তাকওয়াই সব মর্যাদা ও কল্যাণের মাপকাঠি

إن أكرمكم عند الله اتقاكم

সৈয়দ, খান, মীর, ভূঞা, চৌধুরী, ধোপা, কুলি, মজুর, ইত্যাদি আশরাফ ও আতরাফের মানদণ্ড নয়, বরং তাকওয়াই সব মর্যাদা ও কল্যাণের একমাত্র মানদণ্ড বা মাপকাঠি। তাকওয়া এমন একটি গুণের নাম যার মধ্যে মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের সব মর্যাদা নিহিত। তাকওয়াহীন ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন, তাকে সম্মানিত বলা যাবে না। পৃথিবীর মানুষগুলো বংশ, বর্ণ, ভাষা, দেশ ও জাতীয়তার ভিত্তিতে মর্যাদার যে বৃত্ত গড়ে তুলেছে, তাকওয়ার কাছে তা মূল্যহীন। যদিও এগুলো আল্লাহরই সৃষ্টি তবু এগুলো কোনো মর্যাদার মানদণ্ড বা কোনো মাপকাঠি নয়। বরং এগুলো আল্লাহ দিয়েছেন যাতে মানুষ পরস্পরকে চিনতে পারে। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন : হে মানবজাতি, আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে দিয়েছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পারো। নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত, তোমাদের মধ্যে যে আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছু জানেন ও খবর রাখেন। (সূরা হুজরাত-১৩)

