Main Menu

মাহে রমযানে ফযীলত ও রমযানে করণীয় আমলসমূহ

মাহে রমযানে ফযীলত ও রমযানে করণীয় আমলসমূহ

মাহে রমযানে ফযীলত ও রমযানে করণীয় আমলসমূহ

মাহে রমযানে ফযীলত ও রমযানে করণীয় আমলসমূহ

 আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে প্রথমে রমযানকে স্বাগত জানাতে হবে। সকল পাপ-গুনাহ থেকে তাওবার মাধ্যমে রমযানকে স্বাগত জানাতে হবে। সকল প্রকার জুলুম অন্যায় থেকে বের হয়ে রমযানকে স্বাগত জানাতে হবে। যাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে তাদের কাছে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে রমযানকে স্বাগত জানাতে হবে। ভাল কাজের মাধ্যমে রমযানের দিবস-রজনী যাপনের মানসিকতা নিয়ে রমযানকে স্বাগত জানাতে হবে। এ ধরনের আবেগ অনুভূতির মাধ্যমেই আশাসমূহ পূর্ণ হয়। ব্যক্তি ও সমাজ তাদের সম্মান ফিরে পায়। এর বিপরীতে রমযান যদি কেবলই একটি অন্ধ অনুকরণের বিষয় হয়। কেবলই কিছু সীমিত প্রভাবের নিষ্প্রাণ আচার পালনের নাম হয়। যদি এমন হয় যে রমযানে, পুণ্যের বদলে, পাপ ও বক্রতা বেড়ে যায়, তবে এটা হবে নিশ্চয়ই একটি আত্মিক পরাজয়, এটা নিশ্চয় শয়তানের ক্রীড়া, যার বিরূপ প্রভাব ব্যক্তি ও সমাজের উপর পড়তে বাধ্য।

রোযার হাকীকত

অনেক এমন রয়েছে যারা রোযার হাকীকত সম্পর্কে বেখবর। তারা রোযাকে কেবলই খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকার মধ্যে সীমিত করে দিয়েছে। তাদের রোযা মিথ্যাচারিতায় জিহ্বা লম্বা করতে বারণ করে না। চোখের ও কানের লাগাম তারা উন্মুক্ত করে দেয়। তারা গুনাহ ও পাপে নিপতিত হতে সামান্যও উৎকণ্ঠিত হয় না। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ وَالْجَهْلَ فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ أخرجه أحمد والبخاري،

 যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা,সে অনুযায়ী কাজ এবং  মূর্খতা পরিত্যাগ করল  না,তার খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।

কবি সত্যই বলেছেন:

রক্ষিত যদি না হয় কর্ণ.দৃষ্টিতে  না থাকে বাধা.

তবে বুঝে নিওএ রোযা কেবলই তৃষ্ণা ও পিপাসা।

যদি বলি আমি আজ রোযা,মনে করিও আমি আদৌ রোযাদার নই।

সম্মানিত মুসাল্লিয়াসে কেরাম! আমরা পবিত্র রমযানের একেবারে নিকটবর্তী সময়ে অবস্থান করছি। আজ শাবান মাসের ২৭ তারিখ,আশা করা যায়,সোম বা মঙ্গল বার পবিত্র রমযান মাস শুরু হবে। এ মাসের সম্মান ও ফযীলত অপরিসীম। এই মর্মে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে,যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।

রমযান মাসে শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়

عن أبي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتْ الشَّيَاطِينُ

হযরত আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত: যখন মাহে রমাযানের আগমন হয় তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়। আর শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৭৯)

রমযানের রোযা গুনাহ মাফের কারণ:

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: ” مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ” رواه البخاري  ومسلم  

হযরত আবু হুরায়রা সূত্রে বর্ণিত: রাসূলে কারীম (সা.)  ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে রমযানের রোযা রাখবে,আল্লাহ তা’য়ালা তার পূর্বের সমস্ত (ছগীরাহ) গুনাহ মাফ করি দিবেন। (বুখারী)

রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পছন্দনীয়

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ : قَالَ اللهُ  عز وجل  : كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلاَّ الصِّيَام ، فَإنَّهُ لِي وَأنَا أجْزِي بِهِ ، وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ ، فَإذَا كَانَ يَومُ صَوْمِ أحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ وَلاَ يَصْخَبْ فإنْ سَابَّهُ أحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ : إنِّي صَائِمٌ . وَالذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ المِسْكِ . لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ يَفْرَحُهُمَا : إِذَا أفْطَرَ فَرِحَ بفطره ، وَإذَا لَقِيَ رَبَّهُ فَرِحَ بِصَوْمِهِ   متفقٌ عَلَيْهِ

 হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন,আদম সন্তানের প্রতিটি আমল তার নিজের জন্য, কিন্তু রোযা এর ব্যতিক্রম। কেননা এটি আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব। রোযা ঢালস্বরূপ। অতএব তোমাদের কারো কাছে যখন রোযার দিন আসে তখন সে যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং চেঁচামেচি না করে। কেউ যদি তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে ঝগড়া করতে আসে,তখন সে যেন বলে দেয়,আমি রোযাদার,আমি রোযাদার। ঐ মহান সত্তার শপথ,যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পছন্দনীয়। রোযাদারের জন্য দু’টি আনন্দ রয়েছে। সে যখন ইফতার করে তখন একটি আনন্দ লাভ করে,আবার যখন সে প্রতিপালকের সাক্ষাত লাভ করবে, তখন রোযার বিনিময় পেয়ে আনন্দিত হবে। [বুখারী ও মুসলিম]

রোযাদারগণ রাইয়ান দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে:

عَنْ سَهْلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ  قَالَ : إِنَّ فِي الْجَنَّةِ بَابًا يُقَالُ لَهُ الرَّيَّانُ يَدْخُلُ مِنْهُ الصَّائِمُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَا يَدْخُلُ مِنْهُ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ يُقَالُ أَيْنَ الصَّائِمُونَ فَيَقُومُونَ لَا يَدْخُلُ مِنْهُ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ فَإِذَا دَخَلُوا أُغْلِقَ فَلَمْ يَدْخُلْ مِنْهُ أَحَدٌ  البخاري ( 1763 ) ومسلم ( 1947 (

 সাহাল ইব্‌ন সাদ থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “নিশ্চয় জান্নাতে একটি দরজা আছে,যাকে বলা হয় রাইয়ান,কিয়ামতের দিন তা দিয়ে রোযাদার প্রবেশ করবে, তাদের ব্যতীত কেউ সেখান থেকে প্রবেশ করবে না। বলা হবে: রোযাদারগণ কোথায়? ফলে তারা দাঁড়াবে, তাদের ব্যতীত কেউ তা দিয়ে প্রবেশ করবে না, যখন তারা প্রবেশ করবে বন্দ করে দেয়া হবে,অতঃপর কেউ তা দিয়ে কেউ প্রবেশ করবে না”। (বুখারী ও মুসলিম)

রোযা কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رضي الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : الصِّيَامُ وَالْقُرْآنُ يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ، يَقُولُ الصِّيَامُ : أَيْ رَبِّ مَنَعْتُهُ الطَّعَامَ وَالشَّهَوَاتِ بِالنَّهَارِ فَشَفِّعْنِي فِيهِ وَيَقُولُ الْقُرْآنُ : مَنَعْتُهُ النَّوْمَ بِاللَّيْلِ فَشَفِّعْنِي فِيهِ قَالَ : فَيُشَفَّعَانِ ) . صححه الألباني في “صحيح الجامع” (7329(.

রোযা ও কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোযা বলবে, হে রব! আমি তাকে খাদ্য ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি, (অর্থাৎ না ঘুমিয়ে সে তেলাওয়াত করেছে) অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অতঃপর তাদের উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৬৬২৬; মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস : ২০৮০;

   শহীদের পূর্বে নামাযী রোযাদার জান্নাতে যাবে: 

عن أبي هريرة t قال: إِنَّ رَجُلَانِ مِنْ بَلِيٍّ مِنْ قُضَاعَةَ أَسْلَمَا مَعَ النَّبِيِّ ﷺ وَاسْتُشْهِدَ أَحَدُهُمَا وَأُخِّرَ الْآخَرُ سَنَةً . قَالَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ : فَأُرِيتُ الْجَنَّةَ ؛ فَرَأَيْتُ فِيهَا الْمُؤَخَّرَ مِنْهُمَا أُدْخِلَ قَبْلَ الشَّهِيدِ !! فَعَجِبْتُ لِذَلِكَ ، فَأَصْبَحْتُ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ ﷺ ، أَوْ ذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ ﷺ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ:” أَلَيْسَ قَدْ صَامَ بَعْدَهُ رَمَضَانَ ، وَصَلَّى سِتَّةَ آلَافِ رَكْعَةٍ ، أَوْ كَذَا وَكَذَا رَكْعَةً صَلَاةَ السَّنَةِ ؟ رواهُ الإمامُ أحمد

