* উপস্থাপনাঃ
পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে অদ্যাবদি এর রাষ্ট্র শাসকদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, যে সব গুণাবলীর ভিত্তিতে কোনো শাসককে আদর্শ হিসেবে পরিগণিত করা হয়, সেই নিরিখে বিশ্বের কোনো কোনো শাসক কোনো কোনো দেশে কিঞ্চিৎ কিংবা আংশিকভাবে সফল হলেও তাদের কেউ-ই আদর্শ রাষ্ট্র শাসক হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিতে পারেননি। যারা আদর্শ শাসকের কাতারেই আসতে পারেননি, তাদের কেউতো আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক হবার প্রশ্নই অবান্তর।
এই ক্ষেত্রে এই ধরা পৃষ্ঠে একমাত্র ব্যতিক্রম শুধু একজনই। তিনি আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)। আদর্শ রাষ্ট্র শাসকের সবগুলো গুণাবলী শুধু তাঁর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এবং এক অপরিহার্য বাস্তবতা। তাই তিনি একজন সফল শাসক এবং শাসকদের নায়ক। তাঁর রাষ্ট্র শাসনের সমালোচনার দুঃসাহস কেয়ামত পর্যন্ত কেউ করতে পারবেনা। তিনি সফল না হয়ে পারেন না, কারণ তিনি ছিলেন আল্লাহর ওহী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সূরা আহযাবের ২১নং আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন, “নিশ্চয়ই রাসূলের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ।” ইহা তাঁর সার্বিক জীবন নিয়ে আল্লাহর সাক্ষ্য। আর রাষ্ট্র শাসন রাসূল (সা.) এর জীবনেরই একটি অধ্যায়। তথাপি আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক নিজেই ঘোষণা করেছেন, “আমার যুগ শ্রেষ্ঠ যুগ।” অতএব “আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক মুহাম্মদ (সাঃ)” এক সার্থক ও যথার্থ শিরোনাম।
* আদর্শ রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনঃ
পৃথিবীতে কোনো মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রশক্তি অপরিহার্য। পৃথিবীর স্রষ্টা আল্লাহ রাসূল (সঃ) কে আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে অন্যান্য সকল মতাদর্শের উপর দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য প্রেরণ করেছেন। আল্লাহর কুরআনের সূরা সফের ৯ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেছেন, “তিনি আল্লাহ! তার রাসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে পাঠিয়েছেন যেনো, অন্যান্য সকল দ্বীনের উপর তাকে বিজয়ী করতে পারেন।” সূরা বনী ইসরাঈলের ৮০নং আয়াতে আল্লাহ তার রাসূলকে রাষ্ট্রশক্তি অর্জনের নসিহত দিয়েছেন। তাই আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক জন্মভূমির কাফেরদের অত্যাচারে আল্লাহর হুকুমে প্রাচীন ইয়াসরেব নগরে হিজরত করেন। ইয়াসরেবকে “মদীনা” নামে তিনি আদর্শ রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। ৬২২-৬৩২ ঈসায়ী সাল পর্যন্ত আমৃত্যু ১০ বছর মদীনাকে কেন্দ্র করে জাজিরাতুল আরবে শাসন কার্য পরিচালনা করেন। তার এই ১০ বছরের সুশাসনই তাঁকে ইতিহাসে আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত অনুসরণীয় করে তুলেছে।
* আদর্শ রাষ্ট্রের কর্মসূচীঃ
