Main Menu

ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব

ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব

ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব

পূর্বে প্রকাশিতের পর

১- আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা:

ক- আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা মানুষে  স্বভাবজাত বিষয়। অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী। সামান্য সংখ্যক নাস্তিক ব্যতীত কেউ এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেনি। প্রত্যেক সৃষ্টি জীবই পূর্ব তা’লীম ছাড়াই তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে ঈমানের উপর সৃষ্ট। যেমন আমরা আহ্বানকারীদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া এবং প্রার্থনাকারীদের প্রার্থীত বস্তু প্রাপ্তির কথা শুনি ও দেখে থাকি, যা আল্লাহর অস্তিত্বের উপর স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন:

﴿إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ﴾

অর্থ: তোমরা যখন ফরিয়াদ করতে আরম্ভ করেছিলে স্বীয় পালনকর্তার নিকট। তখন তিনি তোমাদের ফরিয়াদের মঞ্জুরী দান করলেন। সূরাহ্‌ আল আন্‌ফাল আয়াত ৯।

খ- প্রত্যেকেই জানে কোন কিছু সংঘটিত হলে তার সম্পাদনকারী বা সংগঠক থাকা আবশ্যক। অসংখ্য সৃষ্টিজীব এবং প্রতিনিয়ত আমরা দুনিয়াতে যা দেখছি তারও একজন স্রষ্টা দরকার যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন। তিনিই হলেন আল্লাহ। কেননা স্রষ্টা বিহীন সৃষ্টি আসতে পারেনা। তেমনি এটাও অসম্ভব যে কেউ নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করবে, কেননা কোন বস্তু নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করতে পারে না। আল্লাহ বলেন:

﴿أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ﴾ [الطور : 35[

অর্থ: তারা কি আপনা-আপনিই সৃজিত হয়ে গেছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? সূরাহ্‌ আত্‌ ত্বুর আয়াত ৩৪।

আয়াতের অর্থ হল: তারা স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্ট হয়নি, আর তারা নিজেরাও নিজেদেরকে সৃষ্টি করেনি, তাহলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে তাদের স্রষ্টা হলেন মহান আল্লাহ।

গ- আসমান, যমীন, চন্দ্র, সূর্য, তারকা এবং গাছ-পালাসহ সুশৃঙ্খল এ দুনিয়া নিশ্চিতরূপে প্রমাণ করে যে এই পৃথিবীর একজন একক স্রষ্টা রয়েছেন। আর তিনিই হলেন মহান রব্বুল আ’লামীন। তিনি বলেন:

 ﴿ صُنْعَ اللَّهِ الَّذِي أَتْقَنَ كُلَّ شَيْءٍ ﴾ النمل-88

অর্থ: এটা আল্লাহর কারিগরী, যিনি সবকিছুকে করেছেন সুসংহত। সূরাহ্‌ আন্‌ নামল আয়াত ৮৮।

 

তারকা ও নক্ষত্রসমূহ নির্দিষ্ট নিয়মে চলা-ফেরা করছে, নিজ কক্ষ পথ থেকে বিচ্যুত হয় না। প্রত্যেকটি নক্ষত্র নির্দিষ্ট কক্ষপথে চলে এবং তা কখনও অতিক্রম করে না। আল্লাহ বলেন:

﴿لاَا لشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ﴾ [يس : 40[

অর্থ: সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের, প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। সূরাহ্‌ ইয়াসীন আয়াত ৪০।

২- আল্লাহর প্রভূত্বে বিশ্বাস:

ক- আল্লাহর প্রভূত্বে বিশ্বাসের অর্থ: এ কথা  স্বীকার  করা যে আল্লাহ সব কিছুর পালনকর্তা, মালিক, সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, তিনি জীবন ও মৃত্যু দেন, উপকার ও ক্ষতি পৌছান, সব কিছুই তাঁর, তাঁর হাতে সকল কল্যাণ, তিনি সব কিছু করতে পারেন। এসকল ক্ষেত্রে তাঁর কোন শরীক বা অংশীদার নেই।

