ফিরাউনের জাদুকরদের প্রার্থনা : হজরত মুসা আলাইহিস সালাম তৎকালীন ফিরাউন দ্বিতীয় রেমসিরের ছেলে মিনফাতাহর (যার রাজত্ব খ্রিষ্টপূর্ব ১২১৫ থেকে ১২৩০) কাছে দ্বীনের দাওয়াত পেশ করলে, সে হজরত মুসা আ:-এর কাছে তাঁর দাবির সপক্ষে প্রমাণ দেখাতে বলল। হজরত মুসা আ: আপন লাঠি মাটিতে ফেললেন। সাথে সাথে তা এক অজগরে পরিণত হলো। ফিরাউনের পরিষদবর্গ বলল, এ তো এক সুদক্ষ জাদুকর। একে প্রতিহত করার জন্য সারা দেশ থেকে বড় বড় জাদুকরদের একত্র করা হোক।
মিসরীয় কিবতিদের বিশেষ এক উৎসবের দিন আলোকদীপ্ত পূর্বাহ্ণে প্রায় ১৫ হাজার বিখ্যাত জাদুকর একত্র করা হলো। জাদুকরেরা তাদের রজ্জু ও লাঠি নিক্ষেপ করে এক বিশাল ময়দান ভরে ফেলল। জাদুকরেরা দর্শকদের দৃষ্টি বিভ্রম ঘটিয়ে দেয়ায় সবার মনে হতে লাগল, এগুলো ঘন ঘন কাঁপছে। এ অবস্থা দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে গেল। হজরত মুসা আ: আল্লাহ তায়ালার হুকুমে তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করলেন। সাথে সাথে তা জাদুকরদের লাঠি ও রজ্জুগুলো গ্রাস করে ফেলল। এ দৃশ্য দেখে জাদুকরদের নিশ্চিত বিশ্বাস হলো, হজরত মুসা আ: কোনো জাদুকর নন; তিনি আল্লাহ পাকের প্রেরিত রাসূল। তারা তখন সিজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং বলল, আমরা মুসা ও হারুনের প্রতিপালক আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি ঈমান আনলাম। ফিরাউন বলল, এত এক চক্রান্ত; আমি তোমাদের হস্তপদ বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব এবং তোমাদের সবাইকে শূলীতে চড়াব। তারা বললেন, আমাদের কাছে আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শন আসার পর আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। ফিরাউন তাদের সবাইকে শূলে চড়িয়ে শহীদ করে দিলো। পূর্বাহ্ণে যারা জাদুকর ছিলেন অপরাহ্ণে তারা শাহাদাত লাভ করলেন। তারা শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করার আগে আল্লাহ পাকের মহান দরবারে বিনয়াবনত হয়ে প্রার্থনা করেছিলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে পরিপূর্ণ ধৈর্য দান করুন এবং আপনার নিকট আত্মসমর্পণকারী হিসেবে আমাদের মৃত্যু দিন।’ (সূরা আরাফ : ১২৬)
হজরত মুসা আ:-এর কওমের দোয়া : হজরত মুসা আ:-এর যুগের ফিরাউন ছিল একজন উদ্ধত ও স্বৈরাচারী বাদশাহ। তার ও তার পরিষদবর্গের নির্যাতনের ভয়ে অনেকেই হজরত মুসা আ:-এর প্রতি ঈমান আনেনি। বনি ইসরাইলের যারা হজরত মুসা আ:-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, তিনি তাদের সবাইকে বললেন, হে আমার কওম, তোমরা যদি মুসলিম হয়ে থাক তবে তোমরা শুধু আল্লাহরই ওপর নির্ভর করো। তখন তারা আল্লাহ পাকের নিকট প্রার্থনা করলেন। ‘আমরা সবাই একমাত্র আল্লাহর ওপর নির্ভর করলাম। হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে অপরাধী সম্প্রদায়ের উৎপীড়নের পাত্র করবেন না এবং আমাদেরকে আপনার অনুগ্রহে কাফির সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করুন।’ (সূরা ইউনুস ৮৫-৮৬)
তিনি দোয়া করেন, ‘আমি আমার যাবতীয় বিষয় আল্লাহর নিকট অর্পণ করছি। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখেন।’ (সূরা মুমিন-৪৪)
