আমাদের দেশে নাম রাখার ব্যাপারে রেওয়াজ আছে যে, আসল নামটা আরবিতে রাখা হয়। আরডাকার জন্য আলাদা নাম বাছাই করে। ডাক নামের কোনো অর্থের প্রয়োজন বোধ করা হয় না।বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, ফারসি শব্দ ছাড়াও অর্থহীন বহু শব্দ ডাক নাম হিসেবে ব্যবহারকরা হয়। ডাক নাম এমন যে, তা থেকে ছেলেটি মুসলমান কি না বুঝার উপায় নেই। ছোট বয়সেরসব ছেলেকেই আমভাবেই খোকা বলা হয়। কিন্তু এটা যদি ডাক নাম হয় তাহলে বাবা বা দাদারবয়সেও খোকা বলেই ডাকতে হয়।
ভালো নাম রাখা বাবা-মায়ের একটি পবিত্র দায়িত্ব।অর্থহীন বা মন্দ অর্থবোধক নাম রাখা মোটেই শোভনীয় নয়। আমাদের দেশে আরবিতে এমন সবনামও রাখা হয়, যার কোনো অর্থই হয় না। কুরআন থেকে শব্দ নিয়ে নাম রাখার রেওয়াজ আছে, তাই বলে কুরআনের যেকোনো শব্দই নাম হিসেবে গ্রহণ করা চলে না।কুরআনে জুলমাত শব্দআছে। এর মানে অন্ধকার। জুলমত আলী নামও রাখা হয় এ রকম আরো অনেক নাম রাখা হয় যার অর্থঅনেক মন্দ।
ভালো নামে ডাকা সুন্নত : রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, মুমিনের হক অপরমুমিনের ওপর এই যে, তাকে অধিক পছন্দনীয় নাম ও পদবিসহকারে ডাকবে। এ কারণেই আরবে ডাকনামের প্রচলন ছিল। রাসূলুল্লাহ সা:-ও তা পছন্দ করেছিলেন। তিনি বিশেষ সাহাবিকে কিছুপদবি দিয়েছিলেনহজরত আবু বকর সিদ্দিক রা:-কে আতীক, হজরত ওমর রা:-কে ফারুক, হজরতহামযা রা:-কে আসাদুল্লাহ এবং খালেদ ইবনে ওলীদ রা:-কে সাইফুল্লাহ পদবি দান করেছিলেন।রাসূল সা: আরো বলেন, সবচেয়ে ভালো নাম আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান।
মন্দ নামে ডাকাগোনাহ : সূরা হুজরাতে এগার নম্বর আয়াতে বলা হয়েছেমুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকেউপহাস না করে। কেননা সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। কেননা সে উপহাসকারীঅপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরেরমন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাকে মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেনকাজ থেকে তওবা না করে তারাই জালেম।
(সমাপ্ত)