দিনটি ছিল ১১ ই জুলাই। ১৯৯৯ সাল। রাত সাড়ে আটটার মত হবে। মরুর দেশ কুয়েতের আবহাওয়া প্রচন্ড উত্তপ্ত। সূর্য ডুবে গেছে সেই কখন কিন্তু এখনও বাতাসে যেন আগুনের হল্কা বয়ে চলেছে। মনে হয়ে গা’র চামড়া পুড়িয়ে দেবে। সারাদিন বাইরে বেরুনো যায়নি। সন্ধার একটু আগে বেরিয়েছিলাম, বাসায় ফিরে যাবার খুব একটা তাড়া নেই যদিও তবু যতটা দ্রুত কাজ শেষ করে ফেরা যায় ততই ভালো। এই উত্তপ্ত আবহাওয়ায় হেঁটে বেড়ানোটাও বড়ই কষ্টকর ঠেকে যেন!
সাথে ছিলেন বন্ধুবর অত্যন্ত স্বজন ও স্বল্পভাষী হক ভাই। গাড়ী পার্কে গাড়ী রেখে এসে দুজনে বাজারে মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এসে দাঁড়িয়েছি কুয়েত শহরের একেবারে কেন্দ্রস্হলে অবস্হিত মোল্লাহ সালেহ মসজিদের কাছে। মসজিদের কাছকাছি পৌঁছুতেই এশার আজান শুরু হলো।
নামাজের তখনও দেরি আছে প্রায় কুড়ি মিনিট বা তার কাছাকাছি সময়, তার পরেও বন্ধু জনাব হক ভাইকে বললাম, আসুন এখানেই দু’জনে নামাজটা আগে সেরে নেই, এর পরে না হয় বাজারের ভেতর যাওয়া যাবে, তা না হলে একবার বাজারের মধ্যে ঢুকলে হয়ত শেষ পর্যন্ত জামাতটাই মিস করব। তিনি বিনা বাক্যব্যয়ে রাজি হলেন, আর আমরা দুজনে গিয়ে মসজিদের ভেতরে বসলাম।
মোল্লাহ সালেহ মসজিদে মাঝে মধ্যে আসি। এখানেই রয়েছে পুরো কুয়েতেরই নয় বরং বলা চলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বিখ্যাত, এক নামে সবাই যে প্রতিষ্ঠানটিকে চেনে, সেই ‘আই. পি. সি.’ বা ইসলাম প্রেজেন্টেশন কমিটির অফিস। এই মসজিদটির বেসমেন্টে অবস্হিত প্রতিষ্ঠানটি।
ইসলামের পরিচিত ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে এখানে নিয়মিতই মাসিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বখ্যাত ইসলামি চিন্তাবীদ ও বক্তারা এখানে প্রায়ই আসেন ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। মরহুম আহমেদ দীদাত, মিশরের জগলুল নাজ্জার এবং ভারতের ড: জাকির নায়েকসহ অনেকেই এখানে তাদের বক্তব্য বহুবার উপস্হাপন করেছেন। আর কুয়েতে অবস্হানরত আমেরিকান কিংবা ইউরোপিয় সৈন্যরা নিয়মতিই এরকম আলোচনানুষ্ঠানে উপস্হিত হন দেখেছি।
বিশ্বের প্রায় ৭০ টিরও বেশি দেশ থেকে চাকুরি, ব্যবসা বা অন্যান্য কাজে এখানে আসা অনেক অমুসলিম বসবাস করছেন বৎসরের পর বৎসর ধরে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও রাশিয়াসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক অমুসলিম পেশাজীবি কুয়েতে কর্মরত আছেন বিভিন্ন সেক্টরে। এছাড়াও রয়েছে হাজার হাজার আমেরিকান ও ন্যাটো দেশভুক্ত কয়েকটি দেশের সৈন্য ও তাদের অনেকেরই পরিবার পরিজনরা।