তালুত ও তার সঙ্গীদের প্রার্থনা : হজরত মুসা আ:-এর সহস্রাধিক বছর পর জালূত নামক অত্যাচারী শাসক বনি ইসরাইলের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তাদের আপন আবাসভূমি থেকে বহিষ্কার করেছিল। সেই সময় বনি ইসরাইল তৎকালীন নবী হজরত শামবিল আ:-এর নিকট আবেদন করেছিল যে, তাদের জন্য যেন একজন রাজা নিযুক্ত করা হয়, যার নেতৃত্ব তারা জালুতের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে। আল্লাহ পাকের হুকুমে তাদের জন্য তালুত নামক একজন শক্তিশালী ও প্রজ্ঞাবান মহান ব্যক্তিকে রাজা নিযুক্ত করা হলো। নির্ধারিত সময়ে তালুত সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হলেন। বললেন, আল্লাহ তোমাদেরকে একটি নদী দিয়ে পরীক্ষা করবেন। তোমরা এ নদী থেকে পানি পান করবে না। একান্তভাবে কারো করতে হলে স্বল্প পরিমাণে করবে। মাত্র ৩১৩ জন ছাড়া সবাই অধিক পরিমাণে পান করল। যারা অধিক পরিমাণে পান করল, তারা আর সম্মুখে অগ্রসর হতে পারল না। কিন্তু খাঁটি ঈমানদারগণ এতে সাহস হারালেন না। তারা বললেন, আল্লাহর হুকুমে অনেক ক্ষুদ্র দল বৃহৎ দলকে পরাভূত করেছে। সুতরাং আমরা আল্লাহ পাকের ওপর নির্ভর করে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবই। তারা প্রবল প্রতাপশালী জালুত ও তার বিশাল সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হয়ে আল্লাহ পাকের নিকট দোয়া করলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে ধৈর্য দান করুন, আমাদের পা অবিচলিত রাখুন এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।’ (সূরা বাকারা-২৫০)। আল্লাহ পাকের সাহায্যে তারা শক্তিধর জালুত বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী হন।
পূর্বযুগের একজন মুমিনের দোয়া : পূর্ববর্তী কোনো যুগে এক ব্যক্তির দু’টি আঙুর বাগান ছিল। এ বাগান দু’টি প্রচুর ফল প্রদান করত। উদ্যানের চতুর্দিকে খেজুরগাছ, দুই বাগানের মধ্যখানে শস্যক্ষেত ও ফাঁকে ফাঁকে নহর প্রবাহিত ছিল। সে একদিন তার এক দরিদ্র বন্ধুর সাথে অহঙ্কার করে বলল, আমি তোমার থেকে শ্রেষ্ঠ। সে তার উদ্যান প্রবেশ করে আরো বলল, আমি মনে করি না যে, কখনো কিয়ামত সংঘটিত হবে এবং এ উদ্যান কোনো দিন ধ্বংস হবে। তার দরিদ্র বন্ধু ছিলেন মুমিন। তিনি বললেন, তুমি কি তাঁকে অস্বীকার করছ, যিনি তোমাকে সৃষ্ট্ িকরেছেন? কিন্তু আমি বলি, আল্লাহই আমার প্রতিপালক। আমি কাকেও আমার প্রতিপালকের সাথে শরিক করি না। তুমি যখন তোমার উদ্যানে প্রবেশ করলে তখন কেন এ দোয়া পড়লে না এসব আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো শক্তি নেই।’ (সূরা কাহ্ফ-৩৯)
অবশেষে তার ফল সম্পদ বিপর্যয়ে বেষ্টিত হলো। তারা দ্রাক্ষা উদ্যান মাচানসহ ভূমিসাৎ হয়ে গেল। সে তাতে যা ব্যয় করেছিল তার জন্য আক্ষেপ করতে লাগল। তাকে সাহায্য করার কেউ ছিল না এবং সে নিজেও প্রতিকারে সমর্থ হলো না।
