আমরা কীভাবে রমযানকে স্বাগত জানাব?

স্বাগতম মাহে রমযান

আমরা কীভাবে রমযানকে স্বাগত জানাব?


প্রিয় ভাইয়েরা! আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে প্রথমে রমযানকে স্বাগত জানাতে হবে। সকল পাপ-গুনাহ থেকে তাওবার মাধ্যমে রমযানকে স্বাগত জানাতে হবে। সকল প্রকার জুলুম অন্যায় থেকে বের হয়ে রমযানকে স্বাগত জানাতে হবে। যাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে তাদের কাছে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে রমযানকে স্বাগত জানাতে হবে। ভাল কাজের মাধ্যমে রমযানের দিবস-রজনী যাপনের মানসিকতা নিয়ে রমযানকে স্বাগত জানাতে হবে। এ ধরনের আবেগ অনুভূতির মাধ্যমেই আশাসমূহ পূর্ণ হয়। ব্যক্তি ও সমাজ তাদের সম্মান ফিরে পায়। এর বিপরীতে রমযান যদি কেবলই একটি অন্ধ অনুকরণের বিষয় হয়। কেবলই কিছু সীমিত প্রভাবের নিষ্প্রাণ আচার পালনের নাম হয়। যদি এমন হয় যে রমযানে, পুণ্যের বদলে, পাপ ও বক্রতা বেড়ে যায়, তবে এটা হবে নিশ্চয়ই একটি আত্মিক পরাজয়, এটা নিশ্চয় শয়তানের ক্রীড়া, যার বিরূপ প্রভাব ব্যক্তি ও সমাজের উপর পড়তে বাধ্য।
রোযার হাকীকত
অনেক এমন রয়েছে যারা রোযার হাকীকত সম্পর্কে বেখবর। তারা রোযাকে কেবলই খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকার মধ্যে সীমিত করে দিয়েছে। তাদের রোযা মিথ্যাচারিতায় জিহ্বা লম্বা করতে বারণ করে না। চোখের ও কানের লাগাম তারা উন্মুক্ত করে দেয়। তারা গুনাহ ও পাপে নিপতিত হতে সামান্যও উৎকণ্ঠিত হয় না। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, সে অনুযায়ী কাজ এবং মূর্খতা পরিত্যাগ করল না, তার খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।
কবি সত্যই বলেছেন:
রক্ষিত যদি না হয় কর্ণ.
দৃষ্টিতে না থাকে বাধা.
তবে বুঝে নিও
আমার রোযা কেবলই তৃষ্ণা ও পিপাসা।
যদি বলি আমি আজ রোযা,
মনে করিও আমি আদৌ রোযাদার নই।

Related Post