প্রথম সারণি
রাসূলুল্লাহ (সা) ও খুলাফায়ে রাশিদুনের মধ্যকার বৈবাহিক সম্পর্ক
এই সারণিতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে চার খলীফা রাশিদের বৈবাহিক সম্পর্ক দৃশ্যমান হয়েছে। আবু বকর সিদ্দীক রাদি আল্লাহু আনহু পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি তাঁর কন্যা আয়িশা রাদি আল্লাহু আনহাকে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে বিবাহ দেন। যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তৃতীয় ও একমাত্র কুমারী স্ত্রী ছিলেন। তাছাড়া তিনি তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী কিন্তু সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাককারী ছিলেন। সাহাবীগণ বিভিন্ন ফাতওয়া জানতে তাঁর কাছে ছুটে যেতেন।
আয়িশা রাদি আল্লাহু আনহা ৫৭ হিজরীতে ইন্তিকাল করেন এবং দীর্ঘ ৯ বৎসর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী হিসেবে তাঁর সাথে ছিলেন।
আয়িশা রাদি আল্লাহু আনহা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের শেষ অবধি তাঁর স্ত্রী হিসেবে ছিলেন। তিনি তাঁর হুজরাতে, তাঁর জন্য নির্ধারিত দিনে ইন্তিকাল করেন এবং তাঁর হুজরাতেই তাঁকে দাফন করা হয়। এটি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ও তাঁর প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সন্তুষ্টির স্পষ্ট নিদর্শন।
এই সম্পর্কের ভিত্তিতে আবু বকর রাদি আল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শ্বশুর হন। এমনকি তিনি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের পরেও তাঁর বন্ধু থেকে যান। তাঁকে তাঁরই পাশে দাফন করা হয়। যদি তিনি উত্তম মুমিন না হতেন তবে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসূলের পাশে তাঁকে দাফন করাকে পছন্দ করতেন না।
উমর ফারুক রাদি আল্লাহু আনহুর কন্যা হাফসা রাদি আল্লাহু আনহা যিনি ছিলেন অধিক রোযাদার ও অত্যাধিক ইবাদাতকারী মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে ৩য় হিজরীতে বিবাহ করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকাল পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী হিসেবে ছিলেন। তিনি কুরআনের প্রামাণ্য কপির রক্ষক ছিলেন। অর্থাৎ আবু বকর রাদি আল্লাহু আনহু ও অন্যান্য সাহাবীগণ কুরআন সংকলন করে যে কপিটি প্রস্তুত করেন তা হাফসা রাদি আল্লাহু আনহার কাছে অবশিষ্ট থাকে।
উমর রাদি আল্লাহু আনহু ইসলামের প্রথম দিক থেকে অদ্যাবধি এমনকি সৃষ্টিকূলের পুনরুত্থান পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথী। তিনি তাঁর পাশে সেই পবিত্র হুজরায় শায়িত। এটি তাঁদের মধ্যকার গভীর সম্পর্কের জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত হিসেবে গণ্য।
উসমান ও আলী রাদি আল্লাহু আনহুমার সাথে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বৈবাহিক সম্পর্কের বর্ণনা পরবর্তীতে আলোচিত হবে। ইনশা আল্লাহ