ফিওনা থোমাস। একালের ফরিহা থোমাস। প্রায় চল্লিশোর্ধ অনিন্দ সুন্দরী ইংরেজ মহিলা। পেশায় একজন সোস্যাল ওয়ার্কার। বাবা-মা’সহ তাঁর পূর্ব পুরুষরা এই ব্রিটেনেরই বাসিন্দা, শত শত বৎসর ধরে এখানে বসবাস করে আসছেন তাঁরা। মোট কথা, তাঁরা মূল ধারার ইংরেজ। তাঁর জন্ম, লেখা-পড়া, বেড়ে ওঠা, সব এই ভূখন্ডেই। তাঁর শৈশব কৈশোর, বেড়ে ওঠা, তারুণ্য, যৌবন, তাঁর পড়া শোনা, চাকুরী এবং নিবাস সব এখানেই! আর দশ জন মূল ধারার ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ছেলে মেয়ের মতই তাঁর জীবন কেটেছে! আলাদা তেমন কোন বৈশিষ্ট্য ছিলনা!
কিন্তু এখন তিনি আলাদা। আর দশ জন ব্রিটিশ নারী পুরুষ হতে একেবারে আলাদা। অতি সম্প্রতি তিনি মুসলমান হয়েছেন। অতি সম্প্রতিই বা বলি কেন! বেশ কয়েক বৎসর হয়ে গেল। এক মুসলিম বান্ধবীর সাথে আলাপ ছিল। তাঁকে কাছে থেকে দেখেছেন, তাঁর কাছ থেকেই প্রথম ইসলামের প্রত্যক্ষ রূপ দেখেন! তাঁর কাছেই একজন মুসলমানের জীবনাচার প্রথম দেখেন। এভাবেই ইসলামের সাথে তাঁর পরিচয়। এর পরেও কিন্তু তিনি পরিবর্তিত হননি।
একদিন ট্রেনে করে স্কটল্যান্ডে যাচ্ছিলেন আর দশ জন প্যাসেঞ্জারের মতই। জানালা দিয়ে চলতি ট্রেন থেকে বাইরের দুনিয়ার সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। বড়ই মনোহরী দৃশ্য। নানা রকম গাছ পালা, সবুজ মাঠ, খোলা প্রান্তর! কী অনুপম সুন্দর, কী মনোহরই না আমাদের এই বিশ্বটা! আচ্ছা, এই সব যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কী কেবলমাত্র খেলাচ্ছলেই তা সৃষ্টি করেছেন?
এখানে কথার মাঝখানে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল। সুধী পাঠকের কাছে নাম পরিচয় গোপন করেই বাংলাদেশের একটি প্রখ্যাত সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক, যাঁর পুরো দেশ জুড়েই নাম ডাক আছে একজন প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবি বলে, তাকে কেন্দ্র করে একটি ঘটনা উল্লেখ করতে চাই! চাই এই জন্য যে, আজকাল আমাদের দেশে এরকম একই মানসিকতা সম্পন্ন লোকের অভাবতো নেই-ই বরং এদের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে!
যাহোক উক্ত সাংবাদিক, সম্পাদক, বুদ্ধিজীবি আগামি দিনের জন্য কিছু যুবক যুবতিকে নিজের উদ্যোগেই সাংবাদিকতা শেখান তাঁর কার্যালয়ে। এরকম একটি ক্লাস শেষে তাঁর অফিস হতে ছেলে মেয়েরা নেমে আসছিলেন, সিঁড়ির দু’ধারে সাঁজানো টবে খুব সুন্দর ফুল ফুটে আছে। পরিপাটি করে সাঁজানো টবে, ফুলের গাছে, যতেœর একটা লক্ষণ সুষ্পষ্ট। জনৈকা ছাত্রী তার প্রশংসা করলে সবার পেছনে সিঁড়ির মাথায় দন্ডায়মান পৌঢ় সম্পদক মহাশয় তার সেই ছাত্রীকে লক্ষ্য করে বলে উঠলেন;
‘তা হলে সুবহানাল্লাহ বলো, সুবহানাল্লাহ বলো’
ছাত্রিটি স্যারের মন মানসিকতা বুঝে উঠতে না পেরে সত্যিই সত্যিই ‘সুবহানাল্লাহ্’ বলে উঠলে তিনি তার জবাবে একটা বিদ্রƒপের হাসি হেসে বললেন;
‘শোন, এখানে তোমাদের ঐ আল্লাহ্ মিঞাঁর কোন কেরামতি নেই বুঝলে! এই ফুল গাছ তোমাদের এই স্যার তার টাকা দিয়ে কিনেছেন এবং মালী’সহ এই স্যারেরই অতি যতœ এবং পরিচর্যার ফলেই অত সুন্দর ফুল তোমরা দেখতে পাচ্ছ!’
