হযরত আবূ ওবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রা.) । নাম আমের। ডাক নাম আবূ ওবাইদাহ। উপাধি আমনুল উম্মত। তিনি তাঁর আব্বা আবদুল্লাহ’র নামে পরিচিত না হয়ে দাদার নামে অর্থাৎ ইবনুল জাররাহ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তার বংশ তালিকা নিম্নরূপ- আমের ইবন আবদুল্লাহ, ইবন জাররাহ, ইবন হেলাল, ইবন উহাউব, ইবন জাররাহ, ইবন হারেস, ইবন ফেহর আল কারশী আল যোহরী। তাঁর ঊর্ধ্বতন পঞ্চম পুরুষ ফেহর-এর সাথে গিয়ে রাসূল (সা.)-এর বংশের সাথে মিলিত হয়। তাঁর মা এ ফেহর বংশের মেয়ে ছিলেন। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন বলে জানা যায়। তিনি ডাক নাম আবূ ওবাইদাহ নামেই খ্যাত হন।
যতদূর জানা যায় হযরত আবূ বকর (রা.)-এর ইসলাম গ্রহেণের পরের দিনই তিনি মুসলমান হন। তিনি আবূ বকরের (রা.) হাতে হাত রেখে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। এরপর আবদুর রহমান ইবন আউফ, আল আরকাম ইবন আবিল আরাকাম, উসমান ইবন মাজউনকে সঙ্গে নিয়ে রাসূল (সা.)-এর খেদমতে হাজির হন এবং একসাথে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন।
মক্কায় মুসলমানদের বসবাস করা বিপজ্জনক হতে থাকলে রাসূল (সা.)-এর নির্দেশে অনেকেই হাবশায় হিজরত করেন। হযরত আবূ ওবাইদাহ কোরাইশ জালিমদের অত্যাচারে দু’দুবার হাবশায় হিজরত করেন। পরবর্তীতে রাসূল (সা.) মদীনায় হিজরত করলে তিনিও মদীনায় হিজরত করেন। অর্থাৎ তিনি মোট তিন তিনবার হিজরত করেন। মদীনায় হিজরতের পর রাসূল (সা.) তাঁকে সা’দ ইবন মু’আযের সাথে ভাই পাতিয়ে দেন।
হযরত আবূ ওবাইদাহ সেই ব্যক্তি যিনি ইসলামের জন্য আপন মুশরিক পিতাকে হত্যা করেন। ঘটনা এরকম, বদরের প্রান্তরে মুসলিম ও কোরাইশ মুশরিকদের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে। হযরত আবূ ওবাইদাহ বীর বিক্রমে মুশরিক কাফিরদের ওপর আগাত হেনে চলেছেন, তাঁর আঘাতের প্রচণ্ডতায় কাফিররা দিগি¦দিক জ্ঞান হারা হয়ে পালাতে শুরু করেছে। ঠিক এ সময়ে অথবা তার পূর্ব থেকে তাঁর পিতা আবদুল্লাহ তাঁর দিকে তীর ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে এলো এবং পুত্র ওবাইদাকে হত্যা করার জন্য নানান কোশেষ করতে লাগলো। ওবাইদাহ পিতাকে এড়িয়ে যাবার আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলেন কিন্তু পারলেন না। এক পর্যায়ে পিতা আবদুল্লাহ যখন শত্রু ও তার মধ্যে চরম বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো তখন বাধ্য হয়েই তিনি তরবারির এক কোপে পিতার দেহ থেকে মাথাটি বিচ্ছিন্ন করে দিলেন।
এরপর পরই সূরা আল মুজাদালার এ আয়াতটি নাযিল হয়-
‘তোমরা কখনো এমনটি দেখতে পাবে না যে, আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমানদার লোকেরা কখনো তাদের প্রতি ভালবাসা পোষণ করে যারা আল্লাহ এবং তার রাসূলের বিরুদ্ধাচারণ করেছে। তারা তাদের পিতা-ই হোক কিংবা তাদের পুত্র-ই হোক বা ভাই হোক অথবা তাদের গোত্রের লোক। তারা সেই লোক যাদের দিলে আল্লাহ তা’আলা ঈমান দৃঢ়মূল করে দিয়েছেন এবং নিজের তরফ হতে একটা রূহ দান করে তাদেরকে এমন সব জান্নাতে দাখিল করবেন যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারা প্রবহমান হবে। তাতে তাঁরা চিরদিন থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও সন্তুষ্ট হয়েছে তাঁর প্রতি। এঁরা আল্লাহর দলের লোক। জেনে রাখো, আল্লাহর দলের লোকেরাই কল্যাণ প্রাপ্ত হবে’। (সূরা মুজাদালাহ: ২২)
