পূর্বে পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি সদ্য বিবাহিত ছেলে-মেয়েদের জন্য অমূল্য উপদেশ নিয়ে আলোচনা ছিলো। এই সংখ্যায় আমরা বিয়ের সময় আমাদের দেশে বর পক্ষ কণের বাবার নিকট থেকে পণ বা যৌতুক দাবী করে থাকে, সেই বিষয় আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ।
এই তো গেল কনে ও মনের কথা; কিন্তু আসল ও পণের কথাটা তো বাকীই থেকে গেছে, যা বর্তমান বিয়ের মূল স্তম্ভ। বউ কেমন হবে না হবে, তার দ্বীন ও চরিত্র কেমন সে তো গৌণ বিষয়, মুখ্য বিষয় হলো ‘কত কি দিতে পারবে?’ তাই তো নতুন জামাই শ্বশুর বাড়ি গেলে ‘জামাইটা কার?’ প্রশ্নে উত্তরে একই কথা বলা হয় ‘জামাইটা টাকার!’
পণ? পণ এক আশ্চর্য যাদু! পণের ‘সোনার কাঠি’ ও যৌতুকের ‘রূপার কাঠি’ দ্বারা মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে ইচ্ছাসুখ পেতে পারে।
পণ; জাহান্নামকে জান্নাত এবং জান্নাতকে জাহান্নাম বানাতে পারে!
পণ; নারীর অবমাননা, নারীর মর্যাদার কুঠারাঘাত,তার মর্যাদার হরণ।
পণ; যুবজীবনের অভিশাপ, অশান্তির বিষাক্ত দাবানল।
পণ; স্ত্রীর নিকট ব্যক্তিত্ব বিক্রয়ের মূল্য।
পণ; ইসলামী বিধানের নির্লজ্জ বিরুদ্ধাচরণ।
পণ; অর্থ লোলুপতা, শোষণ ও পীড়ন।
পণ; এক প্রকার ঘুষ, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও গ্রহীত উভয়কেই অভিশাপ করেছেন।
পণ; অসৎ উপায়ে অন্যের অর্থ আত্মসাৎ। আর আল্লাহ বলেন; তোমরা অন্যায়ভাবে একে অন্যের সম্পদ গ্রাস করো না এবং জেনে-শুনে লোকদের ধন-সম্পদের কিয়দাংশ অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারকগণকে উৎকোচ দিওনা। (সূরা বাকারা: ১৮৮)
বরপণের মাল হারাম মাল। কন্যা পক্ষের কথায় ‘হারামের মাল হারামে যাক।’ কারণ, সাধারণত তা হয়, পূর্ব থেকেই ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ (সুদী ব্যাংকে) করা সুদের অর্থ অথবা চুরি বা হরফ করা ভিক্ষা করা যাকাতের টাকা পণে দেওয়া হালাল টাকা খুব কমই হয়। অনেকে হালাল টাকা দিতে বাধ্য হলেও তা পণের নর্দমায় পড়ে হারামে পরিণত হয়।
কিন্তু এই সর্বনাশী বিষজীবাণু এল কোত্থেকে? অর্ধাঙ্গিনী পেতে গেলে তো অর্থ প্রদান করতে হয়, যেমন বহু মুসলিম দেশে আজও প্রচলিত। কিন্তু এ সমাজে এর প্রাদুর্ভাবের কারণ কি? এর কারণ কি বিজাতির অনুকরণ নয়? পণপ্রথার কারণ, মুসলিমের দ্বীন থেকে ঔদাসিন্য, নারী প্রগতির নামে বেলেল্লাপনা ও পর্দাহীনতা। পারা খসে পড়লে আয়নার এবং ছিলা থাকলে কলার মূল্য ও কদর অবশ্যই থাকে না।
পাত্রীপক্ষের উচ্চ আশা; ঘুষ, হাদিয়া, বখশিশ বা পারিতোষিক দিয়েও বড় ঘর ঢোকা। উচ্চ শিক্ষিত সরকারী চাকুরী-জীবী পাত্রের জন্য কন্যাসহ লাখ টাকার নিলাম ডাক! কিছু না নিয়ে বিয়ে করতে বা বিয়ে দিতে চাইলে পাত্রীপক্ষ ভাবে, পাত্রের নিশ্চয় কোন ‘খুত-টুত’ আছে। একথা কানে এলে সদিচ্ছা নিমেষে মোটা পণে পরিণত হয়।
পণ না নিয়ে থাকলে সামান্য কলহ-দ্বন্দ্বের ফলে পাত্রীপক্ষ সন্ধির বদলে সহজে তালাক খোলা) নিতে প্রস্তুত হয়। তালাক হলে দ্বিতীয় বিয়েতে মোটা টাকার পণ নেওয়ার এরাদা পাক্কা হয়েই থাকে।
মেয়েকে বঞ্চিতা করে ছেলে নামে জমি-ভিটে ইত্যাদি রেজিস্ট্রি করে দেওয়াও পণ প্রথার এক কারণ। তবে এই ভাবে বঞ্চিতা করার এক কারণও পণ-প্রথা। যেহেতু মেয়ের বিয়ের সময় পণ ও যৌতুকের জন্য ২/৩ বিঘা জমি বিক্রি করে অথবা না করে সর্বমোট প্রায় ৪/৫ জমির মূল্য যদি ব্যয় হয়ে থাকে, তবে তার আর অন্যান্য অংশীদাররা কেন বাকী জমির ভাগ ঐ মেয়েকে দেবে? যদিও এরূপ বুঝা ও আচরণ আল্লাহর ভাগ-বণ্টন আইনে অবৈধ হস্তক্ষেপ।