সূরা হজ্জের ৪১ নম্বর আয়াত থেকে (১) নামায প্রতিষ্ঠা করা (২) যাকাত আদায় করা (৩) সৎ কাজের আদেশ প্রদান (৪) অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান।
সূরা বনী ইসরাঈলের ২৩-৩৭ আয়াত থেকে- (১) শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা (২) পিতা-মাতার প্রতি উত্তম আচরণ করা (৩) নিকটাত্মীয়, মিসকিন ও সম্বলহীন পথিকদের অধিকার প্রদান (৪) অপচয়-অপব্যয় না করা (৫) নিকটাত্মীয়, মিসকিন ও সম্বলহীন পথিকদের বিনয় সূচক জবাব দেয়া (৬) খরচের বেলায় মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা (৭) দারিদ্রের ভয়ে সন্তান হত্যা না করা (৮) জ্বেনার নিকটবর্তী না হওয়া (৯) ন্যায় সঙ্গত কারণ ছাড়া কোনো মানুষ হত্যা না করা (১০) ইয়াতীমের সম্পত্তি আত্মসাৎ না করা (১১) ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা (১২) সঠিক পন্থায় ওজন করা (১৩) যে বিষয়ে মানুষের জ্ঞান নেই, তার পেছনে না ছুটা (১৪) জমিনে অহংকারীভাবে না চলা।
বস্তুতঃ আদর্শ রাষ্ট্র নায়কের মূল উৎস ছিলো আল কুরআন। তা থেকে সংগৃহীত উপরোক্ত ৪ এবং ১৪ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তিনি রাষ্ট্র শাসনে সফলতা অর্জন করেছিলেন।
* কল্প কথার গল্পে নয় বাস্তব প্রমাণঃ
মুহাম্মদ (সাঃ) আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক তা শুধু কল্প কথার গল্পে নয়, বাস্তবেও তাই। তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হবার পর তাঁর জীবন থেকে কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো –
(১) ভাঙ্গা নয়, গড়ার সুর – সমাজ ও রাষ্ট্রে এখনকার শাসকরা জনগণের মতভেদকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণের মধ্যে হিংসা, বিভেদ ও অনৈক্য প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বকে জাহান্নাম করে তুলছে। অপরদিকে আমরা দেখতে পাই, আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক মদীনা রাষ্ট্র গঠন করেই জনগণের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করলেন। যা ছিলো সুশাসনের জন্য অতীব জরুরী। মদীনার সমাজ ছিল বহুদা বিভক্ত। আওস ও খাজরাজ গোত্রের লোকেরা বংশ পরস্পরায় বিভেদের বীজ বহন করেছিলো। আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক মুহাম্মদ (সা.) তাদেরসহ পুরো মদীনার জনগণকে পরস্পরের শত্রু থেকে কল্যাণকামী বন্ধুতে পরিণত করে দিলেন।
(২) বেকারের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করা – জনগণের কর্মসংস্থানে যাকাত ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা গঠন করে আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেন। তার প্রেরণায় মদীনার মানুষ কৃষি ও ব্যবসায় প্রচুর উন্নতি সাধন করে। তিনি হীন ভিক্ষা বৃত্তি নিষিদ্ধ করেন। ঘোষণা করেন “নিশ্চয় নিচের হাত থেকে উপরের হাত শ্রেষ্ঠ।” অর্থাৎ গ্রহীতা থেকে দাতা উত্তম। এক ব্যক্তিকে তার শেষ সম্বল একখানা কম্বল বিক্রি করিয়ে তার হাতে কুঠার তুলে দিয়ে কর্ম যুদ্ধে অবতীর্ণ করান। এভাবে জনগণকে তিনি কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করে অনুসরণীয় আদর্শ সৃষ্টি করেছেন।