পৃথিবীর অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর মতো মুসলমানরাও যেদিন থেকে তাকওয়াকে বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে মানুষের মর্যাদা দিতে শুরু করেছে, সেদিন থেকে তাদের কপালও পুড়তে শুরু করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়া ‘বুনিয়ানুম মারসুস’ সুদৃঢ় প্রাচীরের ফাটল বা ভাঙন সেখান থেকে শুরু হয়। বিজাতীয়দের মতো মুসলমানদের মধ্যেও আজ খান্দান, গোত্র ও গোষ্ঠীগত বিভেদের পাহাড় পরিলক্ষিত হয়। আর এরই ফলে তাদের মধ্যেও অহঙ্কার, ঘৃণা, তাচ্ছিল্য, বিদ্বেষ ও অবমাননা এবং জুলুম ও নির্যাতন দানা বেঁধে উঠেছে। অথচ এটি ছিল ইহুদি, খ্রিষ্টান ও পৌত্তলিকদের চরিত্র। জাতীয়তার ভিত্তিতে ইহুদিরা মনে করছে আমরাই আল্লাহর মনোনীত সৃষ্টি। এ জন্য পৃথিবীর সব অইসরাইলিরা অধিকার ও মর্যাদার দিক থেকে নিম্নপর্যায়ের। পক্ষান্তরে খ্রিষ্টানরা বলেছে ঈসা (আঃ) আল্লাহর পুত্র (নাউজুবিল্লাহ) সুতরাং তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। হিন্দু জাতি পৃথিবীর অন্যান্য জাতি ছাড়াও নিজেদের মধ্যেও এ ভেদনীতি চালু করেছে। তাদের মধ্যে বর্ণাশ্রমের ভিত্তিতে ভ্রাহ্মণদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে এবং শূদ্রদের লাঞ্ছনার গভীর খাদে নিক্ষেপ করেছে। তাদের ঘরে অন্য ধর্মের কেউ ঢুকে গেলে সেটিকে ধুয়ে-মুছে পবিত্র করে থাকে। এরাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদার গণতন্ত্র ও কট্টর সমাজনীতি শ্রেণী সংগ্রামের আগুন জ্বালিয়েছে, সাদা-কালো বর্ণবাদ নীতি অসংখ্য বনি আদমের রক্ত ঝরিয়েছে, আদিবাসী-অআদিবাসী উচ্ছেদের সংগ্রাম তো চলছেই। আমাদের ভালো করে মনে রাখার প্রয়োজন খান্দান, বংশ, গোত্র ও গোষ্ঠী, বর্ণ, ভাষা, দেশ ও জাতীয়তা এগুলো অহঙ্কারেরও হোতা। আরো মনে রাখা প্রয়োজন পৃথিবীর সর্বপ্রথম যে গুনাহের খাতায় নাম লিখিয়েছিল, সে হলো শয়তান এবং প্রথম যে গুনাহটি আল্লাহর হুকুমকে মানতে অবাধ্য করেছিল, সেটি হলো অহঙ্কার। আর অহঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল জন্মগত শ্রেষ্ঠত্বকে ভর করে। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন : আমি ফেরেশতাদেরকে বলেছিলাম, আদমকে সেজদা করো। সবাই সেজদা করল। কেবল ইবলিশ করল না। সে অস্বীকার ও অহঙ্কার করল। সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। (সূরা বাকারা-৩৪) অন্যত্র আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন : সে বলল আমি তার চেয়ে শ্রেষ্ট, আমি আগুনের তৈরি আর আদম মাটির তৈরি। (সূরা আ’রাফ-১২) তার মধ্যে বর্ণবাদের অহঙ্কার ও বিদ্বেষ দানা বেঁধে উঠেছিল। ফলে সে-ই পৃথিবীর নিকৃষ্ট কীট, যে আল্লাহর আদেশকে অমান্য করল এবং তার লানত নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত তাকে বেঁচে থাকতে হবে। কিন্তু ইসলাম এসব নীতি কখনোই সমর্থন করে না। মানুষের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের বুনিয়াদ হলো তাকওয়া। জন্মগতভাবে মানুষ সমান। কারণ তাদের মূল উৎস এক। একমাত্র পুরুষ এবং একমাত্র নারী থেকে গোটা জাতি অস্তিত্ব লাভ করেছে। তাদের সবার সৃষ্টিকর্তা এক, তাদের সৃষ্টির উপাদান ও নিয়ম-পদ্ধতি এক এবং তাদের সবার বংশধারা একই পিতা-মাতা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। সুতরাং মানুষ যেখানেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সেটি দেখার বিষয় নয়। বরং যে মূল জিনিসের ভিত্তিতে একজন অপরজনের ওপর মর্যাদা লাভ করতে পারে, তা হচ্ছে সে অন্য সবার তুলনায় অধিক আল্লাহভীরু, মন্দ ও অকল্যাণ থেকে দূরে অবস্থানকারী এবং নেকি ও পবিত্রতার পথ অনুগমনকারী।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মক্কা বিজয়ের সময় কাবা তাওয়াফের পর বক্তৃতা করেছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন : সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি তোমাদের থেকে জাহেলিয়াতের দোষ-ত্রুটি ও অহঙ্কার দূর করে দিয়েছেন। হে লোকেরা! সমস্ত মানুষ দু-ভাগে বিভক্ত। এক, নেক্কার ও পরহেজগার, যারা আল্লাহর দৃষ্টিতে মর্যাদার অধিকারী। দুই, পাপী ও দুরাচার যারা আল্লাহর দৃষ্টিতে নিকৃষ্ট। অন্যথায় সমস্ত মানুষই আদমের সন্তান। আর আদম মাটির সৃষ্টি। (তিরমিজী)

অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : আল্লাহ তাআলা তোমাদের চেহারা-আকৃতি ও সম্পদ দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কাজ-কর্ম দেখেন। (মুসলিম ও ইবনে মাজাহ)

