Main Menu
أكاديمية سبيلي Sabeeli Academy

পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি

পত্র-পত্রিকায় লেখা লেখি

পত্র-পত্রিকায় লেখা লেখি

পূর্বে প্রকাশিতের পর

২য় পর্ব

আমাদের সাহিত্যে ‘লাহওয়াল হাদীস’-এর প্রভাবঃ
মনের ভাব ও অনুভূতি প্রকাশের বাহন হচ্ছে ভাষা। একজনের সঙ্গে অপরজনের যোগাযোগের সেতু এই ভাষার ব্যবহারে মানুষে মানুষে তারতম্যের ঘটনা প্রাচীন। মানুষ ও ভাষার সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত ভালো বা মন্দ কোন একদিনে নয়, ভাষার ভালো-মন্দ উভয় প্রয়োগই ভালো-মন্দ মানুষের মতই দ্বিমুখী ও বিচিত্র ছিল এবং হয়ে আসছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা ঘোষণা করছেনঃ “দয়াময় আল্লাহ, তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন, তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ এবং তিনি তাকে (ভাষার মাধ্যমে তার মনের) ভাব প্রকাশ করার পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন।” (সূরা আর-রাহ্মানঃ ১-৪)। অপর একটি সূরায় বলা হয়েছেঃ “যিনি কলমের সাহায্যে (মনের ভাব প্রকাশের) শিক্ষা দিয়েছেন- তিনি শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে, যা সে জানতো না।”(সূরা আল-আ’লাক্কঃ ৪-৫)। বস্তুত মুখ কিংবা কলম- উভয় মাধ্যমেই ভাষার ব্যবহার ও প্রয়োগের ক্ষমতা মানুষ পেয়েছে আল্লাহর দানরূপেই। কিন্তু যুগে যুগে মানুষ কি ভাষার সেই নেয়ামতকে যথার্থরূপেই মূল্য দিয়েছে? সঠিক ব্যবহার ও সুপ্রয়োগের মধ্য দিয়ে ভাষাকে কি মানুষ কাজে লাগিয়েছে? আল্লাহ তা’আলার নির্বাচিত ও অনুগত বান্দাদের ভূমিকা ভিন্ন করে দেখলে বলতে হবে যে, অপরাপর বহু খোদায়ী নেয়ামতের প্রতিও মানুষের আচরণ ব্যাপকভাবে ছিল অকৃতজ্ঞতার। মুখে উচ্চারিত ভাষার তো অনুপুঙ্খ সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাহ্যিকভাবে নেই। সে কারণেই ভাষার লিখিত রূপের মূল্যায়ন যদি যুগে যুগে করা হয় এবং বর্তমানে লিখিত ভাষা বা সাহিত্যের দিকে চোখ ফেরানো যায়, তবে ভাষায় অপপ্রয়োগের নজিরই পাওয়া যায় বেশী। সেই জাহেলী যুগের আরবী সাহিত্য থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত সকল ভাষার সাহিত্যেই অপপ্রয়োগ ও অকৃজ্ঞতার যে রমরমা রূপ ধরা পড়ে, তাকে কুরআনুল কারীমের ভাষায় “লাহওয়াল হাদীস” বা “অবান্তর কথা” বলেই চিহ্নিত করা যায়। অবশ্য একথাও সত্য যে, ভাষা বা সাহিত্য কেবলই অবান্তর কথার দৃষ্টান্ত নয়, ভাষা বা সাহিত্যের বহু ইতিবাচক নজিরও রয়েছে। প্রায় সব দেশে ও সব সাহিত্যেই এই ইতিবাচক ধারার উজ্জলতা বিদ্যমান। এমনকি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যেও এই উজ্জলতার প্রকাশ এই সাহিত্যের আদি-মধ্য ও আধুনিক যুগের সব কালেই বিশেষভাবে ঘটেছে। কিন্তু আধুনিক সময়ের বাংলা সাহিত্যের প্রধান গতি প্রকৃতি ও প্রবণতার প্রবল ধারাটির প্রতি চোখ রাখলে ১০% কিংবা ১৫% ছাড়া গোটা বাংলা সাহিত্যেই এখন ‘লাহওয়াল হাদীসের’ই প্রবাল্য লক্ষ্য করা যায়। বাংলা ভাষাভাষী মুসলমান হিসেবে এ পরিস্থিতিটা আমদের জন্য বেদনাদায়ক নিঃসন্দেহে। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হচ্ছে: “মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহর পথ হতে (মানুষকে) বিচ্যুত করবার জন্যে অসার বাক্য ক্রয় করে নেয় এবং আল্লাহ প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে; তাদেরই জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।”(সূরা লোকমানঃ ৬)।

