Main Menu

রাসূল (সা.)-এর দাওয়াত দানের পদ্ধতি

রাসূলের দাওয়াতের পদ্ধতি

রাসূলের দাওয়াতের পদ্ধতি

দাওয়াতের সংজ্ঞা:

দাওয়াতের শাব্দিক অর্থ:  الدعوة অর্থ হল কোন কিছুর দিকে আহবান করা। এখান থেকে دعواً, دعوة, ও دعاءً শব্দগুলো এসেছে। আর دعوى অর্থ হল কোন কিছুকে উপস্থিত করার দাবী জানানো। উদাহরণসরূপ- دعوت الله অর্থ হল আল্লাহর কাছে দুয়া করা, আল্লাহকে ডাকা, অনুনয় বিনয় করে তার কাছে কিছু চাওয়া বা তার নিকটস্থ কল্যাণের আশা করা।

দাওয়াত দুই দিকে হতে পারে

১। বাতিলের দিকে দাওয়াত: যেমন: আল্লাহ তায়ালার বাণী:   قَالَ رَبِّ السِّجْنُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا يَدْعُونَنِي إِلَيْهِ

অর্থাৎ, হে আমার প্রতিপালক! তারা আমাকে যে দিকে দাওয়াত (আহবান করছে) দিচ্ছে তা থেকে কারাগারই আমার কাছে বেশী প্রিয়। (সুরা ইউসুফ: ৩৩)

২। সত্যের দিকে দাওয়াত: যেমন- আল্লাহ বলেন:  لَهُ دَعْوَةُ الْحَقِّ

অর্থাৎ, সত্যের আহবান একমাত্র তারই। (সুরা রা’দ:১৪) রাসুল (সাঃ) বাদশাহ হেরাকলের কাছে লেখা চিঠিতে লিখেছিলেন- أدعوك بدعاية الإسلام অর্থাৎ, আমি আপনাকে ইসলামের দিকে আহবান করছি।

এ ছাড়া ফেরাউন বংশের একজন ঈমানদার ব্যক্তি বলে ছিলেন:  وَيَا قَوْمِ مَا لِي أَدْعُوكُمْ إِلَى النَّجَاةِ وَتَدْعُونَنِي إِلَى النَّارِ

অর্থাৎ, হে আমার জাতি! ব্যাপার কি? আমি তোমাদেরকে আহবান (দাওয়াত দিই) করি মুক্তির দিকে আর তোমরা আমাকে আহবান (দাওয়াত দাও) করছ জাহান্নামের দিকে?!! (সুরা মু’মিন: ৪১)

দাওয়াতের পারিভাষিক অর্থ:

দাওয়াত হল-البيان والتبليغ لهذا الدين ، أصولاً ، وأركاناً ، وتكاليف ، والحث عليه ، والترغيب فيه

ইসলামকে মূলনীতি, রুকন ও হুকুম-আহকামসহ বর্ণনা করা, মানুষের কাছে পৌছে দেয়া ও মানুষকে তার উপর উৎসাহ প্রদান করাই হল দাওয়াত। (فصول في الدعوة الإسلامية – হাসান ঈসা আব্দুজ জ্বাহের, ২৬ পৃষ্ঠা, প্রথম সংস্করণ ১৪০৬ হিজরী, দারুস সাক্বাফাহ, কাতার, দোহা)

দাঈর (الداعية) সংজ্ঞা

আভিধানিক অর্থে الداعية তথা দাঈ হচ্ছেন ঐ ব্যক্তি যিনি কোন চিন্তা বা ধর্মের দিকে মানুষকে আহবান করেন।

আর الدعاة হচ্ছেন এমন জনগোষ্টি যারা মানুষকে কোন সঠিক কিংবা ভ্রান্ত যে কোন ধরণের মতাদর্শকে গ্রহণ করার জন্য আহবান করেন। একবচনে داعٍ আর যখন কেউ কোন ধর্ম কিংবা নব উদ্ভাবিত বিষয়ের দিকে অপরকে আহবান করে তখন তাকে বলে الداعية।  এর মধ্যকার “হা” ( গোল তা) অক্ষরটি মুবালাগা’র জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

দাঈর উল্লেখযোগ্য গুণাবলী:

১. একনিষ্ঠতা: কারণ, একনিষ্ঠতা ছাড়া কোন আমল কবুল হয় না।  إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّياتِ

২. আল্লাহ তায়ালার সাথে সম্পর্ক মজবুত রাখা: এর মধ্যে ফরজ ইবাদাতগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা ছাড়াও বেশি বেশি নফল ইবাদাত ও সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় চাওয়া।

৩. বিষয়টি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান থাকা: এর দ্বারা নিয়্যাত ও কর্ম পরিশুদ্ধ হয়। একজন দাঈর জন্য যেসব বিষয়ের জ্ঞান রাখা আবশ্যক হয় তা হল- কুরআন, হাদীস এবং এগুলো থেকে উৎসারিত জ্ঞান। দৃঢ়তা, আগ্রহ এবং কোন কিছু সম্বন্ধে অধিক পরিমাণে জানতে অন্যকে জিজ্ঞাসা করা ছাড়া সহজে জ্ঞান অর্জন করা যায় না।

৪. তাক্বওয়াবান হওয়া: কেননা, যাদেরকে দাওয়াত দেয়া হবে তারা তাদেরকে দেখে অনুকরণ করবে।

৫. পরামর্শ করা: পরামর্শের মাধ্যমেই অনেক মতের সম্মিলন থেকে কোন বিষয়ের সুন্দর সমাধান বেরিয়ে আসে এবং ভুল কম হয়।

৬. নিয়মিত সৎকর্মে অটল থাকবে এবং তাতে যত্নবান হবে।

৭. বিচক্ষণ ও সাহসী হবে।

৮. আশাবাদী, আল্লাহর সাহায্যের উপর আস্থাশীল ও তার সম্বন্ধে ভালো ধারণা করবে।

৯. যে কোন কাজে উত্তম পন্থা অবলম্বন করবে।

১০. সময় ও সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করবে।

১১. স্পষ্টভাষী হতে হবে। (কোন বিষয়কে সহজ-সরল ভাবে উপস্থাপন করবে)

১২. জ্ঞানার্জনের আগ্রহ থাকতে হবে ও তার আদব মেনে চলতে হবে। জ্ঞানার্জনের সময় একজন দাঈর উচিত সেগুলোর দিকে যত্নবান হওয়া ও তা আকড়ে ধরা।

১৩. সদাচরণের অধিকারী হওয়া। এর কয়েকটি শাখা-প্রশাখা রয়েছে। সেগুলো হল-

১. ধৈর্য ধারণ করা

২. দানশীলতা।

৩. বিনয়

৪. বুদ্ধিমত্তা ও নম্রতা অবলম্বন করা।

৫. ক্ষমা করা।

৬. সহানুভুতি প্রকাশ ও নম্রতা অবলম্বন।

৭. ওয়াদা পূর্ণ করা।

৮. লজ্জাশীলতা

৯. বড়দেরকে সম্মান করা।

১০. দয়ার মানসিকতা থাকা।

১১. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দেয়া প্রভৃতি।

দাওয়াত দান পদ্ধতির নমুনা

যে কোন কিছুর দিকে দাওয়াত দানের পদ্ধতিকে সংক্ষেপে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

১. এমন কিছু পন্থার একত্রিকরণ, যা মানুষের অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলবে এবং তাদের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি করবে। যেমন-উপদেশ ও স্মরণ করিয়ে দেয়া, সুসংবাদদান ও ভীতিপ্রদর্শন করা, ঈমানী আবেগকে নাড়া দেয়া ও উত্তেজিত করা এবং তাদের জন্য দুয়া করা।

২. এমন কিছু পন্থার সমষ্টিকে কাজে লাগানো; যা তাকে চিন্তা-ভাবনা ও উপদেশ গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ করবে। এর মধ্যে রয়েছে বুদ্ধিভিত্তিক পন্থা অবলম্বন করা, যেমন- ভালো ও খারাপের মধ্যে তুলনা করা, উপমা দেয়া, বিতর্কে অংশ নেয়া, বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তি প্রদর্শন ও বিশ্লেষণ করা এবং সংশয়গুলোর জবাব দেয়া।

৩. এমন কিছু পন্থার সমষ্টিকে কাজে লাগান; যা মানুষের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। অনুভূতির উপর নির্ভরকারী বিষয়গুলো হল- উত্তম আদর্শ, দাঈর পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞতায় প্রাপ্ত ফলাফল জানানো এবং তা মুখস্থ করিয়ে নেয়া। তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা ও তাদের সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।