বুঝুন তা হলে বুদ্ধিজীবির বুদ্ধির দৌড়!
যাহোক রাস্তার দুধারে মাঠ ভর্তি গাছ পালা বাগান, মাঠের পর মাঠ, ঐ দূর আকাশ ভরা নীল! আর তারই মাঝে ভেঁসে চলা পাঁজা পাঁজা সাদা শুভ্র মেঘ! মাথার উপরে প্রোজ্জলিত সূর্য! এসবের দিকে দেখেন আর ফারিহা ভেবে চলেন, এ সবের সৃষ্টি আর তা আমাদের জন্য এভাবে সুন্দর পরিপাটি করে উপস্থাপন করা, আমাদেরকে তা উপভোগ করতে দেয়া, এসবকে আমাদের উপযোগি করে তৈরী করা, এসবের উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রণ দেয়া, এতসব অনুগ্রহ! এসব কি তাহলে একেবারে বিনা উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে? এর কি কোন কার্যকারণ নেই? যুক্তি কি তাই বলে? না, তা মেনে নিতে চায়?
দারুণভাবে ভাবিয়ে চলে তাঁকে। তিনিতো তাঁর মুসলিম বান্ধবীর কাছেই জেনেছেন যে, এই বিশ্বের কোন কিছুই নাকি খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করা হয়নি। এটাই নাকি ইসলামের কথা, আল কুরআনের কথা, অর্থাৎ আল্লাহ্র কথা। ইসলাম বা কুরআন বা আল্লাহ, যাই বলিনা কেন, ওসব তো একই পরম্পরায় গাঁথা। এসবর কথা আর যুক্তির সাধারণ, স্বতঃসিদ্ধ উপলব্ধি! কেমন যেন অস্বাভাবিকভাবে মিলে যায় যে!
চলতি পথে এই উপলব্ধি তাঁকে খুব করে ভাবায়। এক অলস মুহূর্তে মনের কোণে উদিত এই ভাবনা সারাক্ষণ তাঁর চিন্তা, চেতনা, আর ভাবনার জগতকে আচ্ছাদিত করে রাখে! বার বার তাঁকে ভাবাতেই থাকে! তিনি কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেন না। কেন যেন তার মনে এই চিন্তার, এই প্রশ্নের একটি স্থির ও চূড়ান্ত জবাব জানার আগ্রহ ব্যগ্রতা মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠছে। তাঁর সকল কাজ কর্মই কেবল নয়, তাঁর প্রতিদিনের জীবন, কর্মকাণ্ডকেও তা প্রভাবিত করে যাচ্ছে।
এখান থেকেই তিনি ইসলামকে আরও বেশি করে জানার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। তিনি তাঁর মুসলিম বান্ধবী, সহকর্মীদের আরও গভীর ও পর্যবেক্ষণের দৃষ্টিতে দেখার পাশাপাশি তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজ কর্মকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে থাকেন, নিজের মনেই তার জবাব খুঁজতে থাকেন! যুক্তি আর বিবেকের সাথে তার ব্যাখ্যা মেলাতে থাকেন।
এক পর্যায়ে এসে তিনি এ কথার স্বাক্ষ্য দেন যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই, এবং বাস্তবিকই মুহাম্মদ (সা.) তাঁর প্রেরিত নবী ও রাসূল। আলহামদুলিল্লাহ, তিনি এখন পুরোমাত্রায় মুসলমান! এর পরেই তিনি তাঁর নাম বদলে রেখেছেন ফারিহা থোমাস!