“হযরত আবু হোরায়রা (রা:) বলেন, কোন এক গোত্রের দুইজন সাহাবী একসাথে ইসলাম গ্রহণ করলেন। তারমধ্যে একজন সাহাবী জেহাদে অংশ নিয়ে শহীদ হন। অপরজন একবছর পরে ইন্তেকাল করেন। আমি স্বপ্নে দেখলাম এক বছর পরে যিনি ইন্তেকাল করলেন, তিনি শহীদের আগেই জান্নাতে প্রবেশ করলেন। এতে আমি অবাক হলাম এবং রাসূল (সা:) এর কাছে ঘটনা বললাম। রাসূল (সা:) জবাব দিলেন, যে ব্যক্তি পরে মারা গেল তার পুন্যের প্রতি কি তোমরা দেখতে পাওনা যে তা কত বেশি বৃদ্ধি পেয়ে গেল? পূর্ণ একটি রমযানের রোযা ও ছয় হাজারের বেশি নামাযের সওয়াব তার আমলনামায় বৃদ্ধি পেয়ে গেল। -( আহমাদ)

রমযানের প্রতি রাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়

وَيُنَادِي مُنَادٍ: يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ، وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ، وَلِلهِ عُتَقَاءُ مِنْ النَّارِ، وَذَلكَ كُلَّ لَيْلَةٍ فيما رواهُ التِّرمذيُّ

হযরত রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যখন রমাদান মাসের প্রথম রাত আসে তখন একজন আহ্বানকারী আহ্বান করেন; ইয়া বাগিইয়ার খায়রি আকবিল হে কল্যাণের অভিযাত্রী! অগ্রসর হও, ইয়া বাগিইয়াল শাররি আকসির (হে অকল্যাণের অভিসারীরা বিরত হও) এরূপ প্রতি রাতে করা হয়। (তিরমিযী শরীফ)।

জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তী হওয়াঃ

عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ – رضى الله عنه – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ -ﷺ- « مَا مِنْ عَبْدٍ يَصُومُ يَوْمًا فِى سَبِيلِ اللهِ إِلَّا بَاعَدَ اللهُ بِذَلِكَ الْيَوْمِ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ سَبْعِينَ خَرِيفًا (البخاري)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর রাস্তায় (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য) একদিন সিয়াম পালন করবে, তা দ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে রাখবেন”। [সহীহ বুখারী]

সামর্থ থাকলে ওমরা পালন করা :  এ মাসে একটি ওমরা করলে একটি হজ্জ আদায়ের সমান সওয়াব হয়। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে,

فَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيْ وَمُسْلِمٌ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ  قَالَ: “عُمْرَةٌ فِيْ رَمَضَانَ تَقْضِيْ حَجَّةً مَّعِيْ

রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, “রমজান মাসে ওমরা করা আমার সাথে হজ্জ আদায় করার সমতুল্য। [সহি বুখারি : ১৮৬৩]

রমযান মাসটিও যেন অন্যান্য মাসের মত পাপ কর্মে না কাটে, সেই চেষ্টা করতে হবে:

কবির ভাষায়:

يَاذَا الّذِي مَا كَفَاهُ الذَّنْبُ فِي رَجَبَ              حَتَّى عَصَى رَبَّهُ فِي شَهْرِ شَعْبَـانِ
لَقَـدْ أَظَلَّكَ شَهْرُ الصَّـوْمِ بَعْدَهُمَا              فَلا تُصَيِّرْهُ أَيْضاً شَهْرَ عِصْيَــانِ
وَاتْلُ الْقُرَانَ وَسَبِّحْ فِيـهِ مُجْتَهِـداً              فَإِنَّـهُ شَهْــرُ تَسْبِيــحٍ وَقُـرْآنِ
وَاحْمِلْ عَلَى جَسَدٍ تَرْجُو النَّجَاةَ لَهُ              فَسَـوْفَ تُضْرَمُ أَجْسَادٌ بِنِـــيرَانِ

অর্থাৎ হে ব্যক্তি! যার রজব মাসের গোনাহও যথেষ্ট হয়নি! এমনকি শাবান মাসে এসেও তোমার রবের গোনাহ করছো! রজব ও শাবানের পর রোযার মাস ছায়া বিস্তার করছে, সুতরাং এ মাসটিকেও গোনাহের মাস বানিয়েও না। কুরআন পড়, তাসবীহ পাঠ করো, গবেষণা করো, কেননা এটি কুরআন নাযিলের মাস ও তাসবীহ পাঠের মাস। মুক্তির আসা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাও, অন্যথায় তোমার শরীর জাহান্নামের ইন্ধন হবে।

আসুন আমরা রমযানকে স্বাগতম জানাই, এই মাসে নিজের গোনাহ-খাতা মাফ করে নেই। কেননা রমযান সত্ত্বাকে পুতপবিত্র করার মাস। রমযান মাসে যেন নিজেদের পাপ মোচন করতে পারি, সেই চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ আমাদের এই পবিত্র মাসে বরকত পূর্ণরূপে হাসিল করার তাওফীক দান করুন। আমীন

Related Post