আল্লাহ স্রষ্টা এবং আমরা তাঁর সৃষ্ট জীব। তাঁর প্রতি সৃষ্ট জীবের অবশ্যই দায়িত্ব-কর্তব্য আছে। মানুষ আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ জীব। অত্যন্ত সুন্দর অবকাঠামোয় তার সৃষ্টি সম্পন্ন করেছেন। অণু-পরমাণু থেকে শুরু করে বিশ্বের সবকিছুই, তা প্রাণীবাচক হোক কিংবা অপ্রাণীবাচক, আল্লাহর দেয়া নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে চলেছে। পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত এর কোনো ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। তবে মানুষের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। কেউ আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা পদবাচ্যে অভিষিক্ত হচ্ছেন, আবার কেউ আল্লাহর দেয়া বিধানকে অস্বীকার করে বিপথগামী হয়ে পড়ছে এবং চুতষ্পদ জন্তুর চেয়ে নিকৃষ্ট জীব হিসেবে আখ্যায়িত হচ্ছে। আল্লাহর কাঙ্ক্ষিত পথে চলার জন্য মানুষকে প্রজ্ঞা ও বিবেক দেয়া হয়েছে এবং তাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য যুগে যুগে আল্লাহ এই পৃথিবীতে নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন। আল্লাহর এই চিরায়ত বিধানের ধারাবাহিকতায় হজরত আদম (আ.) কেবল প্রথম মানুষ নন; বরং প্রথম নবী এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) শেষ ও শ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁর পর আর কোনো নবী বা রাসুল আসবেন না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই শেষ ও শ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য দান করেছেন। আল কোরআনে মহানবীর (সা.) অনুসারীদের মধ্যমপন্থী উম্মত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে (সূরা বাকারা, আয়াত ১৪৩)। আল্লাহর দেয়া এই গুণবাচক উপাধি সফল করার লক্ষ্যে আল কোরআন ও মহানবীর (সা.) সুন্নাহর মাধ্যমে আমাদের পালনীয় ও বর্জনীয় কার্যাবলী স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিহিত আছে এসবের অনুসরণের মধ্যে। এমন অবশ্যপালনীয় কর্তব্যের মধ্যে অন্যতম হলো রমজানের সিয়াম। আরবি চান্দ্র বছরের নবম মাস হলো রমজান। আমাদের জীবন পরিক্রমায় প্রতি বছর রমজান আসে, আবার চলে যায় এবং আমাদের জীবনকে পরিশীলিত করে রেখে যায়—এভাবেই চলছে আমাদের পার্থিব জীবনের পথপরিক্রমা। মাহে রমজানের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার মধ্যে আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নটি জড়িয়ে আছে। রমজান আরবি শব্দ। এটি মূল শব্দ ‘রমজ’ থেকে উদ্গত হয়েছে, যার অর্থ হলো ‘দাহন করে নিষ্কলুষ করে তোলা’। রমজান প্রকৃত সিয়াম পালনকারীর জন্য সে কাজটি করে থাকে। রমজান মাস তিনটি প্রাপ্তি বয়ে নিয়ে আসে যা পার্থিব জীবনে মানুষের মধ্যে আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে।
প্রথমত, শাশ্বত ও মানব জীবনের দিকনির্দেশনাকারী আল কোরআনের এই মাসে অবতীর্ণ হওয়া। এ সম্পর্কে আল্লাহ কোরআন মজিদে ইরশাদ করেছেন—‘এই সেই রমজান যে মাসে মানুষের পথনির্দেশক ও দালিলিক প্রমাণে পুষ্ট হিদায়াত এবং সত্য-মিথ্যার প্রভেদকারী আল কোরআনকে অবতীর্ণ করা হয়েছে’ (সূরা-আল বাকারা, আয়াত : ১৮৫)। আল কোরআন আমাদের জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহর কাছ থেকে একটি অকাট্য দলিল ও অমোঘ নেয়ামত। রমজানের একটি মর্যাদাসম্পন্ন রাতে আল্লাহ আল কোরআনকে লাওহে মাহফুজ (আরশের কাছে সংরক্ষিত ফলক) থেকে পৃথিবীর আসমানে একবারে অবতীর্ণ করেছিলেন। এরপর মহানবীর (সা.) তেইশ বছর নবুয়তি জীবন পরিক্রমায় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার ওপর ওহি অবতীর্ণের প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটে। হজরত জিবরাইল (আ.) এই সময়ক্রমে আল্লাহর কাছ থেকে ওহি নিয়ে আসেন। আর এই ওহির সমষ্টিই হলো আল কোরআন। এই কোরআনই আমাদের ইহকালীন জীবনের কল্যাণ ও পরকালীন জীবনের দিকনির্দেশনার প্রত্যাদিষ্ট সনদ। ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায়ের প্রতিরোধ করার জন্য আল কোরআন মানব জাতিকে সুস্পষ্ট পথ দেখিয়েছে। সেভাবে জীবন পরিচালিত করতে পারলে সামাজিক পরিমণ্ডলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে এবং অর্থনৈতিক সমতা নিশ্চিত হবে।