আলোচ্য আয়াতের ‘অবান্তর কথাবার্তা’ কথাটিই ‘লাহওয়াল হাদীস’ শব্দের অনুবাদ। এ আয়াতের মর্ম স্পষ্ট করার জন্য শানে নযুল বর্ণনা করতে গিয়ে মুফাসসিরগণ লিখেছেন-‘নযর ইবনে হারেস নামের মক্কার এক মুশরিক ব্যবসায়ী একবার পারস্য দেশীয় রাজ-রাজার কাহিনী সম্বলিত বইপত্র কিনে এনে মানুষকে কুরআনবিমুখ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। অপর বর্ণনায় জানা যায়, সেই ব্যবসায়ী অন্যদেশ থেকে একজন গায়িকা বাঁদী কিনে নিয়ে এসে কুরআনের শ্রোতাদের মনযোগ উক্ত গায়িকা বাঁদীর মাধ্যমে অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। গায়িকার গান-বাদ্যের আনন্দ উল্লাাস ছড়িয়ে কুরআনবিমুখ করার তার এই প্রচেষ্টা চলেছিল তৎকালীন কাফেরদের মাঝে।
মূলত আল্লাহর কালাম কিংবা আল্লাহর আনুগাত্যশীল সাহিত্য ও রচনা থেকে বিপথগামী করার যে কোন ভাষা-সাহিত্যগত কিংবা শিল্প-সাংস্কৃতিগত প্রয়াসই হচ্ছে লাহওয়াল হাদীস।” মুফাসসিরগণের বক্তব্য থেকে এ মর্মই অনুভূত হয়। ‘হাদীস’ শব্দের অর্থ কথাবার্তা। ‘লাহ্ও’ শব্দের অর্থ অনর্থক, অবান্তর ও কল্যাণহীন। কল্যাণের কোন বার্তা না থাকাই শুধু নয়, যেখানে অকল্যাণেরও কিছু আবেদন আছে, স্পষ্টভাবে তাই হচ্ছে “লাহওয়াল হাদীস”। আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি উদাস ও অমনোযোগী করে তোলা যে কোন সাহিত্য তাই “লাহওয়াল হাদীস”। উপভোগ ও বিনোদনের উদ্দেশ্যে এই সাহিত্য রচনা, পাঠ ও কেনাবেচা শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম। প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের সাহিত্যের নামে আমরা যা ধরছি, গিলছি এবং উদগিরণ করছি, তা কি এই হারামের কবল থেকে মুক্ত থাকছে? ইসলামী বিধি-বিধান, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহ্বান-আবেদনের মৌলিক ও অনূদিত বিষয়ভিত্তিক গ্রন্থের প্রসঙ্গটি একাকার করে না ফেললে দেখা যাবে আমাদের সাহিত্যের নব্বইভাগ জুড়েই রয়েছে এই “লাহওয়াল হাদীসের” আধিপত্য। ইসলামী চিন্তা-চেতনা ও মূল্যবোধ লালনকারী কিংবা জীবন ও জগতের বৈধ্য ও নৈতিক প্রয়োজন ও অনুভূতির সঙ্গে জড়িত অল্প কিছু প্রয়াসের বাইরে কথাসাহিত্য, কাব্য, নাটক ও সংবাদপত্রকেন্দ্রিক সাহিত্যের বহুমাত্রিক পসরার প্রায় পুরোটাতেই থাকে জীবনের ঢেকে রাখা ও অবগুণ্ঠিত দৃশ্যের খোলামেলা উপস্থাপন। কখনো কখনো উদ্দেশ্যহীন উদাসীনতাই হচ্ছে সাহিত্যের বর্তমান নানা অঙ্গনের বৈশিষ্ট্য। সুতরাং একথা মেনে নিতে কারো কোন আপত্তি নেই যে, তথ্যভিত্তিক ধর্মীয় আদর্শিক রচনার বাইরে সহিত্যের প্রচলিত ও সক্রিয় অঙ্গন ও শাখাগুলোতে এখন ধর্ম ও জীবনের বিশেষ কোন ছাপ নেই এবং সেটা ইচ্ছাকৃতভাবেই নেই। ইসলামী আদর্শের দৃষ্টিকোন থেকে সাহিত্যের বর্তমান এই নেতিবাচকতাকে আমরা সাধারণভাবে তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি।
