কুরবানী: ধর্মহীন ও ধর্মত্যাগী শয়তানের বুকফাটা রক্ত প্রবাহের মৌসুম (একটি পর্যালোচনা)

কুরবানী ধর্মহীন শয়তানের বুকফাটা রক্ত প্রবাহের মৌসুম

কুরবানী ধর্মহীন শয়তানের বুকফাটা রক্ত প্রবাহের মৌসুম

ঈদ অর্থ বার বার ফিরে ফিরে আসে যে আনন্দ। মুসলিম জীবনে দু’টো ঈদ আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তার একটি হলো ঈদুল ফিতর বা রোযার ঈদ আর অন্যটি ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ। ঈদুল ফিতরের মহত্ব হলো পুরো একটি মাস আল্লাহর জন্য মানুষেরা সিয়াম সাধনা করে করে যে কষ্ট স্বীকার করে, তার সমাপনী দিন। এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি যেমন নিহিত থাকে, তেমনি থাকে দীর্ঘ একমাস পর দিনের বেলায় খাবার গ্রহণসহ আরো অন্যান্য আনন্দ উপভোগ। অন্যদিকে ঈদুল আযহার পুরোটা জুড়েই থাকছে ত্যাগ ও কুরবানীর প্রশিক্ষণ। যারা হজ্জব্রত পালনের উদ্দেশ্যে পূণ্যভূমিতে অবস্থান করছেন, তাদের জন্যে তো রীতিমত সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যব্স্থা রয়েছে যেন। সামরিক অভিযান পরিচালনার মতই সেখানে রয়েছে আল্লাহর সৈনিকদের জন্য তাঁবু বা ক্যাম্প স্থাপনের পদ্ধতি, রয়েছে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান, ইমাম বা সেনাপতির খোৎবা বা বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা, পুনরায় কা`বা বা কেন্দ্রে ফেরৎ, তারপর আবারো ক্যাম্পে ফিরে যাওয়া ইত্যাদি। পুরো হজ্জ ইবাদাতের ব্যবস্থাপনাটাই যেন আল্লাহর সৈনিকদেরকে তাঁর যমীনে তাঁর দ্বীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য একটা সামরিক ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। মূলতঃ মুসলমানগণ প্রত্যেকেই তাদের প্রতিপালকের জন্য এক একজন সৈনিক। সে যেমনিভাবে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে তার নিজেকে হেফাযত করার জন্য নিজ নফসের সাথে ও স্বয়ং ইবলীসের সাথে লড়াই করে, তেমনি সমাজের নানা কুসংস্কার ও ঈমান বিনষ্টকারী বিষয় ও সেসবের প্রচারকদের সাথে লড়াই করে তার কথা শক্তি, বাহু শক্তি ও আন্তরিক শক্তি দিয়ে, ঠিক তেমনি প্রয়োজনে যখন ইমাম আহ্বান করবেন তখন জিহাদের ময়দানেও সেই একই সাধারণ মুসলমান সৈনিক হিসেবে লড়াই করবেন আল্লাহর দ্বীনের জন্য। এতে প্রয়োজন পড়লে নিজের প্রাণ প্রিয় সম্পদ, সন্তান এমনকি নিজের জীবনকে কুরবানী করতেও সে পিছপা হবে না। হ্জ্জ ও হজ্জের দিনগুলোর অন্তর্ভু্ক্ত কুরবানীর ঈদ সে শিক্ষাই প্রতিজন মুসলমানকে দিয়ে যায় প্রতি বছর একবার করে।

