অনেকগুলো বিষয়ের মাধ্যমে ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব প্রকাশ পায়, তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল:
১- আমাদের জীবনে সর্বাধিক প্রয়োজনীয় ও গু
রুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আক্বীদাহ্। কেননা, অন্তর যদি তার সৃষ্টিকর্তা মহান রব্বুল আ’লামীনের ইবাদাত না করে তবে তা সুখ, শান্তি ও নিয়ামত পাবে না।
২- ইসলামী আক্বীদাহ্ সব চেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ফরয। এ জন্য কেউ ইসলাম গ্রহণ করতে চাইলে তার নিকটে সর্বপ্রথম ইসলামী আক্বীদার স্বীকারোক্তি চাওয়া হয়। যেমন আল্লাহর রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
أمرت أن أقاتل الناس حتى يشهدوا أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله
অর্থ: মানুষ যতক্ষন “আল্লাহ্ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল” এ কথার সাক্ষ্য না দিবে আমি ততক্ষন তাদের সাথে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। বুখারী ও মুসলিম।
৩- ইসলামী আক্বীদাই একমাত্র আক্বীদাহ্ যা নিরাপত্তা, শান্তি, সুখ এবং আনন্দ কায়েম করে। আল্লাহ্ বলেন:
بَلَى مَنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَلَهُ أَجْرُهُ عِنْدَ رَبِّهِ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ﴾ [البقرة : 112
অর্থ: হাঁ, যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সমর্পণ করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও বটে তার জন্য তার পালনকর্তার কাছে পুরস্কার রয়েছে। তাদের ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। সূরাহ্ বাক্বারাহ্ ১১২। ইসলামী আক্বীদাই কেবল সুস্থতা ও সুখ-সমৃদ্ধি প্রতিা করতে পারে। আল্লাহ্ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) বলেন:
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ الأعراف : 96
অর্থ: আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাক্বওয়া (পরহেযগারী) অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানী ও পার্থিব নিয়ামতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম। সূরাহ্ আল আরাফ আয়াত ৯৬।
৪- ইসলামী আক্বীদাই পৃথিবীতে ক্ষমতা লাভ এবং ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্টার মাধ্যম। আল্লাহ্ (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) বলেন:
وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُورِ مِنْ بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ الأنبياء : 105
অর্থ: আমি উপদেশের পর যাবুরে লিখে দিয়েছি যে, আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাগণ অবশেষে পৃথিবীর অধিকারী হবে। সূরাহ্ আল আম্বিয়া আয়াত ১০৫।
আল্লাহর প্রতি ঈমান:
আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার অর্থ: আল্লাহর অস্তিত্বকে নিশ্চিত ও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। প্রভুত্ব, ইবাদাত এবং নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে আল্লাহর একত্ববাদকে স্বীকার করা। আল্লাহর প্রতি ঈমান চারটি বিষয়কে শামিল করে:
১- আল্লাহর অস্তিত্ব নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করা।
২- আল্লাহর প্রভুত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা।
৩- আল্লাহই একমাত্র সত্য ইলাহ্ ও ইবাদাতের যোগ্য এ বিশ্বাস রাখা।
৪- আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর উপর বিশ্বাসরাখা।
এ চারটি বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ্। (চলবে)