একবার খ্রিস্টানদের এক প্রতিনিধিদল রাসূল (সা.)-এর কাছে এসে তাঁর মনোনীত একজন প্রতিনিধি তাদের সাথে দিতে বললেন। এজন্য যে, তিনি গিয়ে তাদের বিতর্কিত কিছু সম্পদের ফয়সালা করে দেবেন। একথা শুনে রাসূল (সা.) তাদেরকে সন্ধ্যায় আসতে বললেন, ‘আমি তোমাদের সাথে একজন দৃঢ়চেতা ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে পাঠাবো’। ওমর (রা.) বলেন, ‘আমি সেদিন সকাল সকাল জোহরের নামায আদায়ের জন্য মসজিদে উপস্থিত হলাম। আর আমি এদিনের মতো আর কোন দিন নেতৃত্বের জন্য লালায়িত হইনি। এর একমাত্র কারণ আমিই যেনো হতে পারি রাসূল (সা.)-এর এ প্রশংসার পাত্রটি। রাসূল (সা.) আমাদের সাথে জোহরের সালাত শেষ করে ডানে বায়ে দেখতে লাগলেন। আর আমিও তাঁর দৃষ্টিতে পড়ার জন্য আমার গর্দানটি একটু উঁচু করতে লাগলাম। কিন্তু তিনি তাঁর দৃষ্টি ঘোরাতে ঘোরাতে এক সময় আবূ ওবায়দা ইবনুল জাররাহকে দেখতে পেলেন। তাঁকে ডেকে তিনি বললেন, তুমি তাদের সাথে যাও এবং সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে তাদের বিতর্কিত বিষয়টির ফয়সালা করে দাও’।
ওহুদের যুদ্ধে যে দশজন সাহাবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে ঘিরে ব্যূহ রচনা করেছিলেন, যাঁরা তাঁদের জান বাজি রেখে আল্লাহর নবীকে হেফাজতের চেষ্টা করেছিলেন, ওবায়দাহ (রা.) তাদেরই একজন। যুদ্ধ শেষে যখন দেখা গেলো রাসূল (সা.)-এর চেহারা মোবারক যখম হয়েছে, দু’টি দাঁত শহীদ হয়েছে এবং লৌহবর্মের দু’টি বেড়ি গণ্ডদেশে ঢুকে গেছে। হযরত আবূ বকর (রা.) এ দৃশ্য দেখে ছুটে এসে বেড়ি দু’টি দ্রুত খোলার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু ওবায়দাহ তাকে বাঁধা দিয়ে নিজেই রাসূল (সা.)-এর কষ্টে কষ্ট পান তাই তিনি দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে সাবধানে বেড়ি বের করে আনলেন। কিন্তু বেড়ি দুটো মারাত্মকভাবে ঢুকে যাওয়ার কারণে ওবায়দাহ (রা.)-এর দুটো দাঁত ভেঙ্গে যায়। রাসূল (সা.)-এর প্রতি এ প্রেম দেখে হযরত আবূ বকর (রা.) বললেন, ‘আবূ ওবায়দাহ সর্বোত্তম দাঁত ভাঙ্গা ব্যক্তি’।
হযরত ওবায়দা (রা.) ওহুদ, খন্দক ছাড়াও বানূ কুরাইজা অভিযানেও অংশ গ্রহণ করেন। বাইয়াতে রেদওয়ানেও তিনি শরীক হন, হুদাইবিয়ার সন্ধিতে তিনি একজন স্বামী হিসাবে স্বাক্ষর করেন। সপ্তম হিজরী সনে রাসূল (সা.)-এর সাথে খাইবার অভিযানেও তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং অসম্ভব বীরত্বের পরিচয় দেন। যাতুস সালাসিলে পৌঁছে হযরত আমর ইবনুল আস যখন বুঝলেন আরো সৈন্য প্রয়োজন তখন তিনি রাসূলের (সা.) খেদমতে সাহায্য চেয়ে পাঠান। তখন রাসূল (সা.) আবূ ওবায়দাহর নেতৃত্বে দু’শো সৈন্য আমর ইবনুল আসের সাহায্যে প্রেরণ করেন। বিস্মিত হয়ার খবর যে, এ যোদ্ধাদের মধ্যে প্রথম খলিফা হযরত আবূ বকর ও দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর (রা.) ছিলেন। মক্কা বিজয়, হুনাইনের যুদ্ধ, তায়েফের যুদ্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক যুদ্ধেই তিনি অংশ গ্রহণ করেন। মক্কা বিজয়ের সনে আবূ ওবায়দাহর নেতৃত্বে সামুদ্রিক এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে তাদেরকে খাবার হিসাবে কিছু খেজুর দেয়া হয়েছিলো এবং তা এতো কম ছিলো যে, জন প্রতি দৈনিক মাত্র একটি খেজুর নির্ধারিত ছিলো। পরবর্তীতে অবশ্য তারা প্রকাণ্ড একটি মাছ পাওয়ায় খাদ্যাভাব দূর হয়।
রাসূল (সা.)-এর ওফাতের পর খলীফা নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে হযরত আবূ বকর (রা.) ওবায়দাহ (রা.) কে বললেন, ‘আপনি হাত বাড়িয়ে দিন, আমি আপনার হাতে বাইয়াত করি। আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি, ‘প্রত্যেক জাতিরই একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি আছে, আপনি এ জাতির সেই বিশ্বস্ত ব্যক্তি’। উত্তরে ওবায়দাহ বললেন, ‘আমি এমন ব্যক্তির সামনে হাত বাড়াতে পারিনা যাঁকে রাসূল (সা.) আমাদের নামাযের ইমামতির আদেশ করেছেন এবং তিনি তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত ইমামতি করেছেন’। হরযত আবূ ওবায়দাহর (রা.) এমন দিকনির্দেশ মূলক কথার পর পরই সবাই হযরত আবূ বকরের হাতে বাইয়াত হন। পরে খলীফা নির্বাচনের জটিলতাও দূরিভূত হয়। হযরত ওমর (রা.) খলীফা হলে আবূ ওবায়দা বিনা বাক্য ব্যয়ে তাঁর হাতে বাইয়াত হন।
হযরত আবূ বকর (রা.) খেলাফতের তৃতীয় সনে চতুর্দিক থেকে শাম দেশ আক্রমণের সিদ্ধান্ত হয়। সময়ের হিসেবে হিজরী ১৩ সন ছিল পরিকল্পনা অনুযায়ী হযরত আবূ বকর (রা.) আবূ ওবায়দাহকে হেমসের দিকে, ইয়াজিদ ইবন আবূ সুফিয়ানকে দামেস্কের দিকে, জর্দানের দিকে শোরাহবিলকে এবং ফিলিস্তিনের দিকে আমর ইবনুল আসকে প্রেরণ করেন। তবে তিনি তাদেরকে বলেন, ‘আপনারা সকলে একত্র হলে আবূ ওবায়দাহ সেনাপতি হবেন’।
হিজরী ১৭ সনে হযরত ওমর (রা.) দামেস্কের আমীর ও ওয়ালীর পদ থেকে হযরত খালিদ ইবন ওয়ালিদকে অপসারণ করে সেখানে আবূ ওবায়দাহকে নিয়োগ দেন। এ সিদ্ধান্ত শোনার পর খালিদ সাইফুল্লাহ দামেস্কের লোকদেরকে বলেন, তোমাদের খুশি হওয়া উচিত যে, আমীনুল উম্মত তোমাদের ওয়ালী’।
হযরত আবূ ওবায়দার নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী দামেস্ক, হিমস প্রভৃতি শহর একের পর এক জয় করেন। ইয়ারমুকের যুদ্ধ তিনিই পরিচালনা করেন। সমগ্র সিরিয়া তাঁর করায়াত্বে নিয়ে আসেন। এ সময় সিরিয়ায় মারাত্মক আকারে প্লেগ রোগ দেখা দেয়। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছিলো। হযরত ওমর (রা.) এ সংবাদে বিচলিত হয়ে পড়লেন। এমনকি তিনি মদীনা থেকে স্বয়ং সুরাগ নামক স্থানে উপস্থিত হলেন। হযরত ওবায়দাহ (রা.) গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ খলীফাকে অভ্যর্থনা জানালেন। প্লেøগের ব্যাপারে অনেক কথা বার্তার পর খলীফা হযরত ওবায়দাহকে তাঁর সাথে মদীনায় যেতে বললেন। কিন্তু ওবায়দাহ (রা.) অন্যান্যদেরকে এ অবস্থায় ছেড়ে যেতে রাজি হলেন না। তিনি বললেন, ‘কপালের লেখা কখনও বদলায় না। সুতরাং মুসলমানদিগকে ত্যাগ করে আমি এখান থেকে কোথাও যাওয়া ভাল মনে করছি না’।
