রমযান কুরআন নাযিলের মাস

রমযান কুরআন নাযিলের মাস

রমযান কুরআন নাযিলের মাস

রমযান কুরআন নাযিলের মাস

পবিত্র কুরআন শুধু তেলাওয়াত করে খতম করার জন্য অবতীর্ণ হয়নি। বরং আল্লাহ এই কুরআন অবতীর্ণ করেছেন, যেন তা নিয়ে গবেষণা করে বাস্তবে আমল করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন:

قال سبحانه : كتاب أنزلناه إليك مبارك ليدبروا آياته} (ص29) ، وقال: أفلا يتدبرون القرآن أم على قلوب أقفالها } ( محمد 24) ،

রমযান মাস কুরআন নাযিলের মাস: আল্লাহ তায়ালা বলেন

، قال جل وعلا : {شهر رمضان الذي أنزل فيه القرآن هدى للناس وبينات من الهدى والفرقان }( البقرة:185 )

হাফেজ ইবনে কাসির বলেন: পবিত্র কুরআন রামযানের মাসের কদর রজনীতে অবতীর্ণ করা হয়েছে।

: إنا أنزلناه في ليلة القدر ، وقال سبحانه : إنا أنزلناه في ليلة مباركة  ،

অতঃপর প্রয়োজন অনুযায়ী অল্প অল্প করে ক্ষেত্র বিশেষ দীর্ঘ তেইশ বছরে পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।

এই কুরআন নাযিল করা হয় রমযান মাসে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন-

شهر رمضان الذي أنزل فيه القرآن هدى للناس وبينات من الهدى والفرقان

‘রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হেদায়াত স্বরূপ এবং হেদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ঐ মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। {সূরা  বাকারা, আয়াত-১৮৫}

উল্লেখিত আয়াতে কুরআন নাযিলের মাস হিসেবে রমযান মাসের পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে এবং সেই সাথে পবিত্র কুরআনের পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে তিনভাবে।

 এক. আল কুরআন মানুষের জন্য হেদায়াত স্বরূপ।

 দুই. আল কুরআন হেদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী সম্বলিত।

 তিন. আল কুরআন সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী।

এইক সাথে কুরআন নাযিলের মাস রমযান মাসে সিয়াম পালন করার বিধানও প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা যে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত তা হল, রমযান মাস হল পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস এবং এই মাসে যে উপস্থিত হবে, যে এই মাস পাবে, তার উপর সিয়াম পালন করা ফরয। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

 ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’ {সূরা ২ বাকারা, আয়াত-১৮৩}

 মহান আল্লাহ রমযান মাস ছাড়া অন্য মাসে সিয়াম পালন করাকে ফরয সাব্যস্ত করতে পারতেন। রমযান মাসকে সিয়াম পালনের জন্য নির্দিষ্ট করার রহস্য সম্ভবত কুরআন নাযিলের মাস হওয়ার সৌজন্যে। কেননা, আল কুরআন ও সিয়াম এই দুয়ের মাঝে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বিদ্যমান। পবিত্র কুরআন হল সরাসরি মহান আল্লাহর কালাম বা বাণী। মহান আল্লাহ পানাহার ও জৈবিক সকল চাহিদা থেকে মুক্ত। অনুরূপভাবে সিয়াম পালনকারীকেও পানাহার ও বিশেষ জৈবিক চাহিদা থেকে মুক্ত থাকতে হয়। এই দিক থেকে সিয়াম পালনকারীর সঙ্গে মহান আল্লাহর সাথে বান্দার সরাসরি একটা যোগাযোগ ঘটে। সম্ভবত সে কারণেই হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রাযিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন-

كل عمل ابن آدم له إلا الصوم فإنه لي وأنا أجزي به

 ‘সিয়াম আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব। সে তার জৈবিক চাহিদা ও পানাহার থেকে আমার কারণে দূরে থেকেছে। আর সিয়াম হল ঢাল স্বরূপ। {বুখারী শরীফ, হাদীস-৬৯৩৮}