সমাজে বিশেষ করে বিবাহ-শাদীতে উপহার উপঢৌকন দেওয়া-নেওয়ার প্রথা ও লৌকিকতার রেওয়াজ বড়। উপহারে প্রেম ও ভালোবাস বর্ধিত হয়। নববধূর মন যেমন এই শুভ মুহূর্তে নতুন মানুষদের নিকট থেকে উপহার রূপে কিছু পেতে আকাঙ্খী হয়, তেমনি হয় নবজামাতার মন। কিন্তু অনেকক্ষেত্রে অনুভূতিহীন পাত্রীপক্ষের জবাব থাকে ‘চায় না তো কি দেবো? চাক তবে দেবো।’ ফলে সেই আকঙ্খিত লৌকিকতার সামান্য উপহারটুকু ‘চাওয়ার’ ছাঁচে পড়ে ভবিষ্যতে অসামান্য পণরূপে প্রকাশ পায়।
আবার পাড়ার ‘শাঁকচুন্নী’দের কথায় নিজেদের সম্ভ্রম রাখতে গিয়ে অনেক বরের মা দেখাদেখি পণ চেয়ে বসে। টাকা , জমি, গয়না, টিভি, গাড়ি না দিলেও জামাই-বেটিকে সাদিয়ে দিতে বলে!
এই বরপণ দিতে না পারলে শ্বশুর বাড়িতে কন্যার ভাগ্যে জোটে অকথ্য নির্যাতন, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা. ভর্ৎসনা। স্বামী বাতার বাড়ির লোকদের পাশবিক অত্যাচার, অনাদর, অবহেলা। কমপক্ষে হতে হয় স্বামীর সোহাগহারা। পরিশেষে বিবাহ বিচ্ছেদ, নচেৎ বধূর আত্মহত্যা অথবা লোভী পাষণ্ডদের পরিকল্পিত বধূহত্যা।
এই ভয়েই নারীর দুশমন। মাতৃজঠদের কন্যা-ভ্রূণ হত্যা করা হয়। জন্মের পরেও কন্যা হত্যা করা হয়। পরপর কন্যা জন্মালে স্বামী ও তার পরিবারের লোক বধূর প্রতি বেজার হয়ে যায়। এদের অবস্থা হয় সেই জাহেলী যুগের মানুষদের মত; যাদের কাউকেও যখন কন্যা সন্তাদের সুসংবাদ দেওয়া হয়। তখন মুখমণ্ডল কালো হয়ে যায় এবং অসহনীয় মনস্তাপে ক্লিষ্ট হয়। ওকে যে সংবাদ দেওয়া হয় তার গ্লানী-হেতু সে নিজ সম্প্রদায় হতে আত্মগোপন করে। (সে চিন্তা করে) অপমান সহ্য করে ওকে রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে! সাবধান! ওরা যা সিদ্ধান্ত করে তা অতি নিকৃষ্ট।” (কুরআন : ১৬/৫৮-৫৯)
এই পণের কারণে স্বামীর বাগ্যে মনমত স্ত্রী জোটে না। স্ত্রীর নির্মল প্রেম ও শ্রদ্ধা থেকে বঞ্চিত হয়। ‘তীর বিধা পাখী’ কখনও কি গান গাইতে পারে? নিজ পিতাকে যে পথে বসিয়েছে তাকে সুখ-সিংহাসনে কোন চোখে দেখবে? এর ফলে স্বামী স্ত্রীর দেহের স্পর্শ পায়, কিন্তু মনের নাগাল পায় না। কজি পায় কিন্তু খেদমত পায় না। যেমন শ্বশুর বাড়িতেহ হয় মানহারা ওজনহীন।
আর পাত্রী পক্ষের কথা? কত মেয়ের বাপ এই পণ-বন্যায় হচ্ছে ধ্বংস, পথের ভিখারী। পণের অভিশাপে নেমে আসা দারিদ্র ও সহায়-সম্বলহীনতা তাকে ঠেলে দিচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তির পথে। বার বা তার বর্বর বাপ নিজের বিলাস-উদ্যান গড়তে উজাড় করে দিচ্ছে কনের বাপের ক্ষুদ্র নীড় খানিকে।
এতে কি ঐ লোভাতুর সংসারে শান্তির কিরণ থাকে? নেমে আসে নিরন্তর অশান্তি ও কলহের ছায়া।
এই সর্বগ্রাসী যৌতুক প্রথার ভয়ানক আক্রমণের ফলে সমাজে কত বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। পণ দিকে না পারায় বিয়ে না হলে অথবা বিলম্ব হলে বেড়ে চলে অবৈধ প্রণয়, ব্যভিচার, বেশ্যাবৃত্তি। পণ আনে অন্যান্য পাপ। গান বাজনার কথা বলতে গেলে পণের প্রতি ইঙ্গিত করে বলে, ‘গান-বাজনা হারাম, আর পণ নেওয়া হারাম নয়? গান-বাজনা হলে বিয়েতে থাকবে না আর পণ নেওয়া বিয়েতে কি করে অংশগ্রহণ করেছ?’
