মানব জীবনে নিত্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিম্নে পেশ করা হলো: ইসলামের সঠিক জ্ঞান জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
প্রশ্ন: রোযা অবস্থায় বটিতে আমার হাত কেটে রক্ত প্রবাহিত হয়েছে। এমতাবস্থায় রোযা নষ্ট হয়েছে কি? জোহরা খাতুন, কুয়েত সিটি
উত্তর: রোযা ভঙ্গের কারণসমূহের মধ্যে রক্ত বের হলে রোযা ভঙ্গ হবে এমন কোন প্রমাণ হাদীসে পাওয়া যায় না। অতএব আপনার রোযা নষ্ট হয়নি।
প্রশ্ন: রোযা রেখে কারোর সাথে ঝগড়া হলে সে রোযা কি নষ্ট হয়ে যাবে? আনোয়ারা বেগম কায়রাওয়ান কুয়েত
উত্তর: এ সম্পর্কে সহীহ হাদীস থেকে জানা যায়-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ليسَ الصيامُ منَ الأكْلِ والشرْبِ ، إِنَّما الصيامُ منَ اللغوِ والرفَثِ ، فإِنَّ سابَّكَ أحدٌ ، أوْ جَهِلَ عليْكَ ، فقلْ إِنَّي صائِمٌ إِنَّي صائِمٌ
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন: কেবল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার নাম রোযা নয়। অশ্লীল কথা-বার্তা থেকে দূরে থাকার নাম রোযা। অতএব হে রোযাদার! যদি কেউ তোমাদেরকে গালি দেয় বা তোমার সাথে অভদ্রতা করে তাহলে বল আমি রোযাদার, আমি রোযাদার। (অর্থাৎ উত্তেজিত হয়ে উত্তর দিতে যেও না।) (ইবনে খুজাইমাহ, ইবনে হিব্বান)
তবে কেউ যদি নিজেকে কন্ট্রোল না করতে পেরে ঝগড়া করেই বসে তবুও তার রোযা নষ্ট হবে না। কিন্তু তাকে অবশ্যই সেই ঝগড়ার জন্য তাওবাহ করতে হবে।
প্রশ্ন: সমগ্র বিশ্বে একদিনে রোযা ও একদিনে ঈদ করতে হবে। এই ব্যাপারে কুরআন ও সহীহ হাদীসের নির্দেশনা কি? বিস্তারিত জানতে চাই। মুহাম্মাদ তাজুদ্দীন সুক মুবারাকিয়া, মুরগাব কুয়েত
উত্তর: সমগ্র বিশ্বে একদিনে রোযা ও একদিনে ঈদ করতে হবে এমন কোন প্রমাণ কুরআন ও হাদীস থেকে জানা যায় না। যে দেশে যখন চাঁদ দেখা যাবে সে দেশে তখন থেকে রোযা ঈদ শুরু হবে। এ ব্যাপারে সহীহ হাদীস থেকে জানা যায়-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : “صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، فَإِنْ غُبِّيَ عَلَيْكُمْ: فَأَكْمِلُوا عِدَّةَ شَعْبَانَ ثَلَاثِينَ)
‘আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম আরম্ভ করবে এবং চাঁদ দেখে ইফতার করবে। আকাশ যদি মেঘে ঢাকা থাকে তাহলে শা‘বানের গণনা ত্রিশ দিন পুরা করবে। (মুসলিম ১৩/২, হাঃ ১০৮১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৮৫)
রমযান মাসের চাঁদ দেখা না গেলে বিগত শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করবে ইহাই হাদীসের মর্ম। আরবী মাস চিরদিন ২৯-৩০ দিনে হয়ে আসছে। এই শাবান মাস সঠিকভাবে গণনা করার পর শাবান মাস যদি ২৯ দিন হয় আর চাঁদ দেখা না যায়, তবে শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করার পর রমযান মাসের রোযা রাখতে হবে।
আমাদের বাংলাদেশে যখন সূর্য অস্তমিত হয়, তার এক ঘন্টা পরে লাহোরে ও করাচিতে অস্তমিত হয়। আর আরব দেশে তারও দুই ঘণ্টা পরে অস্তমিত হয়। এমতাবস্থায় আরবে চাঁদ দেখা গেলে এবং রেডিও কিংবা টিভির মাধ্যমে খবর জানতে পারলে আমরা কি রোযা রখাবো বা ঈদ করবো? মনে করুন আজই চাঁদ উঠার কথা কিন্তু সন্ধ্যার সময়ও চাঁদ উঠলো না, আর আমরা চাঁদ দেখতেও পেলাম না, কিন্তু এক ঘণ্টা পর অথবা দু-তিন ঘণ্টা পর চাঁদ উদিত হল। লাহোর, করাচি কিংবা আরবে চাঁদ পরিলক্ষিত হয়েছে। এখন আমরা বাংলাদেশের মানুষ আরব অথবা লাহোর করাচির চাঁদের উপর নির্ভর করে কি রোযা রাখবো বা ঈদ করবো? এ প্রশ্নের জবাবে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুন্দর একটি মীমাংসা দিয়েছেন-
أَنَّ لِكُلِّ أَهْلِ بَلَدٍ رُؤْيَتَهُمْ .
প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য তাদের পরিলক্ষিত চাঁদের উপর রমযান মাসের রোযা অথবা ঈদ নির্ভর করবে। তিরমিযী)
সুতরাং করাচি ও আরব দেশে চাঁদ দেখা গেলে আমাদের বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য রোযা বা ঈদ করা মোটেও ঠিক হবে না। হাদীসের মর্ম ইহাই যে, আমাদের দেশের চাঁদ আমাদের জন্য আর তাদের দেশের চাঁদ দেখা তাদের জন্য। আল্লাহ সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন।
প্রশ্ন: আরাফার দিন রোযা রাখার নিয়ম ও ফযীলত সম্পর্কে জানালে উপকৃত হতাম। বকুল মিয়া শারক, কুয়েত
উত্তর: আরাফার দিনের রোযা বিষয়ে রাসূল (সা.)-হতে হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
رَوَى مُسْلِمٌ عَنْ أَبِيْ قَتَادَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ، أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنةَ الَّتِي قَبْلَهُ. وَالسَّنةَ الَّتِي بَعْدَهُ
ইমাম মুসলিম (রহ.) সাহাবি আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন: যে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে আরাফাহ দিবসের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন: আমি আশাবাদি ‘বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফ্ফারা হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।’ (মুসলিম)
উপরোল্লিখিত মুসলিম শরীফের হাদীস হতে পরিস্কার বুঝাগেলো যে, যেদিন হাজীগণ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন, সেই দিনই যারা হজ্জ করতে যাননি, তারা রোযা রাখবেন।
এই হাদীসের আলোকে বলা যায়, মক্কায় যেদিন হাজী সাহেবগণ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে থাকেন, সেদিনই সারা বিশ্বের লোক রোযা পালন করবেন।
এখানে উলামাদের আরো একটি ভিন্ন মত পাওয়া যায়, তাহলো: বাংলাদেশে যেহেতু একদিন পর চাঁদ দেখা যায়, তাই তারা আরাফার রোযা রাখবে বাংলাদেশের ৯ তারিখ হিসেবে। তারা যুক্তি দেখান যে, যিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখকে বলা হয়, ইওয়ামুত তারবিয়া, ৯ তারিখকে বলা হয় ইয়াওমুল আরাফা, ১০ তারিখকে বলা হয় ইয়াওমুন নাহার, আর ১১, ১২, ১৩ তারিখকে বলা হয় আইয়্যামুত তাশরীক। সুতরাং বাংলাদেশে যেদিন ৯ তারিখ, সেই দিন আরাফার দিন। তাই বাংলাদেশে অবস্থানকারীগণ যিলহজ্জের ৯ তারিখে আরাফার রোযা রাখবেন।
সমাধান: যেহেতু উভয় পক্ষই তাদের গবেষণা থেকে কথাগুলো বলেছেন, তাই বাংলাদেশে অবস্থানকারীগণ সৌদী আরবের সাথে মিল করে আরাফার দিন রোযা রাখবেন, এবং বাংলাদেশে থাকার কারণে তারা বাংলাদেশের ৯ তারিখ অনুসরণ করে আরো একটি রোযা রাখবেন। তাহলে আর আরাফার রোযার ফযীলত থেকে বঞ্চিত হবেন না। কেননা যিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফযীলত অপরিসীম। আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিনে নেক আমল করার মত প্রিয় আল্লাহর নিকট আর কোন আমল নেই। (বুখারী)
সুতরাং বিতর্ক সৃষ্টি না করে বাংলাদেশে অবস্থানকারীগণ দুটি রোযা রাখলেই মহা সাওয়াবের অধিকারী হবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিকভাবে সহীহ আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
প্রশ্ন: জুমুয়ার দিনে রোযা রাখা নিষেধ। এই ব্যাপারে হাদীসের আলোকে বিস্তারিত জানতে চাই। আব্দুল কাদের, হাসাবিয়া কুয়েত
উত্তর: এই বিষয়ে রাসূলে কারীম (সা.) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে;
روى البخاري (১৯৮৫) ومسلم (১১৪৪) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : ( لَا يَصُومَنَّ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَّا يَوْمًا قَبْلَهُ أَوْ بَعْدَهُ .
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন: তোমাদের কেউ যেন শুধু জুমুয়ার দিন রোযা না রাখে, বরং তার আগের অথবা পরের দিন মিলিয়ে রোযা রাখে। (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য একটি হাদীস থেকে আরো জানা যায়-
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ : سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ ؟ قَالَ : نَعَمْ .