দ্বিতীয়ত, সিয়াম বা রোজার মতো একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এই মাসে ফরজ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের পূর্ববর্তী জাতি ও জনগোষ্ঠীর ওপর যেভাবে সিয়াম ফরজ করা হয়েছিল, তেমনিভাবে তোমাদের ওপর তা ফরজ করা হয়েছে যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৮৩)। সিয়ামের শাব্দিক অর্থ হলো নিজেকে বিরত রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় সোবহি সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত সহকারে পানাহার ও রতিক্রিয়া থেকে বিরত থাকাকে সিয়াম বা রোজা বলা হয়। আর আল কোরআনের উদ্ধৃত আয়াত থেকে স্পষ্ট এ কথা বেরিয়ে আসে যে, ‘তাকওয়া’ অর্জন করা সিয়াম পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সাধারণভাবে ‘তাকওয়া’ বলতে আমরা আল্লাহভীরুতা বুঝে থাকি। আসলে ‘তাকওয়া’ শব্দের অর্থ ব্যাপক ও বিস্তৃত। ‘তাকওয়া’ শব্দের অর্থ বাংলায় সজাগ থাকা ও সাবধানতা অবলম্বন করা হলে তা সিয়ামের ব্যাপকতাকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং সেটিই যৌক্তিক। এটি দাবি করে, সর্বাবস্থায় আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান অনুসরণ করে বান্দা অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রেখে এবং সাবধানতার সঙ্গে জীবনের সবকিছুই সম্পন্ন করবে; তাহলে সে ‘তাকওয়া’ অর্জন করে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে পারবে। এতে করে প্রতিটি অবস্থায় আল্লাহর ওপর আসবে ‘তাওয়াক্কুল’ বা পূর্ণনির্ভরতা এবং সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হবে জবাবদিহিতার প্রশ্ন। কোনো ব্যক্তি যখন জবাবদিহিতার কথা মনেপ্রাণে গ্রহণ করবে তখন অবশ্যই একদিকে আল্লাহর শাস্তির ভীতি এবং অপরদিকে তাঁর রহমতের প্রত্যাশা সে ব্যক্তির অন্তরে আসন গেড়ে বসবে। এ অবস্থায় সে কখনও অন্যায়-অপকর্মের দিকে পা বাড়াবে না। সুস্থ সমাজ গঠনের জন্য এরূপ বোধ অপরিহার্য। রমজানের এক মাস সিয়াম সাধনা ‘তাকওয়া’ অর্জনের এরূপ প্রশিক্ষণই দিয়ে থাকে।
তৃতীয়ত, হাজার মাসের চেয়ে উত্তম ‘লায়লাতুল কদর’ বা মহিমান্বিত রাতকে আল্লাহ এ মাসে নিহিত রেখেছেন। এই রাতের নফল ইবাদত হাজার মাসের নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম এবং তা একজন প্রকৃত ইবাদতকারীর অন্তরকে শুদ্ধ ও পবিত্র করে তোলে।
সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হলো সর্বক্ষেত্রে ন্যায়কে দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধরা এবং অন্যায়কে প্রতিহত করা। একজন মুসলমানের জীবনকে খণ্ডিতভাবে দেখা যায় না। তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন একই সরল রেখায় চলমান। এতে কোনো মাস বা দিনের পার্থক্য করা যায় না। তবে মাহে রমজান মহান আল্লাহর কাছ থেকে একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ মাস হওয়ায় সদগুণাবলির কর্ষণের প্রশিক্ষণ দিয়ে তা সদাচারী করে তোলে সিয়াম পালনকারীকে। পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ন্যায় সত্ ও সত্যের পথ দেখায় এবং আল্লাহর কাঙ্ক্ষিত পথে মানুষকে চালিত করে। এটিই সিরাতে মুসতাকিম। এই পথে চললে মানুষের নাজাত লাভ হয়। অন্যায় মানুষকে ধ্বংস করে দেয় এবং তার বিবেককে অবদমিত করে ফেলে। ফলে নিজের ও সমাজের ভালো কিছু করা তার দ্বারা হয়ে ওঠে না। এর বাইরেরটায় চাকচিক্য থাকলেও ভেতরটা অত্যন্ত কুতসিত। এটি তাগুতের পথ। এই পথে চলতে মানুষকে নিষেধ করা হয়েছে। আর সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে অন্যায় প্রতিরোধ করতে এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। রমজানুল মোবারক অন্যায় প্রতিরোধ করে আমাদের সুস্থ সমাজ গঠনের তালিম দেয়।
