ঈমান অমূল্য সম্পদ

9725238348643102c3b8a095919a6a78_XL[1]   ঈমান অর্থ দৃঢ় বিশ্বাস। ইসলামী পরিভাষায় হজরত মুহাম্মদ সা: আল্লাহর কাছ থেকে যে কিতাব প্রাপ্ত হন তাতে এবং তিনি যে পথ প্রদর্শন করেছেন তাতে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করাই ঈমান। যারা আল্লাহ,আল্লাহর রাসূল সা:,কিতাবুল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সা:-এর প্রদর্শিত পথে বিশ্বাস স্থাপন করে জীবন পরিচালনা করে তারাই ঈমানদার।

ঈমানদারের বিশ্বাস ও সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এক নয়। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আস্থা রাখে,প্রতিষ্ঠিত রীতিনীতি ও ধ্যান-ধারণাতে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে কুসংস্কারে,এমনকি সুস্পষ্ট ভ্রান্ত ধারণাকেও। তবে সে কোথা থেকে এসেছে? তার গন্তব্যস্থল কোথায়? কে তাকে সৃষ্টি করেছে? তার বেঁচে থাকা বা অস্তিত্বের উদ্দেশ্য কী? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েও ঈমানদার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। অধিবিদ্যা মানব মনের এসব জিজ্ঞাসার জবাব দেয়ার চেষ্টা করলেও সঠিক ও ব্যাপকতর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এবং আনুষঙ্গিক সব প্রশ্নের জবাব রয়েছে ধর্মতত্ত্বে। মানুষ ধর্মতত্ত্ব নির্ভর না হয়ে অন্য পথে বিচরণ করলেও ঈমানদারেরা ধর্মের প্রতি তাদের বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে উত্তর খুঁজে থাকে।

 মুমিনের একনিষ্ঠ বিশ্বাস মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ওপর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই তাদের আরাধ্য। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ঘোষণা,পান্তরে যারা ঈমান এনেছে ও নেক আমল করেছে, তারা নিঃসন্দেহে অতীব উত্তম সৃষ্টি। তাদের প্রতিদান তাদের প্রতিপালকের নিকট চিরস্থায়ী জান্নাত রয়েছে। যার তলদেশ হতে ঝর্ণাধারা প্রবহমান থাকবে। তারা সেখানে চিরকাল বসবাস করবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হবে। এসব কিছু তার জন্য যে আল্লাহকে ভয় করে (সূরা আল বাইয়্যেনা : ৭-৮)।

ঈমানের পূর্বশর্ত হলো আল্লাহকে বিশ্বাস করা। আল্লাহর নির্দেশ মান্য করা। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও নির্দেশ অমান্যকারীর শাস্তি সম্পর্কে ভয় না থাকলে দ্বীনে ইলাহিতে আস্থা থাকতে পারে না। এ জন্য মুমিনকে পবিত্র ও সর্বোত্তম কথা পাঠ করে ঈমান আনতে হয়। যে কথাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কালিমাতুত তাইয়্যেবা বা পবিত্র কথা বলে অভিহিত করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন,তুমি কিল কর না আল্লাহ (কালিমা তাইয়্যেবার) উপমা দিয়েছেন কোন জিনিসের সাহায্যে? সৎ বাক্যের উপমা হচ্ছে উৎকৃষ্ট বৃক্ষ,যার শিকড় মাটির গভীরে প্রোথিত এবং শাখা-প্রশাখা ঊর্ধ্বে বিস্তৃত। প্রতি মুহূর্তে নিজের রবের হুকুমে সে ফলদান করে। এ উপমা আল্লাহ তায়ালা এ জন্য দেন যাতে লোকেরা এর সাহায্যে শিক্ষা লাভ করতে পারে’ (সূরা ইবরাহিম : ২৪-২৫)।