‘আই. পি. সি.’ এদের কাছেই নিয়মিত কর্মসূচির মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ইসলামের দাওয়াত তুলে ধরছে বিগত বেশ কটি বৎসর ধরে। বিগত ক’টি বৎসরে এদের কাজে এসেছে এক দারুন গতীময়তা! প্রতিদিনই এখানে কোন না কোন অমুসলিম ধর্মান্তরীত হয়ে মুসলমান হচ্ছেন। কখনও কখনও দল বেঁধেও অনেকে মুসলমান হন। এদের রয়েছে এক ঝাঁক দক্ষ ও অত্যন্ত নিষ্ঠাবান দাঈ ইলাল্লহ।
এখানেই পরিচয় হয়েছিল একজন খৃষ্টান পাদ্রী থেকে ধর্মান্তরীত হয়ে জাঁদরেল দা’য়ী ইলাল্লাহ, ফিলিপিনো নও মুসলিম মরহুম আব্দুল্লাহ স্পিরিটো’র সাথে। নিজের এক দাওয়াতি টার্গেটের কারণে মরহুম ভাই আব্দুলণ্ঢাহর কাছে ঘন ঘন আসতে হতো। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরে আর আগের মত আসা হয়ে ওঠে না যদিও, তবু একটু সময় পেলেই চলে আসি। আসি, কেননা এখানে নিয়মিতই কিছু স্বর্গীয় মুহুর্তের অবতারণা হয়, নিজে যার সাক্ষী থাকতে চাই। এরকম একটি ঘটনার কথাই আজ সুধী পাঠকের উদ্দেশ্যে লিখছি।
এশার নামাজ যথারীতি জামাতের সাথেই পড়লাম। সালাম ফেরানোর পর পরই দেখতে পেলাম ‘আই পি সি’র ইউরোপ ও পাশ্চাত্য বিভাগের প্রধান ড. ইউসুফ মুসল্লীদের ভীড় ঠেলে এগিয়ে আসছেন। তিনি এসে ইমাম সাহেবের সাথে দুটো কথা বলে নিলেন। এর পরে দু’জনেই মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়ালেন।
ইমাম সাহেবই মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে প্রথমে মুখ খুললেন আল্লাহর হামদ ও রাসুলুল্লাহ (স:) এর উপরে দরুদ ও সালাম পেশ করলেন, বললেন সম্মানীত মুসল্লীবৃন্দ, আল্লাহ যাঁকে খুশী হেদায়েত দান করেন, দান করেন ইসলামের মত অমূল্য নিয়ামত। আজ আমি আপনাদের কাছে এমনই একজনকে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি যাঁকে আল্লাহ পাক তাঁর অপার অনুগ্রহে এই নেয়ামত দানে ধন্য করতে যাচ্ছেন। যিনি মহান আল্লাহর সুমহান রহমতের বারিধারায় সিক্ত হতে যাচ্ছেন। ’
এতটুকু বলেই তিনি থামলেন আর ড. ইউসুফের দিকে তাকালেন, ড. ইউসুফ মসজিদের দরজার দিকে হাত বাড়িয়ে ঈশারা করতেই দেখলাম উক্ত ‘আই পি সি’র একজন কর্মচারী, এক কুয়েতি যুবকের সাথে এগিয়ে আসছেন পরিপাটি বেশভূষায় সজ্জিত সুদর্শন এবং প্রায় সাত ফুট উচ্চতার ইউরোপীয় চেহারার এক ব্যক্তি।
লাল টুক টুকে গা’র রং, সাদা রেশমী চুল, অত্যন্ত বিনম্র ভঙ্গিতে তিনি এসে ইমাম সাহেবের পাশে দাঁড়ালেন। ইমাম সাহেব তাঁকে কলেমা পড়ালেন, আর তিনিও অশ্রুতে চিক চিক করে ওঠা দুটো চোখ নিয়ে অনভ্যস্ত উচ্চারণে কলেমা শাহাদত পড়লেন। মসজিদ ভর্তি মুসল্লীরা একযোগে সমস্বরে ত্বাকবীর ধ্বনী দিয়ে উঠলেন। বেশ কয়েকবার পুরো মসজিদ ভরে আওয়াজ উঠল আল্লাহু আকবর!