এক. স্পষ্ট ও খোলাখুলি ইসলামবিদ্বেষী সাহিত্য। গল্প-উপন্যাস ও কবিতায় ইসলামী বিধি-বিধান ও আদর্শ এবং ইসলামী ব্যক্তিত্বগণের প্রতি স্পষ্ট ভাষায় বিষোদাগারমূলক সাহিত্য। দেশপলাতক এক কবি, দেশপলাতক এক লেখিকা এবং সদ্য মৃত এক অধ্যাপক লেখকের সাহিত্যপ্রয়াসের কোন কোনটিকে আমরা এই ভাগে ফেলতে পারি। ইসলামী বিশ্বাসের প্রতি ধৃষ্টতাপূর্ণ বিরুদ্ধাচারণ এদের সাহিত্যে পাওয়া গিয়েছে। ল-ন প্রবাসী এক ভারতীয় মুসলমান নামধারী মুরতাদ লেখকের কিছু কিছু রচনাও এই কাতারভূক্ত। এসব রচনার জঘন্যতা নিয়ে ইসলামেবিশ্বাসী কোন মানুষের মাঝে কোন সংশয় নেই। এসব রচনার রচয়িতার ঈমান থাকার কথা নয় এবং এসব রচনা পড়ে মজা আহরণের উদ্দেশ্যে এগুলো কেনা ও বেচা কেবল হারামই নয়, ঈমানের জন্যেও মারাত্মক ক্ষতিকর।
দুই. নারী-পুরুষের অনৈতিক সম্পর্কের ওপর অশালীন আলোকপাত এবং তার প্রতি নৈতিক বিশ্লেষণ ও সমর্থন দান, এদেশের কথাসাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মের বিরাট একটি অংশই এই ভাগে পড়ে যায়। প্রেম, রোমান্স ও আবেগঘন শারীরিক ঘনিষ্ঠতার বর্ণনার পক্ষে তারা বহু ধরনের যুক্তি পেশ করলেও বিচার-বিবেচনা সম্পন্ন মানুষমাত্রই এ শ্রেণীর সাহিত্যের ক্ষতি ও বিনাশ সম্পর্কে অল্প-বিস্তর সচেতন। এই সাহিত্যে নেতিবাচক সুখের কিছু উল্লাস ও সাময়িক সুড়সুড়ানিটাই মুখ্য। “লাহওয়াল হাদীসের” অন্তর্ভূক্ত হতে এসবের ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। বরং বলা যায়- এগুলোই প্রধান “লাহওয়াল হাদীস”। মজা ও সুখ লাভের উদ্দেশ্যে এসব রচনা পাঠ ও কেনাবেচা সমান অবৈধ।
তিন. উপরোক্ত দুটি বৈশিষ্ট্য না থাকলেও পবিত্র কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যমুক্ত নিছক গাল-গল্পনির্ভর সাহিত্য। কল্পনা ও স্বপ্নবিলাস এবং প্রেম-রোমান্সের বর্ণনায় ভরা এসব বইপত্র থেকে অলস সময় ধ্বংস করার কিছু উপাদান পাওয়া গেলেও জীবনের কাজে লাগে-এমন কিছুই মেলে না। এসব সাহিত্য যদি মানুষের সময় অপচয়ের কারণে পরিণত হয় এবং ইসলামকেন্দ্রিক পবিত্র কোন লক্ষ্য ও দায়িত্ব থেকে মানুষকে বিচ্যুত করা ও অমনোযোগী করার ভূমিকা রাখে, তাহলে এগুলোও “লাহওয়াল হাদীসের” অন্তর্ভূক্ত হবে। কবিতাসহ সাহিত্যের অপরাপর ক্ষেত্র ও অঙ্গনগুলোতেও একই মাপকাঠি প্রযোজ্য। সে হিসবে আমাদের সাহিত্যের চলমান ভাণ্ডারের দিকে তাকালে আমরা কেবলই নেতিবাচক, নষ্ট বিনোদনমুখী “লাহওয়াল হাদীস’ই” খুঁজে পাই। আগেই বলা হয়েছে, এটা বেদনাদায়ক একটি চিত্র। ভাষা ও সাহিত্যের একটি অপপ্রয়োগ ও ভুল ব্যবহার। নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতার একটি দুঃখজনক নজির।
প্রশ্ন হতে পারে, তবে কি নিখাঁদ ধর্মীয় তথ্য, আবেদন ও ব্যাখ্যামূলক পঠনসামগ্রী ছাড়া অন্যকোন প্রকার সাহিত্যই করার ও পড়ার কোন সুযোগ নেই? এ প্রশ্নের উত্তরে কবি ও কবিতার সূত্র ধরে গোটা সাহিত্য সম্পর্কেই পবিত্র কুরআনের ভাষ্য জেনে নেয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারেই মহান আল্লাহ বলছেনঃ “এবং (ঈমানহীন) কবিদের অনুসরণ করে তারা, যারা বিভ্রান্ত। তুমি কি দেখো না, তারা বিভ্রান্ত হয়ে প্রত্যেক উপত্যকায় ঘুরে বেড়ায়? এবং যা তারা করে না তাই বলে… কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহকে বারবার স্মরণ করে ও অত্যাচারিত হবার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। অত্যাচারীরা শীঘ্রই জানবে তাদের গন্তব্যস্থল কোথায়?” (সূরা শুআ’রাঃ২২৪-২২৭)।