রানী বিলকিসের দোয়া : হজরত সুলাইমান আ:-এর সাবা বংশীয় রানী বিলকিস বিনতে শারাহিল ইয়ামানের শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। তিনি প্রভূত বিত্তবৈভবের মালিক ছিলেন। রানীর একটি বিশাল সিংহাসন ছিল, যা স্বর্ণ, রৌপ্য ও বিভিন্ন প্রকার মূল্যবান পাথর দিয়ে সুসজ্জিত ছিল। রানী ও তার সম্প্রদায় ছিল সূর্যপূজারী। হজরত সুলাইমান আ: রানীর কাছে এই মর্মে পত্র প্রেরণ করেছিলেন যে, সে যেন কুফর ও শিরক বর্জন করে ‘আল্লাহ এক’ বলে বিশ্বাস করে এবং ক্ষমতার অহমিকা পরিত্যাগ করে তাঁর আনুগত্য স্বীকার করে তার কাছে উপস্থিত হয়। এ দিকে হজরত সুলাইমান আ: দরবারের লোকদের বলেন, হে পারিষদ বর্গ, ইয়ামানের রানী আত্মসমর্পণ করে আমার কাছে আসার আগে তোমাদের মধ্যে কে তার সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসতে পারবে? এক শক্তিশালী জিন বলল, আপনার মজলিস শেষ হওয়ার আগেই আমি তা আপনার কাছে এনে দিতে পারব। হজরত সুলাইমান আ:-এর একজন নিকটতম সাহাবি ও লেখক বললেন, আপনার চোখের পলক ফেলার আগেই আমি তা আপনার কাছে নিয়ে আসতে পারব। ইনি আসমানি কিতাবের জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন এবং তাঁর ইসমে আজমও জানা ছিল। মুহূর্তের মধ্যে সে সিংহাসন নিয়ে এলো।
রানী বিলকিস হজরত সুলাইমান আ:-এর দরবারে উপস্থিত হলেন। তিনি এখানে তার নিজ সিংহাসন দেখে বিস্মিত হলেন এবং এক আল্লাহর প্রতি নিজের ঈমান প্রকাশ করলেন। রানী হজরত সুলাইমানের আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ঐশ্বর্য ও অভূতপূর্ব ক্ষমতার প্রতাপ লক্ষ করে পাঠ করেছিলেন ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি তো নিজের প্রতি জুলুম করেছিলাম। আমি সুলাইমানের সাথে জগৎগুলোর প্রতিপালক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করছি।’ (সূরা নামল : ৪৪)
হজরত ঈসা আ:-এর হাওয়ারিদের দোয়া : হজরত ঈসা আ: বনি ইসরাইলের কাছে নবী হিসেবে আগমন করেন। তাদের বেশির ভাগ তাঁর দাওয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে। উপরন্তু তারা তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করল। তিনি তা উপলব্ধি করতে পেরে বললেন, আল্লাহর দিকে গমনে কে আমার সাহায্যকারী হবে? হজরত ঈশা আ:-এর একান্ত অনুগত হাওয়ারিগণ বললেন, আমরাই আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। আমরা আত্মসমর্পণকারী, আপনি এর সাক্ষী থাকুন। অতঃপর তারা কথাটিকে আরো সুদৃঢ় করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বললেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি যা অবতীর্ণ করেছেন তাতে আমরা ঈমান এনেছি এবং আমরা এই রাসূলের অনুসরণ করেছি। সুতরাং আপনি আমাদেরকে সাক্ষ্য প্রদানকারীদের তালিকাভুক্ত করুন।’ (সূরা আল-ইমরান ৫৩)
আসহাবে কাহ্ফের দোয়া : আসহাবে কাহ্ফখ্যাত মুমিন যুবকেরা গুহায় প্রবেশ করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মহান দরবারে প্রার্থনা করেছিলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি নিজের কাছ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনা ব্যবস্থা করুন’। (সূরা কাহ্ফ ১০)। আল্লাহ তায়ালা তখন তাদেরকে গুহায় শাস্তির নিদ্রা দান করেছিলেন।