পণপ্রথার মহামারীর কারণেই নারীর শিক্ষার গুরুত্ব গেছে কমে। কারণ বিয়ের সময় টাকাই যখন লাগবেতখন আবার শিক্ষা-দীক্ষা, আদব দানে কি লাভ? মেয়ের চরিত্র ও ধর্মের দিকটা খেয়াল করার প্রয়োজন কি? বরং টাকার অভাবেই কত শিক্ষিতার বিবাহ হচ্ছে অধম নিরক্ষরের সাথে।
পণ থেকে বাঁচার জন্য অভিভাবক মেয়েকে করছে মেহনতী, স্বনির্ভরশীলা, ঠেলে দিচ্ছে পর্দাহীনতার পথে। নারী পুরুষের অবাধ মেলা-মেশার চাকুরী ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যভিচারের পথে। ঘরে-বাইরে তাকে সুযোগ দিচ্ছে অবৈধ প্রণয়ের, ভাবছে, ঘটে তো ঘটে যাক, পটে তো পটে যাক।’ কারণ নিজেই স্বামী গ্রহণ করে নিতে পারলে তাদের রেহাই! কিন্তু ফল তাতে বিপরীত হয়ে কেবলমাত্র দুর্নাম এবং শ্বশুরবাড়িতে অকথ্য নির্যাতন ও দুঃখ তার সাথী হয়। আর সর্বশেষে পণ বা যৌতুক দিতে না পারলে বিচ্ছেদ ছাড়া আর কি?
পণ চাই। নগদ চাই। ধারের কারবার নাই। এত খরচ, এত কিছুর পর বিয়ে ঘুরে যাবে। বর উঠে যাবে বিয়ের মজলিস থেকে, যদি কিছু টাকা বাকী থেকে যায় আকদের সময়! এই দৃষ্টতার ফলে কনে ও তার বাপ-মায়ের মাথায় কত বড় বজ্রাঘাত যে হয় তা অনুমেয়। কিন্তু সে আঘাত সমাজের মুখে কেবল ‘আহা’ হয়েই থেকে যায়। কনের আত্মহত্যার খবর শুনেও মনে আতঙ্ক আসে না। নিস্তেজ জড় সমাজের আভ্যন্তরে কোন চেতনা, কোন অনুভূতি, কোন আন্দোলন আনতে পারে না। এর কারণ অনেকটা এই যে, এই আঘাত যে খায়, সেই এর জবাবে আরো বড় আঘাত দেয়। সুতরাং মার খেয়ে ও মার দিয়ে সমাজের অবস্থা হয়েছে মার-প্রতিযোগিতার মারমুখী কুস্তীগীরদের মতো। তাই শক্ত মাশুলে তা কোন আসরই করে না। কিন্তু এই মারে মারা পড়ে তারাই, যারা কস্তীগীর নয়। অর্থাৎ যারা কেবলমাত্র কন্যার পিতা অথবা যার কন্যার সংখ্যা বেশি।
অনেক ক্ষেত্রে পণ নেওয়ার মত পাপের দায়িত্ব বর অথবা বরের বাপ স্বীকার করতে ইতস্ততঃ করে। একটু দ্বীনদরদী যুবক হলে পণ চায় না, কিন্তু মা-বাপ চায়। সে যদি তাদের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে মা-বাপের নাকি নাফরমান হয়ে যায়! কারণ, ‘মা-বাপ নারাজ হলে আল্লাহ নারাজ!’ তাদেরকে নারাজ না করতে মাতৃ-পিতৃভক্তির পরিচয় দেয় এবং ¯্রষ্টার অবাধ্য ও সৃষ্টির বাধ্য হয়ে পরের গলায় ছুরি চালায়। পক্ষান্তরে অন্যান্য ক্ষেত্রে মা-বাপের কথায় কোন আমলই দেয় না।
আবার মা-বাপকে বললে বলে, ‘ছেলে মানে না, নিতে চায়।’ কিন্তু এই বলে তারা ছেলের কাছে অসহায়তা ও পিতা-মাতা হবার অযোগ্যতার প্রমাণ দেয়। প্রকৃতপক্ষে এসব কিছুই লুটেরাদের একটা পরিকল্পিত ছলনা মাত্র। পরের টাকা আত্মসাৎ করে সমাজের চোখ থেকে আত্মগোপন করার এক অপকৌশল।
