মুসলিম এমন একটি জাতি, যাদের জনসাধারণ ও নেতৃবৃন্দ সকলেই মহাগ্রন্থ আল কুরআনের নির্দেশ ও হাদীসে রাসূল (সা:) এর আলোকে জীবন চালাতে ব্যর্থ হলে, তাঁদের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে। কারণ পবিত্র কুরআন ও হাদীসের বিধি নিষেধ ও আদর্শের সাথে আমাদের ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবন এত গভীরভাবে জড়িত যে, কোন একটি দিক পরিহার করে চলতে চাইলে, একজন পূর্ণ মুসলিম হিসেবে গণ্য হওয়া সম্ভব নয়।
আর যারা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়ে এবং মুসলমান নাম ধারণ করেও পূর্ণ মুসলিম নয়-পরিপূর্ণ ঈমানদার নয়, তাদের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে কয়েকটি বিশেষণ বিদ্যমান থাকে-
(১) ওদের অন্তরে নিফাকী ও গাদ্দারী থাকে খুব বেশি। সুতরাং তারা ইসলাম ও মুসলিম জাতির কোন উপকার করতে পারেনা। বরং অপূরণীয় ক্ষতিই করে থাকে তারা। আর অন্য জাতি প্রীতিতে তাদের অন্তর আচ্ছন্ন থাকে এবং তাদেরই এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে।
(২) ওদের লোভ লালসা ও স্বার্থবাদিতা এতো বেশি যে, জাতীয় সম্পদকে তারা নিজস্ব সম্পদ হিসেবেই ভোগ করতে চায়।
(৩) তারা এতো নিচু মনা, অত্মসম্মানবোধহীন ও ওনির্লজ্জ হয় যে, জাতির একটি নগন্য সদস্যও তা মেনে নিতে পারেনা। তারা নেতা-নেত্রী হলে নিজ জাতির কাছে একটি পাষাণ জালিম রূপ ধারণ করেই থাকে।
– একদিন জনৈক ফয়জুর রহমান সাহেব জমী সংক্রান্ত বিষয়ে তার থানায় গেলেন। দিনটি ছিল শুক্রবার। অফিসারকে খোঁজতে খোঁজতে ঘটনাচক্রে পৌঁছে গেলেন তাদেরই এক আনুষ্ঠানিক ভোজন সভায়। ঘ্রাণেই বলে দিল যে, সেখানে খুব বিলাস বহুল খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। জিজ্ঞেস করে জানতে পারলেন- থানার আওতায় যতজন সার্ভেয়ার আছে তারা সবাই মিলে প্রতি শুক্রবার এ ধরনের ভোজন সভার আয়োজন করে থাকে। তাতে তারা স্বপবিারে যোগ দিয়ে থাকে।
আর এ দিকে সার্ভেয়ারদের টাকা রুজীর কত রাক্ষশীয় ও দরিদ্রদের জন্যে কত দুঃখজনক, তা বাংলাদেশের কে না জনে? তারা প্রতিটি মানুষ থেকে তিনবার টাকা নিতে চেষ্টা করে। সর্ব প্রথম যে আসে সে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তার পর মাঠ পরচা পায় আবার টাকা দিয়ে। তার পর আবার ভুল-শোধরাতে লাগে টাকা। এসব গ্রামের মানুষদের সাথে বেশি করে। আমরা হলাম গরীব দেশের অধীবাসী দরিদ্র জাতী। ৬৪ হাজার গ্রামের প্রতিটিতেই আজকে কেউ না কেউ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। অথচ আমাদের চাকর-চাকরানী ও চাকুরীয়ানরা ভক্ষণের বিলাসে মেদ ভারী করেই চলেছেন।
অথচ ইসলামের প্রথম খলীফা আবু বকর (রা.) এর দিকে দেখুন না! খলীফা নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর আহারের ব্যবস্থা কেমন ছিল? বায়তুলমাল থেকে তার জন্যে যে পরিমাণ আটা ও জৈতুন তেল বরাদ্দ করা হতো, তা দিয়ে কেবল রুটি তৈরী করে খেয়ে জীবন রক্ষা করা যেত। একই খাবার, তদুপরি পেট মাপা খাবার। তা খেতে খেতে অতিষ্ট। তার স্ত্রীর মিষ্টিদ্রব্য খাবার চাহিদা সৃষ্টি হলো। সন্তানদেরও একই বাহানা। একদিন তিনি স্বামীকে বললেন, ‘স্বামী’ আমার মিষ্টিদ্রব্য খাবার খুব ইচ্ছে হচ্ছে। তিনি জবাব দিলেন, আমি মিষ্টিদ্রব্য কোথায় পাব? বায়তুলমাল থেকে আর কিছু আনা সম্ভব নয়।