আল্লাহর প্রভুত্বে বিশ্বাস হল: দৃঢ় এ বিশ্বাস রাখা যে আল্লাহ্‌ তায়ালাই একমাত্র রব বা প্রতিপালক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আল্লাহর কাজে তাঁকে একক হিসেবে বিশ্বাস করা। যেমন: এ আক্বীদাহ্‌ পোষণ করা যে এ পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা হলেন একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ্‌ তায়া’লা বলেন:

﴿اللَّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ﴾ [الزمر : 62[

অর্থ: আল্লাহ্‌ সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সবকিছুর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সূরাহ্‌ আয যুমার আয়াত ৬২। তিনিই সকল সৃষ্টিজীবের রিযিক্বদাতা। আল্লাহ্‌ বলেন:

﴿وَمَا مِنْ دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا﴾ [هود : 6[

অর্থ: আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, যার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর উপর নেই (অর্থাৎ, পৃথিবীর সকল জীবের রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর উপর)। সূরাহ্‌ হুদ আয়াত ৬।

আল্লাহ্‌ সবকিছুর মালিক। তিনি বলেন:

﴿لِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا فِيهِنَّ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ﴾ [المائدة : 120[

অর্থ: নভোমন্ডল, ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ে অবস্থিত সবকিছুর আধিপত্য আল্লাহরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। সূরাহ্‌ আল মায়িদাহ্‌ আয়াত ১২০।

খ- আল্লাহ্‌ তায়ালা এককভাবে সকল সৃষ্টিজীবের পালনকর্তা। তিনি বলেন: ﴿ الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ﴾ (الفاتحة-2)

অর্থ: যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ্‌ তায়ালার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। সূরাহ্‌ আল ফাতিহা আয়াত ২।

রব্বুল আলামীনের অর্থ: তিনি সকল সৃষ্টিজীবের সৃষ্টিকর্তা, মালিক, কল্যাণকারী । বিভিন্ন নিয়ামত ও অনুগ্রহের দ্বারা তিনি তাদেরকে লালন পালন করেন।

গ- আল্লাহ্‌ তায়ালা সকল সৃষ্টিজীবকে তাঁর প্রভুত্বের বিশ্বাস দিয়েই সৃষ্টি করেছেন, এমনকি রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর যামানার আরবীয় মুশরিকদেরকেও। আল্লাহ বলেন:

﴿قُلْ مَنْ رَبُّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ (86) سَيَقُولُونَ لِلَّهِ قُلْ أَفَلَا تَتَّقُونَ (87) قُلْ مَنْ بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ يُجِيرُ وَلَا يُجَارُ عَلَيْهِ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ (88) سَيَقُولُونَ لِلَّهِ قُلْ فَأَنَّى تُسْحَرُونَ﴾ [المؤمنون : 86 – 89[

অর্থ: বলুন: সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে? অবশ্যই তারা বলবে: আল্লাহ। বলুন: তবুও কি তোমরা ভয় করবে না?

বলুন: তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব বস্তুর কর্র্তৃত্ব, যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না ? অবশ্যই তারা বলবে: আল্লাহর। বলুন: তাহলে কোথা থেকে তোমাদেরকে জাদু করা হচ্ছে? সূরাহ্‌ আল মু’মিনূন আয়াত ৮৬-৮৯।

আল্লাহ্‌ তায়ালার প্রভুত্বে বিশ্বাস করলেই কেউ মুসলিম হয়ে যায় না। বরং অবশ্যই তাকে আল্লাহর উলুহিয়্যাতে (ইবাদাতের ক্ষেত্রে আল্লাহর একত্ববাদে) বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। কেননা, আল্লাহর প্রভুত্বে বিশ্বাস স্থাপনের পরও রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কার ক্বুরাইশদের সাথে যুদ্ধ করেছেন।