(৩) শিক্ষা বিস্তারে আদর্শ – পবিত্র কুরআনের প্রথম ওহী “ইকরা”। তাই আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক তাঁর জনগণকে শিক্ষিত করতে সর্বদা তৎপর ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সার্বক্ষণিক শিক্ষক। তিনি মসজিদে নববীকে একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করেছিলেন। যুদ্ধবন্দীদের শিক্ষা দানের বিনিময়ে মুক্ত করে দেবার নজির শুধু তিনিই স্থাপন করেছিলেন। বদরের যুদ্ধে বন্দী শিক্ষিত মুশরেকদের অশিক্ষিত মুসলিমকে শিক্ষা দিয়ে মুক্ত হতে তিনি সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
(৪) যুদ্ধ নয়, সন্ধি চাই – মানুষ একটু ক্ষমতাবান হলেই আগ্রাসী হয়ে ওঠে। বর্তমান বিশ্বের ক্ষমতাবানরা এর বাস্তব নজির। অথচ আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক বিশাল ক্ষমতাবান হওয়া সত্ত্বেও সর্বদা যুদ্ধ এড়িয়ে তিনি সন্ধি স্থাপনে আগ্রহী ছিলেন। জীবনে তিনি বহু সন্ধি ও চুক্তি স্থাপন করেছিলেন। এর মধ্যে হুদাইবিয়ার সন্ধি ও ঐতিহাসিক মদীনা সনদ শান্তি স্থাপনে তাকে আদর্শ রাষ্ট্রনায়কে পরিণত করেছে।
(৫) যুদ্ধ ক্ষেত্রে আদর্শ – রাসূল (সা.) কখনো যুদ্ধ চাননি। কিন্তু, যুদ্ধবাজ শয়তানরা বারবার তাঁর উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ছিলো। তিনি আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধ করেছেন। তাই তাঁর জীবনে বদর, ওহুদ, খন্দক, হুনায়েন প্রভৃতি যুদ্ধ এসেছে। তিনি ছিলেন সর্বক্ষেত্রে আদর্শ। তাই যেমন মসজিদে ইমামতি করেছেন, তেমনি যুদ্ধে সেনাপতিত্ব করেছেন। যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রথমে হামলা না করা, নারী-শিশু-অক্ষমদের হত্যা না করা, গবাদী পশু, ফলবতী গাছ-পালা না কাটা এবং যুদ্ধ বন্দীদের সাথে সু-আচরণে একজন রাষ্ট্র প্রধান হিসাবে তিনি উদাহরণ।
(৬) অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সহনশীলতা – সংখ্যালঘুদের প্রতি আদর্শ রাষ্ট্রনায়কের আচরণ অনুসরণীয়। ঐতিহাসিক মদীনা সনদের মাধ্যমে তিনি তাদেরকে যে অধিকার দিয়েছিলেন, তা আজকের দিনে রূপ কথার গল্প। এক ইহুদী মসজিদে নববীতে পেশাব করা শুরু করলো। সাহাবারা তাকে মারতে উদ্যত হলে, বিশ্বনবী বাঁধা দিলেন। কাজ সেরে ফেলার পর নবী (সা.) তাকে বললেন, “তোমার দ্বীনের পবিত্র স্থানে কেউ এমন করলে কি করবে?” লোকটি লজ্জিত হলো। রাসূল (সাঃ) তাকে ক্ষমা করলেন। তাই সে আদর্শ রাষ্ট্র নায়কের আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলামে দাখিল হলো। তিনি-ই সাহাবীদের আদেশ করেন, “তোমরা মুশরেকদের প্রভূকে গালি দিওনা। তাহলে তারা না বুঝে আল্লাহকে গালি দেবে।”
(৭) দানের ক্ষেত্রে আদর্শ – বিশ্বের শাসকরা যেখানে জনগণের সম্পদ কুক্ষিগত করে সম্পদের পাহাড় গড়ছে, সমুদ্রের বিশালতার হৃদয় দিয়ে আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক সেখানে সব কিছু বিলিয়ে দিয়েছেন। হুনায়েনের যুদ্ধের পর তিনি যা দান করেছিলেন, ইতিহাসে তা বিরল। জুবায়ের ইবনে মুত’য়েম (রা.) থেকে বর্ণিত, হুনায়েন থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় কিছু গ্রাম্য লোক রাসূলকে (সা.) জড়িয়ে ধরলো এবং সাহায্যের আবদার করলো। এমনকি তারা তাঁকে একটি বাবলা গাছের নিচে নিয়ে তাঁর চাদরটি খুলে নিলো। নবী (সাঃ) সেখানে দাড়িয়ে বললেন, “আমার চাদর খানা ফিরিয়ে দাও। যদি আমার কাছে এই কাটা বৃক্ষগুলোর সমান সংখ্যক বকরী বা উট থাকতো তাহলে সবই তোমাদের মধ্যে বিলিয়ে দিতাম। কেননা, আমি কৃপন স্বভাব, মিথ্যাচারী বা ভীরু কাপুরুষ নই।” (বুখারী)
