পৃথিবীর সব অসত্যের মোকাবেলায় একমাত্র আল-কোরআনই শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ। আল-কোরআন ছাড়া বিশ্ব অচল। এ কোরআন অন্যান্য ধর্মের প্রতি একটি ওপেন চ্যালেঞ্জ। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন, ‘তোমরা যদি এই কোরআন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সন্দেহে থাক, যা আমি আমার বান্দা (মুহাম্মদ সা.)-এর প্রতি নাজিল করেছি, তবে তোমরা এর মত কোনো একটা সুরা রচনা করে নিয়ে আসো, আর সত্যবাদী হলে তোমরা আল্লাহ ছাড়া নিজেদের সাহার্য্যকারীদের ডেকে নাও।’ (সুরা বাকারা-২৩) তারা পারে নাই, পারবেও না। এর ভেতরের একটা সূরাও না, এবং কোনো প্রকার বিকৃতি সাধনও না। পৃথিবীতে যতো ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত হোক না কেন সব কিছুর অগ্রিম মোকাবেলা আজ থেকে ১৪শ’ পূর্বে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোরআনে বলে দেয়া হয়েছে। আজকের আধুনিক বিশ্বের দিকে দৃষ্টি ফেরালে যে উন্নতি অগ্রগতি দেখা যায় তার পেছনে আল-কোরআনের অবদান কোনো অংশে কম নয়। কোরআনকে বাদ দিয়ে যেমন কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর উন্নতি সাধন সম্ভব হয়নি তেমনি কোরআনের বিপক্ষে গিয়েও কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর অস্তিত্বও টিকে থাকেনি। ইতিহাস তার জলন্ত সাক্ষী। কোরান নিজেই বলেছে, ‘ইহা এমন একটি কিতাব যার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। মুত্তাকিদের জন্য পথপ্রদর্শক।’
ইসলামের দুশমনরা যদি কোরআনের বিকৃতি সাধনের অপচেষ্টা চালায় তবে তা এক সুতা পরিমাণও সম্ভব হবে না, কারণ আল্লাহ নিজেই এ কোরআনের দায়িত্ব-ভার নিয়েছেন। এই কোরআন যতোদিন পৃথিবীতে থাকবে ততদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে না, কেয়ামত সংঘটিত হবে না। আসবে না অনাকাক্সিক্ষত কোনো মহাপ্রলয়।
কেয়ামতের আগে কোরআনের পৃষ্ঠা থেকে তার সোনালী হরফগুলো আসমানে তুলে নেয়া হবে। মৃত্যুর মাধ্যমে কোরআনের আহালদের হৃদয় থেকে কোরাআনের হরফ নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে। কেয়ামতের আগে দুনিয়াতে কোনো সৎ লোক রাখা হবে না।
ইরশাদ হচ্ছে ‘বস্তুত এ উপদেশ বাণী (কোরআন) আমিই নাজিল করেছি এবং আমিই এর রক্ষক।’ (সুরা হিজ্র-৯)-এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যারা এর বিরুদ্ধে আসবে দুনিয়াতে তাদের শাস্তি হবে অন্যদের জন্য শিক্ষা নেয়ার মতো আর পরকাল হবে অত্যন্ত কঠিন ভয়ঙ্কর। কিন্তু দুখের বিষয় আর কোরআনের আহাল্লরা পৃথিবীতে নির্যাতিত-নিগৃহীত, লাঞ্ছিত-অপমাণিত। জীবনের সব ভরসা দিয়ে যারা কোরআনকে বিশ্বাস করে, সীনায় ধারণ করে তার নূরানী হরফগুলো। আজ তারা সুখে নেই। আবু লাহাব, আবুজেহেল, উতবাহ, সাইবার প্রেতাত্মারা এখনও হানা দেয় ঈমানদার মানুষের জীবনঘরে। তারা মুসলিম জাতির বিপক্ষে অপবাদ-অপপ্রচারের বোমা ফাটিয়ে জগতের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নমাত্রায় প্রবাহিত করে। দাগ বসিয়ে দেয় দীনের নিশানায় কালিমা খচিত শুভ্রআস্তিনে। এরপরও ইসলাম পরাজিত হয়নি পৃথিবীতে। কোরআন হারিয়ে যায়নি আজ অবদি।
কাজেই যারা কোরআনের সাথে লেগে থাকবে নিজেরদের জানমাল আর সময় দিয়ে। তারাই হবে বিজয়ী। কারণ কোরআন বলে দিয়েছে, ‘তোমরা ভিতসন্ত্রস্ত হয়ো না, মনোবল হারিওনা, বিজয় তোমাদেরই হবে যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।’ আর অন্যত্র বলেছেন, ‘নিশ্চই আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত ধর্ম হলো ইসলাম।’ সুতরাং এই কোরআনের বদৌলতে তিনিই আমাদের বিজয় দান করবেন।