উল্লিখিত আয়াতের প্রথমাংশে যদিও কাব্যচর্চার প্রতি নিন্দাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে, কিন্তু শেষাংশে যে ব্যতিক্রম উল্লেখ করা হয়েছে তা থেকে প্রমাণ হয় যে, কাব্যচর্চা বা সাহিত্যচর্চা সর্বাবস্থায় মন্দ নয়; বরং যে কবিতায় বা সাহিত্যে আল্লাহর অবাধ্যতা, আল্লাহর স্মরণ থেকে বিরত রাখা, অন্যায়ভাবে কারো নিন্দা ও অবমাননা করা কিংবা অশ্লীলতায় প্রেরণা দান করার মর্ম পাওয়া যায়, সেটাই নিন্দনীয় ও অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে যেসব কবিতা বা সাহিত্য গোনাহ ও অপছন্দনীয় বিষয়াদি থেকে পবিত্র, সেগুলোকে আল্লাহ তা’আলা আলাদা করে দিয়েছেন। এ থেকে বুঝা যায়, কাব্যেই কেবল নয়, ভাষা ও সাহিত্যের যে কোন অঙ্গনে গোনাহ কিংবা গোনাহের প্রেরণামুক্ত কিছু করতে পারলে তা পাঠ ও কেনাবেচায় কোন দোষ নেই। উপরোন্তু সেই সাহেত্যে ইতিবাচক অনুভূতির স্ফুরণ ও প্রকাশ থাকলে তা পাঠ কল্যাণকরও হতে পারে। সুতরাং তথ্যপূর্ণ পঠনসামগী ছাড়াও ইতিবাচক সাহিত্য নির্মাণ ও পাঠের উন্মুক্ত সুযোগ রয়েছে।
অন্যবিবেচনায় বলা যায়, “লাহওয়াল হাদীস” এর কালো গ্রাস থেকে আমাদের সাহিত্যকে মুক্ত করার প্রেরণা নিয়ে ইতিবাচক সাহিত্যের বিপুল ভা-ার গড়ে তোলাই উচিত। কারণ অখাদ্য, কুখাদ্য থেকে মানুষকে বাঁচানোর পথ শুধু সতর্কবাণী প্রদান নয়; সুখাদ্য সরবরাহ করা, সুখাদ্য সংগ্রহের পথ চিনিয়ে দেয়া। সচেতনতা ও হিম্মতের সঙ্গে সেই সুখাদ্য প্রস্তুতের জন্য দরকার বিশুদ্ধ বিশ্বাস ও চিন্তার ধারক অগণিত শব্দকারিগরের ও বেশুমার কলমযোদ্ধার।
উপসংহার ঃ
পরিশেষে এ কথাই বলা হচ্ছে যে, আমাদের ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য এদেশে রক্ত ও জীবনদানের ঘটনা ঘটেছে। ইতিহাস রচিত হয়েছে। একটি তারিখকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতগুলো ঘটনা ও তাৎপর্যের সম্পর্ক যে ভাষার সঙ্গে, সে ভাষার সাহিত্যকে আমরা নির্বিকারচিত্তে “লাহওয়াল হাদীসের” স্তুপ বানাতে দিতে পারি না। আল্লাহ তা’আলার এই নেয়ামতের প্রতি আমাদের আচরণ ও অভিব্যক্তি সকৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। ভাষা ও সাহিত্যের সর্বোচ্চ সুপ্রয়োগ নিশ্চিত করায় আমাদের ভূমিকা রাখা উচিত। তবেই কেবল “লাহওয়াল হাদীস” মুক্ত সাহিত্যের একটি স্বর্ণালী ভাণ্ডার পেয়ে এ জাতি সমৃদ্ধ ও প্রাচুর্যবান হতে পারে। দয়াময় পরম দয়ালু সুমহান প্রতিপালক আমাদের সকলকে তাঁর পবিত্র পথনির্দেশনা অনুসরণ করে কল্যাণজনক কাব্য তথা ভাষা ও সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে মানব কল্যাণ সাধনের তাওফীক দান করুন। আমিন॥

Related Post