বৃদ্ধাশ্রম আমাদের দেশে এখন নতুন কোনো ধারণা নয়। প্রায় এক দশক আগে এ দেশে বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠতে শুরু করে মূলত সমাজসেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে। কিন্তু ধীরে ধীরে এটা ব্যবসায়িক রূপ লাভ করে। বর্তমানে ঢাকা শহরে বেশ কিছু বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে। সেখানে অর্থের বিনিময়ে বয়স্কদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, বিনোদনসহ আনুষঙ্গিক সব ব্যবস্থা করা হয়। পাশ্চাত্যের অনেক কিছুর সাথে ‘বৃদ্ধনিবাস’ এই ধারণা আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে পরিবারের ভঙ্গুর অবস্থা এমনপর্যায়ে উপনীত হয়েছে যে, সেখানে পরিবারের কেউ কারো প্রতি কোনো প্রকার দায়িত্ব পালন করে না। এর ফলে বৃদ্ধরা বিশেষভাবে অসহায় হয়ে পড়ে তাদের দেখাশোনা করার লোকের অভাবে। এ কারণে তাদের শেষ বয়সে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করার উদ্দেশ্যে ওল্ড এইজ হোম বা বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠে। আমাদের দেশের প্রসঙ্গ : এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ আমাদের বাংলাদেশেও এই বৃদ্ধনিবাস গড়ে উঠেছে এবং তা ক্রমবর্ধমান। এই ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধনিবাস গড়ে ওঠা আমাদের সমাজের প্রতি মারাত্মক সঙ্কেত দিচ্ছে তা হচ্ছে পিতামাতার সাথে সন্তানের বন্ধনের ক্রমহ্রাসমানতা। যেকোনো কারণেই বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠুক না কেন এটা এই মেসেজই দিচ্ছে যে, এই সমাজের সন্তানের সাথে তাদের মা-বাবার সম্পর্ক ক্রমেই দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে এবং এমনকি তা মুছেও যাচ্ছে।
আমাদের দেশে বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে দেখা যায় বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানদের অবহেলা ও উপো। গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত সম্ভবত দেশের প্রথম বৃদ্ধনিবাসের বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার নেয়া সাাৎকার থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়, তারা সন্তানদের কাছ থেকে অবহেলা, অনাদর, অবজ্ঞা, উপো, মানসিক নির্যাতন এসব কারণেই তাদের সারা জীবনের সংগ্রাম ও সাধনার ফসল সন্তানদের কাছ থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন শেষ বয়সে অন্তত একটু সম্মান ও শান্তিময় জীবনের জন্য। এখানে এসে হয়তো তারা অসম্মান ও অবহেলা থেকে রেহাই পেয়েছেন, অনেকের হয়তো তুলনামূলক অনেক ভালো ব্যবস্থা হয়েছে থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে ; হয়তো সেবাযতœও পাচ্ছেন; কিন্তু তার পরও প্রশ্ন থেকে যায় মনের শান্তি কি তারা পেয়েছেন? তাদের মনের পর্দায় কি ভেসে ওঠে না প্রিয় সন্তান, নাতি-নাতনী ও স্বজনদের মুখ? সারা জীবন যাদের জন্য সংগ্রাম করেছেন শেষ বয়সে তাদের ছেড়ে কি তারা আসলেই শান্তি পাচ্ছেন? তারা তো পাশ্চাত্যের মা-বাবার মতো সন্তানদের প্রতি উদাসীন থেকে বল্গাহীন জীবন যাপন করেননি। তাহলে এ কেমন প্রতিদান?
বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠার বিভিন্ন কারণ : বৃদ্ধাশ্রমের অস্তিত্ব প্রমাণ করে আমাদের সমাজে বয়স্করা কোনো না কোনোভাবে অবহেলিত, নিগৃহীত, উপেতি ও বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের পরিবারে। অনেকে সয়ে যাচ্ছেন মুখবুজে আর কেউ কেউ প্রতিবাদস্বরূপ গিয়ে উঠেছেন বৃদ্ধাশ্রমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন এই অবস্থা পরিবারগুলোতে? জবাব একটি কথায় দেয়া যেতে পারে যথাযথ শিার অভাব। মা-বাবার প্রতি সন্তানের কর্তব্য কী এবং তাদের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব কতটুকু এ সম্পর্কে যথাযথ নৈতিক ও ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবই এর মূল কারণ। আমাদের দেশে সাধারণ শিাব্যবস্থায় এ বিষয়ে তেমন কোনো গুরুত্ব দেয়া হয় না; ধর্মীয় শিার প্রতি অনীহা প্রকাশ পায়। সে ক্ষেত্রে একজন শিার্থী পরিবার থেকেই সামান্য যেটুকু ধর্মীয় জ্ঞান পেয়ে থাকে; সেটুকুও বেশির ভাগ েেত্র কুরআন তিলাওয়াত শিার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নৈতিক শিাবিহীন শিাব্যবস্থার ফল এই দাঁড়াচ্ছে যে, লেখাপড়া শেষ করে একজন শিার্থী অর্থ উপার্জনের এক চৌকস মেশিনে পরিণত হয়, যার মধ্যে নৈতিক ও মানবিক গুণ ও মূল্যবোধ জাগ্রত না হয়ে ধীরে ধীরে চাপা পড়ে যায় ব্যক্তিস্বার্থের আড়ালে। প্রতিবেশী হিন্দুপ্রধান দেশেও দেখা যায় একই চিত্র। সেখানে কলকাতাসহ বিভিন্ন রাজ্যে শত শত বৃদ্ধনিবাস গড়ে উঠেছে কয়েক বছরের ব্যবধানে। এগুলোর বেশির ভাগই ব্যক্তি মালিকানাধীন ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হিন্দুদের মধ্যে শেষ বয়সে আশ্রমে গিয়ে ধ্যান ও উপাসনার জীবন কাটিয়ে দেয়ার উৎসাহ দেয়া হয় ধর্মীয়ভাবেই। কাজেই তাদের মধ্যে স্বেচ্ছায় সংসার ত্যাগ করে গয়া বা কাশি আশ্রমে গিয়ে থাকার প্রবণতা অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠিত আশ্রমগুলোতে হিন্দুদের এই ধর্মীয় বিধানকে কাজে লাগানো হচ্ছে সন্তানদের সংসারে বোঝা হয়ে না থেকে আশ্রমে গিয়ে আশ্রয় নিতে, যদিও হিন্দু ধর্মেও পিতামাতার প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন ও কর্তব্য পালনের তাগিদ দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে পারে একেবারে নিঃস্ব ও অসহায় লোকদের ব্যাপারে। সে ক্ষেত্রে সরকারিভাবে তাদের সাহায্য প্রদান করা যেমন আমাদের দেশে প্রচলিত, ভিজিএফ প্রোগ্রামের মতো আরো কার্যকর অন্যান্য কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে। এ ছাড়া সমাজেরও তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা উচিত যাতে তাদের নিজ এলাকায় পরিচিত পরিবেশে রেখেই প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেয়া যায়। আমাদের দেশে গড়ে ওঠা অসংখ্য এনজিও সামাজিক ও স্বেছাসেবী সংগঠন এ ব্যাপারে কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে।
পিতা-মাতার প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি : ইসলামে পিতামাতার প্রতি যে সম্মান, মর্যাদা ও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে পৃথিবীর আর কোথাও তা হয়নি। ইসলামে মহান সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা আল্লাহর পরই পিতা-মাতাকে স্থান দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন, ‘আপনার প্রতিপালক নির্দেশ দিচ্ছেন, তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করবে এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে। তোমাদের কাছে যদি তাদের কোনো একজন অথবা উভয়ই বৃদ্ধাবস্থায় পৌঁছে তাহলে তুমি তাদের উহ্ পর্যন্ত বলবে না, তাদের ধমক দেবে না। বরং তাদের সাথে বিশেষ মর্যাদাসহকারে সম্মানজনক কথা বলবে। বিনয় ও নম্রতার বাহু তাদের জন্য সম্প্রসারিত করবে। আর এ দোয়া করতে থাকবে : হে প্রভু, এদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেমন করে তারা স্নেহ-মমতাসহকারে শৈশবে আমাকে লালন-পালন করেছেন’ (সূরা বনি ইসরাঈল : ২৩ ও ২৪)। কুরআনে অসংখ্যবার বলা হয়েছে, আল্লাহর সাথে শিরক না করতে এবং তার পরপরই বলা হয়েছে মা-বাবার সাথে সদ্ব্যবহার করতে। সদ্ব্যবহার এমনভাবে করতে হবে তাদের প্রতি বিরক্ত হয়ে উহ শব্দটিও করা নিষেধ। তাদের সাথে উচ্চস্বরে নয় বরং বিনীতভাবে কথা বলার জন্য আল্লাহ আদেশ করেছেন। আল্লাহ সুবহানুতায়ালা আরো বলেছেন, ‘আমি মানুষকে নিজেদের পিতামাতার সাথে উত্তম ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি’ (সূরা আনকাবুত : ৮)।
