হক কথা বলা ঈমানের দাবি। মানুষ হক কথা গোপন করে কয়েকটি কারণে। হয়তো দুনিয়ার কিছু প্রাপ্তির লোভে অথবা মানুষের নিন্দার ভয়ে বা ক্ষমতাদর্পীদের হাতে নির্যাতনের ভয়ে। ইসলামের ইতিহাসের শুরু থেকে এমন অনেক মর্দে মুমিন ছিলেন যারা সত্য কথা বলা থেকে বিরত থাকেননি। তারা জানতেন, আল্লাহতাআলার এ বাণী সম্পর্কে, ‘যা কিছু আল্লাহর কাছে আছে, তা উত্তম ও অধিক স্থায়ী’। (সূরা কাসাস, আয়াত : ৬০)
তারা লোক নিন্দার কোনো ভয় করতেন না। কারণ তাদের বৈশিষ্ট ছিল, তারা আল্লাহর বিষয়ে কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করতেন না।(সূরা মায়েদা, আয়াত : ৫৪)জালিমের জুলুমও তাদের সত্য থেকে বিরত রাখতে পারতো না। কারণ তারা শুধু আল্লাহকে ভয় করতেন। আল্লাহ ছাড়া কাউকে তারা ভয় করতেন না।(সূরা আহযাব, : ৩৯)
মহান আল্লাহতাআলা বলেন, ‘আর তোমরা হককে বাতিলের সঙ্গে মিলাবে না এবং জেনে শুনে হককে গোপন করবে না’।(সূরা বাকারা, আয়াত : ৪২)
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সাবধান, কারও যদি সত্য জানা থাকে তাহলে মানুষের ভয়ে যেন সত্য প্রকাশ করা থেকে বিরত না থাকে।(জামে তিরমিযি, :২১৯১
হজরত আবু উমামা (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সর্বোত্তম জিহাদ।—সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪০১২
আরও বহু হাদিসে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যুগে যুগে হকপন্থীরা ছিলেন এবং এখনও আছেন এবং সামনেও থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহতাআলা আমাদের সেই হকপন্থী বান্দাদের অনুগামী হওয়ার এবং হককে হক জেনে তা প্রকাশ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।