Main Menu
أكاديمية سبيلي Sabeeli Academy

হে প্রভূ! এই রাত শুধুই তোমার আর আমার

হে প্রভূ! এই  রাত  শুধুই তোমার আর আমার

হে প্রভূ! এই রাত শুধুই তোমার আর আমার

প্রাইমারীতে পড়ার বয়সেই পাশের ঘরের চাচাত বোন নুপুরের সাথে মেধা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ি। পাশাপাশি ঘর ও একই হাউজ টিউটর হওয়াতে আমি  যখনই পড়তে বসি তখনই সে আমার দেখে বসে যায়। স্বাভাবিক নিয়মের সাথে আরও বাড়তি সময় হিসাবে বেছে নিলাম রাতের শেষ ভাগের সময় কে। আম্মু হারিকেনের কেরোসিন পোড়ানোর ভয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ালেও আমার মনের ব্যাকূলতার কাছে হার মানে। চেষ্টার ফল বিফল হয় না। তাই প্রাইমারী থেকে হাই স্কুলে উঠার সময় মেধাতালিকায় প্রথম হওয়াতে একমাত্র বড় ভাইটি কোলে নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে আসে। এতে রাত জাগা নিশাচর হওয়ার  আগ্রহ  আরও বেড়ে গেল।

ছোট বেলায় বিয়ে হওয়াতে বান্ধবীরা বলত আমার জীবনে নাকি আর পড়া-লেখা হবে না। তাই স্ত্রী বা বউ হিসাবে যে সময় আমাকে বাড়তি দিতে হত সেই  হারিয়ে যাওয়া সময় পূরণ করতে আবার রাত জাগা শুরু করি। এস. এস. সি পরীক্ষা দিয়ে  প্রিয়তম স্বামীর হাত ধরে ঢাকা এসে সংসার জীবন শুরু করি, আমি যৌথ সংসার ও ৩ বাচ্চার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর আমার পড়া লেখায় ভাটা পড়ে যায়। জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করে আবার পড়ার প্রতি যে সুপ্ত স্পৃহাকে  আমার হৃদয়ের মনি কোঠোরে লুকিয়ে রেখেছিলাম, তা আবার জাগিয়ে তুলতে আল্লাহ আমাকে সক্ষম করেন। সেখানেও মেধার প্রতিযোগী হিসাবে বড় জা-কে পেয়ে যাই। বাচ্চা ও সংসারের দায়িত্ব পালনের পর পড়ার সময় হিসাবে বেছে নিলাম আবার রাতের শেষ প্রহরকে। বেগম রোকেয়াকে দেখিনি কিন্তু শুনেছি তিনি মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়েছেন। আমি ওনাকে অনুসরণ করে একই নিয়ম অনুসরণ করে পড়া চালিয়ে যাই।

হাদীসে পেয়েছিলাম ব্যস্ত হয়ার আগে অবসর সময়কে কাজে লাগানোর জন্য। তাই পরের দিনের জন্য অনেক কাজ আমি রাত জেগে করে  রেখে দিতাম। কারণ মনে হত দিনটা সবার জন্য আর রাতটা শুধু আমার জন্য। বাচ্চাদের ও সাহেবের প্রিয় খাবার বা হঠাৎ আসা মেহমানদের জন্য  অনেক খাবার রাত জেগে রান্না করে চোখের আড়াল করে রেখে দিতাম। সারপ্রাইজ খাবার প্রিয় জনদের সামনে দিলে কি যে খুশি হয়, তা দেখতে খুব  আনন্দ লাগে। রাত জেগে জেগে বাচ্চাদের পড়ার নোট ও নিজের পড়ার নোট তৈরি করে রাখতাম। যৌথ সংসারের কেউ যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তাই শেষ রাতেই সারা দিনের খাবার রান্না করে রেখে দিতাম। কারণ সকালে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে আমার  ক্লাস  আর বাচ্চাদের স্কুলের ক্লাস একই সময় শুরু হত।

