প্রেম-ভালোবাসা

Originally posted 2013-02-13 06:58:56.

images

১.

ভালোবাসা ব্যাপারটা আমার কাছে একটা চরম কুহেলিকার মত লাগত। অবশ্য শুধু আমি না রবীন্দ্রনাথের মত মানুষও ভালোবাসার দার্শনিক বিচার করতে গিয়ে ঘোল খেয়েছে –

 

সখী,    ভালোবাসা কারে কয় !  সে কি   কেবলই যাতনাময় ।

সে কি   কেবলই চোখের জল ?   সে কি   কেবলই দুখের শ্বাস ?

লোকে কী তবে  সুখেরই তরে   করে এমন দুখের আশ ।

 

আমার বহু সহপাঠীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম – “আচ্ছা তোর কাছে কি মনে হয়, ভালোবাসাটা আসলে কী? প্যাশন না ক্যালকুলেশন?” বিশ্ববিদ্যালয় জ়ীবনে চারপাশের অনেক ছেলেমেয়েকে দেখে খুব দ্বিধায় ছিলাম। পরে বুঝলাম এরা ভালোবাসার নামে একটা খেলা করে, সময় কাটাতে। ক্যালকুলেশন দিয়ে রিলেশন হতে পারে ভালোবাসা নয়। বিয়ের আগে যেমন এক পক্ষ অপর পক্ষের উচ্চতা, ফেয়ারনেস স্কেল, ব্যাংক ব্যালেন্স এবং অন্যান্য সম্পদ ইত্যাদির চুলচেরা হিসাব করে তারপর সম্বন্ধ করে, তেমনি হিসেব করতে দেখতাম অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে – কাকে ভালোবাসবে সেই হিসাব।

 

তারপরেও আমি ভালোবাসা ব্যাপারটা ঠিক সংজ্ঞায়িত করতে পারতাম না। যেমন আমার হৃদয় মাত্র একটা, কিন্তু আমি ভালোবাসি অনেককে –  আমার সৃষ্টিকর্তা-প্রতিপালক আল্লাহ, আমার পথ প্রদর্শক মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আমার বাবা-মা-ভাই, আমার স, আমার বন্ধুরা, আমার নিজেকে, আমার আত্মীয়-স্বজনেরা এবং বিভিন্নসূত্রে পরিচিত আরো অনেক মানুষকে। ঝামেলা আরো ঘনীভুত হয় যখন “কাকে বেশি ভালোবাসবো” এই প্রশ্নটা আসে। বাবা না ভাই? মা না স্ত্রী? আমার যে বন্ধুটা ছোট্টবেলায় আমার অসুস্থতার সময় মাঠে খেলা বাদ দিয়ে আমাকে গল্পের বই পড়ে শোনাত, নাকি যে প্রথম পচিঁশ হাজার টাকা  বেতন পেয়ে দশ হাজার টাকা নিয়ে এসে হাতে দিয়ে বলেছিল “তোর এখন টাকা দরকার – এটা রাখ”? কে পাবে অগ্রাধিকার?

 

২.

একজন মুসলিম হিসেবে আমার কর্তব্য আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা। আল্লাহ বলেন –

وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلهِ  (سورة البقرة : 165)

…কিন্তু যারা বিশ্বাসী তারা আল্লাহকে অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসে। [সূরা বাকারাহ ২-১৬৫]

 

