Main Menu

আপনার জিজ্ঞাসার জবাব

আপনার জিজ্ঞাসার জবাব

আপনার জিজ্ঞাসার জবাব

প্রশ্ন: আমি মাঝে মাঝে খাবার খেতে বসে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে যাই। কিন্তু একটু পরেই আবার মনে হয় তখন কি আমি বিসমিল্লাহ নতুনভাবে বলব? – আব্দুল জলীল খান- সালমিয়া, কুয়েত

উত্তর: জি হ্যাঁ বিসমিল্লাহ বলতে হবে। তবে সেটা একটু ভিন্নভাবে-

عن عائشة رضي الله عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُم فَليَذكُرِ اسمَ اللَّهِ تَعَالَى فِي أَوَّلِهِ ، فَإِن نَسِيَ أَن يَذكُرَ اسمَ اللَّهِ تَعَالَى فِي أَوَّلِهِ فَليَقُل : بِسمِ اللَّهِ فِي أَوَّلَهُ وَآخِرَه   رواه الترمذي

হযরত আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন খাবার খায়, তখন শুরুতে যেন আল্লাহর নাম নেয়। (অর্থাৎ বিসমিল্লাহ বলে) যদি নাম নিতে ভুলে যায়, তখন সে যেনো বলে- বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়াআখিরাহু। (প্রথমে ও শেষে আল্লাহর নামে) – আবু দাউদ, তিরমিযী।
প্রশ্ন: খাবার খাওয়ার সময় আঙ্গুল চেটে খেতে হবে এই মর্মে কোন হাদীস বা ইসলামে নির্দেশনা আছে কি? -মিজানুর রহমান, হাসাভী
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই আছে; আল্লাহর রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন;

عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَكَلَ طَعَامًا لَعِقَ أَصَابِعَهُ الثَّلَاثَ قَالَ : وَقَالَ : إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيُمِطْ عَنْهَا الْأَذَى وَلْيَأْكُلْهَا وَلَا يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ ) ، وَأَمَرَنَا أَنْ نَسْلُتَ الْقَصْعَةَ قَالَ : فَإِنَّكُمْ لَا تَدْرُونَ فِي أَيِّ طَعَامِكُمْ الْبَرَكَةُ .

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাওয়ার পরে তার তিনটি আঙ্গুল চাটতেন। তিনি বলতেনঃ তোমাদের কারো খাবারের লোকমা নিচে পড়ে গেলে সে যেন তার ময়লা দূর করে তা খেয়ে নেয় এবং শাইতানের জন্য তা ফেলে না রাখে। (বর্ণনাকারী বলেন,) আমাদেরকে তিনি থালাও চেটে খাওয়ার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেনঃ তোমাদের খাদ্যের কোন অংশ বারকাত রয়েছে তা তোমাদের জানা নেই। তিরমিযী: ১৮০৩)

عَنْ جَابِرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِلَعْقِ الأَصَابِعِ وَالصَّحْفَةِ وَقَالَ إِنَّكُمْ لا تَدْرُونَ فِي أَيِّهاِ الْبَرَكَةُ * رواه مسلم
وفي رواية له * إِذَا وَقَعَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَأْخُذْهَا فَلْيُمِطْ مَا كَانَ بِهَا مِنْ أَذًى وَلْيَأْكُلْهَا وَلا يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ وَلا يَمْسَحْ يَدَهُ بِالْمِنْدِيلِ حَتَّى يَلْعَقَ أَصَابِعَهُ فَإِنَّهُ لا يَدْرِي فِي أَيِّ طَعَامِهِ الْبَرَكَةُ *

জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতেই বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (খাবার পর) আঙ্গুলগুলি ও বাসন চেটে খাওয়ার আদেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘‘ওর কোনটিতে বরকত আছে তা তোমরা জান না।’’ (মুসলিম)

তাঁর অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘যখন তোমাদের কারো (হাত থেকে) গ্রাস পড়ে যাবে, তখন সে যেন তা তুলে নেয়। অতঃপর তাতে যে ময়লা থাকে তা পরিষ্কার করে তা খেয়ে নেয় এবং তা শয়তানের জন্য ছেড়ে না দেয়। আর যতক্ষণ পর্যন্ত আঙ্গুল না চাটবে, ততক্ষণ যেন সে রুমালে হাত না মুছে। কেননা, সে জানে না যে, তার কোন্ খাবারে বরকত নিহিত আছে।’’

প্রশ্ন: কোন অনুষ্ঠানের খাবার রান্না করে বরকতের জন্য সে খাবারে মুখের থুথু দেওয়া যাবে কি? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই। -হুসনে আরা, সালমিয়া, কুয়েত।

وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ جَابِرٍ: لَمَّا حُفِرَ الخَنْدَقُ رَأيْتُ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَمَصاً فَانْكَفَأْتُ إِلَى امْرَأتِي فَقُلتُ: هَلْ عَندَكِ شَيْءٌ؟ فَإنّي رَأيْتُ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَمَصاً شَديداً فَأخْرَجَتْ إلَيَّ جِرَاباً فِيه صَاعٌ مِنْ شَعِيرٍ وَلَنَا بَهِيمَةٌ دَاجِنٌ فَذَبَحْتُهَا وَطَحَنتِ الشَّعِيرَ فَفَرَغَتْ إِلَى فَرَاغي وَقَطَعْتُهَا فِي بُرْمَتِهَا ثُمَّ وَلَّيْتُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَت: لاَ تَفْضَحْنِي بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ مَعَهُ فَجِئتُهُ فَسَارَرْتُهُ فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ ذَبَحْنَا بَهِيمَةً لَنَا وَطَحَنْتُ صَاعاً مِنْ شَعِيرٍ فَتَعَالَ أنْتَ وَنَفَرٌ مَعَكَ فَصَاحَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا أهلَ الخَنْدَقِ: إنَّ جَابِرٍاً قَدْ صَنَعَ سُؤْراً فَحَيَّهَلاً بِكُمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ تُنْزِلُنَّ بُرْمَتَكُمْ وَلاَ تَخْبِزُنَّ عَجِينَكُمْ حَتَّى أجِيءَ فَجِئْتُ وَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْدُمُ النَّاسَ حَتَّى جِئْتُ امْرَأتِي فَقَالَتْ : بِكَ وَبِكَ فقُلْتُ : قَدْ فَعَلْتُ الَّذِي قُلْتِ فَأخْرَجَتْ عَجِيناً فَبسَقَ فِيهِ وَبَاركَ ثُمَّ عَمَدَ إِلَى بُرْمَتِنا فَبصَقَ وَبَارَكَ ثُمَّ قَالَ ادْعِي خَابزَةً فَلْتَخْبِزْ مَعَكِ وَاقْدَحِي مِنْ بُرْمَتِكُمْ وَلاَ تُنْزِلُوهَا وَهُم ألْفٌ فَأُقْسِمُ بِاللهِ لأَكَلُوا حَتَّى تَرَكُوهُ وَانْحَرَفُوا وَإنَّ بُرْمَتَنَا لَتَغِطُّ كَمَا هِيَ وَإنَّ عَجِينَنَا لَيُخْبَزُ كَمَا هُوَ

উত্তর: জাবির (রা.) বলেন, পরিখা খননের সময় আমি নবী (সা.)-এর মধ্যে ক্ষুধার লক্ষণ দেখতে পেয়ে আমার স্ত্রীর কাছে ফিরে এলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার কাছে কিছু আছে কি? আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে খুবই ক্ষুধার্ত দেখেছি। সে আমাকে এক সা’ যব ভর্তি একটি থলে বের করে দিল। আমাদের পালিত একটি ভেড়ার বাচ্চা ছিল, আমি তা যবেহ করলাম। সে যব পিষে ফেললো। আমি অবসর হয়ে গোশত টুকরা করে ডেকচিতে চড়িয়ে দিলাম। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (সা) -এর কাছে ফিরে যেতে উদ্যত হতেই সে বললো, আমাকে রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং তাঁর সাহাবীদের সামনে লজ্জিত করো না। আমি তাঁর কাছে হাযির হয়ে তাঁকে চুপে চুপে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের একটি ভেড়ার বাচ্চা ছিল, আমি তা যবেহ করেছি এবং সে এক সা’ যব পিষে আটা তৈরি করেছে। সুতরাং দয়া করে আপনি কয়ে কজন লোকসহ চলুন।

রাসূলুল্লাহ (সা) উচ্চস্বরে বললেনঃ হে খন্দক বাহিনী! জাবির তোমাদের জন্য মেহমানী (বড় খানা) প্রস্তুত করেছে, সুতরাং সবাই চল। নবী (সা) আমাকে বলেনঃ আমি না আসা পর্যন্ত উনুন থেকে ডেকচি নামিও না এবং রুটিও পাকিও না। আমি চলে আসলাম এবং নবী (সা) সবাইকে নিয়ে চলে আসলেন। আমি আমার স্ত্রীর কাছে এসে সব বললে সে বললো, তুমিই লজ্জিত হবে, তুমিই অপমানিত হবে। আমি বললাম, তুমি যা বলে দিয়ে ছিলে, আমি তো তাই করেছি। অতঃপর সে খামীর করা আটা বের করে দিল। তিনি (নবী) তাতে মুখের লালা মিশিয়ে বরকতের দু’আ করলেন এবং ডেকচির কাছে এসেও মুখের লালা দিয়ে দু’আ করলেন, অতঃপর বললেনঃ রাঁধুনিকে ডাক। সে তোমাদের সাথে রুটি পাকাবে এবং ডেকচি থেকে গোশত বের করবে, কিন্তু উনুন থেকে তা নামাবে না। লোকসংখ্যা ছিল এক হাজার। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, তারা সবাই পেট ভরে খেলেন এবং অবশিষ্ট রেখে চলে গেলেন। এদিকে আমাদের ডেকচিতে জোশ মারার শব্দ হচ্ছিল এবং একইভাবে রুটিও পাকানো হচ্ছিল। (বুখারী ৪১০১,৪১০২, মুসলিম ৫৪৩৬)