৪. সাধারণ পদ্ধতি। এর মধ্যে উপরোক্ত পন্থাগুলো সব কিংবা কিছু আসবে। যেমন- বক্তব্য উপস্থাপন, ঘটনা বর্ণনা, শিক্ষাদান করা ও প্রশ্নোত্তরের ব্যবস্থা করা।

দাওয়াতের বিভিন্ন পন্থা ও পদ্ধতি থাকায় দাঈর উচিত হবে–

  • যাদেরকে দাওয়াত দেবেন তাদের জন্য যেটা উপযোগী স্থান কাল ও পাত্র ভেদে তা প্রয়োগ করা। যেমন রাসুল (সাঃ) কিছু ক্ষেত্রে খুব নম্রতা ও কিছু ক্ষেত্রে খুব কঠোরতা অবলম্বন করতেন। সেগুলো ছিল উক্ত অবস্থা ও পরিস্থিতির জন্য উপযোগী।
  • সব পদ্ধতিকে কাজে লাগানো। কেননা, মানুষের থাকে তিনটি কেন্দ্র। সেগুলো হল- আবেগ, বোধশক্তি ও অনুভূতি। আদর্শ ও সফল দাঈ ব্যক্তি উপরোক্ত সমস্ত পন্থাকেই সহজে এবং সবদিকে ভারসাম্য ঠিক রেখে কাজে লাগাতে পারে।

দাওয়াতের পদ্ধতিসমুহ

আমরা দাওয়াতের পদ্ধতি সমুহকে দু’টিভাগে ভাগ করতে পারি। যেমন-

১. মৌলিক পন্থা: (যে পন্থাগুলোকে মানুষেরা সাধারণত দাওয়াতী কাজে ব্যবহার করে থাকে। যেমন বক্তব্য উপস্থাপন করা; যা কিছু অক্ষর ও শব্দের সমষ্টি; বিভিন্ন পন্থায় ও বিভিন্নভাবে তা উপস্থাপন করা হয়। এবং যাতে সরাসরি একশান হয়) সেগুলো হল-বাস্তবে উপলব্ধি করার মত বিষয়। যেমন- কথা ও কাজ করা।

২. বস্তুগত পন্থা। (এর দ্বারা এমন কিছু উপাদান বুঝানো হয় যা মানুষের প্রতি সরাসরি কোন প্রভাব ফেলে না; বরং, সেখানে প্রভাব পড়ে পরোক্ষভাবে। যেমন-একজন দাঈ ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে কিংবা যাদেরকে দাওয়াত দেবে তাদের উপর প্রাধান্য বিস্তারে সফলতার জন্য দুয়া করার আগে নামাজ পড়ে নিলেন। এগুলোই ইনডাইরেক্টলি পন্থা। কেননা, এগুলোর প্রভাব মানুষেরা সরাসরি দেখতে পায় না।) যেমন-নামাজ আদায় করা, দুয়া করা, কর্মসুচী নির্ধারণ করা ও শৃঙ্লা-ব্যবস্থা নির্ধারণ করা ইত্যাদি।

দাওয়াতে লক্ষনীয়

দাওয়াত দেয়ার সময় বেশ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। সেগুলো হল যথাক্রমে-

প্রথমত: কুরআন-সুন্নাহর উপর নির্ভর করা: অন্যদেরকে দাওয়াত দিতে গিয়ে অবশ্যই কুরআন ও হাদীস থেকে বিষয় নির্বাচন করতে হবে। নিজের ইচ্ছা ও চিন্তা চেতনার দিকে ঝুকে পড়া থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।

দ্বিতীয়ত: ধাপে ধাপে কাজ করা: মানুষের কাছে দাওয়াত দিতে হবে ধাপে ধাপে আস্তে আস্তে। যেমন- “মদ” হারাম করা হয়েছে কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে। আর এভাবেই মানুষকে ধাপে ধাপে ইসলামের দিকে ডাকতে হবে। ধাপে ধাপে কাজ করার সময় ইসলাম যেদিকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছে সে হিসেবেই সিরিয়াল অনুসরণ করতে হবে। কোন অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া যাবে না।

