ভোটও একটি আমানত, সুতরাং যে এই ভোটের পাওনাদার, ভোটটি তাকে পৌঁছে দেয়া প্রত্যেক ভোটারের পবিত্র দায়িত্ব। সৎ ও যোগ্য প্রার্থী এই ভোটের পাওনাদার। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে আপনার ভোট প্রদান করুন। পক্ষান্তরে অযোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেয়া আমানতের খেয়ানত করা। হাদীস শরীফে আসছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضي الله عنه قَالَ بَيْنَمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه و سلم فِي مَجْلِسٍ يُحَدِّثُ الْقَوْمَ جَاءَهُ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ مَتَى السَّاعَةُ فَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم يُحَدِّثُ، فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ سَمِعَ مَا قَالَ، فَكَرِهَ مَا قَالَ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ بَلْ لَمْ يَسْمَعْ، حَتَّى إِذَا قَضَى حَدِيثَهُ قَالَ ” أَيْنَ ـ أُرَاهُ ـ السَّائِلُ عَنِ السَّاعَةِ ”. قَالَ هَا أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ ” فَإِذَا ضُيِّعَتِ الأَمَانَةُ فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ ”. قَالَ كَيْفَ إِضَاعَتُهَا قَالَ ” إِذَا وُسِّدَ الأَمْرُ إِلَى غَيْرِ أَهْلِهِ فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আল্লাহর রাসূল (সা.) মজলিসে জনসম্মুখে কিছু আলোচনা করছিলেন। ইতোমধ্যে তাঁর নিকট জনৈক বেদুঈন এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে?’ আল্লাহর রাসূল (সা.) তাঁর আলোচনায় রত থাকলেন। এতে কেউ কেউ বললেন, লোকটি যা বলেছে তিনি তা শুনেছেন কিন্তু তার কথা পছন্দ করেননি। আর কেউ কেউ বললেন বরং তিনি শুনতেই পাননি। আল্লাহর রাসূল (সা.) আলোচনা শেষে বললেনঃ ‘ক্বিয়ামাত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়?’ সে বলল, ‘এই যে আমি, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেনঃ যখন আমানত নষ্ট করা হয় তখন কিয়ামতের প্রতীক্ষা করবে। সে বলল, কিভাবে আমানত নষ্ট করা হয়? তিনি বললেনঃ ‘যখন কোন অনুপযুক্ত ব্যক্তির উপর কোন কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়, তখন তুমি কিয়ামতের অপেক্ষা করবে।’ (বুখারী: তাওহীদ ৫৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৭)
‘ভোট’ শব্দের অর্থ কোনো ব্যক্তি বা বিষয়ের পক্ষে মতামত পেশ করা। ইসলামের দৃষ্টিতে ভোটের ৪টি প্রায়োগিক অর্থ রয়েছে: ১. সাক্ষ্য দেওয়া; ২. প্রতিনিধি নিযুক্ত করা; ৩. সুপারিশ করা; ৪. আমানত রাখা।
সাক্ষ্য: কোনো পদের প্রার্থীকে তার প্রার্থিত পদে ভোট দেওয়ার অর্থ হলো, ভোটার এই মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, এই প্রার্থী উক্ত পদের জন্য সার্বিক বিবেচনায় সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি। বাস্তবে যদি তিনি উক্ত পদের জন্য যোগ্য না হন, তাহলে ভোটার মিথ্যা সাক্ষ্যের দোষে দোষী হবেন। ইসলামের দৃষ্টিতে সত্য ও ইনসাফের সঙ্গে সাক্ষ্যদান ওয়াজিব এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া হারাম। ভোটারগণ বিবেচনা করে ভোট দিবেন।
এ বিষয়ে মহান আল্লাহর নির্দেশ: ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ন্যায়বিচারে দৃঢ়প্রতিষ্ঠ থাক, আল্লাহর জন্য ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্য দাও; যদিও ইহা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে হয়; সে বিত্তবান হউক অথবা বিত্তহীন হউক, আল্লাহ উভয়েরই ঘনিষ্ঠতর।’ (সূরা নিসা: ১৩৫)
প্রতিনিধি: নেতা সমাজের প্রতিনিধি। নেতা নির্বাচন প্রত্যেক পরিণত নাগরিকের সামাজিক অধিকার ও জাতীয় দায়িত্ব। দলীয় সঙ্কীর্ণতা, স্বজনপ্রীতি, বৈষয়িক ব্যক্তি স্বার্থের লোভ বা কোনোরূপ প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার না করে এমন সৎ, যোগ্য ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করার মাধ্যমে এ অধিকার প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করতে হবে, যার মধ্যে মানুষ ও সমাজের সর্বোচ্চ কল্যাণ সাধনের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এর বদলে অর্থ, প্রতাপ বা বংশীয় সম্পর্কে প্রভাবিত হয়ে কেউ যদি মানুষ, মানুষের ধর্ম ও জনগণের সম্মিলিত স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর বা অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেন, তাহলে হাদীসের ভাষায় তিনি ‘খেয়ানতকারী’ সাব্যস্ত হবেন।
মহানবী (সা.) বলেছেন:
وَمَنْ تَوَلَّى مِنْ أُمَرَاءِ الْمُسْلِمِينَ شَيْئًا فَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ رَجُلا وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ فِيهِمْ مَنْ هُوَ أَوْلَى بِذَلِكَ وَأَعْلَمُ مِنْهُ بِكِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ ، فَقَدْ خَانَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَجَمِيعَ الْمُؤْمِنِينَ ،