কুরবানীর মহিমা আমাদের জীবনে অপার। নিখুঁতভাবে তাকালে আমরা দেখতে পাবো যে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই আমরা নিজের জন্য বা কারো না কারো জন্য কুরবানী দিয়ে যাচ্ছি। জীবনের বেশীর ভাগকেই হয়ত নিজের জন্য দিচ্ছি মনে করে কুরবান করছি। কিন্তু তাতে নিজের জন্য খুব কম অংশই থাকে, কেননা মৃত্যুর পরপরই যাবতীয় ‘নিজের’গুলো অন্যের হয়ে যায়। তাই ‘নিজের জন্য’ যা কিছু সঞ্চয় করা হয়, সেসবেরও খুব সামান্যই নিজের হয়ে থাকে। এর বাইরে মাতা-পিতা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন, আত্মীয়-পরিজন, প্রতিবেশী সকলের জন্যই নানা অংশে ত্যাগ ও কুরবানী আমাদেরকে করতেই হয়। সমাজবদ্ধ যাপনে যা জীবনের মূলধারার সাথেই সম্পৃক্ত হয়ে আছে। এতসব ত্যাগ ও কুরবানীর একটা বিনিময় তো মানুষ হিসেবে সবাই পৃথিবীতেই প্রাপ্ত হয়, কিন্তু মুসলমানগণ এসবের দু’টো প্রতিদান পাবে। একটি পৃথিবীতে যা পাওয়ার তা, অন্যটি পাবে মুসলমান তার প্রভু আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের নিয়্যতে যদি কোন ত্যাগ ও কুরবানী করে থাকে, তবে আখেরাতে সেসবের পরিপূর্ণ প্রতিদান। অবশ্য মুসলমান হয়েও যদি নিয়্যত বা সংকল্পে শুধুমাত্র দুনিয়ার পাওনাকে নির্দিষ্ট করে দেয়, তবে মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও আখেরাতে তার জন্য আর কিছু বাকী থাকবে না। সর্বোপরি এসব ত্যাগ ও কুরবানীর মূখ্য উদ্দেশ্য হয় নিজ থেকে নিয়ে দুনিয়ার কেউ না কেউ।
আবার দুনিয়াবী কারো জন্য ত্যাগ ও কুরবানীর বাইরেও এমন কিছু ত্যাগ ও কুরবানী আল্লাহ মানুষের কাছ থেকে চেয়েছেন, যেসবের মূখ্য দিকটাই হয় আল্লাহ তা’আলা, অর্থাৎ শুধু মাত্র তাঁর জন্যই। যেমন, ইসলামের মৌলিক ইবাদাতগুলোসহ এজাতীয় অন্যান্য ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল ইবাদাত। নামায আদায় না করলে বাহ্যিকভাবে দুনিয়ার কারো তেমন কোন ক্ষতি হবে না, কিন্তু আদায় করলে ব্যক্তি নিজেসহ তার আশপাশের সমাজ তা দ্বারা উপকৃত হবে ইত্যাদি। তন্মধ্যে বর্তমানে আমরা পার করছি একটি মৌলিক ইবাদাত হজ্জ ও তার পাশাপাশি কুরবানীর মৌসুম।
পূর্বে ত্যাগ ও কুরবানী কাদের জন্য করা হয় সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। এবার আসা যাক কি কি কুরবানী করে থাকি আমরা এসব ক্ষেত্রে। এর ফিরিস্তি দিতে গেলে শব্দ লিখেই শেষ করা যাবে না। মৌলিকভাবে তাকালে সময়, অর্থ, ভালবাসা ও প্রিয়জন এবং নিজের জীবন; এ কয়টি ভাগে ভাগ করে নিতে পারি।
সময়টা নানাভাবে ব্যয় হতে পারে, কারো সাথে আড্ডা দেয়া থেকে শুরু করে শেষ বিদায়ের জানাযায় অংশগ্রহণও হতে পারে।
অর্থ ব্যয়ের নমুনা পথের ধারের ভিক্ষুককে দশ পয়সা ছুঁড়ে মারা থেকে নিয়ে কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশে সিডর আক্রমণের পর যেমন এক সউদী নাগরিক হাজার কোটি টাকা দিয়েও নাম প্রকাশ থেকে বিরত থেকেছেন অথবা হতে পারে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জিহাদে যেমন আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাঁর সমস্ত সম্পদ এনে হাজির করেছেন প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে।
