(দ্বিতীয় পর্ব)
শয়তান বান্দার সাথে আল্লাহর সাক্ষাতকেও মিথ্যা বলে তার অনুগত লোকদের নিয়ন্ত্রণ করছে। এমতাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় হাবীব (ছাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে প্রত্যাদেশ করলেন,
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلاً صَالِحاً وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَداً– ‘তুমি বল, আমি তোমাদেরই মত একজন মানুষ। আমার নিকটে অহী করা হয় যে, তোমাদের ইলাহ মাত্র একজন। অতএব যে ব্যক্তি তার প্রভুর সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’ (কাহাফ ১৮/১১০)।
আলোচ্য আয়াতের মধ্য দিয়ে আরও একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়েছে যে, একমাত্র আল্লাহকেই উপাস্য হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। শয়তানের প্ররোচনায় বহু মানুষ তাদের ইবাদতে আল্লাহর সঙ্গে অন্য কিছুকে শরীক করে থাকে। তাই দয়াশীল ও ক্ষমাশীল আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি তাঁর সাক্ষাতের আশা করে, সে যেন পার্থিব জীবনে ভাল কাজ করে, একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করে এবং উক্ত ইবাদতে কাউকে শরীক না করে। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, যারা ইবাদতের মধ্যে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য ব্যক্তি বা বস্ত্তকে প্রাধান্য দেয় তারা আল্লাহর সাক্ষাৎ পাবে না।পার্থিব জীবনে বিভিন্ন প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা প্রতিটি মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশে আছে। এরই মধ্য দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের প্রতিযোগিতায় জয়যুক্ত করে তাঁর সান্নিধ্যে তুলে নিবেন। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে শরীক করার মত অপরাধ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা কঠোর ভাষায় শরীক করতে নিষেধ করেছেন। তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের আশ্বস্ত করে বলেন, يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ إِنَّكَ كَادِحٌ إِلَى رَبِّكَ كَدْحاً فَمُلَاقِيهِ ‘হে মানুষ! তোমাকে তোমার পালনকর্তা পর্যন্ত পৌছতে কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতঃপর তার সাক্ষাৎ ঘটবে’ (ইনশিক্বাক ৮৪/৬)।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
أَلا إِنَّ لِلّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ أَلاَ إِنَّ وَعْدَ اللهِ حَقٌّ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ، هُوَ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ، يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاء لِّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ–
‘মনে রেখ, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর। মনে রেখ, আল্লাহর ওয়াদা সত্য। কিন্তু তাদের অধিকাংশ তা জানে না। তিনিই জীবন ও মৃত্যু দান করেন এবং তাঁর কাছেই তোমরা ফিরে যাবে। হে মানব জাতি! তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হ’তে এসে গেছে উপদেশবাণী (কুরআন) এবং অন্তরের রোগসমূহের নিরাময়কারী এবং বিশ্বাসীদের জন্য পথ প্রদর্শক ও রহমত’ (ইউনুস ১০/৫৫-৫৭)।
যারা আল্লাহতে বিশ্বাসী তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাতেও দৃঢ় বিশ্বাসী। এই কারণে ঈমানদার বান্দারা ইহজগতে যথাসাধ্য সৎকাজ করে। মহান আল্লাহ বলেন,وَاسْتَعِيْنُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ وَإِنَّهَا لَكَبِيْرَةٌ إِلاَّ عَلَى الْخَاشِعِيْنَ، الَّذِيْنَ يَظُنُّوْنَ أَنَّهُم مُّلاَقُوْا رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ– ‘তোমরা আল্লাহর সাহায্য কামনা কর ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে। আর তা অবশ্যই কঠিন কাজ, তবে বিনীত বান্দাগণ ব্যতীত’। যারা দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করে যে, তারা তাদের প্রভুর সাথে মুলাক্বাত (সাক্ষাৎ) করবে এবং তারা তাঁর কাছেই ফিরে যাবে’ (বাক্বারাহ ২/৪৫-৪৬)।