(৮) পরামর্শ গ্রহণে আদর্শ – আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক মুহাম্মদ (সা.) সর্ব বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত প্রদানের অধিকারী ছিলেন। তথাপি তিনি পরমত সহিষ্ণু ছিলেন। বিভিন্ন পর্যায়ে, তিনি সাথীদের পরামর্শ গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। যেমন- হুদাইবিয়ার সন্ধির পর সাহাবীদের আবেগ প্রশমিত করতে তিনি উম্মে সালমার (রা.) পরামর্শে মাথা মু-ন করেন। খন্দক যুদ্ধে সালমান ফারসীর (রাঃ) পরামর্শে পরিখা খনন করেন। বদর যুদ্ধের ময়দানেও তিনি সাহাবী হুবাব ইবনে মুনযের (রা.) এর পরামর্শ পছন্দ করেন।
(৯) বিজয়ীর মহানুভবতা – আদর্শ রাষ্ট্র নায়কের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সত্যের দুশমনরা জনগণের মনে জুজুর ভয় সৃষ্টি করতে পেরেছিলো। মক্কা বিজয়ের দিন মিথ্যা ভয়ে লোকজন পালাচ্ছিলো। মহানুভব আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক দেখলেন, এক বৃদ্ধা অতিকষ্টে তার লটবহর নিয়ে চলছে। তিনি বৃদ্ধার লটবহর নিজে বহন করে গন্তব্যে পৌঁছে দিলেন। বৃদ্ধা জানালো সে মুহাম্মদের ভয়ে মক্কা ছেড়ে পালাচ্ছে। পরে বললো! কে বাবা তুমি এত ভাল লোক? রাসূল (সা.) বললেন, যার ভয়ে তুমি পালাচ্ছ, আমি সেই আব্দুল্লার পুত্র মুহাম্মদ। বৃদ্ধার জুজুর ভয় কেটে গেলো। সে আদর্শ রাষ্ট্র নায়কের মহানুভবতায় ইসলামে দাখিল হলো।
(১০) রাষ্ট্রনায়কের ক্ষমা – কুরায়শরা আদর্শ রাষ্ট্র নায়ককে এতো অত্যাচার করলো। এমন কি নিজের জন্ম মাটি থেকে উৎখাত করলো। অথচ মক্কা বিজয়ের দিন তাদের উপর কোনো প্রতিশোধ নিলেন না। ক্ষমা করে দিলেন। বললেন, “আজ তোমাদের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। তোমরা সবাই মুক্ত”। বিশ্ব ইতিহাসে যুদ্ধ জয়ী কোনো আদর্শ রাষ্ট্র নায়কের এমন উদাহরণ শুধু মুহাম্মদ (সঃ)-ই সৃষ্টি করেছেন।
* উপসংহারঃ
পরিশেষে বলা যায়, চৌদ্দশ বছর পূর্বে আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বের তাবৎ রাষ্ট্র শাসকদের জন্য যে আদর্শ স্থাপন করেছিলেন আজকের বিশ্ব তীব্রভাবে তার অভাব অনুভব করছে। আজ পৃথিবীর দেশে দেশে ভ- শাসকদের শাসন শোষণে পৃথিবীর মজলুম মানুষ একজন আদর্শ রাষ্ট্র নায়কের জন্য আর্তনাদ করছে। শত আর্তনাদেও আর্দশ রাষ্ট্রনায়ক মুহাম্মদ (সা.) আসবেন না বটে। কিন্তু, তাঁকে অনুসরণের মাধ্যমে তার আদর্শ বাস্তবায়ন করে বিশ্বের নির্যাতিত মানুষকে যুলুমের অন্ধকার কু-লী থেকে উদ্ধার করতে কেউ না কেউ এগিয়ে আসবে, এই কামনা আমরা করতেই পারি। যত শীঘ্র এই কামনা বাস্তবায়িত হবে, তত শীঘ্র বিশ্ব মানবতার কল্যাণ সাধিত হবে। দার্শনিক মাইকেল হার্ট যথার্থই বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি অশান্তির বিশ্বে শান্তি আনতে হলে সমগ্র বিশ্বের একক ক্ষমতা আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক মুহাম্মদ (সঃ) এর হাতে অপর্ন করলেই তা শুধু সম্ভব।”