কিন্তু আল্লাহ এমন এক সত্ত্বা যাকে আমরা না দেখে বিশ্বাস করি, ভালোবাসি তার ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্যের জন্য। নেদারল্যান্ড থেকে আসা এক বাংলাদেশি কিশোরের উপর একটা ডকুমেনটারি দেখেছিলাম। এই ছেলেটাকে তার হতদরিদ্র বাবা-মা জন্মের পর একটা সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছিল, জন্মের ক’মাস পরেই সে বড় হতে থাকে এক নিঃসন্তান ডাচ দম্পতির ঘরে। তারপরেও বড় হয়ে সে যখন জানলো তার আসল বাবা-মা’র কথা সে অনেক কষ্টে খুঁজে বের করলো তাদের। তারপর ছেলেটা অনেক কেঁদেছিল। এই কান্নার জন্ম না দেখা ভালোবাসা থেকে, এর ভিত্তি শুধু এই সত্যটা – যে এই সন্তান বিক্রি করা বাবা-মা ছেলেটার জৈবিক বাবা-মা। আমরাও আসলে আল্লাহকে ভালোবাসি না দেখেই কিন্তু এটা জেনে যে তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং প্রতিপালন করছেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্কটা খুব আপন, ইনফর্মাল। আমার মনে আছে যখন ছোটবেলায় চাচা খুব বকা দিয়েছে, বাবা মেরেছে – আমি চোখ লাল করে কাঁদছি আর আল্লাহর কাছে নালিশ দিচ্ছি যে আমারতো কোনো দোষ নেই। আরো যখন বড় হলাম, মনের বনের পাতাগুলোতে রঙ ধরল, কোনো একজনকে অজানা কারণে খুব ভালো লাগলো কিন্তু জেনে গেলাম কখনো তাকে পাবোনা, তখন খুব কষ্ট হত। ভাবতাম একটা কুকুরও ভালোবাসার প্রত্যুত্তর দেয়, কিন্তু মানুষ কেন দেয়না? তখন আমি বড় হয়েছি – চোখ শুধু কেঁদে লাল হয়না, মন থেকে রক্তও পড়ে। একথা মাকে বলা যায়না, বন্ধুদেরই বা কতক্ষণ কাছে পাই? এমন দমবন্ধ করা মুহূর্তগুলোতে যে সবসময় আমার কাছে ছিল তিনি হলেন আল্লাহ। আমার মনের পিঠে হাত বুলিয়ে কষ্টগুলো সহ্য করার মত ক্ষমতা দিয়েছিলেন আল্লাহ। তখন বুঝেছিলাম যে এমন একটা সময় আসবে যখন আমার মা বেঁচে থাকবে না, আমার খুব কাছের বন্ধুরা দূরে চলে যাবে কিন্তু  আল্লাহ আমাকে ছেড়ে কখনও চলে যাবেন না। আমার দুঃখের ভাগ নেয়ার জন্য আল্লাহ সবসময় থাকবেন। তিনি কখনো আমাকে ভুল বুঝবেন না, কখনো আমাকে কষ্ট দেবেন না। “দুখের রজনী”টা যত লম্বা হোক না কেন আমাকে তা একা কখনোই কাটাতে হবে না।

মজার ব্যাপার হলো আমি যে আল্লাহকে ভালোবেসেছিলাম, তার কাছে আমার নালিশ জানাতাম, তার উপর ভরসা করতাম তার প্রতিদান তিনি আমাকে অসাধারণভাবে দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে রক্ষা করতেন সবসময়। যাকে না পাওয়া নিয়ে আমার এত্ত কষ্ট ছিল, সেই আমি পরে বুঝতে পেরেছিলাম ভাগ্যিস তাকে আমি পাইনি। মুখোশের আড়ালের চেহারাটা পরিষ্কার হওয়ার অনেক আগেই আল্লাহ আমাকে আগলে রেখেছিলেন, পা হড়কানোর আগেই। তাই পরে আমি আবার কেঁদেছি – ধন্যবাদ দিতে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে।

 

৩.

ভালোবাসাকে মোটা দাগে ভাগ করলে দু’ভাগ করা যেতে পারে – বিবেকজাত ও স্বভাবজাত। যেমন আল্লাহকে ভালোবাসাটা বিবেকজাত। এছাড়া বেশিভাগ ভালোবাসাই আসলে স্বভাবজাত, প্রাকৃতিক। যেমন কারো রূপ বা গুণে মুগ্ধ হয়ে, কারো কাছাকাছি থাকার ফলে বা অজানা কোনো কারণে মানুষ মানুষকে ভালোবেসে ফেলে।

 

মানুষ সৃষ্টির সেরা, কারণ সে অনেক বেশি ভালোবাসতে পারে। গরু পরম মমতায় তার বাছুরটিকে চেটে দেয়, সে কিন্তু ছাগলছানাকে আদর করে না। কিন্তু মানুষ বাছুরকেও আদর করে, ছাগলছানাকেও। ছোট্ট একটা চারাগাছকে সে পরম মমতায় পানি দেয়। সে তার পারিপার্শ্বিকতাকে যেমন ভালোবাসে তেমনি ভালোবাসে কাছের-দূরের মানুষগুলোকে। কিন্তু প্রতিটি জিনিসের মত এই মঙ্গলপূর্ণ ভালোবাসা অমঙ্গলের অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়ায় যখন তা তার সীমারেখা অতিক্রম করে। একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে ভালোবাসতো। ভালোবাসার আতিশয্যে কোন এক মুহূর্তের বিবাদ পরবর্তী অভিমানে মানুষটি আত্মহত্যা করল – যে প্রেম সুখের সংসার সাজায় তা-ই তখন প্রাণহারী!

