Main Menu

মাসায়েল শিক্ষা

মাসায়েল শিক্ষা

মাসায়েল শিক্ষা

সম্মানিত সম্পাদক সাহেব! আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। আমি মাসিক আল-হুদার একজন নিয়মিত পাঠক। আল-হুদা পাঠ করে আমিসহ কুয়েতের বাংলা ভাষা-ভাষী অনেকেই উপকৃত হচ্ছি। বিশেষ করে প্রশ্নোত্তর বিভাগ দ্বারা বেশি উপকৃত হচ্ছি। তাই কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আল-হুদার শরণাপন্ন হলাম। আশা করি প্রশ্নের উত্তরগুলো আল-হুদায় প্রকাশ করে আমাদের উপকার করবেন। আল্লাহ আপনাদের সহায়ক হোন। এবাবের
প্রশ্ন:  ৪। বর্তমানে অধিকাংশ বাসায় টয়লেট ও গোসাল খানা সংযুক্ত করে অর্থাৎ একই রোমে করা হয়। এমতাবস্থায় টয়লেটে ঢুকার আগেই বিসমিল্লাহ ও টয়লেটে প্রবেশের দোয়া পাঠ করে নেব কি না? আর যদি সেখানে অযু করতে চাই, তাহলে অযুর পূর্বের দোয়া টয়লেটে পড়া যাবে কি। বিস্তারিত জানাবেন। আবু আব্দুর রহমান, উমায়রিয়া, কুয়েত
উত্তর: জি টয়লেটে প্রবেশের পূর্বেই বিসমিল্লাহ পড়ে নির্দিষ্ট দোয়া পড়ে নিবেন। জরুরত শেষ করে ইচ্ছা করলে আপনি টয়লেটে অজু করতে পারবেন। তবে অজুর পূর্বের দোয়া উচ্চারণ করে পড়া যাবে না। কেননা টয়লেটে আল্লাহর স্বরণ বা যিকির সমস্ত উলামায়ে কেরাম মাকরূহ বলেছেন। (কুয়েত ফিকাহ বিশ্বকোষ: ২১/২৪৪) তবে মনে মনে দোয়া পড়া যাবে। আর উত্তম হলো অজুর ব্যবস্থা পৃথকভাবে বাইরে করা।