ঈমানদার কালেমা তাইয়্যেবার ভিত্তিতে নিজের জীবন গড়ে থাকে। এ জন্য তার চিন্তাধারায় পরিচ্ছন্নতা,স্বভাবে প্রশান্তি,মেজাজে ভারসাম্য, চরিত্রে পবিত্রতা, আচরণে মাধুর্যতা, ব্যবহারে নম্রতা,লেনদেনে সততা কথাবার্তায় সত্যবাদিতা, অঙ্গীকারে দৃঢ়তা, সামাজিক জীবনযাপনে সদাচার, চেহারায় পবিত্রতার ভাব প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে।  পক্ষন্তরে অবিশ্বাসীদের প্রতিচ্ছবি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা তাদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না বরং অকর্ম ও অকল্যাণে ব্যয়িত হয় তাদের চিন্তা-চেতনা ও সময়। তারা শোনেও না শোনার ভান করে, জেনেও না জানার বাহানা করে। এদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট পশু হচ্ছে সেই সব বধির ও বোবা লোক যারা জ্ঞান বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না (সূরা আনফাল : ২২)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, ওরা সেই সব লোক যাদের প্রতি আল্লাহ অভিশাপ করেছেন। তাদের বধির করেছেন তাদের অন্ধ করেছেন’ (সূরা মুহাম্মদ : ২৩)। অন্যত্র আরো বলা হয়েছে, আপনি কি বধিরকে শোনাতে পারেন? আপনি কি অন্ধকে পথ দেখাতে পারেন? (সূরা যুখরুখ : ৪০)।মানুষ যখন সত্য কথা শুনেও শোনে না, বুঝেও বোঝে না, দেখেও দেখে না, সত্যের প্রচার ও প্রসারে কাজ করে না, সঠিক কর্মকে কাজে লাগায় না তখন সে পশুর মতো হয়ে যায়; কেবল পশুর মতো নয় বরং পশুর চেয়েও নিষ্কৃষ্ট হয়ে যায়; ঈমানহীন বেঈমান হয়ে যায়। তখন তাদের কর্মকাণ্ড জন্তু-জানোয়ারকেও হার মানায়। একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন এবং বিশ্বাসমতো কাজ সম্পাদন করার নাম ঈমান। বিশ্বাস করা হলো কিন্তু বিশ্বাসমতো কাজ করা হলো না তখন ঈমান থাকে না। অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং আমলে সালেহ অর্থাৎ সৎকর্ম  এই তিনের সমন্বয়ে ঈমান। আর এ কাজে আন্তরিকতার অভাব থাকলে সম্পাদন করা সম্ভব হয় না। এ প্রসঙ্গে ইসলামের মৌলনীতি পবিত্র কুরআনে বিধৃত হয়েছে,দ্বীন সম্পর্কে জোর-জবরদস্তি নেই; সত্য পথ ভ্রান্ত পথ হতে সুস্পষ্ট হয়েছে। যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহে বিশ্বাস করবে সে এমন এক মজবুত হাতল ধরবে যা কখনও ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা বাকারা : ২৫৬)।

জোর-জবরদস্তি করে কাউকে কোনো বিষয়ে বিশ্বাস করানো যায় না। বরং মানুষের মনের কাছে গিয়ে তার অজ্ঞানতা ও ভুল ধারণাকে দূর করে সৎপথে পরিচালনার জন্য চেষ্টা চালাতে হবে। মানুষের দেহ ও মন বা আত্মা দুটি মিলেই মানুষের কর্ম পরিচালিত হয়ে থাকে। এর একটির বিকাশের জন্য অন্যটিকে উপো করা যাবে না। কুরআন ও হাদিসে ঈমানদার হিসেবে নিজেকে গড়ার জন্য যেসব বিষয়ের প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা প্রধানত সাত প্রকার

১. আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি ব্যতীত অন্য কোনো মাবুদ’ বা উপাস্য নাই; মুহাম্মদ সা: তাঁর বান্দা (দাস) ও রাসূল বলে বিশ্বাস করা;

২. আল্লাহর আদেশ কার্যে পরিণত করার জন্য ফিরিশতারা নিযুক্ত রয়েছেন বলে বিশ্বাস করা;

৩. মানব সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ সা: পর্যন্ত আল্লাহ বিভিন্ন যুগে মানব জাতির পথ প্রদর্শনের জন্য যেসব কিতাব বা ধর্মগ্রন্থ নাজিল করেছেন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করা;

৪. ওই সব ধর্মগ্রন্থে আল্লাহর আদেশ ও নির্দেশ অনুসারে সৎপথ প্রদর্শনের জন্য আল্লাহ মানুষের মধ্য থেকে যেসব নবী (সংবাদবাহক) ও রাসূল পাঠিয়েছেন তাদের নবুওয়াতে বিশ্বাস করা;