হিটলার জার্মান জাতিকে এত  ভালোবেসেছিল যে কোন নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল, বলেছিল তার বধূ তার দেশ, তার জাতি। সেই ভালোবাসার দম্ভ যখন পৃথিবীর অন্য সকল জাতিকে ছোট করে দেখা শুরু করল তারই প্রেক্ষাপটে রচিত হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নারকীয় সব হত্যাযজ্ঞ। এই সব বিধ্বংসী ভালোবাসার অকল্যাণ রুখতে তাই আল্লাহ চমৎকার একটা বিধান দিয়ে দিলেন – স্বভাবজাত ভালোবাসাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বিবেকজাত ভালোবাসা দিয়ে। অর্থাৎ ভালোবাসতে হবে কেবল আল্লাহকে। এবং আল্লাহকে ভালোবাসার অধীনে আল্লাহ যাদের আদেশ করেছেন তাদের সবাইকেই ভালোবাসতে হবে। কিন্তু কারো ভালোবাসাই আল্লাহর ভালোবাসাকে অতিক্রম করে যেতে পারবেনা।

 

বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, সন্তান, অন্য মানুষ, জীব ও জড় জগৎ – এর সবকিছুকেই আমরা ভালোবাসবো কারণ আল্লাহ আদেশ করেছেন তাই। এখানে কেউ ভাবতে পারে আমার মা’কে আমি ভালোবাসবো এটাই তো স্বাভাবিক, সেখানে আল্লাহর আদেশের কথা আসে কিভাবে? আসে দু’ভাবে –

(ক) ধরে নেই পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মা তার সন্তানকে জন্মের কিছুদিন পর বিক্রি করে দিয়েছিল। চল্লিশ বছর পর যখন সেই নারী বুড়ো হয়ে গেল তার সন্তানের দেখা পেল এবং তার আশ্রয় গ্রহণ করলো। কোনো এক কারণে এই সন্তানের কোনো কিছুই তার ভালো লাগেনা, সে সারাদিন গালাগালি করে, অভিশাপ দেয়। এখন এই সন্তান যদি মুসলিম হয়ে থাকে তবে সে এই মাকেও ভালোবাসতে বাধ্য। সে মায়ের সেবা করবে, এবং সব দুর্ব্যবহার হাসি মুখে সহ্য করবে।

এবসার্ড, এটা হয় নাকি? জী, ইসলামের দৃষ্টিতে হয়, কারণ এই হতভাগা সন্তান মায়ের কোনো ভালোবাসা না পেয়েও মাকে ভালোবাসবে। কারণ আল্লাহ আদেশ করেছেন। এবং এই আদেশ মানার কারণে সে মায়ের ভালোবাসা না পেলেও আল্লাহর ভালোবাসা পাবে, আল্লাহর পুরষ্কার পাবে।

(খ) আমরা মোটামুটি সবাই বিশ্বাস করি উপরের কোনো মা আসলে হয়না, আর আমাদের নিজেদের মা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মা। কিন্তু মা যদি এমন কিছু বলে যা আল্লাহর আদেশের বিরোধী তবে মায়ের ভালোবাসার ঊর্ধ্বে আল্লাহর ভালোবাসাকে স্থান দিতে হবে। ইসলামি শরিয়তে যে কাজগুলো ওয়াজিব বা অবশ্য পালনীয় তা করতে হবে যদিও মায়ের অবাধ্য হতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও মনে রাখতে হবে যে এটা আমরা করছি আল্লাহকে ভালোবেসে। তাই মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবেনা, তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে।

 

৪.আমরা যদি এভাবে আমাদের সব ভালোবাসাকে আল্লাহর ভালোবাসার গন্ডীতে বেঁধে ফেলতে পারি তবে পরকালে না হয় পুরষ্কার পেলাম, এ জগতে কি লাভ হবে?