মুমিন বান্দাগণ অকৃত্রিম বিশ্বাস ও শিরকমুক্তভাবে খালেছ অন্তরে সৎ আমল সম্পাদন করে এবং সর্বোপরি আল্লাহভীতির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সদা সচেষ্ট থাকে। মহান আল্লাহ বলেন,
إِنَّ الَّذِيْنَ هُم مِّنْ خَشْيَةِ رَبِّهِم مُّشْفِقُوْنَ، وَالَّذِيْنَ هُم بِآيَاتِ رَبِّهِمْ يُؤْمِنُوْنَ، وَالَّذِيْنَ هُم بِرَبِّهِمْ لَا يُشْرِكُوْنَ، وَالَّذِيْنَ يُؤْتُوْنَ مَا آتَوْا وَّقُلُوْبُهُمْ وَجِلَةٌ أَنَّهُمْ إِلَى رَبِّهِمْ رَاجِعُوْنَ، أُوْلَئِكَ يُسَارِعُوْنَ فِي الْخَيْرَاتِ وَهُمْ لَهَا سَابِقُوْنَ–
‘নিশ্চয়ই যারা তাদের পালনর্তার ভয়ে সন্ত্রস্ত। যারা তাদের পালনকর্তার আয়াত সমূহে বিশ্বাস স্থাপন করে। যারা তাদের প্রতিপালকের সাথে কাউকে শরীক করে না। আর যারা তাদেরকে যা দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে (আল্লাহর পথে) দান করে এজন্য যে, তারা তাদের প্রতিপালকের কাছে ফিরে যাবে। এরাই দ্রুত কল্যাণ কাজে ধাবিত হয় এবং তারা তার প্রতি অগ্রগামী হয়’ (মুমিনূন ২৩/৫৭-৬১)।
অন্য আয়াতে তিনি বলেন, رَفِيْعُ الدَّرَجَاتِ ذُو الْعَرْشِ يُلْقِي الرُّوْحَ مِنْ أَمْرِهِ عَلَى مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ لِيُنذِرَ يَوْمَ التَّلَاقِ ‘তিনিই সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের মালিক, তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা তত্ত্বপূর্ণ বিষয়াদি নাযিল করেন, যাতে সে সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে’ (মুমিন ৪০/১৫)।
আল্লাহ তাঁর সাক্ষাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণকেও অহী প্রেরণ করেছেন। তিনি বলেন,
ثُمَّ آتَيْنَا مُوْسَى الْكِتَابَ تَمَاماً عَلَى الَّذِيْ أَحْسَنَ وَتَفْصِيْلاً لِّكُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَّرَحْمَةً لَّعَلَّهُم بِلِقَاءِ رَبِّهِمْ يُؤْمِنُوْنَ ‘অতঃপর (ইতিপূর্বে) আমরা মূসাকে দিয়েছিলাম কিতাব (তাওরাত), যা ছিল সৎকর্মশীলদের জন্য পূর্ণাঙ্গ এবং সকল বস্ত্তর বিশদ ব্যাখ্যা, পথনির্দেশ ও অনুগ্রহ স্বরূপ। যাতে তারা তাদের প্রভুর সাথে সাক্ষাতে বিশ্বাসী হয়’ (আন‘আম ৬/১৫৪)।
উল্লেখ্য, নবী-রাসূলগণের মধ্য হ’তে মূসা (আঃ)-এর সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন। তাই এক সময় মূসা (আঃ) আল্লাহ তা‘আলার সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমি মূসাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ত্রিশ রাত্রির এবং সেগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। আর মূসা তাঁর ভাই হারূণকে বলল, আমার সম্প্রদায়ে তুমি আমার প্রতিনিধি হিসাবে থাক। তাদের সংশোধন করতে থাক এবং হাঙ্গামা সৃষ্টিকারীদের পথে চলো না। অতঃপর মূসা আমার প্রতিশ্রুত সময় অনুযায়ী এসে হাযির হ’লে তার সাথে তাঁর পরওয়ারদেগার কথা বললেন। তখন সে বলল, হে আমার প্রভু! আপনার দীদার (সাক্ষাৎ) আমাকে দিন, যেন আমি আপনাকে দেখতে পাই। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কস্মিনকালেও দেখতে পাবে না। তবে তুমি পাহাড়ের দিকে দেখতে থাক, সেটি যদি স্বস্থানে দাঁড়িয়ে থাকে, তবে তুমিও আমাকে দেখতে পাবে। তারপর যখন তাঁর পরওয়ারদেগার পাহাড়ের উপর আপন জ্যোতির বিকিরণ ঘটালেন, সেটিকে বিধ্বস্ত করে দিলেন এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। অতঃপর যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে এল, বলল, হে রব! আপনার সত্তা পবিত্র, আপনার দরবারে আমি তওবা করছি এবং আমি সর্বপ্রথম বিশ্বাস করছি। পরওয়ারদেগার বললেন, وَكَتَبْنَا لَهُ فِي الأَلْوَاحِ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ مَّوْعِظَةً وَتَفْصِيْلاً لِّكُلِّ شَيْءٍ فَخُذْهَا بِقُوَّةٍ وَأْمُرْ قَوْمَكَ يَأْخُذُواْ بِأَحْسَنِهَا سَأُرِيْكُمْ دَارَ الْفَاسِقِيْنَ ‘আর আমরা তার জন্য ফলক সমূহে (তাওরাতের পৃষ্ঠা সমূহে) লিখে দিয়েছিলাম সকল বিষয়ে উপদেশ ও (হালাল-হারামের) সর্ববিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা। অতএব তুমি তা দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং তোমার সম্প্রদায়কে উক্ত কল্যাণময় বিধানসমূহ মেনে চলতে আদেশ কর। আর সত্বর আমি তোমাদেরকে অবাধ্যদের ঠিকানা (পরিণতি) দেখাব’ (আ‘রাফ ৭/১৪৫)