ভালবাসা ও প্রিয়জনের কুরবানীর উদাহরণ তো এমন হতে পারে যে, আদর্শের জন্য কিংবা কোন লক্ষ্যের জন্য ভালবাসার বস্তু কিংবা মানুষদের কাছ থেকে দূরে অবস্থান করা কিংবা ভালবাসার মানুষদেরকেই বর্জন করা অথবা কুরবানী করা। যেমন, যদি কেউ তার প্রিয় কোন বস্তু কিংবা মানুষের কাছে যেতে চায়, কাছে থাকতে চায়, অথচ এতে তার আদর্শ, তার লক্ষ্যচ্যুতির সম্ভাবনা থাকে, তবে মানুষ তা ত্যাগ করে। এমন অসংখ্য উদাহরণ থেকে নিয়ে শুরু করে পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের তাঁর প্রভু আল্লাহর জন্য নিজ সন্তান কুরবানী করার মত চূড়ান্ত পর্যায়ও হতে পারে।
সর্বোপরি মানুষ নিজেকেই উৎসর্গ করে দেয় তার আদর্শ কিংবা লক্ষ্যের তরে। এতে কারো লক্ষ্য যদি হয় বিপদগ্রস্ত প্রিয়জনকে উদ্ধার, কারো হয় স্বদেশের স্বাধীনতা, কারো হয় আদর্শের প্রতিষ্ঠা; তবে মানুষ সে জন্য নিজের জীবনকে বাজী রাখে এবং অবশেষে নিঃশেষ হয়ে যায় তার পছন্দের পথে।
আগেই বলেছি যে, আমাদের সামনে আসছে বাৎসরিক কুরবানীর মৌসুম, অর্থাৎ কুরবানীর ঈদ। এ কুরবানীর প্রারম্ভ ইতিহাস আমাদের সবারই কম-বেশি জানা রয়েছে। আল্লাহর আদেশে মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম তাঁর আপন সন্তান ইসমাঈল আলাইহিস্ সালামকে কুরবানীর জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। মূলতঃ ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালামের জন্য এ ছিল এক কঠিন পরীক্ষা। কিন্তু তিনি এবং তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্র দু’জনেই কুরবানী দিতে ও হতে ছিলেন সন্তুষ্টচিত্তে প্রস্তুত। তখন আল্লাহ্ তাঁর প্রতি তাঁদের এহেন আন্তরিক ও কার্যকর আনুগত্য ও আত্মসমর্পনের বাস্তবায়ন দেখে বালক ইসমাঈলের স্থলে জান্নাত হতে ফিরিশ্তার মাধ্যমে একটি দুম্বা শুইয়ে দেন; এভাবেই ইব্রাহীম ও ইসমাঈল আলাইহিমাস্ সালাম আত্মত্যাগের এ কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এটা পরীক্ষা। কোন কোন অবিবেচক ধর্মবিদ্বেষীকে বলতে দেখা যায় যে, “আল্লাহ্ যদি জানতেনই তবে কেন তিনি ইব্রাহীমকে পরীক্ষা করতে গেলেন”? এদের জন্য সুস্থতা কামনা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কেননা, প্রত্যেক পরীক্ষকই প্রশ্নের উত্তর জানেন এবং উত্তর জেনেই পরীক্ষা নিয়ে থাকেন; কিন্তু পাশ করবেন কি না তা জানেন না। এখন বুঝার বিষয় যে, সৃষ্টিজগতের প্রত্যেক পরীক্ষক আর পরীক্ষক হিসেবে স্বয়ং স্রষ্টা কি এক হলো? না, এক নয়। বরং স্রষ্টা এটাও জানেন যে, পরীক্ষার্থী পাশ করবে কি না। তাহলে স্রষ্টা এসব ঘটনা অনুষ্ঠিত করেন কেন? এর জবাব জ্ঞানী মাত্রের নিকটই নিতান্ত সহজ, কিন্তু মূর্খ সম্প্রদায়ের জন্য জীবনপণ সমস্যা(!)। মূলতঃ পরবর্তী মানুষদেরকে শিক্ষা দেয়ার জন্যই আল্লাহ্ নবী-রাসূলগণের জীবনকে অসংখ্য ঘটনাবহুল করেছেন, তাঁদের নিকট হতে অসংখ্য পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন। কারণ, তাঁরাই তো মানব জাতির জন্য আদর্শ, তাই মানবজাতিকে তাঁদের অনুসরণ করাতে হলে তাঁদের জীবনকে সেভাবেই সাজাতে হবে। এসব প্রশ্নের অনেক বিজ্ঞজনোচিত জবাব থাকলেও সহজ ভাষায় বুঝতে পারাটাই আমাদের জন্য বেশি জরুরী। এছাড়া আমরা নিজেরাও জীবনে নানা পরীক্ষায় জর্জরিত হয়ে থাকি, সেসবের মধ্যেও এসব প্রশ্নের জবাব নিহিত রয়েছে।