 যে সকল বিষয়ে আগেভাগে দাওয়াত দিতে হবে সেগুলো হল-

১. আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদ ও আকীদা-বিশ্বাস।

২. ইসলামের রুকন বা খুটি। বিশেষ করে সর্বপ্রথম নামাজ ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যেমন ওজু, গোসল ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

৩. এরপরেই ইসলামী শরীয়ত তথা আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূল (সাঃ) কর্তৃক নির্দেশিত বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দাওয়াত দিতে হবে।

 তৃতীয়ত: কট্টর পন্থা থেকে দূরে থাকা:

কোন বিষয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে পজেটিভ কিংবা নেগেটিভ কট্টরতা মানুষকে তার প্রতি ভীত করে তোলে। যদি কখনো কোন ভুল ভ্রান্তি বা খারাপ কিছু দেখা যায় তাহলে তা সাধ্যমত দূর করার চেষ্টা করা উচিত। কেননা, কট্টরপন্থা অবলম্বন করলে তারা দাওয়াত গ্রহণ করায় আগ্রহী হবে না। কট্টরপন্থা তাদেরকে তার থেকে দূরে ঠেলে দেবে। তাদের উচিত ভুলের সমালোচনা করা ও ভুলকে স্বীকার করে নেয়া এবং সত্যের দিকে ফিরে আসার আহবান করা ও সত্যকে মেনে নেয়া।

চতুর্থত: মানুষকে তার নিজস্ব মর্যাদায় রেখে দেয়াঃ এটা এমন একটা পদ্ধতি যার দিকে রাসুল (সাঃ) সদা খেয়াল রাখতেন এবং তদনুযায়ী আবু সুফিয়ান, ও যায়েদ আল খায়েল প্রমুখ সাহাবীদের সাথে আচরণ করতেন।

প্রিয় উপস্থিতি! দাওয়াত তথা ইসলামের প্রচার প্রসারে আমাদেরকে ঐকান্তিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। এ পথে জান-মাল ব্যয় করতে হবে। কেবল নিজে সত্যানুসারী হলে দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে না বরং অন্যদেরকেও সত্যের দিকে আহ্বান করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার দাবি ও চাহিদা সামনে রেখে কর্তব্য পালনে মনোযোগী হতে হবে।

দাওয়াতকর্ম ব্যক্তিগতভাবে, দলবদ্ধভাবে, দাওয়াতী কাফেলা বা জামাত প্রেরণের মাধ্যমে আনজাম দেয়া যেতে পারে।

প্রিয় পাঠক! দাওয়াত প্রচারে আমাদেরকে আধুনিক সকল মাধ্যমই ব্যবহার করতে হবে। প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, ইন্টারনেট প্রযুক্তি এসব কিছুকেই দাওয়াত প্রচারে ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় শত কোটি মানুষের দোরগোড়ায় ইসলামের অমীয় বাণী পৌঁছে দেয়া সম্ভবপর হবে না। আধুনিক প্রচার ও যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এই বলে বর্জন করা যাবে যে, এগুলো অমুসলিমদের আবিস্কৃত। অথবা অন্যরা এসব মাধ্যমকে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকে। কেননা আধুনিক প্রচার ও যোগাযোগ মাধ্যম আল্লাহ তাআলার বিরাট এক নিয়ামত। তাই এ নেয়ামতকে আল্লাহর দীন প্রচারের উদ্দেশ্যে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর যুগের সকল প্রচারমাধ্যমকেই ব্যবহার করেছেন। তাই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা ও ইকতিদার দাবি হবে, আমাদের যুগের সকল প্রচারমাধ্যমকে আল্লাহর দীন প্রচারের ক্ষেত্রে যথার্থরূপে ব্যবহার করা।

প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরা! সমগ্র পৃথিবীতে ছয়শত কোটির বেশি মানুষের বসবাস। আর এদের অধিকাংশই অমুসলিম। আবার মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশই হল নামেমাত্র মুসলিম। তাই ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে থাকলে আল্লাহর কাছে জওয়াব দেয়ার মতো কোনো ভাষা আমাদের থাকবে না। কাজেই আসুন, আমরা সবাই মিলে ব্যাপক পরিকল্পনা ও নিরলস কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এ মহান দায়িত্ব আনঞ্জাম দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর হই। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সেই তাওফীক দান করুন। আমীন

Related Post