Main Menu

হযরত উম্মে মা’বাদ বিনতে খালিদ (রা.)

হযরত উম্মে মা’বাদ বিনতে খালিদ

হযরত উম্মে মা’বাদ বিনতে খালিদ

হযরত উম্মে মা’বাদ বিনতে খালিদ (রা.)

তার আসল নাম আতেকা, উম্মে মা’বাদ কুনিয়াত বা উপনাম। তিনি ছিলেন খুনাইস ইবনে খালেদের বোন। বংশধরা হলো, উম্মে মা’বাদ বিনতে খালিদ ইবনে খালীফ ইবনে মানকাদ ইবনে রবীআ ইবনে হরম ইবনে খমিস ইবনে হারাম ইবনে হাবীসা ইবনে কা’আব ইবনে আমর। তিনি ছিলেন খোযা’আ গোত্রের সন্তান তাঁর চাচাত ভাই তামীম ইবনে আব্দুল ওয্যা ইবনে মুন্কাযের সাথে তার বিয়ে হয়। হিজরতের সময় নবীজী তার গৃহে অবস্থান করেন। তার গৃহ ছিল কুদাইদ নামক স্থানে নবীজী সোমবার শেষ রাত্রে বা মঙ্গল বার ভোর রাত্রে গুহা থেকে বের হলে মক্কার নিম্নাঞ্চল থেকে একটা শব্দ শোনা যায়। কে এই শব্দ দিয়েছে, তার তালাশে মক্কার নারী-পুরুষ-শিশু সকলে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত বেরিয়ে আসে। কিন্তু কাউকে দেখতে পায়নি। আওয়াজটি ছিল এই-

جَزَى اللّهُ رَبّ الْعَرْشِ خَيْرَ جَزَائِه ** رَفِيقَيْنِ حَلّا خَيْمَتَيْ أُمّ مَعْبَدٍ
هُمَا نَزَلَا بِالْبِرّ وَارْتَحَلَا بِه **وَأَفْلَحَ مَنْ أَمْسَى رَفِيقَ مُحَمّدِ
فَيَالَقُصَيّ مَا زَوَى اللّهُ عَنْكُمْ ** بِهِ مِنْ فَعَالٍ لَا يُجَازَى وَسُودَدِ
لِيَهْنَ بَنِي كَعْبٍ مَكَانَ فَتَاتِهِمْ ** وَمَقْعَدُهَا لِلْمُؤْمِنِينَ بِمَرْصَدِ

অর্থ ঃ যে দু’জন বন্ধু উম্মে মা’বাদের খীমায় আশ্রয় নিয়েছে, আল্লাহ্ তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন। তারা মঙ্গলের সাথে সেখানে অবস্থান করেছে আর তারা তো এজন্য অভ্যস্ত। সুতরাং যে ব্যক্তি মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথী হয়েছে সেতো সফলকাম হয়েছে। বনুকাবের জন্য এমন নারী মোবারক হোক, যার গৃহ মুসলমানের আশ্রয়স্থল।
নবীজী যখন হযরত উম্মে মা’বাদের গৃহে অবস্থান করেন, তখন তার সাথ হযরত আবূ বকর (রাঃ) এবং তার ভৃত্য আব্দুল্লাহ্ ইবনে আরীকীতও ছিলেন। হযরত উম্মে মা’বাদ জবাই করার জন্য একটা দুধের বকরী হাযির করেন। নবীজী বকরীটির স্তনে হাত দিয়ে বললেন, এটি জবাই করবে না। হযরত উম্মে মা’বাদ অপর বকরী নিয়ে আসেন এবং তা জবাই করে নবীজী এবং তার সাথীদেরকে খাওয়ান। নাশতাও করান। উম্মে মা’বাদ বলেন, নবীজী যে বকীটির স্তনে হাত রাখেন, তা হযরত উমরের (রাঃ) শাসনকাল পর্যন্ত আমাদের কাছে ছিল। আমরা প্রতিদিন দু’বেলা বকরীটির দুধ দোহন করতাম। এটা ছিল হিজরী ৮ম সালের কথা। মুহাম্মদ ইবনে উমর-এর বর্ণনা মতে হযরত উম্মে মা’বাদ বলেন, পরে তিনি একদিন নবীজীর দরবারে উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। এবং বায়আত গ্রহণ করেন। তার মৃত্যু সাল ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না।

Related Post