ইসলাম সাম্য-সংহতির অনুপম শিক্ষা শুধু ব্যক্তিচরিত্রে নয়, বরং মানুষের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় জীবনসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাস্তবায়ন করেছে। আজ থেকে সাড়ে ১৪শত বছর আগে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মদীনা নামক ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করুন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এমন এক সমাজ কায়েম করেছিলেন, যেখানে বর্ণ, বংশ, ভাষা, দেশ ও জাতীয়তার কোনো ভেদাভেদ ছিল না, যেখানে উঁচু-নীচ, জাত-বংশ এবং বিভেদ ও পক্ষপাতিত্বের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। সে সমাজব্যবস্থায় হযরত বেলাল (রাঃ) এবং হযরত ওমর (রাঃ)-এর মধ্যে যেমন কোনো পার্থক্য ছিল না, তেমনি আলী (রাঃ) ও আনাস-জায়েদ ইবনে সাবেত (রাঃ)-এর মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না। থাকলেও সেটি তাকওয়ার ভিত্তিতেই নিরূপণ হতো। একবার হযরত ওমর (রাঃ) বেলাল (রাঃ)-কে ধমক দিয়ে কথা বললে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অসন্তুষ্ট হন এবং বলেন, হে ওমর! তোমার কি এখনো বংশীয় গৌরব রয়েছে? ওমর (রাঃ) লজ্জিত হলেন এবং মাটিতে শুয়ে পড়লেন। এরপর বেলাল পা দিয়ে আঘাত না করা পর্যন্ত তিনি উঠবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করলেন। শেষ পর্যন্ত বেলাল (রাঃ)-কে তা করতে হলো। এভাবে তিনি নিজের সব আভিজাত্যের অহঙ্কারবোধকে ধ্বংস করেন। মানবিক সাম্য ও ঐক্য সে সমাজকে এমনই ফুলে-ফলে সুশোভিত করেছিল, যা পৃথিবীর আর কোনো ধর্ম বা ব্যবস্থায় সামান্যতমও পরিলক্ষিত হয় না।

প্রকৃতপক্ষে আমরা মুত্তাকী হতে পারছি না বিধায় ইহুদি-খ্রিষ্টানদের মতো বিকল্প পথে মর্যাদার সন্ধান করে ফিরছি। আর এ জন্য আমরাও বংশ, বর্ণ, ভাষা, দেশ ও জাতীয়তার ভিত্তিতে মর্যাদার বৃত্ত গড়ে তুলেছি। এ নির্দিষ্ট বৃত্তের মধ্যেই আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এ নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে আমাদের চিন্তা-চেতনাকে নিয়ে যেতে পারি না, বিধায় উন্নয়নের বাধাগুলোও টপকানো আমাদের জন্য দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফলে সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা ইহুদি-খ্রিষ্টানদের আজ্ঞাবহ সাজতে বাধ্য হচ্ছি। অথচ তাকওয়ার মতো মানবীয় উন্নত গুণের অধিকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের সব কল্যাণের ভাণ্ডার সংরক্ষিত রয়েছে বলে আল কুরআনে উল্লেখ রয়েছে। সত্যিই মুসলিম দেশগুলোর ভৌগোলিক ও কৌশলগত অবস্থান অধিকতর উত্তম স্থানে থাকা সত্ত্বেও আমাদের হীনমন্যতা ও পরাজিত মানসিকতার কারণে কিছুই করতে পারছি না। আমরা যদি এখনো গোলামী ও পরাজিত মানসিকতা গা থেকে সরিয়ে সোনালী দিনের ঈমানের বলে বলীয়ান হই, আমি যে আল্লাহর গোলাম তার কসম করে বলছি, তিনি অবশ্যই আমাদের পায়ের নিচের অফুরন্ত নিয়ামতের ভাণ্ডার খুলে দেবেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা এবং আমাদের বর্তমান মুসলিম দেশগুলোর সরকারপ্রধানগণ আল্লাহর ভয়ের চেয়ে সাম্রাজ্যবাদী ইহুদি-খ্রিষ্টান গোষ্ঠীকেই বেশি ভয় করি। এ জন্যই আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন : লোকালয়ের মানুষগুলো যদি ঈমান আনত ও তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি তাদের ওপর আসমান-জমিনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম, কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। সুতরাং তাদের কর্মকান্ডের জন্য আমি তাদের পাকড়াও করলাম। (সূরা আরাফ-৯৬) অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, এ আয়াতটি ছিল ইহুদিদের সম্পর্কে। বনি ইসরাঈল জাতিকে পৃথিবীবাসীর নেতৃত্বের আসনে সমাসীন করে আল্লাহ তা’আলা তাদের ইতিহাসকে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী করেছিলেন। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন : হে বনি ইসরাঈল! আমার সেই নিয়ামতের কথা স্মরণ করো, যা আমি তোমাদের দান করেছিলাম এবং এ কথাটিও যে, আমি দুনিয়ার সমস্ত জাতির ওপর তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলাম। (সূরা বাকারা-৪৮)

পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘকালব্যাপী তারা এ নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত ছিল। কিন্তু হঠকারী কর্মকাণ্ড, গোঁড়ামি ও চরমপন্থার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে নেতৃত্বের আসন থেকে অপসারিত করে মধ্যমপন্থী জাতি হিসেবে ‘উম্মতে মুহাম্মাদীর হাতে নেতৃত্বের দণ্ড তুলে দিলেন। আল কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় ইসরাঈল জাতির গোঁড়ামির ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে। তাদের ঔদ্ধত্য ও সাহসের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে আল্লাহর ক্রোধ সহসা সে জাতির ওপর আছরে পড়ে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিতে পরিণত হয়। সে বৈশিষ্ট্য আজ আমাদেরকেও সংক্রমিত করেছে। ফলে পৃথিবীজুড়ে আমরা লাঞ্ছিত আর অপমানিত হচ্ছি। আমাদের সম্পদ কুক্ষিগত করে তা দিয়ে আমাদেরকেই পেটায়।

ইসলাম ভারসাম্য নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। জীবনের প্রতিটি অধ্যায় ও বাঁকে ভারসাম্যপূর্ণ নীতির অনুপম শিক্ষা একমাত্র ইসলামই দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সমগ্র মানবসমাজকে ভেতর থেকে এমনভাবে বদলে দিয়েছিলেন যে, সমগ্র সমাজ ও সভ্যতায় ভারসাম্য স্থাপিত হয়েছিল। সম্মান ও মর্যাদার মানদণ্ড বদলে গিয়েছিল। তাকওয়াই ছিল সে সমাজের মানুষের মর্যাদার মানদণ্ড।

তাকওয়া এমন একটা শক্তি, এমন একটা গুণ, যার ওপর ভিত্তি করে মানুষ হক ও বাতিল, ভুল ও সঠিক, ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। যিনি শুধু আল্লাহর ভয়ে সেটিকেই সত্য হিসেবে মেনে নেন যা তিনি নাজিল করেছেন। তিনি সেটিকেই সঠিক মনে করেন, যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। যে কাজ বা প্রথা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আরো অসংখ্য ক্ষতি করে, যেসব কাজে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন, সেটিই মানুষের জন্য ক্ষতিকারক। এ ধরনের ক্ষতিকারক কাজ থেকে আত্মরক্ষা করা খুবই জরুরী। আর আত্মরক্ষার জন্য জ্ঞানের প্রয়োজন। জ্ঞানের চাহিদা মেটাবে আল কুরআন। কারণ আল কুরআন আল্লাহরই নাজিল করা। আত্মরক্ষার জন্য আত্মাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আত্মাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দরকার বাস্তব ট্রেনিং। এ জন্য রমজানের সিয়াম নামক ট্রেনিং ক্যাম্পে ভর্তি হয়ে সে ট্রেনিং আমরা গ্রহণ করেছি। রমজানের ট্রেনিং শেষে এর শিক্ষাকে সাড়া বছর, সারাক্ষণ আমাদের জীবনে বাস্তবায়িত করতে হবে। এ ধরনের তাকওয়া গুণসম্পন্ন মর্যাদাশীল জনগোষ্ঠী নিয়ে যে সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠবে, সেটিই হবে আল কুরআনের সমাজ, ইসলামী সমাজ ও আল্লাহর পছন্দের সমাজ। এ সমাজের প্রতিটি লোক ব্যক্তিগতভাবে আল্লাহর কাছে সম্মানিত হবেন। আল্লাহ আমাদের শাসকবর্গসহ সবাইকে তার দেয়া কর্মসূচিগুলো বুঝে তা বাস্তবায়নের তাওফীক দিন। আমিন!

Related Post