ঘ- আসমান-যমীন, গ্রহ-উপগ্রহ, তারকা, গাছ-পালা এবং মানুষ ও জ্বিনসহ সারা বিশ্ব মহান আল্লাহর অনুগত ও অধীনে রয়েছে। আল্লাহ বলেন:

 ﴿وَلَهُ أَسْلَمَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ﴾ [آل عمران 83[

অর্থ: আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তাঁরই অনুগত হবে এবং তাঁর দিকেই ফিরে যাবে। সূরাহ্‌ আল ইমরান আয়াত ৮৩। অতএব, কোন সৃষ্টি জীবই আল্লাহর শক্তি ও নির্ধারিত তাক্বদীর হতে বের হতে পারবে না।

কেননা, আল্লাহ্‌ তায়ালাই হলেন তাদের মালিক, তিনি নিজের হিকমত অনুযায়ী যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে পরিচালনা করেন। তিনি সকল জীবের সৃষ্টিকর্তা। আল্লাহ্‌ ব্যতীত সবকিছু তাঁর তৈরী, দরীদ্র এবং তাদের সৃষ্টিকর্তা মহান রব্বুল আলামীনের নিকটে মুখাপেক্ষী।

ঙ- যখন এটা নিশ্চিত হলো যে আল্লাহ্‌ তায়ালাই সবকিছুর মালিক তখন জানাগেল, আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন সৃষ্টিকর্তা, রিযিক্বদাতা নেই। একমাত্র আল্লাহই সারা বিশ্বের পরিচালনাকারী। অতএব, আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত একটা পিপিলিকাও নড়ে না। তাই আমাদের জন্য ওয়াজিব হলো আমরা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রাখব, বিপদাপদে তাঁর নিকটেই প্রার্থনা করব, তাঁর উপর ভরসা রাখবো। কেননা, আল্লাহ হলেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিযিক্বদাতা এবং মালিক।

৩- আল্লাহর উলূহিয়্যার প্রতি বিশ্বাস:

ক- ইলাহ্‌ (মাবূদ) হিসেবে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অর্থ: এ দৃঢ় বিশ্বাস রাখা যে কেবল মাত্র আল্লাহ প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সকল প্রকার ইবাদাতের হক্বদার এবং যোগ্য। যেমন: দুয়া’, ভয়, ভরসা, সহযোগিতা প্রার্থনা করা, সালাত, যাকাত, সিয়াম (রোযা) ইত্যাদি। নিশ্চিতভাবে বান্দার জানা উচিৎ আল্লাহ্‌ তায়ালাই হলেন প্রকৃত মা’বূদ বা ইবাদাতের যোগ্য, তাঁর কোন শরীক নেই। অতএব, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা’বূদ-উপাস্য নেই। আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন:

﴿وَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ﴾  [البقرة : 163[

অর্থ: আর তোমাদের মা’বূদ তো এক-ই মা’বূদ, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা’বূদ নেই, তিনি করুণাময় ও মহান দয়ালু। সূরাহ্‌ আল বাক্বারাহ্‌ আয়াত ১৬৩।

আল্লাহ সংবাদ দিয়েছেন উপাস্য এবং মা’বূদ হলেন একজন। অতএব, আল্লাহ্‌ ব্যতীত কাউকে ইলাহ্‌ হিসেবে গ্রহণ করা এবং তিনি ব্যতীত কারও ইবাদত করা জায়েয নয়।

খ- আল্লাহর উলূহিয়্যাতে বিশ্বাস: তা হলো এ কথা স্বীকার করা যে আল্লাহ একমাত্র সত্য মা’বূদ, তাঁর কোন শরীক নেই। ইলাহ্‌ শব্দের অর্থ মালুহ অর্থাৎ ভালবাসা ও সম্মান সহকারে যার ইবাদাত করা হয়। অতএব, উলুহিয়্যাহ্‌ হলো, সকল প্রকার ইবাদাতে আল্লাহর একত্ববাদ।