প্রতি বছর কুরবানীর মৌসুম এলেই যতটা না রক্তের সুতোধারা প্রবাহিত হয় কুরবানীর ঈদের দিনে, তার চেয়ে বহু বহুগুণ বেশী রক্তের সাগর ভাঙ্গে ধর্ম শব্দের এলার্জিতে আক্রান্ত নাস্তিক-মুরতাদদের হৃদয়ে। সারা বছর অসংখ্য প্রাণী জবাই করে টুকরো টুকরো করে কেটে আগুনে চড়িয়ে-পুড়িয়ে খেতে তাদের কোন ব্যথা লাগে না, কেবল বুকটা ভেঙ্গে যায় শুধু মাত্র মুসলমানগণ যখন তাদের পরম প্রিয় আল্লাহর জন্য ঈদুল আযহার দিনে কুরবানীর পশুর গলায় ছুরি বসায়। তাদের পশুপ্রেম তখন তাদেরকে ‘পশু’তে পরিণত করে ফেলে। তাদের হাম্বা রব আর ম্যৎকারে তখন কুরবান হওয়া পশুরাও যেন হেসে উঠে। কি অর্বাচীনের মত তাদের এহেন আচরণ, তারা তখন পশু জবাইয়ের সময়কার ঘটনাগুলোকে যেন পশুর রক্তে নয়; তাদের নিজেদেরই প্রতিহিংসা সমৃদ্ধ বুকের রক্তে নানাভাবে রঞ্জিত করে করে অপপ্রচারের আর্তনাদে মেতে উঠে। তারা তখন এ কুরবানীতে ত্যাগ খুঁজে পায় না, পায় কেবলি কপটতা, হৃদয়ের প্রশস্ততা খুঁজে পায় না, পায় কেবলি সংকীর্ণতা; মুসলমানদের নিয়ে তখন তাদের কি নিদারুন(!) মাথাব্যথা, মুসলমানগণ আল্লাহর জন্য নয়; বরং লোকদেখানোর জন্য এসব করছে…কি উলঙ্গ বেহায়াপনা! (মুসলমানদের নিয়্যত বা সংকল্পের বিচ্যুতির কথা পূর্বেই প্রতিদানের বিষয়ের সাথে উল্লেখ করেছি।)
যখন অন্যায়ভাবে বনী আদমের রক্ত ঝরে, তখন উল্লাস করে ইবলীস, কেননা সে ফিৎনা সৃষ্টিতে সফল হয়েছে। আর যখন আল্লাহর কোন বান্দা তাঁর জন্য কুরবানী করে রক্ত ঝরায় তখন ইবলীসের আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়; বছর বছর কুরবানীর মৌসুমে আমরা যেন মানুষরূপী ইবলীসদের আর্তনাদ শুনতে পাই। যেমনটি আল্লাহ্ বলেছেন: مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ “(কুমন্ত্রণাদানাকারী এ শয়তান) জিন ও মানুষদের মধ্য থেকে।” [সূরা আন্-নাস: ৬]
কথায় কথায় আমরা বলে থাকি- ত্যাগেই শান্তি, ত্যাগেই মুক্তি। বাস্তবিকই তাই। দুনিয়ার কোন স্বার্থ ছাড়াই অর্থ দানকারী ব্যক্তি উপলব্ধি করতে পারেন যে, অর্থদানে হৃদয়ে কতটা প্রশান্তি নেমে আসে। তেমনি একটি প্রিয় গৃহপালিত পশুকে যত্নে লালন-পালন করে বড় করে একদিন আল্লাহর জন্য তার গলায় ছুরি চালানোর মধ্যে কতটা আত্মিক পরিশুদ্ধি নিহিত তা নিষ্ঠাবানদের পক্ষেই উপলব্ধি সম্ভব। অন্যথা, ব্যক্তি সেই একই পশুটিকে কিন্তু চিরদিন ধরে রাখতে পারবে না, কখনো না কখনো সে তাকে জবাই করে খাবেই, হতে পারে তা কোন অনুষ্ঠানের ভোজে কিংবা বিক্রয় করা অর্থ খরচ করে। সেসব ক্ষেত্রে কিন্তু উল্লেখিত আত্মিক পরিশুদ্ধি হয় না বা ধর্মবিদ্বেষীদের চিৎকার-ম্যৎকারও শোনা যায় না। তাই সকলের উচিত তাদের নিজ নিজ ইবাদাতগুলোকে নিষ্ঠার সাথে পালন করা এবং জিন শয়তান ও মানুষ শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা। উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে- পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম যখন ইসমাঈল আলাইহিস্ সালামকে কুরবানীর জন্য অস্ত্রহাতে উদ্যত হলেন, তখন শয়তান নানাভাবে কুমন্ত্রণা দিতে শুরু করে, পিতা তখন শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আত্মরক্ষার জন্য তাকে উদ্দেশ্য করে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। শয়তানের প্রতি প্রথম মুসলিম ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালামের কঙ্কর নিক্ষেপের সে ক্রিয়াটি আজো হজ্জের অনুষ্ঠানাদির মধ্যে “জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ হিসেবে” অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং সাধু সাবধান!

ফজলে এলাহী

 

Related Post