প্রশ্ন: আমাদের দেশে বিভিন্ন মসজিদে জুমুয়ার দিন খতীবগণ খুৎবার পূর্বে ওয়াজ-নসীহত করে থাকেন, ওয়াজ শেষে সাধারণ মুসল্লীদেরকে চার রাকাআত কাবলাল জুমুয়া পড়ার সময় দেন। এ সময় খতীব সাহেবসহ প্রথমে আসা মুসল্লীগণ অপেক্ষা করতে থাকেন, পরে আসা মুসল্লীগণদেরকে সুন্নত পড়ার জন্য। মূলত জুমুয়ার পূর্বে কোন নির্দিষ্ট সুন্নত নামায আছে কি, আর খতীব সাহেবের জন্য পরে আসা মুসল্লীদেরকে এভাবে সময় দেওয়া কতটুকু সহিহ? কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে জানালে উপকৃত হবো। মুহাম্মাদ কাওসার হোসেন, দাহিয়া আব্দুল্লাহ সালেম, কুয়েত
উত্তর: হাদীসগ্রন্থ ও বিভিন্ন ফকীহগণের গবেষণা থেকে যা জানা গেল, তা পাঠকবর্গের সমিপে তুলে ধরা হলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমুয়ার নামাযের পূর্বে আযানের পর কোন নামায পড়েননি। হযরত আয়েশা সিদ্দিকার হুজরা হতে গোসল করে ঘরে কোন নামায না পড়েই সরাসরি মসজিদে চলে আসতেন এবং মিম্বরে চড়ে খুৎবা দিতেন। এমন কি সহিহ হাদীসের আলোকে তাঁর কোন সাহাবীও আযানের পর জুমুয়ার পূর্বে দুখুলুল মসজিদের নামায ছাড়া অন্য কোন নামায পড়েছেন এমন দলীল পাওয়া যায় না।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) ফাতাওয়া মাজমুয়াতে উল্লেখ করেছেন; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমুয়ার নামাযের পূর্বে আযানের পর কোন নামায পড়েননি। এই মর্মে কেউ কোন বাণীও বর্ণনা করেননি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে জুমুয়ার আজান একটাই দেওয়া হতো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে বসলে হযরত বেলাল (রা.) আজান দিতেন, আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু‘টি খুতবা প্রদান করতেন এবং মুসল্লীদের নিয়ে জুমুয়ার নামায পড়তেন। সুতরাং আজান ও জামায়াতের পূর্বে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও কোন সুন্নত পড়েননি আর কোন সাহাবীও সুন্নত পড়ার সুযোগ পাননি।
ইবনুল কায়্যিম (রহ.) যাদুল মায়াদ গ্রন্থে বলেছেন; আর যারা মনে করেন যে, বেলাল (রা.) আজান থেকে ফারেগ হওয়ার পর দুই রাকাত নামায পড়েছেন, তারা রাসূলের সুন্নত সম্পর্কে অজ্ঞ। উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে এ কথাই প্রতিয়মান হলো যে, জুমুয়ার নামাযের পূর্বে কোন সুন্নত নামায নেই। সুতরাং জুমুয়ার পূর্বে দুই রাকাআত কিংবা চার রাকাআত কাবলাল জুমুয়াহ হিসেবে সুন্নত পড়া ঠিক হবে না। তবে সাধারণ কিংবা নফল হিসেবে খুৎবার আগ পর্যন্ত যতক্ষণ ইচ্ছা যত রাকাআত ইচ্ছা পড়াতে কোন সমস্যা নেই। এই মর্মে হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমুয়ার দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালরূপে পবিত্রতা অর্জন করে ও নিজের তেল থেকে ব্যবহার করে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে এরপর বের হয় এবং দু’জন লোকের মাঝে ফাঁক না করে, তারপর তার তিনি যতটুকু সময় পান সালাত (নামায) আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে, তা হলে তার সে জুমুয়াহ থেকে আরেক জুমুয়াহ পর্যন্ত সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারী)
বর্তমানের খতীবগণ যা বলে আসছেন, আপনারা কাবলাল জুমুয়াহ চার রাকাআত নামায পড়ে নিন, এই সময় খতীবসহ পূর্বে আসা সমস্ত মুসল্লী পরে আসা লোকদের জন্য কমপক্ষে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। এমন অপেক্ষা করার কথা কি কোন হাদীসে বর্ণিত আছে? এমন কাজকে বিদয়াত বললে কি কোন ভুল হবে? এই মর্মে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন কিছুই অবতীর্ণ হয়নি। এভাবে সকলে অপেক্ষা করে তাদেরকে সময় দিলে, তারা সারা জীবন পেছনেই পরে থাকবে। আর যদি সময় না দেওয়া হয়, তাহলে তারা দ্রুত আসার চেষ্টা করবেন। তাদেরকে প্রজ্ঞা ও সুন্দর ওয়াজ নসীহতের মাধ্যমে বুঝাতে হবে, যেন সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।
আর হ্যাঁ কেউ যদি খতীব সাহেব মিম্বরে উঠার পূর্বে মসজিদে প্রবেশ করেন, তবে তিনি খতীব সাহেব মিম্বরে আরোহন করা পর্যন্ত যত রাকাআত ইচ্ছা নফল পড়তে পারবেন। খতীব সাহেব মিম্বরে আরোহন করলেই নামায পড়া বন্ধ করে দিয়ে খুতবা শুনার জন্য বসে যাবেন।
তবে হ্যাঁ বাদাল জুমুয়া বা জুমুয়ার পরে চার রাকাআত অথবা দুই রাকাআত পড়ার কথা হাদীসে পাওয়া যায়।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত; রাসূল (সা.) বলেছেন; যে ব্যক্তি জুমুয়ার পরে সুন্নাত পড়তে চান সে যেন চার রাকাআত পড়েন। (আবু দাউদ: ১০০১)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) জুমুয়ার পরে নিজ ঘৃহে দুই রাকাআত নামায পড়েছেন। (আবু দাউদ ১০০২)
হাদীসদ্বয়ের আলোকে ইবনু তাইমিয়া (রহ.) বলেন: জুমুয়ার পরে মসজিদে সুন্নাত পড়লে চার রাকাআত পড়তে হবে আর ঘরে দুই রাকাআত আদায় করলেও চলবে।
উপরের আলোচনা থেকে বোঝা গেল, যে কাবলাল জুমুয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সুন্নাত নামায নেই। তবে বাদাল জুমুয়া মসজিদে পড়লে চার রাকাআত আর বাসায় পড়লে দুই রাকাআত পড়তে হবে।। আর যদি খুৎবার আযানের পূর্বে মসজিদে যায়, তখন সে যত রাকাআত ইচ্ছা পড়তে পারবে। চার রাকাআতই পড়তে হবে, এর কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
আর যদি কেউ যদি খুৎবা চলছে এমন সময় মসজিদে প্রবেশ করেন, তখন তিনি মসজিদের সম্মানার্থে দুই রাকাআত তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ে বসবেন। কেননা হযরত জাবের (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসূল (রা.) জুমুয়ার খুৎবা দিচ্ছিলেন, এমন সময় এক লোক (সুলাইক গাতফানী) মসজিদে প্রবেশ করে খুৎবা শোনার জন্য বসে গেলেন। তখন রাসূল (সা.) তাকে বললেন, তুমি কি প্রবেশ করে নামায পড়েছ? হযরত সুলাইক (রা.) জবাব দিলো, না। রাসূল (সা.) বললেন, তুমি দাড়াও এবং দুই রাকাআত নামায পড়। (বুখারী ও মুসলিমসহ সবগুলো হাদীসটি গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে)