৫. আখিরাত বা পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা;

৬.ভালোমন্দ নির্ধারণ (তাকদির) আল্লাহর তরফ থেকে হয় বলে বিশ্বাস করা এবং

৭.শেষ বিচারের দিনে মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস স্থাপন করা।(ইসলামী বিশ্বকোষ : ২১৩)
উল্লিখিত বিষয়ের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করলে মুমিন বা বিশ্বাসী হওয়া যায়। পান্তরে যে এর কোনো একটিতে অবিশ্বাস করে তাকে কাফির বা অবিশ্বাসী বলা হয়।

ঈমানে পরিপূর্ণতা আনতে আল্লাহর অস্তিত্বকে মেনে নেয়া আবশ্যক। আল্লাহ চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, একক ও অনন্য; তিনি নিরপে, কারো মুখাপেী নন; তাঁর কোনো সমক ও শরিক নেই; তিনি অনাদি, অনন্ত, চিরকাল আছেন ও থাকবেন; তিনি স্থান ও কালের গণ্ডিভুক্ত নন; তিনি সর্বশক্তিমান ও পরাক্রমশালী, যা ইচ্ছা তাই করেন; তিনি দয়াশীল ও দয়াময়; তিনি সব কিছু জানেন, দেখেন ও শোনেন। এসব নিঃশর্তভাবে মেনে নেয়া ঈমানের শর্ত। অনুরূপভাবে ফিরিশতামণ্ডলি, ঐশীগ্রন্থ বা কিতাবুল্লাহ, নবী-রাসূলগণ, পরকাল, তাকদির ও শেষ বিচারের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন এবং বিশ্বাস অনুযায়ী কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে ঈমানদার হওয়া সম্ভব। ঈমান আনার পর কোনো মুমিনের কখনও তিরস্কার, ব্যাঙ্গোক্তি, অবজ্ঞা, দাম্ভিকতা, অহঙ্কার, কটূক্তি, হিংসা-বিদ্বেষ, ঘৃণা, তুচ্ছজ্ঞান করার সুযোগ থাকে না। তার পক্ষে দুরাচার, পাপাচার, কদাচার, দুরভিসন্ধি, দুর্ব্যবহার ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্টতা রাখার উপায় থাকে না। কারণ এগুলো কালিমা তাইয়্যেবার বিপরীতমুখী আচরণ। বরং এগুলো কালিমাতুল খাবিসা বা অসৎ বাক্যের অন্তর্ভুক্ত। ঈমান আনার পর অসৎ কর্ম করার কোনো সুযোগ থাকে না। তাই সেটা কথার মাধ্যমে হোক আর কাজের মাধ্যমে হোক। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,যারা কুফরি করেছে তারা নিঃসন্দেহ জাহান্নামের আগুনে নিপ্তি হবে এবং চিরকাল তাতে থাকবে। এ লোকেরা নিকৃষ্টতম সৃষ্টি। পান্তরে যারা ঈমান এনেছে ও নেক আমল করেছে, তারা নিঃসন্দেহে অতীব উত্তম সৃষ্টি (সূরা আল বাইয়্যেনা : ৭-৮)।

অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ, যারা বিনয়-নম্র নিজেদের সালাতে, যারা অসার ক্রিয়া-কলাপ হতে বিরত থাকে, যারা জাকাত দানে সক্রিয়, যারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে, নিজেদের পতœী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত; এতে তারা নিন্দনীয় হবে না এবং কেহ এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা হবে সীমালঙ্ঘনকারী এবং যারা আমানত ও প্রতিশ্রূতি  রক্ষা করে এবং যারা নিজেদের সালাতে যত্নবান থাকে (সূরা মুমিনুন : ১-৯)।

মুমিনের কথা-কাজ, গ্রহণ-পরিত্যাগ, আমল-আকিদা, রাষ্ট্রনীতি-সমাজনীতি, ব্যবসা-অর্থনীতি, বিচার-