ফরিহার সাথে আমার পরিচয় তাঁর মা’র মাধ্যমে। প্রায় সত্তোরর্ধা তাঁর মা’র সাথে কোন এক সুবাদে আমার পরিচয়, জানাজানি। প্রায়ই এই বৃদ্ধার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়। একদিন মা’র সাথেই ফারিহা এসে হাজির আমার অফিসে। সেখানেই তাঁর সাথে আমার পরিচয় এবং প্রাথমিক আলাপ, প্রথম সাক্ষাৎ, যদিও ইতিমধ্যেই তাঁর সাথে ই-মেইলে একবার যোগাযোগে হয়েছিল।
সেদিন তিনি কিছুক্ষণ ছিলেন মাত্র! ফারিহা স্কটল্যাণ্ডে বসবাস করেন, সেখানেই চলে গেলেন। বেশ ক‘মাস পরে তাঁর মা’র মাধ্যমেই আমাকে একটি পত্রিকা পাঠিয়েছেন।
‘নিউ ভয়েস’ নামে স্কটল্যাণ্ড থেকে প্রকাশিত পত্রিকা পড়েই জানলাম তাঁকে আরও বেশি! তিনি সেদিন সাক্ষাতে নিজের যে পরিচয় আমার কাছে তুলে ধরেন নি, তাঁর সেই পরিচয়ই পেলাম তাঁরই পাঠানো পত্রিকার মাধ্যমে। এর পর থেকেই তাঁর প্রতি মনটা আমার শ্রদ্ধা আর ভক্তিতে ভরে গেছে! কিন্তু তার পাশাপাশি আমার এবং আমাদের বৃহত্তর মুসলিম কমিউনিটির দুঃখজনক নিস্পৃহতার কথা মনে পড়ে নিজের কাছে নিজেই লজ্জা আর ক্ষোভে কুঁকড়ে যেতে ইচ্ছা করছে!
নও মুসলিম ফারিহা যে উম্মাহর নতুন সদস্যা হয়েছেন, অর্থাৎ মুসলিম কমিউনিটির প্রতি তাঁরও যে একটা দায়িত্ব আছে, সে কথা মাত্র কয়েকদিনেই উপলব্ধি করেছেন বা করতে পেরেছেন! তিনি স্কটল্যাণ্ডে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন, যার নাম হলো ‘আমিনা’।
সংস্থাটি একটি চ্যারিটি সংস্থা। মুসলমান মহিলাদের উন্নয়ন এবং মেইন ষ্ট্রিম ব্রিটিশ সোসাইটির সাথে তাঁদের আরও ভালো করে জানাজানি, উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে গণসংযোগ ও যোগাযোগ, সহযোগিতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। এসাইলুম সিকার, বিপদাপন্না নারী, তা মুসলিম অমুসলিম যেই হোক না কেন, তাদের সব রকম আইনি, বৈষয়িক এবং নৈতিক সহযোগিতা যেমন প্রদান করে, তেমনি এ সংগঠনটি বর্ণবাদ, ধর্ম বিদ্বেষ ভিত্তিক অপরাধ মোকাবেলাতেও ভূমিকা রাখছে এরই মাধ্যমে। কঠোর আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্না নওমুসলিম ফারিহা’র ভাষায়
‘রাস্তায় একজন হিজাব পরিহিতা মহিলা দেখে, মুসলমান হিসেবে চিনতে পেরে তাকে কটুক্তি করে পার পেয়ে যাবে, তা হতে দেয়া যাবে না! এটা কি আমার দেশ নয়? আমি কি এই দেশ জন্মাইনি? এ দেশে কি আমি উড়ে এসে বসেছি যে আমি তাদের দেখে ভয় করে চলব?
ফারিহার কাজের বিবরণ দেবার জন্য মূলত এই লেখার অবতারণা করিনি! কিন্তু তবুও আমার এই লেখায় তাঁর কথা এসে গেল কারণ, আমি তাঁর এই কর্মকাণ্ডকে সামনে রেখেই আমাদের নিজেদের বিশ্লেষণ করব।
আমরা আমাদের মুসলিম কমিউনিটিতে নারী, পুরুষ বা তরুণ, তরুণী, যুবক, যুবতীদের যে সমস্যাগুলো আছে তার কোনটি সম্বন্ধে অবহিত নই? আমাদের নারীদের মধ্যে অশিক্ষা, তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব, স্থানীয় আইন কানুন না জানার সমস্যা আছে, তা কি আমরা জানিনা ?
আমাদের ছেলে মেয়েরা ড্রাগ্সের মরণ ছোবলে তাদের জীবন বরবাদ করে দিচ্ছে, তা কি আমরা জানিনা? আমাদের ভাই-ব্রাদার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা বেকারত্বের অভিশাপে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, তা কি আমরা জানিনা?
আমাদের সমাজে স্বামীর হাতে স্ত্রী, ভাই এর হাতে বোন, ছেলের হাতে মা-বাবা নিগৃত হচ্ছে, তাওতো আমরা জানি! কই এর পরেও তো আমরা আমাদের মনে কোন রকম দায়িত্ববোধ অনুভব করলাম না! এর পরেও তো আমরা এই সব সমস্যা সমাধানের জন্য কোন পদক্ষেপই নিলাম না, চিন্তা ভাবনা করলাম না!