আল কুরআন যেহেতু আল্লাহর বাণী, সে কারণেই মহান আল্লাহ তাঁর বাণী স্বীয় বান্দার উপর অবতীর্ণ করার জন্য এমন একটি সময় নির্বাচন করেছেন, যে সময়ে বান্দা সিয়াম পালনে রত থাকবে। তাই, রমযান মাসে নাযিল করা হয়েছে আল কুরআন, আর আল কুরআনের খাতিরেই রমযান মাসে ফরয করা হয়েছে সিয়াম।

রমযান মাস ব্যাপী তারাবীহ-এর সালাতে কুরআনুল কারীম খতম করার বিধানও প্রমাণ করে যে, আল কুরআনের সঙ্গে সিয়াম পালনের কি গভীর সম্পর্ক। আর এ কথা বাস্তব সত্য যে, বৎসরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় পবিত্র রমযান মাসে কুরআন তেলাওয়াতকারীর সংখ্যা ও তেলাওয়াতের পরিমাণ বহুগুণে বেড়ে যায়।

আল কুরআন ও সিয়াম উভয়ের মাঝে যে গভীর সম্পর্ক, সে কারণে রমযানে কুরআন তেলাওয়াতকারীর সংখ্যা ও তেলাওয়াতের পরিমাণ যে বহুগুণে বেড়ে যায়, এর অন্যতম আরেকটি কারণ হল, রমযানে মানুষ তুলনামূলকভাবে গুনাহমুক্ত থাকে। আর মানুষ যখন গুনাহমুক্ত থাকে, তখন আল কুরআন তাকে আকর্ষণ করে। সে কারণেই নাবালেগ অবস্থায় মানুষের জন্য শুদ্ধভাবে কুরআনুল কারীম এর তালীম গ্রহণ করা এবং হিফজ করা বা হাফেজ হওয়া সহজ হয়। কেননা, মানুষ নাবালেগ অবস্থায় গুনাহের হিসাবমুক্ত থাকে। আর নবীগণ যেহেতু একেবারেই গুনাহমুক্ত, নিষ্পাপ, সে কারণেই নবীগের উপর মহান আল্লাহর কিতাব সরাসরি অবতীর্ণ করা হয়। এখানে গুনাহমুক্ত থাকাটা একটা মৌলিক বিষয়।
আল কুরআন যেহেতু ত্রুটিমুক্ত চির প্রশংসাময় মহান আল্লাহর সন্দেহমুক্ত নির্ভেজাল বাণী, আর এই সন্দেহমুক্ত, নির্ভেজাল বাণীর জন্য ঐ সময় এবং ঐ ব্যক্তি বেশি উপযোগী, যে সময় ও যে ব্যক্তি তুলনামূলভাবে বেশি ভেজালমুক্ত তথা গুনাহমুক্ত। সে কারণেই মহান আল্লাহ কুরআন নাযিলের জন্য গুনাহমুক্ত ব্যক্তিকে নির্বাচন করেছেন তথা মুহাম্মাদ সা.কে নির্বাচন করেছেন। অপর দিকে গুনাহমুক্ত সময় তথা রমযান মাসকে নির্বাচন করেছেন। এই সূত্রের আলোকে নিঃসন্দেহে বলা যায়, যে ব্যক্তি যত বেশি গুনাহমুক্ত জীবন-যাপন করবে, সে তত বেশি বেশি কুরআনকে বুঝতে ও হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হবে। কুরআনুল কারীম বুঝতে পারা যতটা না নির্ভর করে বুদ্ধিমত্ত্বার উপর, তার চাইতে অনেক বেশি নির্ভর করে গুনাহমুক্ত জীবন-যাপনের উপর। গুনাহমুক্ত জীবনের সম্পর্ক হল তাকওয়া অবলম্বনের সাথে। আর সিয়াম পালনের উদ্দেশ্যই হল তাকওয়া অবলম্বনকারী হওয়া বা মুত্তাকী হওয়া।

গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা তথা মুত্তাকী হওয়ার সম্পর্ক হল ‘কলব’ এর পরিশুদ্ধতার সাথে। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে- ‘অবশ্যই মানুষের শরীরে একটি গোশতের টুকরা রয়েছে, যখন ঐ গোশতের টুকরা ভাল হয়ে যায়, তার পুরা শরীরটাই ভাল হয়ে যায়। আর যখন ঐ গোশতের টুকরা খারাপ হয়ে যায়, তার পুরা শরীরটাই খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, ঐ গোশতের টুকরা হল ‘কলব’। {বুখারী শরীফ, হাদীস-৫০

  কুরআনুল কারী হৃদয়ঙ্গম করার জন্য বুদ্ধিমত্ত্বার চাইতে ‘কলব’ এর পরিশুদ্ধতার প্রয়োজন অনেক বেশি। কেননা, কুরআন নাযিল করা হয়েছে কলব এর উপর। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন- ‘নিশ্চয় এ কুরআন সৃষ্টিকূলের রবেরই নাযিলকৃত। বিশ্বস্ত আত্মা (হযরত জিবরাইল আ.) এটা নিয়ে অবতরণ করেছেন তোমার কলবে (হৃদয়ে) যাতে তুমি সতর্ককারীদের অন্তর্ভূক্ত হও।’ {সূরা ২৬ আশশুয়ারা, আয়াত-১৯২}

    আলকুরআন হল মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন- ‘তোমাদের মাঝে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কুরআন শেখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।’ {বুখারী শরীফ, হাদীস-৪৬৩৯} এই হাদীসের আলোকে শ্রেষ্ঠ মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত। এক. যারা কুরআন শেখে। দুই. যারা অপরকে কুরআন শিক্ষা দেয়। এই দুই ভাগের বাইরে তথা করআনের শিক্ষা সংশ্লিষ্টতা ছাড়া শ্রেষ্ঠত্বের ভিন্ন কোন পথ নেই। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, ইবনে মাসউদ রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন- ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি হরফ পাঠ করল, এতে সে একটি নেকি প্রাপ্ত হল এবং উক্ত একটি নেকি দশটি নেকির সমতুল্য হবে। হুজুর সা. আরো বলেন, আমি বলছি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ।’ {তিরমিযী শরীফ, হাদীস-২৮৩৫} অর্থাৎ উদ্দেশ্য এই যে, অন্যান্য আমলের বেলায় যেমন পুরো আমলকে একটি বলে গণ্য করা হয়, কুরআনুল কারীমের বেলায় তেমনটি নয়। বরং এখানে আমলের অংশ বিশেষকেও পূর্ণ আমল বলে গণ করা হয়। এই জন্য প্রতিটি হরফের পরিবর্তে একটি করে নেকি হবে। আর প্রতিটি নেকির বিনিময়ে দশটি করে নেকি পাওয়া যাবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, কুরআনুল কারীম বুঝে পাঠ করলেও যেমন নেকি হয়, অনুরূপভাবে না বুঝে পড়লেও নেকি হয়। তবে বুঝে বুঝে পাঠ করলে অবশ্যই নেকি বেশি হবে এবং কুরআনের হক আদায় হবে। আর বুঝে পাঠ করে এর উপর আমল করলে নেকি আরো বেশি হবে। কেননা, আলিফ-লাম-মীম এগুলোর অর্থ কারো জানা নেই। তদুপরি এর প্রতিটি হরফে দশটি করে নেকি হয়। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন- ‘যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ পড়ে এবং উহার উপর আমল করে, তার মাতা-পিতাকে কেয়ামতের দিন এমন একটি (নূরের) টুপি পরানো হবে, যার জ্যোতি দুনিয়ার সূর্যের জ্যোতি অপেক্ষা অধিক হবে।’ {আবু দাউদ শরীফ, হাদীস-১২৪১}