প্রশ্ন: চান্দা মাছ জাতীয় অনেকটা লাল রঙের এক প্রকারের মাছ, যা মরা মানুষও খেয়ে ফেলে। এই মাছ খাওয়া নাকি হারাম? এটা কি ঠিক? – সালমা হেলাল, মানসূরিয়া, কুয়েত।
উত্তর: জি না। এটা ঠিক নয়। জানোয়ার যা পাবে তাই খাবে। সে বুঝে না কোনটা মানুষ আর কোটনা অমানুষ, কোন হারাম আর কোন হালাল। হাঁস মুরগীকেও দেখা যায়- অনেক সময় নোংরা আবর্জনা থেকে অপবিত্র জিনিস যা পায়, তা খায়। কিন্তু হাঁস মুরগী হালাল হওয়ার বিষয়টা সহীহ হাদীস দ্বারা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত। অনুরূপভাবে মাছ হালাল হওয়ার বিষয়টাও সহীহ হাদীস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত, সেই মাছের খাদ্য যাই হোক না কেনো। মানুষ মুকাল্লাফ বিশ শরা‘ অর্থাৎ মানুষের জন্য হালাল-হারামের বিধান বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সর্বপ্রকার মাছ যেহেতু হালাল, সেহেতু ঐ লাল চান্দা জাতীয় মাছটিও হালাল। আপনি নির্দিধায় খেতে পারেন।
প্রশ্ন: গরম চা, দুধ ইত্যাদিতে ফুঁ দিয়ে পান করা হাদীসে নিষেধ আছে কি? – মাজেদা বেগম, সালওয়া, কুয়েত।
উত্তর: জি হ্যাঁ বোন! হাদীসে খাবার বা পানীয় জিনিসে ফুঁ দিয়ে খাওয়া বা পান করা নিষেধ করা হয়েছে। রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন:

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ النَّفْخِ فِي الشُّرْبِ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ الْقَذَاةُ أَرَاهَا فِي الإِنَاءِ قَالَ ‏”‏ أَهْرِقْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَإِنِّي لاَ أَرْوَى مِنْ نَفَسٍ وَاحِدٍ قَالَ ‏”‏ فَأَبِنِ الْقَدَحَ إِذًا عَنْ فِيكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ

‏ ‏আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, পানীয় দ্রব্যের মধ্যে ফুঁ দিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। একজন বলল, পানির পাত্রে ময়লা দেখতে পেলে? তিনি বলেনঃ তা ঢেলে ফেলে দাও। লোকটি বলল, আমি এক নিঃশ্বাসে তৃপ্ত হতে পারি না। তিনি বললেনঃ পাত্রটিকে নিঃশ্বাসের সময় তোমার মুখ হতে সরিয়ে রাখ। (তিরমিযী: ১৮৮৭)
অন্য একটি হাদীসে বলা হয়েছে:

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُتَنَفَّسَ فِي الإِنَاءِ أَوْ يُنْفَخَ فِيهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফুঁ দিতে বারণ করেছেন। (তিরমিযী: ১৮৮৮)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا شَرِبَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَتَنَفَّسْ فِي الإِنَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ

‏আবদুল্লাহ ইবনু আবী কাতাদা (রাহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি পান করার সময় যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ছাড়ে। (তিরমিযী: ১৮৮৯)
উপরোল্লিখিত হাদীসসমূহ জানা গেলো যে, গরম চা কিংবা পানীয় বা যে কোন খাবারে ফুঁ দিয়ে খাবার খাওয়া বৈধ নয়। সুতরাং যারা চা পান করতে অভ্যস্থ তাদের উচিত একটু ঠাণ্ড করে পান করা, ফুঁ দেওয়া হতে বিরত থাকা।
প্রশ্ন: অনেককে দেখা যায়, এক শ্বাসে পুরো গ্লাসের শেষ করে দেয়। অর্থাৎ এক চুমুকে পানি পান করার বিধান কি? রুস্তাম আলী, গানাম বাজার শোয়েখ, কুয়েত।
উত্তর: এক শ্বাসে পানি পান করতে আল্লাহর রাসূল (সা.) নিষেধ করেছেন। তিরমিযীর হাদীসের আসছে-

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ ‏ لاَ تَشْرَبُوا وَاحِدًا كَشُرْبِ الْبَعِيرِ وَلَكِنِ اشْرَبُوا مَثْنَى وَثُلاَثَ وَسَمُّوا إِذَا أَنْتُمْ شَرِبْتُمْ وَاحْمَدُوا إِذَا أَنْتُمْ رَفَعْتُمْ ‏”‏ ‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَيَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ الْجَزَرِيُّ هُوَ أَبُو فَرْوَةَ الرُّهَاوِيُّ ‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা এক চুমুকে উটের মত পানি পান করো না; বরং দুই-তিনবারে (শ্বাস নিয়ে) পান কর। তোমরা যখন পান করবে আল্লাহ তা’আলার নাম নিবে (বিসমিল্লাহ বলবে) এবং যখন পান শেষ করবে তখন আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করবে (আলহামদুলিল্লাহ বলবে)। (হাদীস: ১৮৮৫)

Related Post