তিনি মুসলমান হলেন। প্রথমে ইমাম সাহেব, এর পরে ড. ইউসুফ কোলাকুলি করলেন, এর পরেই শুরু হলো এক এক করে উপস্হিত মুসল্লীদের কোলাকুলি করার পালা। এক সময় আমিও ধীরে সুস্হে এগিয়ে গেলাম। সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তিটির সাথে কোলাকুলি করলাম, এই মাত্র যিনি তাঁর পূর্বের সকল গুনাহ হতে মাসুম হয়ে গেলেন! বললাম;
Welcome to the world of eternal peace
তিনিও জবাবে বললেন;
Thank you|
সুন্নত শেষে সালাম ফিরিয়ে দেখি তষনও কোলাকুলি চলছেই, তবে ভীড় অনেকটাই কমে এসেছে। ওদিকে এক কোণায় ড. ইউসুফ দাঁড়িয়ে আছেন একা, কোলাকুলির পালা শেষ হলে তিনি নওমুসলিমকে নিয়ে যাবেন এই জন্য। পূর্ব পরিচয় থাকার সুবাদে এগিয়ে গিয়ে ড. ইউসুফকে ধরলাম; ‘আপনার যদি ব্যস্ততা না থাকে তবে আমি নওমুসলিমের সাথে একটু কথা বলতে চাই’।
তিনি সানন্দে রাজী হলেন এবং বললেন; ‘ঢ়লুন! আমার অফিসে গিয়ে বসি সেখানেই কথা হবে’।
এর পরে একসময় আমরা এসে বেসমেন্টে ড. ইউসুফের সুসজ্জিত বিরাট অফিস কক্ষে মোট চারজন মুখোমুখি বসলাম। নওমুসলিমের পাশে আমি, আমার পাশে হক ভাই আর ড. ইউসুফ আমাদের মুখোমুখি সামনের সোফায়। ড. ইউসুফই আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন নওমুসলিমের।
এই প্রথম জানলাম নওমুসলিমের নাম মিশেল। এটি একাধারে যেমন একটা ইউরোপীয় নাম, তেমনি আবার তা আরবী (মিশাল) নামও বটে। আমার নিজের এবং হক ভাই এর পরিচয় দিয়ে তাঁকে আবারও অভিনন্দন জানালাম, তাঁর এই নতুন মহিমান্বিত জীবনের জন্য, বললাম ‘কংগ্রাচুলেশন, এই মুহুর্তে তোমার আবেগটুকু বুঝতে পারি, বুঝতে পারি তোমার মানসিক অবস্হাটাও। এর পরেও তোমাকে একটু বিরক্ত করব, আমাদের যে সময় দিলে, এর জন্য আগাম তোমাকে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখি। আমাদের বড় ইচ্ছা, তোমার পরিচয়টুকু জানি তোমার নিজের কাছ থেকেই’ বলেই তাঁর দিকে তাকিয়ে রইলাম।
ভদ্রলোক একটু নড়ে চড়ে বসলেন। এর পরে যা বললেন তার সারমর্ম হলো, দক্ষিণ ফ্রান্সে তাঁর জন্ম, নাম মিশেল, বয়স বিয়াল্লিশ বৎসর, পেশায় একজন ইন্টেরিয়ার ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার, প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বিগত আটটি বৎসর ধরে কুয়েতের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত আছেন এবং এই প্রথম তিনি কোন আরব দেশে এসেছেন ও বসবাস করছেন। এর আগে বৎসর পাঁচেক ছিলেন রাশিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের প্রায় সবকটি দেশই ঘুরেছেন নেশা, পেশা, কিংবা শখের বশে। স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে, দুই কন্যা, ফ্রান্সেই পড়াশোনা করছে।
এই পর্যায়ে এসে তিনি একটু থামলেন। ক’টি মুহুর্ত নীরবে কেটে গেল। আমি তার আবেগটুকু বোঝার চেষ্টা করলাম। সম্ভবত সুদুর প্রবাসে বসে একজন স্নেহপরায়ন পিতার চোখের সামনে ভাঁসছিল পারিবারিক ছায়াবঞ্চিত দুই কন্যার মুখচ্ছবি! একজন পিতার জন্য বড়ই দূর্বল জায়গা এটি, কিন্তু আমারতো চলছেনা থেমে থাকলে! তাই আবার নীরবতা ভঙ্গ করে জানতে চাইলাম, ‘তুমি আজ মুসলমান হলে, পূর্বপরিকল্পনা মত কাজটি করলে, না, কোন আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত‘?
সরাসরি আমার চোখে চোখ রাখলেন, বললেন; দেখ, দীর্ঘ আট বৎসর আরবদের মাঝে বসবাস করছি। তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছি। বিগত পাঁচ বৎসর ধরে বইপত্র ও কুরআনের তরজমার মাধ্যমে ইসলামকে জানি, নিজে আরবী ভাষা শিখছি কুরআনকে ভালোমত বোঝার জন্য। যা করেছি, বুঝে শুনে, ভেবে চিন্তেই করেছি।
‘ ইসলামের কোন বিষয়টি তোমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে’? জানতে চাইলাম।
‘তোমাদের মুসলিম সমাজে স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা ও সন্তান-সন্ততি, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন এঁদের মধ্যে যে অসম্ভব রকম অটুট বন্ধন ও সহমর্মিতা, ভালোবাসা, এটা আজকের বিশ্বে একমাত্র মুসলিম সমাজ ছাড়া আর কোথাও দেখতে পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার! আমরা যারা পশ্চিমের বাসিন্দা, তারা এগুলো হতে যোজন যোজন দুরে! এগুলো কল্পনাও করতে পারিনা! তাই যখন প্রথম এই ধরনের নিবিড় সম্পর্ক বাস্তবে দেখলাম তখন অবাকই হলাম! বুক ভরা হাহাকার কিন্তু অন্তর জুড়িয়ে গেল তা দেখে!
