ইবাদতের তাৎপর্য

ইবাদতের তাৎপর্য

ইবাদতের তাৎপর্য

 ইবাদাতের অর্থ: যে সকল প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য কথা ও কাজ আল্লাহ ভালবাসেন এবং তাতে খুশী হন তার সমষ্টিকে ইবাদাত বলা হয়। যেমন: আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ভালবাসা, আল্লাহকে ভয় করা, তাঁর উপর ভরসা করা, তাঁর নিকটে প্রার্থনা করা, সালাত, যাকাত, যথা সময়ে আদায় করা, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা, আল্লাহকে স্মরণ করা, মুনাফিক্ব ও কাফিরদের সাথে জিহাদ করা ইত্যাদি।

ইবাদাত অনেক প্রকার। আল্লাহর আনুগত্য মূলক যাবতীয় কাজ ইবাদাতের অন্তর্ভূক্ত। যেমন: কুরআন তেলাওয়াত করা, গরীব দূঃখীদের প্রতি দয়া করা, সত্যবাদিতা, আমানত রক্ষা করা এবং সুন্দর কথা। মু’মিনের যাবতীয় কাজ ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে যদি মু’মিন ব্যক্তি তাঁর কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত করে।

বরং আমাদের কেউ যদি আল্লাহর আনুগত্য করতে শক্তি অর্জনের উদ্দেশ্যে খায় বা পান করে অথবা ঘুমায় তবে এর বিনিময়ে তাকে সওয়াব দেওয়া হবে।

অতএব, সৎ নিয়ত ও সঠিক ইচ্ছার কারণে এ সকল অভ্যাস ইবাদাতে পরিণত হয় এবং এর জন্য সওয়াব দেওয়া হয়। তাই জানা গেল সালাত সিয়ামের মত কিছু নির্দিষ্ট নিদর্শনে ইবাদাত সীমাবদ্ধ নয়।

ইবাদাতের জন্যই আল্লাহ সকল মাখলুক্বকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেন:

﴿وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ (56) مَا أُرِيدُ مِنْهُمْ مِنْ رِزْقٍ وَمَا أُرِيدُ أَنْ يُطْعِمُونِ (57) إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ﴾ (58 ([الذاريات[

অর্থ: আমার ইবাদাত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের কাছে জীবিকা চাই না এবং এটাও চাই না যে, তারা আমাকে আহার্য যোগাবে। আল্লাহ্‌ তায়ালাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত। সূরাহ্‌ আয্‌ যারিয়াত আয়াত ৫৬-৫৮।

আল্লাহ সংবাদ দিয়েছেন জ্বিন এবং ইনসানকে কেবলমাত্র তাঁর ইবাদাত করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। বান্দার  ইবাদাতের কোন প্রয়োজন আল্লাহর নেই। বরং আল্লাহর নিকটে নিজের প্রয়োজন থাকার কারণে বান্দারই তাঁর ইবাদাত করা একান্ত আবশ্যক।

শিরক বিহীন এককভাবে আল্লাহর ইবাদাত করার প্রয়োজনীয়তা বান্দার পানাহারের প্রয়োজনীয়তা থেকেও বেশী। মানব হৃদয় একবার আল্লাহর ইবাদাত ও ইখলাসের (একনিষ্টভাবে তাঁর ইবাদাত করা) স্বাদ আসাদন করলে দুনিয়ার কোন বস্তু তার নিকটে এর চাইতে সু-স্বাদু, মিষ্টি এবং উত্তম মনে হবে না। আল্লাহর ইবাদাতকে বাস্তবায়ন করা ব্যতীত কেউ দুনিয়ার কষ্ট ও সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেনা।

Related Post