আল্লাহকে ভালোবাসলে সকল অন্যায় অপরাধ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে পরিচিত সকলের ভালোবাসা ও সম্মান পাওয়া যায়। অন্যায়ের কারণে করুন পরিণতির শিকার হতে হয় না। আর সেই আল্লাহকে ভালোবাসার কারণেই তার আদেশ পালনার্থে সকল ভালো ও মঙ্গলজনক কাজে অংশগ্রহণ করতে হয়। তাই অন্য সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। সব কাজে সকলে বরণ করে নেয়। পার্থিব জীবন অন্য সকল মানুষের ভালোবাসায় সুন্দর ও সুখী হয়।

পাশের বাড়ীর মেয়েটা পাশের বাড়ীর ছেলের সাথে পালাতো না আল্লাহকে চিনলে, তাকে যথার্থ ভালোবাসলে। দু’মাসের একটা ভালোবাসা দিয়ে সে আঠারো বছরের অনেক গুলো ভালোবাসাকে মিথ্যা করে দিতো না। নিজে কষ্ট পেতনা, পরিবারকে অসম্মান করতোনা।

 

পৃথিবীতে আসলে যত অন্যায় হয় তার বেশিভাগ হয় ভুল জিনিসকে ভালোবেসে, ভুলভাবে ভালোবেসে। আমাদের দেশের আমলারা যদি টাকা এত না ভালোবাসতেন, রাজনীতিবিদরা যদি ক্ষমতা এত না ভালোবাসতেন, আমরা যদি নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, বিলাসিতাকে এত না ভালোবাসতাম তবে এত দুর্নীতি, এত পাপ, এত অন্যায় কি সঙ্ঘটিত হতো?

 

৫.

একথা ঠিক আল্লাহকে ভালোবাসা একটা বিমূর্ত ব্যাপার। আমাদের প্রিয় মানুষটির মত আল্লাহর ক্ষেত্রেও আমরা তার নৈকট্য চাই, তার দেখা পেতে চাই, এমন কিছু করতে চাই যা তাকে খুশি করবে, এমন কিছু করতে চাইনা যা তাকে অসন্তুষ্ট করবে। যে ছেলেটা মুখে বলে ভালোবাসি কিন্তু বিয়ের সময় শ্বশুর দেখে ঘর বাঁধে সে যেমন মিথ্যাবাদী তেমন যে দাবী করে আল্লাহকে ভালোবাসে কিন্তু কাজে প্রমাণ দেয় না সেও মিথ্যাবাদী। আল্লাহকে কিভাবে ভালোবাসতে হয় তা আমরা শিখবো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর কাছ থেকে – আল্লাহ বলেন,

قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ ﴿3131﴾ قُلْ أَطِيعُوا اللهَ وَالرَّسُولَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ الْكَافِرِينَ ﴿3232﴾ (سورة آل عمران : 31، 32)

(হে রসুল) বলে দাও “যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস তবে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুণাসমূহ ক্ষমা করবেন, বস্তুত আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” বল “তোমরা আল্লাহ ও রসুলের আজ্ঞাবহ হও”। অতঃপর তারা যদি না মানে তবে জেনে রেখ, আল্লাহ কাফিরদের ভালোবাসেন না। [সূরা আলে-ইম্‌রান: ৩১,৩২]

 

তাই সব মানুষের মধ্যে ভালোবাসার সর্বাধিক অগ্রাধিকার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর। তাকে ভালোবাসার মানে তার আদর্শ নিজের মধ্যে ধারণ করা, তাকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, তার আদেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করা, তার নিষেধ মেনে চলা, তার প্রচারিত বিধান অন্যদের কাছে পৌছিয়ে দেয়া। তবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালোবাসাও হতে হবে আল্লাহর ভালোবাসার অধীনে, আমাদের দেশের “আশিকে-রসূলদের” মত ভালোবাসার নাম করে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর আসনে বসিয়ে দেয়া যাবে না।

 

যে মানুষটা একবার আল্লাহকে ভালোবাসার অনুভূতিটা পেয়েছে সে আসলে খুব সৌভাগ্যবান। কষ্টভরা এই পৃথিবীতে আর কোনো কিছুরই সামর্থ নেই তাকে দুঃখ দেবার। আল্লাহ আমাদের সেই হাতেগোণা ভাগ্যবানদের দলে থাকবার সুযোগ দিন, আমিন।

Related Post