পরবর্তীতে হযরত ওবায়দাহ (রা.) প্লেগে আক্রান্ত হন। রোগের অবস্থা ক্রমাবনতির দিকে গেলে তিনি হযরত মুয়াজ ইবন জাবাল (রা.) কে নামাযের ইমামতির হুকুম দেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বন্ধুগণ! এ রোগ আল্লাহর রহমত এবং রাসূল (সা.)-এর দো’আ। ইতোপূর্বে অসংখ্য মুমিন মুসলমান এ রোগে বিদায় নিয়েছেন। এখন আবূ ওবায়দাও সেই পথে তাঁর প্রভুর মিলন প্রার্থী।
এরপর হযরত মুয়ায (রা.) নামায শুরু করলে হযরত ওবায়দাহ (রা.) ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লøাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।
মুয়াজ ইবন জাবাল (রা.) তাঁর কাফন দাফনের ব্যবস্থা করলেন এবং সমবেত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘বন্ধুগণ! আজই এ ব্যক্তি আমাদেরকে নিঃসঙ্গ করে চলে গেলেন। আল্লাহর কসম, যাঁর মতো নির্মল ও কোমল অন্তর, নিঃস্বার্থ, অহিংসুক, দূরদর্শী এবং জনগণের হিতাকাঙ্খী আমি আর দেখি নি। তাঁর আত্মার মাগফেরাতের জন্য সকলেই দোয়া করুন’।
হিজরী ১৮ সনে তিনি ইন্তেকাল করেন। এ সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল আটান্ন বছর।
হযরত ওবায়দাহ (রা.)-এর লাশের জানাযা পড়ান মুয়াজ বিন জাবাল (রা.)। দাফন করার সময় কবরে নামেন মুয়াজ, আমর ও দাহক। লাশ দাফনের পর হযরত মুয়াজ (রা.) বলেন, ‘আবূ ওবায়দা, আল্লাহ আপনার ওপর রহম করুন। আল্লাহর কসম! আমি আপনার সম্পর্কে যতটুকু জানি কেবল ততটুকুই বলবো, অসত্য কোন কিছু বলবো না। কারণ, আমি আল্লাহর শাস্তির ভয় করি। আমার জানা মতে আপনি ছিলেন আল্লাহকে অত্যাধিক স্মরণকারী, বিনম্রভাবে যমীনের ওপর বিচরণকারী ব্যক্তিদের একজন। আর আপনি ছিলেন সেই সব ব্যক্তিদের অন্যতম যাঁরা তাঁদের রবের উদ্দেশ্যে সিজদারত ও দাঁড়ানো অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করে এবং যাঁরা খরচের সময় অপচয়ও করে না, কার্পণ্যও করে না বরং মধ্যবর্তী পন্থা অবলম্বন করে থাকে’।
হযরত আবূ ওবায়দাহ (রা.) প্রায়ই পরকালের ভয়ে কান্নাকাটি করতেন। কারণ জীবনের শেষ দিকে তার সহায় সম্পদ প্রচুর হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি নিজেই বলেছেন, এখন দেখছি, আমার বাড়ি খাদেমে এবং আস্তাবল ঘোড়ায় ভরে গেছে। হায় আমি কিভাবে রাসূলুল্লাহকে (সা.) মুখ দেখাবো? রাসূল (সা.) বলেছিলেন, সেই ব্যক্তিই আমার সর্বাধিক প্রিয় হবে, যে ঠিক সেই অবস্থায় আমার সাথে মিলিত হবে যে অবস্থায় আমি তাকে ছেড়ে যাচ্ছি।
হযরত আবূ ওবায়দাহ ছিলেন, দীর্ঘাঙ্গী হালকা পাতলা গড়ন, গৌরকান্ত ও প্রজ্জ্বল মুখমণ্ডলের অধিকারী। তিনি দেখতে এতো সৌম দর্শন ছিলেন যে সবারই চোখ জুড়িয়ে যেতো। তাকে দেখার সাথে সাথে ভেতরে ভেতরে ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জাগ্রত হতো। রাসূল (সা.)-এর ভাষায় তিনি ছিলেন জাতির বিশ্বাস ভাজন ব্যক্তি। সর্বোপরি তিনি ছিলেন ঐ সম্মানিত দশজন সাহাবীর একজন যাঁরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকতেই বেহেশতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন