ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম ফরজ ইবাদত হলো সিয়াম বা রোযা পালন করা। নিজ কু-প্রবৃত্তিকে দমন ও আত্মশুদ্ধির সর্বোত্তম মাস হলো রমযান। এ মাসে হেদায়াতের আলোকবর্তিকা আল-কুরআন নাযিল হয়েছে। এ মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়। একজন ঘোষণাকারী ভাল কাজের আহ্বান জানাতে থাকে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে। সাথে সাথে এটা হল মাগফিরাতের মাস, জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। এ মাসে রয়েছে লাইলাতুল কদর যা হাজার মাস থেকে শ্রেষ্ঠ। রমযানে যা করণীয় আমরা যখন এ মাসের গুরুত্ব অনুভব করলাম তখন আমাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়াল কীভাবে এ মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানো যায় সে প্রচেষ্টা চালানো।
প্রথমতঃ সিয়াম সাধনায় আল্লাহর নির্দেশ পালন করা হয়।
দ্বিতীয়ঃ রোযা দ্বারা সংযমী হওয়া যায়।
তৃতীয়ঃ রোযা দ্বারা অতীতের গুণাহসমূহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হলো সিয়াম সাধনা: মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন: ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। [সূরা বাকারা: ১৮৩]”
মহান আল্লাহ রমযান মাসে সিয়াম পালনকে আমাদের উপর অত্যাবশকীয় করে দিয়েছেন এই জন্য যে এই মাসে অবতীর্ণ হয়েছে পবিত্র আল-কুরআন যা বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়াত এবং নিদর্শন ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী বিধান গ্রন্থ। আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, “রমযান মাস যে মাসে অবতীর্ণ হয়েছে আল-কুরআন, যা মানবজাতির জন্য হেদায়াত এবং হেদায়াতের সুষ্পষ্ট নিদর্শন এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী বিধান। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে এই মাসটি পাবে, সে রোযা রাখবে। আর যে অসুস্থ অথবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না, যাতে তোমরা গণনা পূরণ করো এবং তোমাদের হেদায়াত দান করার দরুন আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করো, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো”। [সূরা বাকারাহ : ১৮৫]
উক্ত আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, সিয়াম সাধনার দ্বারা তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জিত হয়।
রমযান আমাদেরকে সংযমী হওয়ার শিক্ষা দেয়: সিয়াম সাধানার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি হালাল খাদ্য ও পানীয়কে আল্লাহর নির্দেশের কারণে বর্জন করে প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করে। সেই সাথে তারাবীহ, তাহাজ্জুদ, দান-সদকাহ, কুরআন তিলাওয়াতসহ অন্যান্য ইবাদত করার মাধ্যমে তার আত্মার পরিশুদ্ধতা অর্জিত হয়। শুধুমাত্র পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে দিনের বেলায় বিরত থাকাই সংযম নয় বা এটাই সিয়াম সাধনার মূল উদ্দেশ্য নয়। এই পবিত্র মাসকে পূর্ণভাবে আল্লাহর রহমত, বরকত ও নাজাত প্রাপ্তির জন্য আমাদের কিছু করণীয় আছে এবং সেই সাথে কিছু বর্জনীয় কার্যাবলী রয়েছে যা পরিত্যাগ করার মাধ্যমে আমরা রমযান মাসকে কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী পালন করতে পারব।
প্রকৃতপক্ষে রমযান মাসে সার্বক্ষণিক নিজের কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করা সম্ভব। আমাদের ভুলে গেলে হবে না যে, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টুকু রোযার অন্তুর্ভুক্ত নয়; বরং দিন ও রাত্রি উভয় সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে সিয়াম সাধনার প্রকৃত আত্মতৃপ্তি লাভ করা সম্ভব। পবিত্র রমযান মাসে হাদিসে উল্লেখিত কতিপয় আমল দ্বারা আমরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারি। যেমনঃ
১। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রহমত লাভের উদ্দেশ্যে সিয়াম সাধনা করাঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, যখন রমযান মাস আসে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। অপর বর্ণনায় রয়েছে বেহেশতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, দোযখের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয় এবং শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। অপর বর্ণনায় আছে, রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। [বুখারী ও মুসলিম]
রমযান মাসে যেহেতু বেহেশতের ও রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় সেহেতু রোযা রেখে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাঁর রহমতের আশা করব।
২। মুখ ও জিহ্বাকে সংযত রাখাঃ
পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি নিজের মুখ ও জিহ্বাকে সংযত রাখতে হবে। মিথ্যা, অশ্লীল কথাবাতা, গালিগালাজ, গীবত, পরনিন্দা, অভিশাপ দেয়া ও চোগলখোরীসহ অন্যান্য অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। হাদীসে এসেছে:
অবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও মিথ্যা কর্ম পরিত্যাগ করেনি, তার পানাহার ছেড়ে দেয়াতে আল্লাহর কোন কাজ নেয়। [মিশকাত : ১০৮৯, বুখারী]
৩। নিয়মিত তারাবীহর নামাজ আদায় করাঃ
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তারাবীহ পড়তে হবে। কেননা, যে ব্যক্তি রমযানে তারাবীহ নামায পড়বে তার অতীতের সগীরা গুণাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। হাদীসে এসেছে:
“হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা.) রমযান মাসের নামায কাযেম করার জন্য উৎসাহ দান করতেন; কিন্তু তিনি এ বিষয়ে খুব তাকীদ করতেন না। বরং এরূপ বলতেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের নিয়তে রমযান মাসে নামায কায়েম করবে তার পূর্ববর্তী (সগীরা) গুণাহসমূহ ক্ষমা করা হবে।” [মুসলিম]
৪। কুরআন তিলাওয়াত করাঃ
নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হলো কুরআন তিলাওয়াত করা। যেমন হযরত নুমান বিন বাশির (রা.) হতে বর্ণিত নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেনÑ
“আমার উম্মতের সবচেয়ে উত্তম ইবাদত কুরআন তিলাওয়াত করা। [বায়হাকী, শুআবুল ঈমান :হা. ১৮৬৯, মুসনাদুস শিহাব : ১১৯৫]
সুতরাং রমযান মাসে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আমরা অধিকতর সওয়াবের অধিকারী হবো। এবং পাশাপাশি বাস্তব জীবনে কুরআনকে আমল করার জন্য কুরআনের অর্থও বুঝার চেষ্টা উচিত।
৬। নিজে ইফতার করার পাশাপাশি রোযাদারদের ইফতার করানোঃ
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, “হযরত যায়েদ বিন খালেদ জুহানী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করালো তাকে রোযাদারের অনুরূপ সওয়াব দান করা হবে। কিন্তু রোযাদারের সওয়াবের কোন কমতি হবে না”। [তিরমিযী : ৮০৭]
৭। মিসওয়াক করাঃ
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, “আব্দুল্লাহ বিন রবিআ (রা.) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি নবী করীম (সা.)-কে রোযা অবস্থায় অসংখ্যবার মিসওয়াক করতে দেখেছি”। [তিরমিযী: হা.৭২৫]
৮। সেহরী খেয়ে রোযা রাখাঃ
সেহেরী খাওয়া সুন্নত। সেহেরী খেয়ে রোযা রাখার মধ্যে বরকত নিহিত রয়েছে। হাদীস শরীফে এসেছে, “আনাস বিন মালেক (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন তোমরা সেহেরী খাবে। কেননা, সেহরীতে বরকত রয়েছে”। [বুখারী, মুসলিম]
৯। ইফতারের পূর্বে ও ইফতারের সময় দোয়া করাঃ
হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) যখন ইফতার করতেন নিম্নের দোয়াটি পড়তেন, “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোযা রেখেছি এবং তোমার রিজিক দিয়ে ইফতার করছি। তুমি আমার এই রোযাকে কবুল কর। নিশ্চয় তুমি সর্বজ্ঞ, সর্বশ্রোতা”। [তাবারানী : ৮৪৫]
১০। শীঘ্রই ইফতার করাঃ
হাদীস শরীফে বর্ণিতঃ “হযরত সাহল ইবনে সা’দ (রা.) বলেন, আল্লাহ রাসূল (সা.) বলেছেন, মানুষ কল্যাণের সাথে থাকবে যতকাল তারা শীঘ্রই ইফতার করবে।” [বুখারী ও মুসলিম]
অন্য হাদীসে আছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমার বান্দাদের মধ্যে আমার কাছে তারাই বেশি প্রিয় যারা শীঘ্রই ইফতার করে। [তিরমিযী, মিশকাত : ১৮৯৬]
১১। খেজুর অথবা পানি দিয়ে ইফতার করাঃ
হযরত সালমান আমের (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ইফতার করে সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে, কেননা এতে বরকত রয়েছে। যদি খেজুর না পায়, তবে যেন পানি দ্বারা ইফতার করে, এটি পবিত্রকারী। [আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, দারেমী]