স্ত্রী প্রতিদিনের খাবার থেকে সামান্য সামান্য বাঁচিয়ে বেশ কিছু দিনে মিষ্টিদ্রব্য তৈরী করে স্বামীকে কিছু খেতে দিলেন। খলীফা জিজ্ঞেস করলেন, কি পরিমাণ বাঁচিয়েছ দৈনন্দিন? তিনি একটি পরিমাণ বলে দিলেন (এক মুষ্টি বা দুই মুষ্টি)। সাথে সাথে তিনি সেই পরিমাণ খোরকী কম দেয়ার জন্যে বায়তুল মালের মুহাফিজ (দায়িত্বশীল) কে লিখে পাঠালেন।
তেমনিভাবে খলীফা হযরত ওমর (রা.) এমন শুকনো খাবার খেতেন যে, অন্য কেউ তা গলধ:করণ করতে পারতোনা। ফলে তাঁর চেহারা নষ্ট হয়ে গিয়ে ছিল এবং কালো রং ধারণ করেছিল। অথচ তিনি তখন দুই তৎকালের দুই পরাশক্তি বিজেতা বিশ্বের একক পরাশক্তি ছিলেন। একদিন পঞ্চাশজন সাহাবী পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্তে উপনিত হলেন যে, খলীফা ওমর (রা.) বায়তুলমাল থেকে এমন ভাতা গ্রহণ করবেন, যা দ্বারা খাদ্য প্রস্তুত করলে তাঁর সাথে মেহমানগণ স্বাচ্ছন্দের সাথে আহার করতে পারে। কিন্তু তিনি তা মঞ্জুর করেন নি। অথচ আজকের মুসলিম নেতা-নেত্রীদের মনোভাব হলো “নিজের সম্পদ নিজের জন্যে আর রাষ্ট্রীয় সম্পদ তাদের বিলাসের জন্যে”। মন্ত্রি মিনিষ্টারের কথাতো বাদই, যে কোন কর্মচারীর পোশাক-আশাক এতো দামী থাকে যে আর পোশাকের পরিমাণ এতো বেশি থাকে যে, দেশের জনগণ তাদের পোশাকের দাপটেই পাশ থেকে ছিটকে সরে যায়। অথচ হযরত ওমর (রা.) এর আবস্থা কেমন ছিল? হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রা.) বলেন, আমি একদিন হযরত ওমরের জামা-তে সতেরটি তালি গুনেছি।
এক জুমার দিন- জুমার খুৎবা দানকালে হযরত ওমর (রা.) এর পরনে দু’টি চাদর ছিল। হযরত সালমান (রা.) তখন দাঁড়িয়ে বললেন, হে ওমর! আপনার খুৎবা বন্ধ করুন। আগে এ শ্রশ্নের জবাব দিন যে, আপনার পোষশাকে সরকারী চাদরের দু‘টি এলো কি ভাবে? আমরাতো মাত্র একটি করে পেয়েছি। প্রশ্ন শুনে হযরত উমর (রা.) মুচকি হেসে তাঁর ছেলে আবদুল্লাহর দিকে তাকালেন এবং প্রশ্নের জবাব দিতে ইশারা করলেন। আবদুল্লাহ দাঁড়িয়ে বললেন, “আব্বা সবার মতো একটি চাদরই পেয়েছেন। দ্বিতীয় চাদরটি হলো আমার। যা আমি ওনাকে দান করেছি পড়ার জন্য।” প্রশ্নকারী সালমান (রা.) বসে পড়লেন এবং হযরত উতর স্বাভাবিকভাবে খুৎবা দিতে শুরু করেন। সাহাবায়ে কিরামদের এ আদর্শের সাথে আজ আমাদের সরকার ও জনসাধারণের কত তফাৎ! সরকার কেন, সরকারের নি¤œতম কর্মচারী বা সরকারী দলের সর্বশেষ স্তরের সদস্যদের সাথেও আমাদের আকাশ পাতাল তফাৎ রয়েছে। কৈফিয়ত জিজ্ঞিাসা করার স্পর্ধা কারোরই নেই। হায়! আমরা যদি আবারও পূর্ণ ইসলামী রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারতাম! তাহলে সম্পদের সুষম বন্টন অবশ্যই হতো। আর সম্পদের সুষম বন্টন হলে, আমাদের দেশে যা আছে তা দিয়েই স্বনির্ভরভাবেই মধ্যম পন্থায় হলেও চলতে আমাদের কোন বেগ পেতে হতোনা। লাখ লাখ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে অর্ধাহারে অনাহারে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মারা যেতনা। আর তাদের ছেলে-মেয়ে বিবাহ সঙ্কটে পড়ে ধ্বংশের দিকে ধাবিত