Main Menu

বাংলাদেশীগণ আরাফার রোযা কোন দিন রাখবেন?

বাংলাদেশীগণ আরাফার রোযা কোন দিন রাখবেন?

বাংলাদেশীগণ আরাফার রোযা কোন দিন রাখবেন?

رَوَى مُسْلِمٌ عَنْ أَبِيْ قَتَادَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ، أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنةَ الَّتِي قَبْلَهُ. وَالسَّنةَ الَّتِي بَعْدَهُ

ইমাম মুসলিম (রহ.) সাহাবি আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন: যে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে আরাফাহ দিবসের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন: আমি আশাবাদি ‘বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফ্ফারা হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।’(মুসলিম)

উপরোল্লিখিত মুসলিম শরীফের হাদীস হতে পরিস্কার বুঝাগেলো যে, যেদিন হাজীগণ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন, সেই দিনই যারা হজ্জ করতে যাননি, তারা রোযা রাখবেন।

এই হাদীসের আলোকে বলা যায়, মক্কায় যেদিন হাজী সাহেবগণ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে থাকেন, সেদিনই সারা বিশ্বের লোক রোযা পালন করবেন।

 এখানে উলামাদের আরো একটি ভিন্ন মত পাওয়া যায়, তাহলো: বাংলাদেশে যেহেতু একদিন পর চাঁদ দেখা যায়, তাই তারা আরাফার রোযা রাখবে বাংলাদেশের ৯ তারিখ হিসেবে। তারা যুক্তি দেখান যে,যিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখকে বলা হয়, ইওয়ামুত তারবিয়া, ৯ তারিখকে বলা হয় ইয়াওমুল আরাফা, ১০ তারিখকে বলা হয় ইয়াওমুন নাহার, আর ১১, ১২, ১৩ তারিখকে বলা হয় আইয়্যামুত তাশরীক। সুতরাং বাংলাদেশে যেদিন ৯ তারিখ, সেই দিন আরাফার দিন। তাই বাংলাদেশে অবস্থানকারীগণ যিলহজ্জের ৯ তারিখে আরাফার রোযা রাখবেন।

সমাধান: যেহেতু উভয় পক্ষই তাদের গবেষণা থেকে কথাগুলো বলেছেন, তাই বাংলাদেশে অবস্থানকারীগণ সৌদী আরবের সাথে মিল করে আরাফার দিন রোযা রাখবেন, এবং বাংলাদেশে থাকার কারণে তারা বাংলাদেশের ৯ তারিখ অনুসরণ করে আরো একটি রোযা রাখবেন। তাহলে আর আরাফার রোযার ফযীলত থেকে বঞ্চিত হবেন না। কেননা ‍যিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফযীলত অপরিসীম। আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিনে নেক আমল করার মত প্রিয় আল্লাহর নিকট আর কোন আমল নেই। (বুখারী)

সুতরাং বিতর্ক সৃষ্টি না করে বাংলাদেশে অবস্থানকারীগণ দুটি রোযা রাখলেই মহা সাওয়াবের অধিকারী হবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিকভাবে সহীহ আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন

Related Post