মুহাম্মাদ বিন আব্বাদ (রহ.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি জাবির (রা.) কে এই মর্মে জিজ্ঞেস করলাম যে, নাবী (সা.) কি শুধু জুমুয়ার দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (বুখারী ও মুসলিম)
প্রশ্ন: শাওয়াল মাসের রোযা কয়টি? এ বিস্তারিত জানালে খুশি হবো। শাফিয়া বেগম, সালওয়া, কুয়েত
উত্তর: শাওয়াল মাসের রোযা সম্পর্কে নিম্নের হাদীস থেকে জানা যায়- আবু আইয়ুব আল আনসারি (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: “مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ- مسلم
যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখল, অতঃপর শাওয়ালে ছয়টি রোযা রাখল, সে যেন (পূর্ণ) এক বছর রোযা রাখল। (মুসলিম)
আবু আইয়ুব আল আনসারি (রা.) এ হাদীসের বিশ্লেষণ করে বলেছেন:-
صِيَامُ رَمَضَانَ بِعَشْرَةِ أَشْهُرٍ، وَ صِيَامِ سِتَّةِ أَيَّامٍ بِشَهْرَيْنِ، فَذَلِكَ صِيَامُ السَّنَةِ.
রমযানের রোযার বিনিময়ে দশ মাস এবং শাওয়ালের রোযার বিনিময় দু’ মাস, মোট এক বছরের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, কেউ একটা সৎকাজ করলে তাকে দশগুণ সাওয়াব দেওয়া হবে। রমযানের পর যদি কেউ শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আগ্রহ দেখে সে বান্দাকে আল্লাহ নিজ গুণে রমযানের রোযার ফযীলত ছাড়াই রমযানের ৩০ দিনের বিনিময়ে ৩০০ দিন আর ৬ দিনের বিনিময়ে ৬০ দিন সাওয়াব দিয়ে থাকেন। আর ৩৬০ দিনে হিজরী হিসেবে একবৎ হয়। মাত্র এই ছয়টি রোযার আগ্রহ দেখে তাকে পূর্ণ এক বৎসরের নফল রোযা রাখার সাওয়াবও দান করবেন। কেননা একটি সৎকাজের বিনিময় হচ্ছে দশ নেকি যা কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত।
প্রশ্ন: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর ৪০ দিন পর হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) সিরিয়ায় গেলেন, গিয়ে দেখেন মাগরিবের নামাযের পর কিছু লোক জোরে জোরে যিকির করছে, তারপর আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বললেন আমাকে তোমরা চিনো? পরে তার পরিচয় দিয়ে বললেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরের মাটি এখনও শুকায়নি তোমরা বেদআত শুরু করেছো? আমি সারা জীবন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম এভাবে জোরে জোরে যিকির করতে কোন দিন দেখিনি । আমার প্রশ্ন এ হাদীসটি কোন কিতাবে আছে? জানাবেন
উত্তর: হুবহু এ হাদীসটি কোন কিতাবেই আমরা খুঁজে পাইনি। তবে হ্যাঁ জোরে জোরে যিকির করা অন্যের ইবাদত বিঘ্ন ঘটিয়ে জায়েয নেই। বর্তমানে অভিনব পদ্ধতিতে ফানাফিল্লাহ হয়ে যে জিকির করা হয়, এমন উদাহরণ পূর্ব যুগে তথা সাহাবাদের জামানায় ছিলো না। এভাবে জোরে জোরে জিকির করাকে ইবাদত মনে করা নিশ্চয় বিদাআত হবে।
প্রশ্ন: কেউ যদি সেন্টু গেঞ্জি গায়ে দিয়ে ঘরে নামায পড়ে তাহলে তার নামায সহীহ হবে কিনা ?
উত্তর : জি নামায সহীহ হয়ে যাবে। কারণ নামাযে ছতর ডাকা ফরজ আর পুরুষের ছতর হচ্ছে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত । কিন্তু উত্তম হচ্ছে সুন্দর মানানসই জামা কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করা। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন: হে আদম সন্তানগণ! তোমরা প্রত্যেকে নামাযের সময় তোমাদের সৌন্দর্য বজায় রাখো। (সূরা আল আ‘রাফ: ২৬)
يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ
তায় সেন্টু গেঞ্জি গায়ে দিয়ে সালাত আদায় করা মাকরুহ ও সুন্নাহ পরিপন্থি হবে। কেননা এমন পোশাক গায়ে দিয়ে বড় কোন অনুষ্ঠানে মানুষ সচরাচর যায় না। তাই মহান আল্লাহর সমিপে সেন্টুগেঞ্জি পড়ে না দাঁড়ানো উচিত।