হতোনা। বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের সরকারগণ ভ্রমণে বের হলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে থাকেন। দেশের অনেক মানুষ টাকার কারণে চিকিৎসার জন্যে বিদেশ যেতে পরছেন না। কোন কোন সরকার প্রধানগণ এমন যথেচ্ছাচার করেন যেন বিদেশে গিয়ে আমোদ-প্রমোদ করার জন্যই জনগণ তাদের নির্বাচিত করেছে। বছরে কয়েক গন্ডায় সফরে জান। বাংলাদেশের বিগত এক সরকার তো এ ব্যাপারে বিশ্বের মধ্যে রেকর্ডই করে ফেলেছেন। একটি সফরে তিনি প্রায় ১০০ জন সঙ্গী নিয়ে গিয়েছেন। অথচ ঐ সফরটি ছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্রের একটি গ্রন্থ মেলা বা বই মেলা। আসলে এদের ইচ্ছা দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে ফেলা? নতুবা, এক গ্রন্থ মেলা দেখতে কোটি টাকা খরচের উদ্দেশ্য কি? কোটি টাকা খরচ করলে তো এমন একটি গ্রন্থ মেলা তৈরীই করা যায়। আহা! হযরত উমর (রা.) এর রাষ্ট্রীয় সফর কেমন ছিল, তা যদি বর্তমান যুগের নেতাগণ দেখতেন, মানতেন, অনুস্বরণ করতেন, তাহলে তাদের দ্বারাই মুসলিম মিল্লাত সাফল্যের দ্বারে পৌঁছতে পারতো।
বায়তুল মোকাদ্দাস অবরোধের শেষ পর্যায়ে খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ বলল: “খলীফা ওমর (রা.) যদি স্বয়ং এখানে এসে সন্ধি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, তা হলে আমরা আপনাদের হাতে বায়তুল মুকাদ্দাস তুলে দিতে রাজী আছি। নতুবা আমাদের একটি প্রাণ অবশিষ্ট থাকতেও আমরা আপনাদের বিনা যুদ্ধে শহরে ঢুকতে দেব না।” প্রস্তাবের বিবরণ লিখে মুসলিম প্রদান সেনাপতি খলীফার দরবারে লোক পাঠিয়ে দিলেন। খলীফা নেতৃস্থানীয় সাহাবীগণের কাছে পরামর্শ চাইলেন। আলোচনার পর রক্তপাত এড়ানোর উদ্দেশ্যে খলীফাকে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। খলীফা উমর (রা.) কেবল মাত্র একটি ভৃত্যকে সাথে নিয়ে উটের পিঠে উঠলেন। পানি ও শুকনো রুটি ছিল সাথে। তাদের জন্যে কোন তাবুর ব্যবস্থাও ছিলনা। মরুভূমির অগ্নিসম রোদ তাপ থেকে বাঁচার জন্য মাঝে-মাঝে কোন গাছের নিচে আশ্রয় নিতেন। এ শত শত মাইল সফরে তাঁকে লোকজন ও পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় আনার কথা সকলেই বলেছিলেন, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেন নি। অতিরিক্ত ব্যয় তিনি পছন্দ করতেন না। আসলে তাঁরা-ই ছিলেন দেশ ও জাতীর সেবক নেতা। পক্ষান্তরে আমরা আজ নেতা হচ্ছি কিন্তু সেবক হতে পারছিনা।
হযরত উমর (রা.) তাঁর অধীনস্থ কর্মচারীর উপর কড়া দৃষ্টি রাখতেন, যাতে তারা জনগণের সামান্য অসুবিধার কারণ হতে না পারে। এমনকি তাঁর গভর্ণরদের প্রতিও ছিল কঠোর নির্দেশ। মুসলমান হোক বা অমুসলমান হোক, কারো সামান্যতম অসুবিধা গভর্ণদের দ্বারা হলে, তার গভর্ণরী নিয়ে টানাটানী হতো। যেমন গভর্ণরগণ গেইটে দারোয়ান রাখতে পরবেন না। ফারুকে আযমের নিজেরও কোন দারোয়ান বা দেহরক্ষী ছিলনা। কেননা, গেইটে দারোয়ান থাকলে জনসাধারণ গভর্ণরদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসতে বাধাগ্রস্ত হবে অথবা অভাব-অনটের কথা বলতে এসে দারোয়ানের কারণে ফিরে যাবে।
একদিন উমর (রা.) শুনতে পেলেন যে, মিশরের গভর্ণর ইয়াজ ইবনে গানাম মিহি সুতার কাপড় পরেন এবং দরজায় দারোয়ান রাখেন। শ্রবণ মাত্র মুহাম্মদ ইবনে মাসলামাকে ডেকে বললেন “তুমি মিশর যাও। ইয়াজকে যে অবস্থায় পাবে নিয়ে আসবে।” মুহাম্মদ তথায় গিয়ে দেখলেন, ইয়াজ একটি মিহি সুতার কাপড় পরে আছে। তিনি বললেন, “ইয়াজ! চলুন, আমিরুল মুমিনীন আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছেন।” ইয়াজ বললেন, “আচ্ছা আমাকে কাপড়টুকু বদলানোর সুযোগ দিন, কিন্তু ওমরের দূত মুহাম্মদ- গভর্ণরকে সে সুযোগ দিলেন না।
হযরত উমর ফারুক (রা.) ইয়াজকে দেখে একটি মোটা সুতার কাপড় পরালেন এবং এক পাল বকরী দেখিয়ে বললেন, “এগুলোর রাখালী করবেন। এর দুধ পান করে নিজে জীবন যাপন করবেন, পথিকদেরকে এগুলোর দুধ খাওয়াবেন এবং উদ্বৃত্ত দুধ বায়তুলমালে জমা দিবেন। আপনি শুনতে পাচ্ছেন?” ইয়াজ স্থবির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বললেন, জী, শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু এর চেয়েতো মারা যাওয়ায় ভাল। “উমর (রা.) এভাবেই কয়েকবার বললেন, আর ইয়াজ অনুরূপ জবাবই দিলেন। তখন উমর (রা.) বললেন, কেন? আপনি তা ঘৃণা করছেন কেন? আপনার পিতাতো বকরীই চড়াতেন। তাই আপনাদের বংশের নাম ছিল গানাম (বকরী)। আচ্ছা, এখন বলুন তো আপনার দ্বারা কি কোন ভাল কাজ হতে পারে? তখন ইয়াজ বললেন, “হে আমিরুল মুমিনীন! আপনি আমার বিরোদ্ধে আর কোন অভিযোগ শুনবেন না।” তখন উমর (রা) তাকে বললেন, আচ্ছা যান। নিজের কাজ করুন।
দরজায় দারোয়ান রাখার দায়ে উমর (রা:) ইরান বিজেতা সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসকে গভর্ণরী পদ থেকে অবসর দিয়েছিলেন।
হজ্জের সময় সকল গভর্ণরদেরকে হজ্জে আসতে হতো। খলীফার পক্ষ থেকে তখন আম জনতার মধ্যে ঘোষণা দেয়া হতো। “কোন গভর্ণর যদি কারো উপর অত্যাচার করে থাকে তাহলে আমিরুল মুমিনীন এর কাছে অভিযোগ করুন। তার উপযুক্ত বিচার হবে। সেই ঘোষণার পর বিভিন্ন অভিযোগ আসতো এবং সে সবের সুষ্ঠ বিচার করা হতো।
কিন্তু হায়! মুসলিম বিশ্বের বর্তমান সরকার প্রধানগণের এ কি অবস্থা! তাদের দলীয় নেতা-নেত্রী ও প্রসাশনের লোকদের অবস্থা কত যে নিকৃষ্ট জুলুমে পরিপূর্ণ, তা রিখে কেউ সমাপ্ত করতে পারবেনা। যে দলই ক্ষমতাই তাদের প্রায় সকলেই একটি নিকৃষ্ট জালিমে পরিণত হয়। জনগণ তারে কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। জনগণের জান মালের মালিক হয়ে বসে তারা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহা মানব, আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক-শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) জীবনের তেইশ বছরের সাধনায় একটি ইসরামী রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন অতঃপর ঘোষণা করেন “খাইরুল কুরুনী কারনী” “সর্বশ্রেষ্ট যুগ আমার যুগ” আজও সমগ্র মুসলিম বিশ্বে ইসলামের সেই খাইরুর কুরুনের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন- বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের পথে অনুসৃত পথে রাষ্ট্র চালানো। ইসলাম যে রাষ্ট্রীয় রূপ রেখা ও বিশ্বব্যবস্থা প্রদান করেছে, জগতের মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনে এর কোন বিকল্প নেই।