যে কোনভাবে কুরআনুল কারীমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার তাকীদ হাদীস শরীফে নিম্নোক্ত ভাষায় বর্ণিত হয়েছে। হুজুর সা. ইরশাদ করেন- ‘আলেম হও অথবা ইলম অনুসন্ধানী হও অথবা ইলমের কথা শ্রবণকারী হও অথবা আলেমকে মহাববতকারী হও। এছাড়া পঞ্চমটি হইও না, তাহলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’ {শুয়াবুল ঈমান লিলবাইহাকী, হাদীস-১৬৭০} তাই আমাদেরকে উল্লেখিত চার প্রকারের যে কোন এক প্রকারের অন্তর্ভূক্ত অবশ্যই হতে হবে।

অন্য হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, হুজুর সা. বলেন- ‘যার হৃদয়ে কুরআনের কোন শিক্ষা নেই, তা বিরান ঘর সমমুল্য।’ {তিরমিযী শরীফ, হাদীস-২৮৩৭} অধিকাংশ মুসলমানের ঘরে কুরআন তেলাওয়াত হয় না। কুরআনের কোন শিক্ষা পরিবারে নেই। বৈষয়িক উন্নতির জন্য জাগতিক পড়া-শোনায় আমরা এতটাই ব্যস্ত যে, মহান আল্লাহর কালাম কুরআনুল কারীম শেখার সময়ও আমাদের নেই। আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে স্কুল-কলেজে ভাল রেজাল্ট করানোর জন্য আমরা মরিয়া হয়ে উঠি। অথচ কুরআন শিক্ষা দেয়া, নামায-কালাম, পাক-নাপাকী ইত্যাদি শিক্ষা দেয়ার ব্যাপারে আমরা চরমভাবে উদাসিন। যার পরিণতিতে ছেলে-মেয়েরা আজ পিতা-মাতার অবাধ্য। নেশা, মারা-মারি, যেনা-ব্যাভিচার, জুয়া, খুন-খারাবী ইত্যাদি জঘণ্য কাজে তারা জড়িয়ে পড়ছে।

তাই আসুন! পবিত্র রমযানুল মুবারকে কুরআনুল কারীম এর জন্য সময়টাকে আমরা উৎসর্গ করে দেই। যারা কুরআন পড়তে শেখেননি, তাদের উচিত পবিত্র এই রমযান মাসে কুরআন শরীফ শিখে নেয়া। মহান আল্লাহ কুরআন শেখাকে সহজ করেছেন। তিনি বলেন- ‘অবশ্য অবশ্যই আমি কুরআনকে সহজ করেছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?’ {সূরা ৫৪ আলকামার, আয়াত-২২}

হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, রাসূল সা. বলেন, ‘লোহায় পানি লাগলে যেমন মরিচিকা পড়ে, তদ্রুপ মানুষের কলবের মাঝেও মরিচিকা পড়ে যায়। কোন এক সাহাবী জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! উহা পরিস্কার করার উপায় কি? হুজুর সা. উত্তরে বললেন, মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করা ও কুরআনুল কারীমের তেলাওয়াত করা।’ {শুয়াবুল ঈমান লিলবাইহাকী, হাদীস-১৯৫৮}
রমযানে সিয়াম যেমন মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটি মাধ্যম, অনুরূপভাবে কুরআনুল কারীমের তেলাওয়াতও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ঠতম মাধ্যম। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ঐ জিনিস অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠ আর কোন জিনিস পাবে না, যা স্বয়ং আল্লাহ পাক থেকে নির্গত হয়েছে। অর্থাৎ আলকুরআন।’ {আলমুসতাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস-১৯৯৭}

মাহে রমযান এর মত পুতঃপবিত্র একটি মাসে আমাদের সকল ব্যস্ততা ফেলে রেখে কুরআনুল কারীম এর তেলাওয়াত, তাফসীর অধ্যায়ন, মুখস্তকরণ তথা কুরআন কেন্দ্রিক সময় কাটানো উচিত। অন্য সময়ের চাইতে কুরআন অধ্যয়নের জন্য রমযান মাসই হল শ্রেষ্ঠ উপযোগী একটি মাস। কেননা, কুরআন অবতীর্ণের মাস হল ‘মাহে রমযান’।

Related Post