ফয়সালা সব কিছুই পবিত্র কুরআন অনুযায়ী হতে হবে। ঈমান আনয়নের পর বিশ্বাসমতো কর্মের মাধ্যমে মুত্তাকি হতে হয়। মুত্তাকি হতে না পারলে সে ঈমানে পরিপূর্ণতা আসে না। এ জন্য বলা হয় যিনি মুমিন তিনিই মুত্তাকি। আর মুমিন ও মুত্তাকির জন্য আলাহর পক্ষ থেকে অমূল্য উপহার আল কুরআন। আল্লাহ বলেন,আলিফ-লাম-মীম। ইহা সেই কিতাব (আল কুরআন); তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই, ইহা মুত্তাকিদের জন্য পথনির্দেশ’ (সূরা বাকারা : ১-২)।
আর ঈমানের পরিপক্বতা তখন আসবে, ঈমানদার তার অভিষ্ঠ সফলতা তখন পাবে যখন প্রতিপালককে প্রকৃতপে ভয় করবে। ভয় না থাকলে আমলে একাগ্রতা আসে না। লোক দেখানো আমল নয় বরং অদৃশ্য মহান আল্লাহকে একান্তভাবে প্রভুরূপে মেনে নিয়ে, পরকালীন মুক্তির প্রত্যাশায় তাঁরই বিধানমতো কর্ম করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা তার প্রতিপালকের সামনে দাঁড়াতে ভয় করে, তাদের প্রত্যেকের জন্য দু’টি করে জান্নাত রয়েছে’ (সূরা আরোহমান : ৪৬)। তিনি আরো বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সামনে দাঁড়াতে ভয় করে এবং আত্মাকে প্রবৃত্তি হতে দূরে রাখে নিশ্চয়ই জান্নাত তাদের থাকার স্থান’ (সূরা নাজিয়াত : ৪০-৪১)।

আল্লাহ অন্যত্র বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা তাদের প্রতিপালককে না দেখে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে মা ও বড় প্রতিদান’ (সূরা মুল্ক : ১২)। মুমিনকে নিজের চরিত্র সুন্দর ও জীবনকে আল্লাহ সমীপে সঁপে দেয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। পাশাপাশি অন্যকে আল্লাহর পথে আনতে দাওয়াতি কাজ করতে হবে। নিজের মঙ্গল ও নিজেকে রার জন্য কাজ করলে ঈমান রা হয় না; বরং তার ওপর অবশ্যম্ভাবী দাবি হলো এ নিয়ামতকে চার দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ কাজটিও পৃথিবীর সর্বোত্তম কাজ বা কথা বলে আল কুরআনে অভিহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সেই ব্যক্তির কথার চেয়ে সর্বোত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকে, সৎ কাজ করে এবং ঘোষণা করে আমি তো আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্তÑমুসলমান’ (সূরা হা-মিম আস্ সাজদা : ৩৩)।
মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো মানুষকে সত্য ও সৎপথের সন্ধান দেয়া, নিজেকে সত্যের বাস্তব স্যা হিসাবে দাঁড় করানো। মুমিন সৃষ্টির সেরা হওয়ার পেছনে সে ‘দায়ী ইলাল্লাহ’ হওয়াটাও একটি কারণ। পৃথিবীর পথহারা মানুষকে সত্য পথের সন্ধান দেয়া একজন মুমিনের ওপর সব মানুষের হক বা অধিকার। মানুষকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে জালেমের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। সত্যের স্যাকে গোপন করা হলে মানুষ আলোর পথের দিশা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। দুনিয়ার কল্যাণ ও আখিরাতের মুক্তির জন্য দাওয়াতি কাজের কোনো বিকল্প নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানব জাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে; তোমরা সৎ কর্মের নির্দেশ দান করো, অসৎকার্যে নিষেধ কর এবং আল্লাহতে বিশ্বাস কর’ (সূরা আল ইমরান : ১১০

মুমিনকে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হলে তাকে দায়ী ইলাল্লাহ হতে হবে। ঈমান নামক অমূল্য সম্পদ অর্জন করে আল্লাহ ও তদীয় রাসূল সা:-এর বাণী চার দিকে ছড়িয়ে না দিয়ে চুপ করে বসে থাকলে সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই আমল, কথা, লেখনী ও সম্ভাব্য সব উপায়ে সত্যের স্যাকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। এ দাওয়াতি কাজের মধ্যেই সফলতা নিহিত আছে।= সমাপ্ত=

Related Post