তাই আমরা আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্যকে ডাকিনা, তিনি ব্যতীত কাউকে ভয় করি না।

আমরা কেবল তাঁর  উপরই ভরসা করি, তাঁকেই সিজদাহ্‌ করি, তাঁর নিকটেই নত হই। সঙ্গত কারনেই আল্লাহ ব্যতীত কেউ ইবাদাতের যোগ্য নয়। এ কথারই প্রমাণ মেলে আল্লাহ তায়ালার বাণী:

إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ﴾ الفاتحة-5 ﴿

অর্থ: আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। সূরাহ্‌ ফাতিহা আয়াত ৫।

গ- উলূহিয়্যাহ্‌ বা ইবাদাতে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসের গুরুত্ব: নিম্নোক্ত বিষয়গুলো থেকে আল্লাহর উলূহিয়্যাতের গুরুত্ব বুঝা যায়:

* মানুষ এবং জ্বিন সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য হলো এক অদ্বিতীয়, লাশারীক আল্লাহর ইবাদাত করা। আল্লাহ বলেন:

﴿وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ﴾ [الذاريات : 56[

অর্থ: আমার ইবাদাত করার জন্যই আমি মানব ও জ্বিন জাতিকে সৃষ্টি করেছি। সূরাহ্‌ আয্‌-যারিয়াত আয়াত ৫৬।

* রাসূলগণ (আলাইহিমুস্‌ সালাম) এবং আসমানি কিতাবসমূহ প্রেরণের উদ্দেশ্য হলো এ কথার স্বীকৃতি দেওয়া যে আল্লাহ্‌ তায়ালাই একমাত্র সত্য মা’বূদ। আল্লাহ বলেন:

﴿وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ﴾ [النحل : 36[

অর্থ: আমি প্রত্যেক উম্মাতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং ত্বাগুত থেকে নিরাপদ থাক। সূরাহ্‌ আন্‌ নাহ্‌ল আয়াত ৩৬।

* প্রত্যেক ব্যক্তির উপর সর্ব প্রথম আল্লাহ তায়ালার উলূহিয়্যাতে বিশ্বাস স্থাপন করা ফরয। যেমন: আল্লাহর রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মুয়ায বিন জাবাল t কে ইয়েমেনে পাঠান তখন তাঁকে যে ওসিয়ত করেন তা হল:

﴿إِنَّكَ تَقْدَمُ عَلَى قَوْمٍ أَهْلِ كِتَابٍ فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ عِبَادَةُ اللَّهِ﴾

অর্থ: তুমি এমন জাতির নিকটে যাচ্ছ যারা আহ্‌লে কিতাব। অতএব, তাদেরকে সর্বপ্রথম আল্লাহর ইবাদাতের  প্রতি দাওয়াত দিবে। বুখারী ও মুসলিম। অর্থাৎ: সকল প্রকার ইবাদাতে আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি আহ্বান করবে।

ঘ- (لاإله إلاالله ) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌ এর গুরুত্ব: জীবনের প্রথম ও শেষে এই মর্যাদাপূর্ণ বাক্য বা কালিমাটি পাঠ ও বিশ্বাস করা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব। যে ব্যক্তি এ কালিমার উপর ( বিশ্বাস সহকারে) মৃত্যু বরণ করবে তিনি জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। নবী কারীম (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:

﴿مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ﴾

অর্থ: আল্লাহ্‌ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই, একথা জানা ও বিশ্বাস করা অবস্থায় যে ব্যক্তি ইন্তেকাল করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সহীহ্‌ মুসলিম ১/১২৫।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে ইহা স্পষ্ট যে, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌ (আল্লাহ্‌ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই) এর জ্ঞানার্জন করা সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ন ওয়াজিব। (চলবে)

Related Post