‘আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্ট ও দুর্বলতার ওপর দুর্বলতা সহ্য করে তাকে নিজের পেটে বহন করেছে। আর তাকে একাধারে দুই বছর দুধ পান করিয়েছে। অতএব আমার প্রতি কৃতজ্ঞ থাক এবং পিতা-মাতার প্রতিও। আমারই কাছে তোমাদের ফিরে আসতে হবে।’ (সূরা লুকমান : ১৪) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা: থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি আল্লাহর নবী সা:-এর সামনে এসে বলল, আমি আপনার কাছে হিজরত ও জিহাদ করার বাইয়াত গ্রহণ করতে চাই এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে সওয়াবের আশা রাখি। তিনি বললেন : তোমার পিতা-মাতার কেউ কি জীবিত আছেন? সে বলল, হ্যাঁ, বরং উভয়ই জীবিত আছেন। তিনি বলেন : তার পরও তুমি আল্লাহর কাছে প্রতিদান আশা করো? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন : তোমার পিতা-মাতার কাছে ফিরে যাও, তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করো’। (বুখারি ও মুসলিম) হজরত আবু হুরাইরা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ? আমার কাছে সদ্ব্যবহার পাওয়ার সর্বাপো অধিক অধিকারী কে? তিনি বললেন : তোমার মাতা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন : তোমার মাতা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন তোমার মাতা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার পিতা। (বুখারি ও মুসলিম) মহানবী সা: বলেছেন, ‘তারাই (পিতা-মাতা) তোমার জান্নাত, তারাই তোমার জাহান্নাম’ অর্থাৎ তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করার ফলে আল্লাহ জান্নাত দান করবেন। আর তাদের প্রতি দুর্ব্যবহার করার ফলে অনেকে অন্যান্য সৎ কাজ সত্ত্বেও জাহান্নামি হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সা: আরও বলেছেন, ‘পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পিতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি। এবং ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, নবী করিম সা: বলেছেন, ‘এ ব্যক্তির নাক ধুলায় মলিন হোক যে তার পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেয়েও তাদের সেবা করে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না।’ (মুসলিম)
পিতা-মাতার সেবা করাকে যেখানে জিহাদের ওপরে স্থান দেয়া হয়েছে, সেখানে পুত্রবধূর সাথে অথবা সন্তানদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তাদের আশ্রমে পাঠিয়ে দেয়া কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারে না। সংখ্যাগুরু মুসলিম দেশে বৃদ্ধাশ্রমের অস্তিত্ব ও বিকাশ লাভ তাই শুধু দুঃখজনকই নয় অমানবিক ও অবাঞ্ছিতও বটে। এটা প্রমাণ করে, আমাদের সমাজে ও পরিবারে বয়স্করা অসম্মানিত ও অবহেলিত এবং মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও ইসলামের প্রকৃত শিা থেকে তারা কত দূরে! উপরন্তু ধর্মহীন শিা ও বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনে মুসলমানেরা নিজেদের অমূল্য শিা সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পড়েছে। উত্তরণের উপায় : পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠার প্রবণতা যদি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের হাজার বছরের পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ ধ্বংস ও সমাজকাঠামো পরিবর্তিত হয়ে এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পশ্চিমের দেশগুলোর মতো ভোগবাদী ও হতাশাগ্রস্ত সমাজের পরিণতি ডেকে আনবে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সচেতন হওয়া ও কার্যকর পদপে নেয়ার এখনই সময়। তা নাহলে আজ যারা হয়তো তারুণ্যদীপ্ত উচ্ছল ঝামেলামুক্ত জীবন যাপন করছেন, মা-বাবাকে বিদায় করে কয়েক বছর পর তাদেরও একই ভাগ্য বরণ করতে হবে সেটা আরো খারাপও হতে পারে। প্রথমেই মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে সন্তানকে উপযুক্ত শিাদানের ব্যাপারে। কারণ পরিবারই হলো সন্তানের শিার পাঠশালা। সন্তানকে প্রকৃত ইসলামি শিায় শিতি করে তুলতে মা-বাবাকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের শিা কারিকুলামে সব ধর্মীয় ও নৈতিক শিা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পিতামাতা ও বয়স্কদের প্রতি দায়িত্ব পালনে সমাজের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। ইমাম, সমাজের শিতি ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা এ েেত্র কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যারা বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলছেন তাদের উচিত সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া। ব্যবসার স্বার্থে একটি সমাজ কাঠামো ও মূল্যবোধ ভেঙে দেয়া যে অনৈতিক তা তাদের মানতে হবে। মিডিয়াগুলো বয়স্কদের পরিবারে শ্যামল ছায়ায় থাকার অধিকার সম্পর্কে সোচ্চার হয়ে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সর্বোপরি একটি জনকল্যাণমূলক সরকার দেশ, সমাজ ও পরিবার রা করতে, মূল্যবোধ বাঁচিয়ে রাখতে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে পারে। বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠাকে সব দিক থেকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। দুস্থ ও অসহায়দের সর্বতোভাবে সাহায্য করতে হবে, তবে তা কোনোভাবেই ব্যবসায়িক স্বার্থে নয়। সবচেয়ে বড় কথা, ইসলামের শিাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষ করে মা-বোনদেরই এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ইসলামি শিার সাথে বৃদ্ধাশ্রমের ধারণাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ তো নয়ই বরং সাংঘর্ষিক। তাই মুসলমানদের উচিত নিজেদের ধর্মীয় ও তামাদ্দুনিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পিতামাতা ও বয়স্কদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা এবং এর মাধ্যমে নিজেদের ইহ-পরকালের মুক্তির ব্যবস্থা করা। =সমাপ্ত=