প্রশ্ন: জুমুআর নামাজ ও দুই ঈদের নামায জামায়াতের সহিত  মহিলাদের পড়া যায়েজ আছে কি? বিষয়টি দলিলের মাধ্যমে বুঝিয়ে বলবেন। মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ
উত্তর: জুমুআর নামায আযাদ মুকীম পুরুষের জন্য বাধ্যতা মূলক পড়তে হয়। মুসাফির ও মহিলাদের উপর এটি বাধ্যতামূলক নয়। তবুুও যদি কোন মুসাফির কিংবা মহিলা মুকীম পুরুষদের সঙ্গে জুমুআর নামায পড়ে, তাহলে তার উপর হতে জহুরের নামাযের যিম্মাদারী আদায় হবে যাবে। যেমনটি রাসূল (সা.)এর যুগে কোন কোন মহিলা পড়েছিলেন। মহিলাগণ বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সুগন্ধি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। রাসূল (সা.) কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন, যে মহিলাগণ যেন সুগন্ধি ব্যবহার করে বাড়ির বাইরে না যায়।
আর মহিলাদের জন্যও ঈদের নামাযের জামায়াতে শরীক হওয়া সুন্নাত। কেননা বুখারী ও মুসলিম ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, উম্মে আতিয়্যা (রা.) বলেন, আমাদেরকে রাসূল (সা.) নির্দেশ দিতেন, যে আমাদের কিশোরী ও যুবতী ও সকল নারীরা যেন ঈদের নামাযের জন্য বের হই। ঋতুবতী নারী মুসলিমদের মুসল্লা হতে দূরে বসে থাকবে। এই হাদীস থেকে বোঝা গেল যে মহিলাদের জন্যও ঈদের নামায পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। তবে শর্ত হলো: তারা যেন পর্দা বজায় রাখে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা হতে বিরত থাকে। রাসূল (সা.) বলেছেন: আল্লাহর বান্দীদেরকে মসজিদে প্রবেশ করা হতে নিষেধ করো না। তবে বের হওয়ার সময় যেন সুগন্ধি পরিহার করে চলে। (আবু দাউদ)
প্রশ্ন: নামাযের ভিতরে ও বাইরে কোন কোন জায়গায় মোনাজাত করা যায়েজ আছে? মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ
উত্তর: নামাযের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দোয়া করা যায়: যথা

১। তাকবীরে তাহরীমার পরে: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূল (সা.) তাকবীরে তাহরীমার পরে কেরাত শুরু করার পূর্বে একটু চুপ থাকতেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার প্রতি উৎসর্গ হোক। আপনি তাকবীরে তাহরীমা ও কেরাতের মাঝে কি পড়েন? তখন রাসূল (সা.) বললেন; আমি এই দোয়া বলি: “হে আল্লাহ! তুমি আমার ও আমার গোনাহসমূহের মাঝে এমন ব্যবধান সৃষ্টি করো, যেমন ব্যবধান সৃষ্টি করেছো পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে পাপ মুক্ত করে এমন পরিষ্কার করে দাও, যেমন সাদা কাপড় ধৌত করলে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ! তুমি আমার পাপসমূহ পানি, বরফ, শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও।” (বুখারী ও মুসলিম)
২। সূরা ফাতেহার মাধ্যমে দোয়া করা: এ হাদীসটিও হযরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে: যে সূরা ফাতেহার বান্দা ও আল্লাহর মাঝে ভাগ করা হয়েছে। আর বান্দা যে দোয়া করবে, তাকে তা-ই দেওয়া হবে। (তিরমিযী, নাসাঈ, ও মুসনাদে আহমদ) এই হাদীস দ্বারাও বোঝা গেল, সূরা ফাতেহাটিও একটি দোয়া।
৩। কেরাতের সময় আয়াতে রহমত পড়ার সময় দোয়া করা এবং আযাবের আয়াত পড়ার সময় পানাহ চাওয়া: হযরতে আওফ ইবনে মালেক আল আশযাঈ (রা.) সূত্রে বর্ণিত: তিনি বলেন; একদা আমি রাসূল (সা.)-এর সঙ্গে রাতের নামাযে শরীক হলাম, রাসূল (সা.) সূরা বাকারা তেলাওয়াত করলেন, এবং প্রত্যেকটি রহমতের আয়াতে স্থানে থেমে দোয়া করলেন, এবং আযাবের আয়াতে স্থানে থেমে আশ্রয় কামনা করলেন। (হাদীসটি সংক্ষিপ্ত করা হলো) (আবুু দাউদ ও নাসাঈ)
৪। রুকুতে থেকেও দোয়া করা যাবে: হযরত আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত: রাসূল (সা.)  রুকু ও সেজদা অবস্থায় এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন। অর্থ: হে আল্লাহ! হে আমাদের প্রভু! তোমার পূত পবিত্রতা ঘোষণা করি, তোমার প্রশংসা করি, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করো। (বুখারী ও মুসলিম)
৫। রুকুর পরে দাঁড়িয়ে দোয়া করা: অর্থাৎ দোয়ায়ে কুনুত পড়া। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) সূত্রে বর্ণিত; রাসূল (সা.) একমাস পর্যন্ত ফজরের নামাযে রুকুর পরে দোয়ায়ে কুনুত পড়েছেন। (বুখারী ও মুসলিম)
৬। সেজদাবস্থায় দোয়া করা: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত: রাসূল (সা.) বলেছেন: সিজদা অবস্থায় বান্দা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয়। সুতরাং তোমরা সেজদায় বেশি করে দোয়া করো। (মুসলিম)
৭। দুই সিজদার মাঝখানে দোয়া: হযরত হুযায়ফা (রা.) সূত্রে বর্ণিত: রাসূল (সা.) দুই সেজদার মধ্যখানে বলতেন; হে প্রভু! ক্ষমা করো, হে প্রভু! ক্ষমা করো। (ইবনে মাযাহ; হাদীসটি আলবানী সহিহ বলেছেন)
৮। তাশাহহুদের পরে দোয়া: : হযরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন: যখন কেউ তাশাহহুদ পড়ে তখন যেন সে চারটি বস্তু হতে আশ্রয় চায়: ১) জাহান্নামের আযাব হতে, ২) কবরের আযাব হতে, ৩) জীবিত ও মৃতের ফিতনা হতে, ৪) দাজ্জালের ফিতনা হতে।
আর নামাযের বাইরে যেমন আযানের পরে, জুমুয়ার দিন ইমাম সাহেব মিম্বরে চড়ার পর থেকে নামায শেষ করা পর্যন্ত এভাবে আসরের নামাযের পরে দোয়া করা যাবে। এ ছাড়াও যে কোন সময় দোয়া করা যাবে। এটি নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। এক কথায় বন্দা সর্বদা আল্লাহর নিকট নিজের প্রয়োজনের কথা বলে দোয়া করবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

Related Post