আল্লাহর একবিশেষ নেয়ামত হিসাবে তিনি আমার জন্য কিছু দ্বীনি বোন মিলিয়ে দিলেন। একজন  দ্বীনিবোন সকালে হঠাৎ করে ফোন দিয়ে বললেন: আজকে প্রোগ্রামে আপনাকে কুরআনের দারস দিতে হবে। আমি উর্ধ্বতন বোনের আদেশ না করার সাহস পেলাম না। কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলাম। তখন আমি তাফসীর থেকে নোটটা তৈরি করতে গিয়ে রাতের শেষ ভাগের এবাদত আল্লাহর কাছে যে কত প্রিয়, তা আমি উপলদ্ধি করতে পারলাম। আম্মুকে ছোট বেলা থেকে তাহাজ্জুদ পড়তে দেখতাম। আর আমার কোন সমস্যার কথা শুনলেই বলত: ‘তাহাজ্জুদ পড়, সমস্যা দূর হয়ে যাবে’। দারস তৈরী করতে গিয়ে দেখলাম, কুরআনে আল্লাহ তাঁর হাবিব রাসূল (সা.) কে আদেশ দেওয়ার মাধ্যমে উম্মাতে মুহাম্মাদীকে এই তাহাজ্জুদ পড়ার আদেশ দিয়েছেন। আমি তাতে খুব আনন্দিত হলাম। কারণ দুনিয়ার জ্ঞান অর্জনের কথা ভেবে রাত জাগার অভ্যাস করলেও তা আখেরাতের জ্ঞান অর্জনের জন্য হলে আরও ভাল হবে। আমি সেই দিন থেকেই তাহাজ্জুদ সম্পর্কে যা বুঝেছি সে টুকুই আপনাদের সামনে উপস্থান করছিঃ

তাহাজ্জুদ নামায কি?

তাহাজ্জুদ মানে ঘুম ভেঙ্গে উঠে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় কিছু সময় কাটিয়ে দেওয়া। আর এ ব্যাপারে আল্লাহর বাণী হল; “রাতে তাহাজ্জুদ পড়, এটি তোমার জন্য নফল। ” (সূরা বনী ইসরাইল :৭৯) অন্য একটি আয়াতে বলা হয়েছে: “হে বস্ত্রমুড়ি দিয়ে শয়নকারী রাতের বেলায় নামায রত থাক”। (সূরা মুযযাম্মিল :১)। আবার অন্য একটি সূরায় বলা হয়েছেঃ “রাতের বেলায় তার সামনে সিজদায় অবনত হও। রাতের দীর্ঘ সময় তার তাসবীহ অর্থাৎ তার পবিত্রতা বর্ণনা করতে  থাক”। (সূরা  দাহর :২৬)

এর দু’টি অর্থঃ এক. নামাযে দাঁড়িয়ে রাত অতিবাহিত করা এবং রাতের অল্প কিছু সময় মাত্র ঘুমে কাটান।  দুই. আমাদের কাছে সমস্ত রাতই নামায পড়ে কাটিয়ে দেয়ার দাবী করা হচ্ছে না। বরং ঘুমের মাধ্যমে বিশ্রাম করার পর একটা ক্ষুদ্র অংশ ইবাদত বন্দিগীতে কাটিয়ে দেওয়া।

তাহাজ্জুদ নামায কি ফরয,সুন্নত না নফল?

আল্লাহর বানী হল; “রাতে তাহাজ্জুদ পড়, এটি তোমার জন্য নফল”-(সূরা বনী ইসরাইল:৭৯)

তাহাজ্জুদ নামায ফরয নয়, নফল। নফল মানে ফরযের অতিরিক্ত।  মহান আল্লাহ সূরা বনী ইসরাইল ৭৮ আয়াত-এর মাধ্যমে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়া ফরয করেছেন। কিন্তু দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ কুরআনে যে ষষ্ঠ নামাজটির আদেশ দিয়েছেন তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও বান্দার সুবিধার জন্য তা নফল (অতিরিক্ত) করে দিয়েছেন।

 

তাহাজ্জুদের সময় সীমা কখন বা কতটুকু?

আল্লাহর বানী হলঃ “হে বস্ত্রমুড়ি দিয়ে শয়নকারী! রাতের বেলায় নামায রত থাক। তবে কিছু সময় ছাড়া অর্ধেক রাত কিংবা তার চেয়ে কিছু কম করো, অথবা কিছু বাড়িয়ে নাও”। (সূরা মুয্যাম্মিল : ১-৩)। অন্য আয়াতে বলছেনঃ “হে নবী! তোমার রব জানেন যে, তুমি কোন সময় রাতের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, কোন সময় অর্ধাংশ এবং কোন  সময় এক-তৃতীয়াংশ সময় ইবাদতে দাঁড়িয়ে কাটিয়ে দাও”। (সূরা মুয্যাম্মিল : ২০)

তাহাজ্জুদের সময় কি করব?

এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলছেনঃ “আর কুরআন থেমে থেমে পাঠ করো। আমি অতি শীঘ্র তোমার উপর একটি  গুরুভার বাণী নাযিল করব।” (সূরা মুয্যাম্মিল: ৪-৫)। অন্য একটি আয়াতে তিনি বলছেনঃ “ফযরে কুরআন পড়ার ব্যবস্থা কর। কারণ ফজরের কুরআন পাঠ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে” (সূরা বনী ইসরাইল:৭৮)। এবং আরো একটি আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেনঃ “রাতের বেলায় তার সামনে সিজদায় অবনত হও। রাতের দীর্ঘ সময় তার তাসবীহ অর্থাৎ তার পবিত্রতা বর্ণনা করতে  থাক”। (সূরা দাহর : ২৬)

তাহাজ্জুদের গুরুত্বঃ

আল্লাহ বলছেনঃ “হে বস্ত্রমুড়ি দিয়ে শয়নকারী! রাতের বেলায় নামাযে রত থাক। তবে কিছু সময় ছাড়া অর্ধেক রাত, কিংবা তার চেয়ে কিছু কম করো, অথবা কিছু বাড়িয়ে নাও। আর কুরআন থেমে থেমে পাঠ করো। আমি অতি শীঘ্র তোমার উপর একটি  গুরুভার বাণী নাযিল করব। প্রকৃতপক্ষে রাতের বেলা জেগে উঠা প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি কার্যকর এবং যথাযথভাবে কুরআন পড়ার জন্য উপযুক্ত সময়। দিনের বেলায় তো তোমার অনেক ব্যস্ততা রয়েছে। (তাই রাতের কিছু সময়ে) নিজ প্রভুর নাম স্মরণ করতে থাক। এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারই জন্য হয়ে যাও”। (সূরা মুয্যাম্মিল ১-৮)

এখানে কুরআনকে আল্লাহ গুরুভার বলার কারণ হল, কুরআন  মানুষের কাছে যা দাবী করে তা হচ্ছেঃ

১। তার নির্দেশ অনুসারে কাজ করা,

২। তার শিক্ষার জীবন্ত উদাহরণ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরা,

৩। সারা দুনিয়ার সামনে এর দাওয়াত বা আহ্বান উপস্থাপন করা।

৪। কুরআন অনুসারে আকিদা বিশ্বাস, ধ্যান-ধারনা, নৈতিক-চরিত্র, ও আচার-আচরণ এবং তাহযীব-তামাদ্দুনের সকল কর্মকাণ্ডপরিচালনা করা।

৫। কুরআন অবতরণের পর সেই অনুসারে দায়িত্ব পালনের গুরুত্ত্ব অনেক বেশি। তাই গুরুভার বলা হয়েছে। এই ভার বহন করার বা বরদাশত করার মত শক্তি আমাদের দেহ ও মনে অর্জন করা আবশ্যক। আর এই শক্তি অর্জনের কৌশল হিসাবে রাতের আরামের ঘুম পরিত্যাগ করে নামাযে কুরআন থেমে থেমে পাঠ করা এর মানে বুঝে বুঝে কুরআন পড়ার মাধ্যমে ইবাদত বন্দেগীতে কাটিয়ে দেওয়া।

এই আয়াতসমূহে শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ঃ

১। প্রকৃতপক্ষে রাতের বেলা জেগে উঠা প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি কার্যকর এবং যথাযথভাবে কুরআন পড়ার জন্য উপযুক্ত সময়। এই আয়াত অনুসারে বুঝা যায় যে, রাতের বেলা ইবাদত ও নামাযের জন্য আরামের শয্যা ত্যাগ করা মানুষের স্বভাব বিরুদ্ধ কাজ। কারণ এ সময় মানুষের মন ও প্রবৃত্তি আরাম কামনা করে। তাই এটি এমন একটি কাজ যা প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি কার্যকর এবং দেহ ও মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে সেই শক্তি দিয়ে দ্বীনের দাওয়াতকে বিজয়ী করার জন্য আল্লাহর পথে কাজ করা যায়।

২। এ কাজটি মানুষের হৃদয়-মন ও বক্তব্যের যোগসাজোসে করার উপযুক্ত সময়, কারণ তখন আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে আর কেউ আড়াল থাকে না। তাই মুখের কথা আর অন্তরের কথা এক হয়ে যায়।

৩। এই সময় মানুষের ভিতর ও বাহির এর মধ্যে সঙ্গতি ও মিল সৃষ্টির অতি উত্তম সময়। কারণ যে ব্যক্তি রাতের নির্জন নিথর পরিবেশে আরাম আয়েশ পরিত্যাগ করে ইবাদাত করার জন্য উঠবে সে নিঃসন্দেহে খালেস মনেই এই রূপ করবে। তখন লোক দেখানোর কোন সুযোগ থাকে না।

৪। মানুষের জন্য এ ধরনের ইবাদাত-বন্দেগী যেহেতু দিনের বেলায় ইবাদত-বন্দেগী থেকে অনেক বেশি কার্যকর। তাই তা নিয়মিত করার ফলে মানুষের মধ্যে অনেক বেশি দৃঢ়তা সৃষ্টি হয়, সে অত্যন্ত শক্ত হয়ে আল্লাহর পথে অগ্রসর হতে পারে এবং এই পথের বাধাবিপত্তি ও কঠোরতাসমূহকে সে অটল ও অবিচল থেকে বরদাশত করতে পারে।

