الحديث : ما أضيف إلى النبي صلّى الله عليه وسلّم من قول، أو فعل، أو تقرير، أو وصف
হাদীস এর শাব্দিক অর্থ: উক্তি, নতুন।ইসলামের পরিভাষায়: হযরত রাসূল স. এর সকল কথা, কাজ, অনুমোদন এবং তাঁর যাবতীয় গুণবলীর বিবরণকে হাদীস বলে।
اقوال رسول الله ﷺ وافعاله – অর্থ : হাদীস হলো আল্লাহর রাসূলের কথা ও কাজসমূহ।
আছারঃ الأثر: ما أضيف إلى الصحابي أو التابعي،
সাহাবায়ে কেরামদের কথা ও কাজকে আছার বলে।
মুতাওয়াতির হাদীসঃ الحديث المتواتر= ما رواه كثير تحيل العادة تواطؤوا على الكذب،
যে সব হাদীসের সনদে বর্ণনাকারীর সংখ্যা এত অধিক যে তাদের সম্মিলিতভাবে মিথ্যার উপর ঐক্যবদ্ধ হাওয়া অসম্ভব, আর এই সংখ্যাধিক্য যদি সর্বস্তরে থাকেতবে তাকে মুতওয়াতির হাদীস বলে।
মুরসাল হাদীসঃ الحديث المرسل: هو الذي أضافه التابعي إلى رسول الله، ولم يكن هذا التابعي قد لقي النبي ، وحكم الحديث المرسل أنه من أقسام الحديث الضعيف
যে হাদীসের সাহাবীর নাম বাদ পড়েছে এবং তাবিঈ সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উল্লেখ করে হাদীস বর্ণনা করেছে, তাকে মুরসাল হাদীস বলে।
সহীহ হাদীসঃ الحديث الصحيح: هو ما اتصل إسناده بعدل ضابط عن مثله بدون علة ولا شذوذ وهو يفيد الظن دون اليقين،
যে মুত্তাসিল হাদীসের সনদে উলেখিত প্রত্যেক রাবীই পূর্ণ আদালত ও যাবতা-গুণসম্পন্ন এবং হাদীসটি যাবতীয় দোষত্র“টি মুক্ত তাকে সাহীহ হাদীস বলে।
মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় যে হাদীসের মধ্যে ৫ টি শর্ত পূরণ হয়েছে তাকে সহীহ হাদীস বা বিশুদ্ধ হাদীস বলে। শর্ত ৫ টি হল-
১) হাদীসের সকল বর্ণনাকারী বা রাবী পরিপূর্ণ সৎ ও বিশ্বস্ত বলে প্রমানিত। একে ‘আদালত’ বলে।
২) সকল রাবীর ‘নির্ভুল বর্ণনা ক্ষমতা’ পূর্ণরূপে বিদ্যমান বলে প্রমানিত। একে ‘যাবতা’ বলে।
৩) সনদের প্রত্যকে রাবী তাঁর ঊর্ধ্বতন রাবী থেকে স্বকর্ণে হাদিসটি শুনেছেন বলে প্রমানিত। একে ‘ইত্তিসাল’ বলে।
৪) হাদীসটি অন্যান্য প্রমানিত হাদীসের বর্ণনার বিপরীত নয় বলে প্রমানিত। একে ‘শুযুয মুক্তি’ বলে।
৫) হাদিসটির মধ্যে সূক্ষ্ম কোন সনদগত বা অর্থগত ত্রুটি নেই বলে প্রমানিত। একে ‘ইল্লাত মুক্তি’ বলে।
فأكثر –فى كل طبقة المشهور: هو ما رواه ثلاثة.
খবরে মাশহুর: প্রত্যেক যুগে অন্তত: তিনজন রাবী বা তিনের অধিক রেওয়ায়েত করেছেন, কিন্তু মুতওয়াতির পর্যন্তু পৌছাবেনা,এমন হাদীসকে মাশহুর হাদীস বলে। তাকে মুস্তাফিজ ও বলে।
আযীয হাদীসঃ فى جميع طبقات العزيز: هو ما لم يقل عدد رواته عن اثنين
যে সহীহ হাদীস প্রতিস্তরে কমপক্ষে দুজন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন তাকে আযীয হাদীস বলে।
গরীব হাদীসঃ الغريب- هو ما ينفرد بروايته راو واحد
যে সহীহ হাদীসের কোন স্তরে মাত্র একজন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন তাকে গরীব হাদীস বলে।
হাসান (حسن)
যে হাদীর্সে কোন রাবীর যারতগুণে পরিপূর্ণতার অভাব রয়েছে তাকে হাসান হাদীস বলা হয়। ফিকহবিদগণ সাধারণত সাহীহ ও হাসান হাদীসের ভিত্তিতে শরী‘আতের বিধান নির্ধারণ করেন।
যঈফ (ضعيف)=যে হাদীসের রাবী কোন হাসান হাদীসের রাবীর গুণসম্পন্ন নন তাকে যঈফ হাদীস বলে। রাবীর দুর্বলতার কারণেই হাদীসকে দুর্বল বলা হয়, অন্যথায় রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন কথাই যঈফ নয়।
মাওযূ’ (موضوع)
যে হাদীসের রাবী জীবনে কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নামে মিথ্যা কথা রটনা করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে, তার বর্ণিত হাদীসকে মাওযূ’ হাদীস বলে। এরূপ ব্যক্তির বর্ণিত হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়।
আহাদ হাদীসঃ خبر الآحاد: هو ما لم يجمع شروط المتواتر،
যে হাদীসের বর্ণনাকারীর সংখ্যা মুতওয়াতিরের সংখ্যা পর্যন্ত পৌঁছায়নি তাদের আহাদ হাদীস বলে।