‘যে ব্যক্তি মুসলিমদের পক্ষ থেকে কোনো দায়িত্বে নিযুক্ত হয়, তারপর সে তাদের ওপর এমন কাউকে কোনো কাজে কর্মকর্তা নিযুক্ত করে যার চেয়ে চরিত্রে ও কুরআন-হাদীসের জ্ঞানে অধিকতর যোগ্য ব্যক্তি আছে বলে সে জানে, তবে সে অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা. এবং মুসলিম সমাজের অধিকারের খেয়ানত করল। (আল-মু’জাম আল-কাবীর লি আত-তাবারানী ১১২১৬।
সুপারিশ: ভোট দেওয়ার ৩য় অর্থ হলো, ভোটদাতা প্রার্থীকে তার প্রার্থিত পদের যোগ্য ব্যক্তি সাব্যস্ত করে কোনো পরিষদে নিজের পক্ষ থেকে তাকে প্রতিনিধি নিয়োগের সুপারিশ করা। কাজেই বাস্তবে যদি ওই প্রার্থী অযোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে অন্যায় সুপারিশের কারণে সুপারিশকারী তথা ভোটার দায়ী হবেন। এমনকি এই প্রার্থী তার সচেতন ভোটে নির্বাচিত হয়ে যত খারাপ কাজ করবেন, ভোটারও পরোক্ষভাবে তার গোনাহে শরিক থাকবেন।
মহান আল্লাহ বলছেন: مَّن يَشْفَعْ شَفَاعَةً حَسَنَةً يَكُن لَّهُ نَصِيبٌ مِّنْهَا ۖ وَمَن يَشْفَعْ شَفَاعَةً سَيِّئَةً يَكُن لَّهُ كِفْلٌ مِّنْهَا ۗ
যে লোক সৎকাজের জন্য কোন সুপারিশ করবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক সুপারিশ করবে মন্দ কাজের জন্যে সে তার বোঝারও একটি অংশ পাবে। (সূরা নিসা:৮৫)
আমানত: ভোট একটি পবিত্র আমানত। যোগ্য ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিকে ভোট দিলে এ আমানতের সদ্ব্যবহার করা হয়, আর অযোগ্য ও ধর্মবিমুখ ব্যক্তিকে ভোট দিলে আমানতের খেয়ানত করা হয়। অধিকন্তু ভোটের আমানতের খেয়ানত ব্যক্তিগত খেয়ানতের চেয়ে গুরুতর, কেননা এর ফলে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে আমানত যথাস্থানে প্রত্যার্পণ ওয়াজিব এবং এর অন্যথা কঠিন শাস্তি যোগ্য।
মহান আল্লাহ বলেন:
إِنَّ اللَّـهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَىٰ أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُم بَيْنَ النَّاسِ أَن تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ ۚ إِنَّ اللَّـهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِ
অর্থাৎ নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন, যে তোমাদের আমানত তোমরা তার প্রাপককে পৌঁছে দাও। আর যখন লোকদের মাঝে বিচার ফয়সালা কর, তখন নিরপেক্ষ ও ইনসাফের সাথে ফয়সালা করবে। আল্লাহ কত সুন্দরভাবে তোমাদেরকে বুঝাচ্ছেন। (সূরা নিসা: ৫৮ )
নির্বাচনে ভোটার যা থেকে বিরত থাকবেন: ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লোভ, দুর্নীতি আর পেশিশক্তির কাছে জিম্মি হওয়া যাবে না। কারণ নির্বাচনের দিন ভোটের মাধ্যমে যে বীজ বপন করা হয়, তার ফসল পাওয়া যায় পরবর্তী পাঁচ বছর। তাই বুঝে-শুনে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করলে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু ও যথাযথ বিকাশের জন্য শুধু ভোটের দিনই নয়, তার পূর্বের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভোটের প্রাক্কালে প্রার্থীদের অতীত ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। ভোট প্রদানের সময় প্রার্থীর সততা ও যোগ্যতাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নির্বাচন একটি প্রাচীন পদ্ধতি। নির্বাচন একটি ইসলামিক বিধানও বটে। তাই তো দেখা যায়, আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর নবী (সা.)-এর দাফন-কাফনের আগে ইসলামি বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান এবং খলিফা নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে হযরত আবু বকর (রা.) কে সাহাবাদের মতামতের ভিত্তিতে খলিফা নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ইসলাম সর্বদা ব্যক্তির সততা, যোগ্যতা, আল্লাহভীতি, ঈমান, জ্ঞান, আমল, চারিত্রিক গুণাবলী ও বংশকে প্রাধান্য দিয়েছে। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়া যেমন প্রয়োজন, প্রার্থী বা নির্বাচিত ব্যক্তিও তেমন সৎ, যোগ্য, জ্ঞানী, চরিত্রবান, আল্লাহভীরু, আমানতদার, ন্যায়পরায়ণ, দেশপ্রেমিক, মানবদরদী ও দায়িত্বানুভূতি সম্পন্ন হওয়া তার চেয়ে আরও বেশি প্রয়োজন। তাই জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দিতে হবে। যারা ভোটারদের মিথ্যা কথা বলে লোভ-লালসা দিয়ে প্রলুব্ধ করে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়, অন্যায় ও অবৈধ কার্যক্রমে লিপ্ত হয়, ভোট ক্রয়-বিক্রয় করে, জাল ভোট প্রদান করে, ভোটকেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়; তাদের বর্জন করতে হবে। ভোটের মতো একটি পবিত্র আমানতকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে ভোটের বিষয়টি শুধু পার্থিব নয়, পরকালেও এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এক হাদীসে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
السَّاعِي عَلَى الْأَرْمَلَةِ وَالْمِسْكِينِ كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ” وَأَحْسِبُهُ قَالَ : يَشُكُّ الْقَعْنَبِيُّ ” كَالْقَائِمِ لَا يَفْتُرُ وَكَالصَّائِمِ لَا يُفْطِرُ ” .