মানুষের মৃত্যুর পরই পরকাল শুরু হয়ে যায়। পবিত্র কুরআনের বর্ণনা হ’তে আমরা জেনেছি, কিয়ামত হ’ল পৃথিবী ধ্বংসের দিন, ইহকালের শেষ দিন, শান্তি বা শাস্তির দিন যা মানুষের অজান্তে হঠাৎ আগমন করে। কিয়ামত কখন হবে তা কোন মানুষেরই জানা নেই। তবে এটা একটা কঠিন ধ্বংসরূপ বা কল্পনাতীত ভয়াবহ রূপ তাতে কোন সন্দেহ নেই। সেদিনের কর্মসূচী প্রধানত পরাক্রমশালী আল্লাহর মহাজ্ঞানে পরিচালিত হবে।
মহান আল্লাহ বলেন, فَإِذَا نُقِرَ فِي النَّاقُوْرِ، فَذَلِكَ يَوْمَئِذٍ يَوْمٌ عَسِيرٌ، عَلَى الْكَافِرِيْنَ غَيْرُ يَسِيْرٍ– ‘যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে; সেদিন হবে কঠিন দিন। কাফেরদের জন্য এটা সহজ নয়’ (মুদদাচ্ছির ৭৪/৮-১০)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
وَنُفِخَ فِي الصُّوْرِ فَصَعِقَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ إِلَّا مَنْ شَاءَ اللهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيْهِ أُخْرَى فَإِذَا هُم قِيَامٌ يَنظُرُوْنَ، وَأَشْرَقَتِ الْأَرْضُ بِنُوْرِ رَبِّهَا وَوُضِعَ الْكِتَابُ وَجِيءَ بِالنَّبِيِّيْنَ وَالشُّهَدَاء وَقُضِيَ بَيْنَهُم بِالْحَقِّ وَهُمْ لَا يُظْلَمُوْنَ، وَوُفِّيَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَا يَفْعَلُوْنَ
‘শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, ফলে আসমান ও যমীনে যারা আছে সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন। অতঃপর আবার শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা দন্ডায়মান হয়ে দেখতে থাকবে। পৃথিবী তার পালনকর্তার নূরে উদ্ভাসিত হবে, আমলনামা স্থাপন করা হবে, পয়গাম্বরগণ ও সাক্ষীগণকে আনা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায় বিচার করা হবে, তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না। প্রত্যেকে যা করেছে, তার পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে। তারা যা কিছু করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবগত’ (যুমার ৩৯/৬৮-৭০)।
সেদিন সব মানুষ বাধ্যতামূলকভাবেই আল্লাহর দরবারে (সামনে) হাযির হবে। মহান আল্লাহ বলেন, وَإِن كُلٌّ لَّمَّا جَمِيْعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُوْنَ ‘ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হ’তেই হবে’ (ইয়াসীন ৩৬/৩২)। প্রায় একই মর্মার্থে অন্যত্র আল্লাহ বলেন, إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيْعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُوْنَ، فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئاً وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ– ‘এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহূর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে। আজকের দিনে কারও প্রতি যুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করেছে কেবল তারই প্রতিদান পাবে’ (ইয়াসীন ৩৬/৫৩-৫৪)। সেদিন নিজ নিজ সঞ্চিত কর্মফল ও আমলনামা অনুযায়ীই মানুষ আল্লাহর নিকট হ’তে প্রতিদান পাবে। তবে কখনও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কথোপোকথনের বিষয় পরিবর্তন হবে না। মহান আল্লাহ বলেন, يَوْمَ يَدْعُوْكُمْ فَتَسْتَجِيبُوْنَ بِحَمْدِهِ وَتَظُنُّوْنَ إِن لَّبِثْتُمْ إِلاَّ قَلِيْلاً ‘যেদিন তিনি তোমাদেরকে আহবান করবেন। অতঃপর তোমরা (পুনর্জন্মের খুশীতে) প্রশংসচিত্তে তাঁর ডাকে সাড়া দিবে এবং ভাববে যে, স্বল্প সময়ই কবরে অবস্থান করেছিলে’ (বনী ইসরাঈল ১৭/৫২)।