ষষ্ঠ সারণি
আবু বকর সিদ্দীক আমাকে দুইবার জন্ম দিয়েছেন
চলুন আমরা আপনাকে এক আশ্চর্য বিষয় দেখাব!
জাফর ইব্ন মুহাম্মদ ইব্ন আলী ইব্ন হুসাইন ইব্ন আলী ইব্ন আবু তালিব রাদি আল্লাহু আনহুম যিনি আস্সাদিক উপাধীতে ভূষিত। তিনি তাঁর নানা আবু বকর রাদি আল্লাহু আনহুকে নিয়ে গর্ব করতেন। কেননা তাঁর মায়ের দিক থেকে তাঁর নসবনামা আবু বকর সিদ্দীক রাদি আল্লাহু আনহু পর্যন্ত পৌঁছেছে এভাবে, তাঁর মা উম্মে ফারওয়া বিন্ত মদীনাবাসীর ফকীহ কাসিম ইব্ন মুহাম্মদ ইব্ন আবু বকর সিদ্দীক। (তাঁর দৃষ্টিতে এটি তাঁর প্রথম জন্ম)
তাঁর মায়ের মা (নানী) ছিলেন, আসমা বিন্ত আব্দুর রহমান ইব্ন আবু বকর সিদ্দীক রাদি আল্লাহু আনহু। (তাঁর দৃষ্টিতে এটি তাঁর দ্বিতীয় জন্ম)
পরহেজগার নয় এমন কাউকে নিয়ে গর্ব করা ইমাম জাফর সাদিকের জন্য কি শোভনীয়?
উম্মে ফারওয়াকে বিবাহ করার জন্য কী জিনিস ইমাম বাকেরকে তাড়া করেছিল?
সম্মানিত পাঠক কি আমার সাথে একমত হবেন না যে, এ বিবাহ সংগঠিত হয় আবু বকর সিদ্দীক রাদি আল্লাহু আনহুর ইন্তিকালের প্রায় সত্তর বৎসর পর!
অতএব কোন রাজনৈতিক কামনা-বাসনা বা অর্থনৈতিক অভিপ্রায় এখানে ছিল না, বরং এক্ষেত্রে নবী পরিবারের প্রতি ভালবাসা, প্রেম-প্রীতি ও ভাল স্ত্রী নির্বাচন করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। যার ফলশ্রুতিতে ইমামের অর্থাৎ ইমাম জাফর সাদিকের জন্ম হয়!
জাফর আস্সাদিকের ফিক্হ ও অন্যান্য জ্ঞানে পারদর্শিতার প্রমাণ স্বরূপ ‘সহীহ মুসলিম’ ও ‘সুনানে আরবাআ’ এর মধ্যে তাঁর বর্ণিত হাদীস স্থান পেয়েছে।
কেন হবে না? তাঁর পিতা ছিলেন ইমাম বাকের, নানা ছিলেন মদীনার ফকীহ কাসিম ইব্ন মুহাম্মদ। আর তাঁর জন্মভূমি ও মৃত্যুর স্থান ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎসকেন্দ্র মদীনাতুন নবী। যা ইলম, আলিম-ওলামা ও জ্ঞানী-বিজ্ঞানীদের দ্বারা সমৃদ্ধ ছিল।