‘যারা মানবতার সেবার জন্য দৌড়ঝাঁপ করবে তাদের মর্যাদা হবে সে লোকের মতো যে সারারাত ইবাদত করে এবং সারাদিন রোজা রাখে।’ (বুখারী: ৫৫৭৫) ইসলাম সমাজকর্মীদের কত বড় মর্যাদা দিয়েছে। আরেক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক কাজের সফলতা, ব্যর্থতা, সুফল ও কুফল ব্যক্তির নিয়তের ওপর নির্ভর করে। (বুখারী: ১)
সুতরাং প্রার্থী যদি নির্বাচিত হয়ে দেশ, ধর্ম ও মানুষের জন্য কল্যাণকর এবং সওয়াবের কাজ করেন শুধু তখনই তিনি সে সম্মান ও মর্যাদা পাবেন। যারা ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করবেন তারাও অনুরূপ সওয়াব ও মর্যাদার অধিকারী হবেন। কারণ, ভোটারদের কারণেই তিনি এমন পুণ্যময় কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যারা ভালো বা মন্দ কাজ করে বা করার ক্ষমতা ও সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় তারা ওই কর্ম সম্পাদনকারীর সমান সওয়াব বা গুনাহ অর্জন করবে।’ মনে রাখবেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্ব ইসলামের দৃষ্টিতে এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণেই রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবারা রাসূল (সা.)-এর দাফন-কাফনের চেয়ে রাষ্ট্রের নেতা নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে হযরত আবু বকর (রা.) কে খলিফা নির্বাচিত করেছিলেন। ইসলাম মনে করে, যারা ভোট দিবেন; তারা সমাজে ভালো কাজ করার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পক্ষে রায় দিবেন।
আসন্ন নির্বাচনে সম্মানিত ভোটাররা বিষয়গুলো মাথায় রেখে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। অনেকে মনে করেন, নির্বাচন আর ভোটাভুটি বুঝি কেবল অসৎ আর অসাধুদের আড্ডাবাজি। তাই একে এড়িয়ে যাওয়ার সহজ পদ্ধতি হিসেবে ভোট না দেয়ার পথকেই তারা বেছে নেন। কিন্তু সমাজ আর রাষ্ট্রের নেতৃত্ব অসাধুদের হাতে ছেড়ে দিয়ে সমাজে কি কখনো সততা ও ন্যায় বিচারের আশা করা যায়? তাই ইসলাম ভোট না দেয়ার এই প্রবণতাকে নিষিদ্ধ করেছে। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে ভোটের অবস্থান সাক্ষ্য প্রদানতুল্য যা আমরা প্রথমে আলোচনা করেছি। মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান যেমনিভাবে হারাম ও নাজায়েজ, তেমনিভাবে প্রয়োজনের মুহূর্তে সত্য সাক্ষ্য গোপন করাও হারাম। এই প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:
‘আর তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না।
وَلَا تَكْتُمُوا الشَّهَادَةَ ۚ وَمَن يَكْتُمْهَا فَإِنَّهُ آثِمٌ قَلْبُهُ ۗ
যে ব্যক্তি সাক্ষ্য গোপন করবে, তার অন্তর গোনাহগার হিসেবে গণ্য হবে।’ [সুরা বাকারা: আয়াত:২৮৩]
তাই উপরোক্ত প্রমাণাদির আলোকে বলা যায় ইসলাম ভোট না দেয়ার প্রবণতাকে প্রত্যাখান করেছে। এ মত ব্যক্ত করেছেন মুসলিম বিশ্বের প্রখ্যাত আলেমে দীন আল্লামা তাকি উসমানি।
তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সৎ-যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত করার জন্য আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ পরিবারের ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করি। আল্লাহ আমাদের অর্পিত আমানত যথা স্থানে পৌঁছে দেওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন