আমাদের সমাজে কারো আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে হাউমাউ করে কেঁদে থাকেন। এটা শুধু আমাদের দেশ নয়, পৃথিবীর সকল দেশের সকল মানুষই তার আত্মীয়-স্বজনদের জন্য কেঁদে থাকেন। কেউ কেউ আবার তিন-চারদিন বা আরও বেশি দিন কেঁদে থাকেন। আবার অনেক সময় যখন মৃত ব্যক্তির কথা মনে হয়, তখনই কাঁদেন। কিন্তু এ বিষয়ে একটি হাদিসে এসেছে, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,‘(উহুদ যুদ্ধে) আমার পিতা (আব্দুল্লাহ) শহীদ হয়ে গেলে আমি তার মুখমন্ডল থেকে কাপড় সরিয়ে কাঁদতে লাগলাম। লোকেরা আমাকে নিষেধ করতে লাগল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (সা.) আমাকে নিষেধ করেন নি। আমার ফুফী ফাতিমা (রা.) ‘আনহাও কাঁদতে লাগলেন।
অন্য একটি হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, তুমি কাঁদ বা না-ই কাঁদ (উভয় সমান), তোমরা তাকে তুলে নেওয়া পর্যন্ত ফিরিশতাগণ তাদের ডানা দিয়ে ছায়া বিস্তার করে রেখেছেন”। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২৪৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৭১।)
আবু সালামা (রা.) বলেন, নবী (সা.) স্ত্রী আয়েশা (রা.) আমাকে বলেছেন, (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের খবর পেয়ে) আবু বকর (রা.) তাঁর বাড়ি থেকে ঘোড়ায় চড়ে চলে এলেন এবং নেমে মসজিদে প্রবেশ করলেন। সখানে লোকদের সাথে কোনো কথা না বলে আয়েশা (রা.) এর ঘরে প্রবেশ করে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর দিকে অগ্রসর হলেন। তখন তিনি একখানি ‘হিবারাহ’ ইয়ামানী চাদর দ্বারা আবৃত ছিলেন। আবু বকর (রা.) এর মুখমন্ডল উম্মুক্ত করে তার উপর ঝুকে পড়লেন এবং চুমু খেলেন, তারপর কাঁদতে লাগলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর নবী! আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আল্লাহ আপনার জন্য দুই মৃত্যু একত্রিত করবেন না। তবে যে মৃত্যু আপনার জন্য নির্ধারিত ছিল তা তো আপনি কবুল করেছেন”। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২৪১।