Main Menu

মিরাজের উদ্দেশ্য তাৎপর্য ও শিক্ষা

Originally posted 2013-05-22 07:30:33.

ইসরা ও মিরাজ

পবিত্র ও মহামহিম সত্তা তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে (মুহাম্মাদ (সা.)-কে) নৈশকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত।

মিরাজ: সমগ্র বিশ্বমানবতার মুক্তিরদূত হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নুবুওয়াতী জিন্দেগীর (একাদশ) অথবা দ্বাদশ বর্ষে রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে (ভিন্নমত আছে) সংঘটিত হয় মিরাজ। আমরা সাধারণভাবে যদিও মিরাজ বলে থাকি। আসলে এখানে দু’টি অংশ রয়েছে: এক. ইসরা,  দুই. মিরাজ।  

ইসরা অর্থ নৈশভ্রমণ: যেহেতু রাসূল (সা.)-এর ঊর্ধ্বলোক ভ্রমণ হয়েছিল রাতে,  তাই এর নাম ইসরা। মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণকে ইসরা বলা হয়। আল-কুরআনে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন : পরম পবিত্র ও মহামহিম সত্তা তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে (মুহাম্মাদ (সা.)-কে) নৈশকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে কুদরতের নিদর্শনগুলো দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরা বনী ইসলাইল-১)

মিরাজ : উরুজ শব্দ থেকে মিরাজের উতপত্তি। এর অর্থ : সিঁড়ি বা সোপান, আরোহণ করা, ওপরে চড়া বা ঊর্ধ্বগমন করা। মসজিদুল আকসা থেকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত ভ্রমণকে মিরাজ বলা হয়। আল-কুরআনে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: নিশ্চয়ই তিনি (মোহাম্মদ (সা.) তাকে জিবরাইল আলাইহিস সালামকে আরেকবার দেখেছিলেন সিদরাতুল মুনতাহার কাছে। যার কাছে অবস্থিত জান্নাত। যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার তদ্বারা আচ্ছন্ন ছিল। তার দৃষ্টিবিভ্রম হয়নি এবং সীমালঙ্গনও হয়নি। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলি অবলোকন করেছেন। (সূরা নাজম: ১৩/১৮)

শরীয়াতের পরিভাষায়: রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে (ভিন্নমত আছে) জিবরাঈল (আ) মারফত আল্লাহ তা’আলার অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে রাসূল (সা.) জান্নাতী বাহন বোরাকে আরোহণ করে পবিত্র মাসজিদুল হারাম তথা বায়তুল্লাহ শরীফ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসে উপনীত হয়ে সেখানে ফেরেশতা-নবী-রাসূলদের উপস্থিতিতে নামাজের ইমামতি করেন, সেখান থেকে সিদরাতুল মুনতাহা পেরিয়ে আরো ঊর্ধ্বে গমন করে মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে উপনীত হয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাত লাভ ও প্রয়োজনীয় আলাপ সেরে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসার ঘটনাকে মিরাজ বলে। মিরাজ রাসূল (সা.)-এর অন্যতম সেরা মুজিযা বা অলৌকিক ঘটনা।

মিরাজের সমকালীন পরিবেশ-পরিস্থিতি: রাসূল (সা.) আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠাকল্পে মক্কাবাসী থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তায়েফে যান। সেখানে আরো প্রচণ্ড বিরোধিতা ও হামলার শিকার হন। সঙ্গী-সাথীদের ওপরও জুলুম-অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। আগে কিছু লোককে আবিসিনিয়ায় হিযরত করানো হয়। তায়েফ থেকে মক্কায় ফিরে এসে অবস্থান করা আরো দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণী হযরত খাদিজা (রা.) ও বড় আশ্রয়স্থল পিতৃব্য আবু তালিবের ইন্তেকাল রাসূলের জন্য ছিল বড়ই প্রতিকূল অবস্থা। আল্লাহর কুদরতী ইশারা বোঝা বড় কঠিন। মক্কা থেকে দূরে মদীনায় শুরু হতে থাকে রাসূলের দাওয়াত কবুলের অনুকূল পরিবেশ। মক্কার চরম প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার যাঁতাকলে নিস্পেশিত মুষ্টিমেয় ঈমানদার লোকদের মদীনায় হিযরতের মাধ্যমে আল্লাহর দ্বীন নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর নেতৃত্বে বিজয়ী হওয়াই কুদরাতের ফয়সালা। সেই বিজয়ের আগে যে ঘটনাটি ছিল একান্তই প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য, সেটিই সংঘটিত হলো হিযরতের আগে।  

মিরাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: শেষ নবী মুহাম্মাদ (সা.) শুধু নবীই নন, নবীদেরও নেতা সাইয়্যেদুল মুরসালীন। তাই রিসালাতের বিশেষ মর্যাদা আল্লাহ প্রদত্ত সনদপ্রাপ্তির জন্য মিরাজ ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি বিশেষ উপহার। এ পরিভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বনী-ইসরাইলের প্রথম আয়াতেই দেয়া হয়েছে যে,  তৌহিদের নিদর্শণাবলী আল্লাহর আয়াতগুলো চাক্ষুস দেখিয়ে দেয়ার জন্য এবং এই বিশ্বের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব যে একমাত্র আল্লাহরই তা সরাসরি দেখা। তাঁর এই ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ নেই। অতএব তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই দ্বীনের বিজয় ঠেকানোর সাধ্য কারো নেই এই আস্থা, এই বিশ্বাস মজবুত ও সুদৃঢ় করাই মিরাজের মূল লক্ষ্য।

 মোটামুটিভাবে মিরাজ সংঘটিত হওয়ার কারণ হতে পারে আল্লাহ তা’আলার একান্ত সান্নিধ্যে হাজির হওয়া,  ঊর্ধ্বলোক সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা, অদৃশ্য ভাগ্যলিপি সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করা, ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা, সরাসরি জান্নাতের সুখ-শান্তি ও জাহান্নামের আজাব দেখা, সুবিশাল নভোমণ্ডল পরিদর্শন করা, নবুওয়াতী পরিবারের সাথে সাক্ষাত লাভ করাও এটি একটি অনন্য মুজিযা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।  

ঘটনাবহুল মিরাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) ওই রাতে তাঁর চাচাতো বোন উম্মেহানী বিনতে আবি তালিবের ঘরে (মতান্তরে কাবা চত্বরে) নিদ্রিত অবস্থায় ছিলেন। এমনি সময় আল্লাহর নির্দেশক্রমে হযরত জিবরীল (আ.) এলেন, সাথে ছিলেন হযরত মিকাইল (আ.) ও হযরত ইসরাফিল (আ.) রাসূল (সা.)-কে জাগ্রত করে তাদের আগমনের হেতু জানালেন। রাসূল (সা.) দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েন। অতঃপর ফেরেশতারা তাকে ঝমঝম কূপের কাছে নিয়ে শুইয়ে দিয়ে সিনা মোবারক থেকে কলব বের করে পবিত্র পানি দিয়ে ধৌত করলেন। দুই কাঁধের মাঝখানে নবুওয়াতের সিল মেরে মহাশূন্যে ভ্রমণ উপযোগী করে বোরাকের ওপর বসিয়ে বোরাককে চলা শুরুর নির্দেশ দিলেন। বোরাক ছুটে চলল মহানবী (সা.)-কে নিয়ে, প্রথমে মদীনা মনোওয়ারা,  তারপর সিনাই পর্বত,  হযরত ঈসা (আ)-এর জন্মস্থান বায়তুল লাহম, হয়ে পবিত্র মসজিদুল আকসায় উপস্থিত হন। সেখানে নবী-রাসূলদের সাথে নিয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। তিনি নামাজের ইমামতি করেন,  অতঃপর উপস্থিত নবী-রাসূলদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এইটুকু পর্যন্ত হলো কুরআনের বর্ণিত ইসরার ঘটনা।

 এরপর শুরু হলো মিরাজ বা ঊর্ধ্বগমনের পালা। যাত্রাপথে রাসূল (সা.) নভোমণ্ডলে আল্লাহর সৃষ্টির অপূর্ব নিদর্শন দেখে অভিভূত হন। তিনি প্রথম আসমানে হযরত আদম (আ.) দ্বিতীয় আসমানে হযরত ঈসা (আ.) ও হযরত ইয়াহইয়া (আ.) তৃতীয় আসমানে হযরত ইউসুফ (আ) চতুর্থ আসমানে হযরত ইদ্রিস (আ.) পঞ্চম আসমানে হযরত হারুন (আ.) ষষ্ঠ আসমানে হযরত মূসা (আ.) এবং সপ্তম আসমানে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে পর্যায়ক্রমে দেখেন এবং কুশল বিনিময় শেষে ফেরেশতাদের কিবলা বায়তুল মামুরে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি দেখতে পান অসংখ্য ফেরেশতা তাওয়াফ করছেন। বায়তুল মামুরে প্রতিদিন ৭০ হাজার ফেরেশতা প্রবেশ করেন, কেয়ামত পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে, বায়তুল মামুর বরাবর নিচে পবিত্র কাবাঘর অবস্থিত। এরপর হযরত জিবরাইল (আ.) নবীজীকে সাথে করে জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন করে সিদরাতুল মুনতাহায় ফিরে আসেন। সেখান থেকে ‘রফরফ’ নামক বাহনে করে মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেন।  

মিরাজকালে মহানবী (সা.) যা যা অবলোকন করেন তা সংক্ষেপে এই: মসজিদুল আকসার পথ, ফরজ নামাজে অবহেলাকারীর শাস্তি, যাকাত অনাদায়কারীর শাস্তি, ব্যভিচারে লিপ্ত নর-নারীর শাস্তি, ডাকাতি ও ছিনতাইকারীর শাস্তি, মানুষের হক ও আমানত খিয়ানতের শাস্তি, গীবতকারীর শাস্তি ও সুদখোরের শাস্তি। ঊর্ধ্বলোকের পথে, জান্নাতের হুর, জান্নাতের জ্যোতি, জাহান্নাম, আকাশ পথে সাত আসমান, জান্নাতের তিনটি ঝরনা, শিঙ্গা, কিয়ামতের আলামত প্রত্যক্ষণ, ভাগ্য ও জন্ম-মৃত্যু লেখার কলম।

মিরাজকে নিয়ে সন্দেহ-সংশয়: মিরাজ থেকে ফিরে আসার পর সর্বসাধারণকে রাসূল (সা.) যখন তা অবহিত করলেন তখন অনেকেই মিরাজ অবিশ্বাস্য বলে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বলে উড়িয়ে দিলো। এত কম সময়ের মধ্যে কিভাবে তা সম্ভব তার জন্য সন্দিহান হলো তো বটেই, একে মোক্ষম সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করল কাফের-মুশরিকরা। তাদের অপপ্রচারের দুর্বল ঈমানের মুসলমানদেরও মনে সন্দেহ সৃষ্টি হলো। মিরাজের ঘটনা শোনামাত্রই হযরত আবু বকর (রা.) কোনো সন্দেহ ছাড়াই বিশ্বাস করলেন,  রাসূলুল্লাহ (সা.) সাথে সাথে তাঁকে ‘সিদ্দীক’ বা ‘সত্যবাদী’ বলে উপাধি দিলেন। আমরা না দেখে আল্লাহকে বিশ্বাস করি, তাঁর সৃষ্টি দেখে তার অস্তিত্ব অনুভব করি। কুরআন আল্লাহর কিতাব তা-ও বিশ্বাস করি। মিরাজের কথা কুরআনে আছে। যেহেতু কুরআন বিশ্বাস করি, তাই কুরআনে যা আছে তাও বিশ্বাস করতে হবে। বিশুদ্ধ হাদীস গুলোতেও বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। পঁচিশজন সাহাবী এই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েন। আল্লাহ চেয়েছেন আল্লাহর হাবীবকে কাছে পেতে, তিনি ডেকে নিয়ে গেছেন কিভাবে নিয়ে গেছেন, সেটা মহান আল্লাহর ব্যাপার। যে আল্লাহ এই বিশ্ব-পরিমণ্ডল সৃষ্টি করতে পারেন, তার জন্য রাসূল (সা.)-কে মিরাজ করানো কি কঠিন ব্যাপার? আল্লাহ তো কোনো কিছু করতে চাইলে শুধু ‘কুন’ বা ‘হও’ বললেই তো হয়ে যায়, মানুষ আজ মহাশূন্যে যাচ্ছে, তাই মিরাজও অসম্ভব বা অবাস্তব কোনো ঘটনা ছিল না।  

উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য মিরাজের উপঢৌকন: রাসূলুল্লাহর মিরাজ উম্মতের জন্য সুসংবাদ বয়ে এনেছেন। মিরাজের রাতে আল্লাহর সাথে তাঁর হাবীবের সাক্ষাতে মহামূল্যবান কিছু উপঢৌকন দেন।

এক. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ

দুই. সূরা বাকারার শেষাংশ এবং

তিন. যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোনো শরীক করবে না, তার কবীরা গুনাহগুলো মাফ করে দেবেন, অর্থাৎ, কাফের-মুশরিকদের মতো চিরকাল জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে না। মিরাজ রাসূল (সা.)-এর অন্যতম সেরা একটি মুজিযা। যার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সুদূরপ্রসারী। এতে কোনোরূপ সন্দেহ না করা ঈমানের পরিচায়ক। মিরাজে প্রাপ্ত উপহার নামাজ, মুমিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ববহ। ইসলামের প্রত্যেকটি ইবাদতের বিধান আল্লাহ তা’আলা হযরত জিবরীল আমীনের মাধ্যমে মহানবী (সা.)-এর কাছে প্রেরণ করেন। কিন্তু নামাযই একমাত্র ইবাদত যা কোনো মাধ্যম ছাড়াই আল্লাহ তা’আলা সরাসরি মহানবী (সা.)-এর ওপর ফরজ করেছেন। সহীহ বুখারীর বর্ণনানুযায়ী মিরাজের রাতে রাসূল (সা.) হযরত মূসা (আ)-এর পরামর্শক্রমে উম্মতের জন্য নির্ধারিত পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের পরিবর্তে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কোনো মুমিন যদি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করে তবে আল্লাহ তা’আলা তাকে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের সাওয়াবই দান করবেন। কেননা আল্লাহ তা’আলা যা বলেন তাতে কোনো রদবদল হয় না। (তিরমিজী) তাই রাসূল (সা.) বলেছেন:  যে ব্যক্তি নামায তরক করল, সে কুফুরি করল। আর ঈমান আনার পর কুফুরি করার পরিণতি কী হবে আল-কুরআনে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি ঈমান আনার পর কুফুরি করল, কিন্তু এ কাজে তাকে বাধ্য করা হয়েছিল, অথচ মন তার ঈমানের ওপর নিশ্চিত ছিল, তাহলে তাকে মাফ করা হবে। কিন্তু  যে সন্তুষ্টচিত্তে কুফুরি অবলম্বন করবে, তার জন্য আল্লাহর গজব ও শাস্তি রয়েছে। (সূরা নাহল: ১০৪) অতএব রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর স্বচক্ষে দেখা মিরাজের ঘটনাবলী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে কুরআনের পথে, ইসলামের পথে চলাই হোক আমাদের দৃপ্ত অঙ্গীকার। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে মিরাজের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ হাসিল করার তাওফীক দান করুন। আমীন!

(সূত্র : আল-কুরআন, সহীহ বুখারী ও মুসলিম, সীরাতে ইবনে হিশাম, আর রাহীকুল মাখতুম)

Related Post