মাহে রমযান তাকওয়া অর্জনের মাস

মাহে রমযান তাকওয়া অর্জনের মাস

মাহে রমযান তাকওয়া অর্জনের মাস

মাহে রমযান সিয়াম সাধনা ও তাকওয়া অর্জনের মাস। কল্যাণ ও বরকতের মাস; রহমত, মাগফিরাত এবং জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তি লাভের মাস। মহান আল্লাহ এ মাসটিকে বহু ফযীলত ও মর্যাদা দিয়ে অভিষিক্ত করেছেন। তবে এই রোজা কবে থেকে চালু হয়েছিল তার বিশদ বিবরণ পাওয়া খুবই মুশকিল। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

” হে ঈমানদারগণ! তোমদের উপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার ।’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৮৩)

এ আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, মুহাম্মদ (স.)-এর পূর্ববর্তী উম্মতগণের ওপরও রোজা ফরজ ছিল।

(ফাতহুল বারী ৪র্থ খণ্ড ১০২-১০৩ পৃষ্ঠা) বর্ণিতঃ হযরত আদম (আঃ) যখন নিষিদ্ধ ফল খেয়েছিলেন এবং তারপর তাওবাহ করেছিলেন তখন ৩০ দিন পর্যন্ত তাঁর তাওবাহ কবুল হয়নি। ৩০ দিন পর তার তাওবাহ কবুল হয়। তারপর তাঁর সন্তানদের উপরে ৩০টি রোজা ফরজ করে দেয়া হয়।

মুসলমানদের জন্য সিয়াম পালন তথা রোযা রাখা ফরয এবং ইসলামের একটি অন্যতম রুকন। পবিত্র রমযান মাসে যেসব দায়িত্ব ও কাজ শরীয়ত কর্তৃক অর্পিত হয়েছে কিংবা যা পালনে শরীয়ত আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে ও যা বর্জন করতে নির্দেশ দিয়েছে। তা নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে। রমযান মাসে শরীয়ত যে নির্দেশ দিয়েছে সেগুলো হলোঃ রমাদান মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজই হল সিয়াম। সিয়াম হল ফজরের উদয়লগ্ন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়্যাতসহ পানাহার ও যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা।

১) রমযান আল-কুরআনের মাসঃ আল্লাহ এই মাসকে কুরআন নাযিলের মর্যাদাপূর্ণ মাস হিসেবে চয়ন করেছেন। তিনি বলেন-রমযান মাস – এতে কুরআন নাযিল হয়েছে।’’ (সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৫)

২) পবিত্র এ মাসে জান্নাতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত রাখা হয়, জাহান্নামের দ্বারসমূহ রুদ্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তান ও দুষ্ট জিনদের শৃংখলিত করে রাখা হয়।

৩. এ মাসে রয়েছে লাইলাতুল ক্বদেরর ন্যায় বরকতময় রজনী, শান্তিময় এ রজনী, ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা আল-ক্বদরঃ ৩-৫) মহান আল্লাহ বলেন-লাইলাতুল ক্বদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।এ রাত্রে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হন প্রত্যেক কাজে, তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে।

৪) এ মাস দো‘আ কবুলের মাসঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘(রামাদানের) প্রতি দিন ও রাতে আল্লাহর কাছে বান্দার দো‘আ কবুল হয়ে থাকে এবং বহু বান্দা জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। সহীহ সনদে ইমাম আহমদ কতৃক বর্ণিত, হাদীস নং ৭৪৫০)। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে রোযা পালন করে।’’ (সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৫)।

Related Post