ড. ইউসুফ জানতে চাইলেন, ‘তুমি কি জানো, এর পেছনে মূল কারণটা কি’?
হ্যাঁ, আমি খুব গভীরভাবে ভেবে দেখেছি, একবার মনে হয়েছিল এটা বোধহয় আরবী কালচার। কিন্তু এখানে অনেক অনারব মুসলমানের সাথে মিশেছি, তাদের মধ্যেও দেখেছি সেই একইরকম অটুট পারিবারিক ও মানবিক বন্ধন, বৃহত্তর ভাতৃত্ববোধের চেতনা। আমার যেকোন প্রয়োজনে, সমস্যায় প্রথম যেসব ব্যক্তি এগিয়ে এসেছেন, তারা মুসলমান। অথচ সেই একই ক্ষেত্রে আমার স্বজাতি পরিচিত বন্ধু বান্ধবদের ভূমিকা প্রশ্নাতিত নয়, বরং দুঃখজনক!
এই জিনিসটি আমাকে ভাবিয়েছে গভীরভাবে। একসময়ে এ সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্য হয়েছি যে, এর পেছনে অবশ্যই কোন ধর্মীয় বিশ্বাসগত কারণ আছে। বাইবেলে কোন সূত্র পেলামনা। কুরআনের তরজমা পড়েছি, এখনও পড়ছি। আমার অবসরই কাটে কুরআন পড়ে। অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করলাম, এর ছত্রে ছত্রে ভালবাসা, ক্ষমা, ঔদার্য আর ভাতৃত্বের আহ্বান! সকল প্রশ্নের উত্তরই কুরআন নীরবে আমাকে দিয়ে গেছে! এর পরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন আমি মুসলমান আলহামদুলিল্লাহ’।
‘তোমার কন্যাদের জানিয়েছ?‘ জানতে চাইলাম।
‘হ্যাঁ, তাদের জানিয়েছি, আমার সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধবদের জানিয়েছি। জীবনের শ্রেষ্ঠতম কাজটি গোপনে করতে চাইনি। আমি চেয়েছি সারা বিশ্ব জানুক আমার সৌভাগ্যের কথা, আমার প্রতি মহান আল্লাহর অনুগ্রহের কথা, আমি মুসলমান, আমি মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (স:) এর উম্মত!
কথায় কথায় অনেক রাত হয়েছে। নওমুসলিমকে আবারও মোবারকবাদ এবং ড. ইউসুফকে ধন্যবাদ জানিয়ে উঠলাম। আসার সময় নওমুসলিম হাতটি চেপে ধরলেন, সরাসরি চোখে চোখ রেখে বললেন; ‘আমার জন্য দোওয়া করো’।
হৃদয়ের গভীরে পৌঁছুলো যেন কথাগুলো। তাঁকে সালাম জানিয়ে পা বাড়ালাম।
এয়ারপোর্ট রোড ধরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছি ফোর্থ রিং রোড পানে। রাস্তায় অসংখ্য গাড়ী, পাশে হক ভাই বসা। গাড়ীর স্টিয়ারিং এর উপরে হাত, দৃষ্টি সামনে নিবদ্ধ। কিন্তু মনের কোনে বার বার ভেসে উঠছে নওমুসলিম মিশেলের কথাগুলো;
‘আল্লাহ আমাকে মুসলমান বানিয়েছেন, বিশ্ব জানুক আমার সৌভাগ্যের কথা! আলহামদুলিল্লাহ, আমি রাসুলুল্লাহ (স:) এর উম্মত!
আহা, আমরা যারা নিজেদেরকে ‘আশেকে রাসূল’ তাঁর ‘খাঁটি উম্মত’ বলে নিত্য ঘোষণা দিয়ে বেড়াই, জেহাদের মেকী উত্তাপে মুসলমান হয়ে মুসলমানের গলা কাটি, তাঁরা যদি একটাবার, কেবল মাত্র একটাবার বুক ফুলিয়ে বলতে পারতাম;
‘বিশ্ব জানুক আমার সৌভাগ্যের কথা, আল্লাহ আমাকে মুসলমান বানিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমি রাসুলুল্লাহ (স:) এর উম্মত!’