Main Menu
أكاديمية سبيلي Sabeeli Academy

শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা ও নফল রোযার ফযীলত

Originally posted 2013-05-08 14:43:11.

যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো, তারপর এর পরপরই শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখলো সে যেন এক বছর রোযা রাখলো। (মুসলিম)
যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো, তারপর এর পরপরই শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখলো সে যেন এক বছর রোযা রাখলো। (মুসলিম)

১. আবু আইউব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো, তারপর এর পরপরই শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখলো সে যেন এক বছর রোযা রাখলো। (মুসলিম)

২. আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: সোমবার ও বৃহস্পতিবার (আল্লাহর সমীপে বান্দার) আমল পেশ করা হয়। কাজেই আমি চাই আমার আমল যেন আমার রোযা অবস্থায় পেশ করা হয়। (তিরমিযী)

৩. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখার অর্থ হচ্ছে সারা বছর রোযা রাখা (অর্থাত, এতে সারা বছর রোযা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়)। (বুখারী ও মুসলিম)

৪. আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তিনটি বিষয়ে ওসিয়াত করেছেন: প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখা, চাশতের দুই রাক্আত নামায পড়া এবং ঘুমিয়ে পড়ার পূর্বে যেন আমি বিতর নামায পড়ি। (বুখারী ও মুসলিম)
প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখার ক্ষেত্রে আইয়ামে বীযের রোযা রাখাই উত্তম। আর আইয়ামে বীয হচ্ছে প্রতি চন্দ্র মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনের তারিখ।

৫. কাতাদাহ ইবনে মিলহান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আইয়ামে বীযের রোযা রাখার হুকুম দিতেন মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনের তারিখে। (আবু দাউদ)

৬. উম্মে উমারা আল-আনসারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদিন) তার কাছে গেলেন। তিনি তার সামনে খাবার এনে রাখলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন: তুমিও খাও। তিনি বলেন, আমি তো রোযাদার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: রোযাদারের সামনে যখন আহার করা হয় তখন আহারকারীদের আহার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বা পেট ভরে আহার করে না নেয়া পর্যন্ত ফেরেশতারা তার (রোযাদারের) উপর রহমত নাযিল করতে থাকেন। (তিরমিযী)

৭. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদিন) সাদ ইবনে উবাদার নিকট আসেন। সাদ ইবনে উবাদা তার জন্য রুটি ও জয়তুনের তেল নিয়ে আসেন। তিনি তা আহার করেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমার কাছে রোযাদাররা ইফতার করলো সতকর্মপরায়ন লোকে তোমার খাদ্য আহার করলো এবং ফেরেশতারা তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলো। (আবু দাউদ)

নফল রোজা রাখার অনেক ফজীলত রয়েছে, আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদেরকে বেশী বেশী নফল রোজা পালনের তাওফীক দান করুন। আমীন!

Related Post