ফেরেশতাদের দোয়া : ফেরেশতা আল্লাহ পাকের একপ্রকার সম্মানিত মাখলুক। তাঁরা মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব, যারা তওবা করে ও আপনার পথ অবলম্বন করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’
‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি তাদেরকে দাখিল করুন স্থায়ী জান্নাতে, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের পিতামাতা, পতি-পতœী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করেছে তাদেরকেও। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আপনি তাদেরকে শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। সেই দিন আপনি যাকে শাস্তি থেকে রক্ষা করবেন তাকে তো অনুগ্রহই করলেন। এ-ই তো মহাসাফল্য।’ (সূরা মুমিন ৭-৯)
আরাফে অবস্থানকারীদের দোয়া : পরকালের হিসাব-নিকাশের পর জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীর মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করা হবে। জান্নাত ও জাহান্নাম ভিন্ন তৃতীয় একটি স্থান হলো আরাফ। যাদের নেক আমল ও বদ-আমল সমান সমান হবে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে আরাফে রাখা হবে। আরাফের অধিবাসীরা নিজেদের স্থান থেকে জান্নাতি ও জাহান্নামি উভয় দলকে দেখতে পাবে। তারা জান্নাত লাভের আকাক্সক্ষায় থাকবে। একপর্যায়ে তাদেরকে জান্নাতে পৌঁছানো হবে। আরাফ থেকে তাদের দৃষ্টি যখন জাহান্নামিদের ওপর পতিত হবে, তখর তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে জালিম সম্প্রদায়ের সঙ্গী করবেন না।’ (সূরা- আরাফ: ৪৭)
জান্নাত লাভের পর মুমিনদের দোয়া : মুমিনদের জন্য আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার হলো জান্নাত। তারা জান্নাতে প্রবেশ করে এ দোয়া উচ্চারণ করবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি আমাদেরকে এর পথ দেখিয়েছেন। আল্লাহ আমাদেরকে পথ না দেখালে আমরা কখনো পথ পেতাম না। আমাদের প্রতিপালকের রাসূলগণ তো সত্যবাণী এনেছিলেন।’ (সূরা-আরাফ : ৪৩)
মুমিনগণ কখনো এ দোয়া করবেন, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি আমাদের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে অধিকারী করেছেন এই ভূমির; আমরা জান্নাতে যেথায় ইচ্ছা বসবাস করব। সদাচারীদের পুরস্কার কত উত্তম।’ (সূরা জুমার : ৭৪) তারা কখনো বলবে, ‘প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত করেছেন, আমাদের প্রতিপালক তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ (সূরা ফাতির ৩৪) হজরত রাসূলে করিম সা: বলেছেন ‘আলহামদুলিল্লাহ, মিজানকে ভরে দেয়’। (তাফসিরে কুরতুবি, প্রথম খণ্ড, সূরা ফাতিহা, পৃ: ৯২)
হজরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘আমার কোনো উম্মতের হাতে যদি সমগ্র পৃথিবী উঠিয়ে দেয়া হয় এবং সে আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করে, তবে আলহামদুলিল্লাহ মর্যাদা পৃথিবী ও এর সমগ্র বস্তু থেকে উত্তম।’
এ জন্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরার প্রথম আয়াতে ইরশাদ করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামিন। তিনি চির প্রশংসিত। প্রারম্ভে, সমাপ্তিলগ্নে, ইহকালে, পরকালে। সমাপ্ত ।