১২। বেশি করে ইসতেগফার ও দোয়া করাঃ
এই রমযান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত্রি হলো লাইলাতুল কদর। হাদীস মোতাবেক রমযানের শেষের দশদিন বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করার কথা বলা হয়েছে। এই জন্য যে মহান আল্লাহ দেখতে চান লাইলাতুল কদরের বরকত ও ফজিলত লাভের উদ্দেশ্যে তার কোন বান্দা বেশি ইবাদত করে।
রাসূল (সা.) এই শেষ দশকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন তা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূল (সাঃ)-কে লাইলাতুল কদরের কথা জিজ্ঞাসা করলাম, আজ কি দোয়া পাঠ করব? তিনি বললেন নিম্নের দোয়াটি পাঠ করবে ঃ
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমাশীলতাকে ভালবাস। অতএব আমাকে ক্ষমা করো। [তিরমিযী : হা. ৩৫১৩, মুসনাদে আহমদ : ১/১৭১]
১৩। মসজিদে এতেকাফ করাঃ
রমযানের শেষের দশদিনে এতেকাফ করা সুন্নত। পুরুষরা মসজিদে এবং স্ত্রীলোকেরা আপন ঘরে একটি স্থান ঘিরে নিয়ে তথায় এতেকাফ করবে। হাদীসে এসেছে:
“হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত যে, নবী করীম (সা.) রমযানের শেষ দশকে এতেকাফ করতেন, যাবৎ না আল্লাহ তাকে উঠিয়ে নিয়েছেন এবং তাঁর পর তাঁর স্ত্রীগণও এতেকাফ করেছেন। [বুখারী ও মুসলিম]
১৪। বেশি বেশি করে নফল নামায আদায় করাঃ
হাদীস মোতাবেক রমযান মাসে একটি নফল ইবাদত করলে একটি ফরজ ইবাদতের সমান মর্যাদা পাওয়া যায়। হাদীসে এসেছে, হযরত আলী (রা.) বলেন, আমাকে হযরত আবু বকর (রা.) বলেছেন আর তিনি সত্য বলেছেন তিনি বলেছেন: আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, কোন ব্যক্তি গুণাহ করবে অতঃপর ওঠে আবশ্যকীয় পবিত্রতা লাভ করবে এবং নফল নামায পড়বে; তৎপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে। নিশ্চয় আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। [তিরমিযী, ইবনে মাজাহ]
১৫। বেশি করে আল্লাহর জিকির ও তাসবীহ-তাহলীল করাঃ
রমযান মাসে বেশি করে তাসবীহ পাঠ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্ঠা করতে হবে। মহান আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, “আর যারা কোন অশ্লীল কাজ করে অথবা নিজেদের প্রতি যুলুম করে আল্লাহকে স্মরণ করে, অতঃপর তাদের গুণাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ ছাড়া কে গুনাহ ক্ষমা করবে ? আর তারা যা করেছে, জেনে শুনে তা তারা বার বার করে না” । [সূরা আল-ইমরান : ১৩৫]
১৬। রমযান মাসে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করাঃ
রমযান মাসের শেষের দশদিনের বেজোড় রাত্রিতে লাইলাতুল কদরের জন্য বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করতে হবে এবং সারা বিশ্ববাসীর শান্তি, ক্ষমা ও স্থিতিশীলতার জন্য দোয়া করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, “লাইলাতুল কদর এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম”। [সূরা কদর : ৩]
১৭। রমযানের পবিত্রতা রক্ষা করাঃ
রমযান মাসে এমন কিছু করা যাবে না যা শরীয়তপরিপন্থী। যেমন রোযাদারহীন ব্যক্তি রোযাদারদের সামনে পানাহার করা। সেই সাথে অশ্লীল ও অনৈতিক কার্যাবলী থেকে বিরত থাকতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন: “আর অশ্লীল কাজের নিকটবর্তী হবে না, তা থেকে যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে”। [সূরা আন-আম : ১৫১]
হাদীস শরীফে বর্ণিত, “যে মিথ্যা কথা ও কাজ এবং মূর্খতা পরিত্যাগ করতে পারল না তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই”। বুখারী
হাদীসটি দ্বারা স্পষ্ট বুঝে আসে যদি মূর্খতা পরিহার না করা হয় তবে সিয়াম আল্লাহর কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। আর মূর্খতা ত্যাগ করা যাবে শুধু শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত ও সৎকর্মের মাধ্যমে এই রমযানের ফযীলত আমরা পূর্ণভাবে অর্জন করতে পারি। মহান আল্লাহ এই রমযান মাসে আমাদের উপর রহমত, রবকত ও মাগফেরাত প্রদান করুন এবং আমাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত প্রদান করুন। আমিন।