অনেকে এ বড় অঙ্কের অর্থকে ‘পণ’ বলে নিতে লজ্জাবোধ করে। তাই ঋণ, সাহায্য বা ব্যবাসার পুঁজি ইত্যাদি নাম দিয়ে সমাজের চোখে ধুলো দিতে চায়। কিন্তু আল্লাহর কাছে তো আর ফাঁকি দেওয়া যায় না।
চিরসাথী, সয্যাসঙ্গিনী ও অর্ধাঙ্গিনীকে টোপ বানিয়ে তাকে নানারূপ যন্ত্রণা দিয়ে অর্থ শিকারের বুদ্ধি, একটি নারীকে পণবন্দিনী করে সন্ত্রাসীর মত তার বাপের নিকট মুক্তিপণ চাওয়ার কৌশল, নিরীহ নারীকে জুয়ার গুটি করে অর্থ লুটার ধান্দা, নির্লজ্জ, বেহায় বিখারীর মত অন্যের নিকট হাত পেতে অর্থ আদায়ের মত ধৃষ্টতা কি কোন মুসলিম, কোন মানুষের হতে পারে?
শীতের শাল চাই, ঈদের সেলামী চাই, মেলা দেখতে হাত খরচ চাই, বর্ষায় জামাই ও তার চৌদ্দগোষ্ঠীর জন্য গামছা চাই, সাতশ পরিবারে বিতরণযোগ্য আম-কাঁঠাল চাই, এ চাই, ও চাই। কোন্ অধিকারে এত চাই চাই? শুধু এ জন্য নয় কি যে, বিয়াই-বাড়ির মসজিদের ইমামগণ পণ নেওয়া বরের বিয়ে না পড়ালে কিছুটা কাজ হতে পারে। তবে এর পরিণাম শুভ নয়। এতেও ভোট হবে, সেই ভোটে জিতে আসা কঠিন। কারণ, বর্তমানে সমাজের মানুষ ইমামদের উপদেশ অনুযায়ী চলে খুব কম, পরন্তু ইমামদেরকেই সমাজের নির্দেশ ও আদেশানুসারে বেশিরভাগই চলতে হয়! তা ছাড়া বিয়ে পড়াবার জন্য আরো কত নিম-মোল্লা বর্তমান।
সুতরাং দ্বীন, দ্বীনদার ও আলেম-ইমামদের যে সমাজে কোন মূল্যায়ন নেই, সে সমাজের ভ্রষ্টতার জন্য কেবল আলেম-ইমামদেরকে দায়ী করা ন্যায় বিচার হবে না।
এক বড় আশা আছে ভাবী প্রজন্ম কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীর উপর। এদের মধ্যে যদি দ্বীনী চেতনা ফিরিয়ে আনতে পারা যায় তবে এরা, এই নবীন নওজোয়ানের দলই পারবে সমাজের এই দুর্গতির পথ অবরোধ করতে। মহান আল্লাহ বলেন; (‘হে মানুষ! ) তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আর নিঃসন্দেহে জেনে রেখ যে, আল্লাহর আযাব বড় কঠিন। (সূরা বাকারা: ১৯৬)
অতএব হে যুবক বন্ধ! পণ দেখে নয় বরং দ্বীন ও মন দেখে বিয়ের কথা পাকাপাকি করে ফেল। হ্যাঁ, তবে শুভ কাজে দেরী করো না। আর তোমার এই শুভসন্ধিক্ষণে অশুভকে মোটেও স্থান দিও না। তবেই পাবে সেই সঙ্গিনী যে হবে,
পতিপ্রাণা সতী অনুরাগমতি স্বর্গসুষমা-সিক্তা
প্রীতি-বন্ধনে আসিবে তোমার আপনারে করি রিক্তা।
হে আল্লাহ! তুমি যুবসমাজকে এই পণপ্রথা প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার তাওফীক দান কর। আমীন