অক্ষম বৃদ্ধ ওমৃত্যুমুখে পতিত রোগী যদি সুস্থতা ফিরে পায় এবং আবার রোজা রাখতে পারে তাহলে তাদেরছুটে যাওয়া রোজাগুলোর কাজা করতে হবে। এক্ষেত্রে আদায়কৃত ফিদইয়ার জন্য আলাদা সওয়াবপাবে। (আদদুররুল মুখতার ২/৪২৭)

Related Post