৫। এ সময় মানুষ প্রশান্তি, তৃপ্তি ও মনোযোগসহকারে বুঝে কুরআন পড়তে পারে। গভীর চিন্তা-ভাবনা ও মনোনিবেশসহ কুরআন পাঠের জন্য এটা একটা উপযুক্ত সময়।

৬। দিনের বেলায় হাজার কর্মব্যস্ততার জন্য আশানুরূপ মনিবের গোলামি করা হয় না। আর এই ভাবে চলতে  থাকলে মন গাফেল হয়ে যায়। তাই এই সময় মনের চাহিদা বা সমস্ত ভালোবাসা উজার করে আল্লাহকে স্মরণ করা যায়।

৭। এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারই জন্য  হয়ে যাও। এই সময় দুনিয়ার কিছুর কথা চিন্তা না করে সব দায়িত্ব আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে সে প্রভূর একনিষ্ঠ খালেস বান্দা হয়ে যায়। বিপদ মসিবত, মনের অস্থিরতা বা উৎকণ্ঠা বিশ্ব জাহানের মালিক ইলাহী ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব যার হাতে তার কাছে আপনার সব কিছু সোপর্দ করে দিতে পারেন। পৃথিবীর সমস্ত কিছু থেকে মনকে আল্লাহর দিকে করে যখন হাত তুলবেন। তখন আপনার হৃদয় ব্যাকুল হয়ে বার বার বলে উঠবে:  “হে প্রভু! এই  রাত শুধু তোমার আর আমার”।

তাহাজ্জুদ পড়ায় কিছু বাধা ও পরিত্রাণঃ

১। এই সময় মনের  মাঝে কিছু ভয় আসতে পারে। আসলে দেখা যায় বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘেই খায়। আমি যদি সৃষ্টিকর্তাকে ভয় পাই তাহলে সমস্ত সৃষ্টি আমাকে ভয় পাবে। আর কবরে আমাকে একাই থাকতে হবে। এই কথাগুলো স্মরণ করলে, ইনশা-আল্লাহ ভয় দূর হয়ে যাবে ।

২। প্রেসার বা ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা থাকলে ঐ ঔষুধ গুলো ঘুম বারিয়ে ফেলে। কিন্তু কায়মনোবাক্যে আল্লাহর সাহায্য চেয়ে তাহাজ্জুদের নিয়ত করে শয়ন করলে ইনশা-আল্লাহ তিনি সাহায্য করবেন।

৩। অনেকে বলেন, এ সময় কোন আলো জ্বালানো যাবে না! তা ঠিক নয়। অন্যদের অসুবিধা না হলে জ্বালাতে পারেন।

৪। যত তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন ততই সেই সময় সুস্থতা থাকতে পারবেন। একটু পরে উঠব বললে আর উঠা হবে না। কারণ শয়তান আপনার শত্রু। আবার উঠে ফজর পড়ব বললে ফজর কাজা হয়ে যাবে। তার চাইতে ফজর পড়ে নেয়াই উত্তম।

৫। কেউ যদি কোন একদিনও কাযা না করে একাধারে ৪০ (চল্লিশ) রাত্রি পর্যন্ত নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়তে পারেন, তাহলে পরবর্তী সময়ে তাহাজ্জুদ’ই তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিবে ইনশা-আল্লাহ। এটা পরিক্ষীত। মাঝখানে একদিন কাযা হয়ে গেলে পুনরায় একাধারে ৪০ (চল্লিশ) রাত্রি সাধনা করতে হবে।

তাহাজ্জুদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদত, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছাকাছি হওয়া যায়। তাই আসুন আমরা সকলেই আমাদের মহান প্রভুর কাছাকাছি হওয়ার জন্য নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ি, এবং আমাদের নিজস্ব পরিবার-পরিজন ও পার্শ্ববর্তী ভাই-বোনদেরকেও তাহাজ্জুদ পড়তে উদ্বুদ্ধ করি।

দয়াময় প্রতিপালক আমাদের সকল মুমিন নর-নারীকেই তাঁর কাছাকাছি হয়ে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সকলকেই তাহাজ্জুদ পড়ার তাওফীক দান করুন আমিন।

মহান আল্লাহর দরবারে আমাদের প্রার্থনা: হে আমাদের প্রভু! আমাদের অন্তরকে প্রশস্ত করে দিন। আমাদের কাজকে সহজ করে দিন। এবং আমাদের মুখের জড়তা দূর করে দিন। হে আমাদের মুনিব! দুনিয়া ও আখেরাতে আপনিই আমাদের অভিভাবক ও প্রতিপালক। আমাদেরকে প্রকৃত মুসলিম বানিয়ে আপনার প্রিয় বান্দা-বান্দীদের মধ্যে শামিল করে নিন। আমীন

Related Post