আমাদের সন্তানেরা ঘরের বাইরে পা দিয়েই নানা ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে অহরহ! প্রতিদিনই তারা খবরের কাগজে নানান লজ্জাজনক শিরোনামের উপলক্ষ হচ্ছে। কই, আমরা কেউই তো তাদের পথ দেখানো, তাদের মন মনাসিকতার উপযোগি খোরাক জোগানোর কথা ভাবলামও না, আমাদের সে চিন্তাা আছে বলে তো মনেও হয়না! অথবা এমন কথা যদি বলি যে, আমরা বোধ হয় জানি-ই না যে আমাদের সন্তানেরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে!
আমরা বোধ হয় ভালো-মন্দের মানদণ্ডটুকুও ভুলে গিয়েছি! কই আমাদের কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ তো কোনদিনও এ ব্যাপারে একটিও কার্যকর পদক্ষেপ নিলেন না! এর বিপরীতে তাই আজ যখন দেখি সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শ ভিত্তিক এক সমাজ হতে উঠে আসা এক বোন তাঁর সীমিত সামর্থ নিয়ে একাই মাঠে নেমে পড়েন! তখন আমরা লজ্জা পাই!
লজ্জা পাই আমাদের নিজেদের নিষ্পৃহতা, অজ্ঞতা, আমাদের অকর্মন্যতা আর আলসতা দেখে! প্রশ্ন জাগে, তাঁর মত, অর্থাৎ নওমুসলিম ফারিহা থোমাসের মত করে কি এই আমরা, পারবিারিক পরিবেশে মুসলমান হিসেবে বেড়ে ওঠা মুসলমানরা, ইসলামের মানবিক ও সামাজিক দিকটাকে উপলব্ধি করতে পেরেছি ?
আজ যখন আমরা প্রতিদিন ঘটা করে আমাদের স্বামী, সন্তান, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, নিয়ে দেশে, বিদেশে, আনাচে, কানাচে দর্শনীয় স্থান, প্রকৃতির মনোহরী রূপ দেখতে যাই, প্রতিদিনই যখন আমাদের আশেপাশে প্রকৃতির কত রকম বিষ্ময়কর সৃষ্টি দেখি, কৈ তখন একবারও কি আমাদের মনে হয়েছে যে, আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন এই সব খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করেননি ?
একবারও কি আমােেদর মনে সেই রকম চিন্তা আর চেতনা উদ্রেক হয়েছে, যে রকম চিন্তা আর চেতনা একজন ফিওনার মনে উদিত হয়েছিল? আমাদের মনে, আমাদের বিশ্বাসে কি সেই পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে যে রকম বা যে ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছেল একজন ফিওনার মনে? আমাদেরকে কি প্রতিদিনকার নিত্য দেখা আমাদের চারিপাশ, আমাদের এই পরিচিত বিশ্ব আমাদের অন্তর্চক্ষু উন্মোচিত করে তুলতে পেরেছে, যে ভাবে তা করেছে একজন ফিওনার ক্ষেত্রে?
অথচ ফিওনা জানতেন না, কিন্তু আমরা, এই মুসলমানরা, মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া এবং মুসলিম বাবা মা’র সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠার কারণে, ইসলামি কালচারের সাথে মিলেমিশে বেড়ে ওঠার কারণে জানি যে, আল কুরআনে আল্লাহ পাক স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তিনি এই বিশ্বকে কেবলমাত্র খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করেন নি।’ (সূরা আলে ইমরান: ১৯১)
ফিওনা থোমাস এই বিশাল বিশ্বের আনাচে কানাচে চোখ দিয়ে, তাঁর অনুসন্ধিৎষু মনের বিশ্লেষণেই বুঝতে পারেন, এই বিশ্ব আল্লাহ পাক খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করেননি, এই উপলব্ধিতেই তিনি হয়ে যান ফারিহা থোমাস! তখন আমরা এই মুসলমানরা লজ্জা পাই, লজ্জা পাই আমাদের অন্তরের বন্ধাত্ব দেখে!
হায়, আমরা যারা মুসলমান, তাদের কি এখনও অন্তর্চক্ষু খুলবে না? আমরা কি এখন নিষ্ঠা আর পূর্ণ উপলব্ধির সাথে বলে উঠতে পারবনা
‘রাব্বানা মা খালাকতা হাজা বাতিলা’
বোধদয়ের ক্ষেত্রে নও মুসলিম ফারিহা’রা আমাদের চেয়ে অনেক অনেক এগিয়ে!