মানুষের কুপ্রবৃত্তি তাড়িত করে তাকে অন্যায়ের দিকে পা বাড়াতে, আর রমজানের সিয়াম নিয়ন্ত্রিত করে তার লোভ-লালসা ও কাম-রিপুর তাড়নাকে। আল্লাহ কোরআন মজিদে মানুষকে সত্ কাজ করতে এবং অন্যায় ও অসত্ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দান করেছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি কোনো অন্যায় ও গর্হিত কিছু হতে দেখ তাহলে শক্তি থাকলে তা প্রয়োগ করে প্রতিহত করতে হবে, সেরূপ শক্তি না থাকলে তা বক্তব্য কিংবা লেখনির মাধ্যমে প্রতিহত করার চেষ্টা করতে হবে এবং তাও করতে না পারলে অন্তত অন্তর দিয়ে ঘৃণা করতে হবে। আর এটি দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক।’ রমজানের সিয়াম তার বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে অন্যায় প্রতিহত করে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রশিক্ষণ প্রদান করে। মানুষের হাত, জিহ্বা ও লিঙ্গ দ্বারা এমন পাপাচার ও অনাচারের সৃষ্টি হয় যা সামাজিক পরিবেশকে কলুষিত করে তোলে। রমজানের সিয়াম সারাদিন ধরে বৈধ রতিক্রিয়া থেকে একজন সিয়াম পালনকারীকে বিরত রাখে। এর ফলে সে নিজেকে সংযমী করে তোলার শিক্ষা পায়। তার মধ্যে এসব গুণের কর্ষণ হয় যাতে করে সে লিঙ্গজনিত কোনো অশ্লীল অপরাধের পথে পা বাড়াতে সাহসী হবে না। ফলে সে নিজেকে একজন সদাচারী ও পরিশীলিত ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলবে এবং সমাজে কোনো গর্হিত কাজ হতে দেখলে সে বাধা দিতে কোনোরূপ দুর্বলতা অনুভব করবে না।
এরপর আসে হাত ও জিহ্বার কথা। রমজানের সিয়াম কি এই দুই ইন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রণ করে? এ সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির হাত ও রসনা থেকে অপর ব্যক্তি নিরাপদ নয় সে মুসলমান নয়।’ মহানবীর (সা.) এই হাদিস থেকে একটি সুন্দর ও নিরাপদ সমাজ গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। তা হলো হাত ও রসনাকে সুনিয়ন্ত্রিত করতে হবে ব্যক্তি ও সমাজের স্বার্থে। রমজানের এক মাস সিয়াম আমাদের এক মাস ধরে হাত ও জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করার তালিম প্রদান করে থাকে। পরনিন্দা ও পরচর্চা করা অত্যন্ত অন্যায় অভ্যাস এবং গর্হিত কাজ। এরূপ গর্হিত কাজ সমাজের সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করে এবং শত্রুতার পরিবেশ সৃষ্টি করে যা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। কোরআন মজিদে পরনিন্দা করাকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। পরনিন্দা ও পরচর্চা করলে সে ব্যক্তির কেবল সারাদিন ধরে উপবাস থাকা হবে, সিয়াম পালন হবে না। অনুরূপভাবে কোনো সিয়াম পালনকারী যদি অন্য কাউকে গালাগাল কিংবা প্রহার করার পরিবেশ সৃষ্টি করে, সে ক্ষেত্রেও তার সিয়াম পালনের সার্থকতা থাকল না। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যদি ঝগড়া করতে আসে অথবা প্রহার করতে উদ্যত হয় তাহলে বলতে হবে, আমি রোজাদার এবং অন্যায় কাজে আমি যুক্ত হব না।’ সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য অবশ্যই প্রয়োজন। রমজান মাস এসবের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) রোজাদারকে ইফতর করানো, সামান্য একটি খেজুর ও পানি দিয়ে হলেও, বিরাট পুণ্যের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেছেন। এতে করে একে অপরের সঙ্গে যে প্রীতির বন্ধন গড়ে ওঠে তা সমাজে বিত্তহীন ও বিত্তশালীর মধ্যে পার্থক্যের সীমারেখাকে লীন করতে সহায়তা করে।
অর্থনৈতিক সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রমজান মাসের একটি বিরাট ভূমিকা আছে। কারণ সিয়াম অল্পে তুষ্টি ও কৃচ্ছ্রতার প্রশিক্ষণ দেয় রমজান মাসব্যাপী। এখানে বিলাসিতার জন্য অপচয় তা খাওয়া-দাওয়া, পরিধেয় পোশাকে ও অন্যান্য আচরণে হোক, করার কোনো অবকাশ নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআন মজিদে ইরশাদ করেছেন, ‘আত্মীয়স্বজন, মিসকিন ও মুসাফিরকে হক প্রদান করো এবং অপচয় করো না। কারণ অপচয়কারী হলো শয়তানের ভাই বা দোসর এবং শয়তান তার প্রতিপালকের অবাধ্য’ (সূরা বনু ইসরাইল, আয়াত ২৬-২৭)। একজন প্রকৃত মুসলমান কোনো অবস্থায় অপচয় করতে পারে না। যে মাস রোজা পালনের মাধ্যমে কৃচ্ছ্রতার তালিম দেয় সে মাসে একজন মুমিন আল্লাহর নিষেধ উপেক্ষা করে কীভাবে অপচয় করতে পারেন? মহানবী (সা.) সামান্য খেজুর ও পানি দিয়ে হলেও তার অন্য ভাইকে ইফতার করাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে সহমর্মিতার প্রশিক্ষণ আছে, কিন্তু অপচয় করার কোনো সামান্যতম ইঙ্গিত নেই।