অজানা রহস্য কেন মুসলমান হলাম?

অজানা রহস্য কেন মুসলমান হলাম?

অজানা রহস্য কেন মুসলমান হলাম?

করুণাময় আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে প্রত্যেক শিশু মুসলমান হয়ে জন্মগ্রহণ করে, জন্মের পর বাচ্চা শিশুটি পিতা-মাতার অশেষ তত্ত্বাবধানে বড় হতে থাকে যার এই বেড়ে ওঠার পেছনে মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি শিশুকে মা য়ে র দুধ ছাড়াতে দুই থেকে আড়াই বৎসর সময় লাগে অতঃপর বয়স যখন ৫ থেকে ৬ উপনীত হয় তখন তার পিতা মাতা তাকে স্কুলে মাদ্রাসায় ভর্তি করান যাতে করে তাদের বাচ্চাটি জ্ঞানী শিক্ষিত অথবা ভালো হতে পারে উল্লেখ থাকে যে পিতা-মাতা যদি ইসলামিক ধ্যান-ধারণার হন তাহলে তারা সন্তানকে যেকোনো ভাষায় শিক্ষা দেন না কেন পাশাপাশি ইসলাম শিক্ষার প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেন।
তাছাড়া কোন মাতাপিতা যদি ইসলামিক ধ্যান-ধারণার বিপরীত শিক্ষায় গড়ে তোলেন তাহলে এই শিশুটি হয়ে যেতে পারে ভিন্নধর্মাবলম্বী অনুসারী আর এর জন্য তার পিতা-মাতা ই দায়ী থাকেন কিন্তু জ্ঞান অর্জন করার পর অথবা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পর যদি সে সত্য ধর্ম সম্বন্ধে জানার চেষ্টা না করে তাহলে এর জন্য সে নিজেই দায়ী রহমান আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন কুরআন নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে আর এই মহাগ্রন্থে ভালো মন্দ দুটি দিকে আলোকপাত করেছেন আল্লাহর বাণী যে একটি সৎকর্ম করবে সে তার ১০ গুণ সওয়াব পাবে এবং যে একটি মন্দ কাজ করবে সে তার সমান শাস্তি পাবে বস্তুতঃ তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না এতে বুঝা গেল যে যেমন কর্ম করবে সে তেমনই ফল পাবে তবে আল্লাহ তাআলা স্বীয় কালামে পাকে উল্লেখ করেছেন ভালো কাজে একের বোনাস দশগুণ এখন প্রশ্ন হলো একজন মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েই কি আপনি নিজেকে মুসলমান দাবী করতে পারেন তাহলে তো এটা হবে সম্পূর্ণ আত্মঘাতী বা ভ্রান্ত ধারণা যেমন একজন ডাক্তারের ছেলেকে যেমন ডাক্তার বলা যায়না আবার একজন ইঞ্জিনিয়ারের ছেলেকেও ইঞ্জিনিয়ার বলা যায় না যদি না তারা পিতার সমপর্যায়ে ডিগ্রী লাভ করেন এতে বুঝা গেল মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়ে আপনি নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারেন না যে পর্যন্ত আল্লাহর দেওয়া আল-কোরআন এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস কোরান এবং হাদিস এর সকল নিয়ম মেনে চললেই আপনি একজন খাঁটি মুসলমান বলে গণ্য হবেন প্রসঙ্গত প্রশ্ন উঠতে পারে আমি কিভাবে বুঝব যে আমি একজন পরিপূর্ণ মুসলমান উত্তরটাও জ্ঞানীদের জন্য অতি সহজ আর তাহলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কে চূড়ান্ত পরীক্ষার পর উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্রদেরকে মান অনুযায়ী সব বিষয়ের উপর সার্টিফিকেট দেওয়া হয় যার আরবি নাম শাহাদাত সাক্ষী সার্টিফিকেটটাই তাদের সাক্ষী যে মোঃ জাকারিয়া আল রুমি একজন ইঞ্জিনিয়ার।
অথবা আইয়ুব আলী আল আনসারী একজন ডাক্তার কিন্তু পৃথিবীর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন মুসলমানকে এমন কোন সার্টিফিকেট দেবে না যে অমুক একজন মুসলমান এই ক্ষুদ্র পরিসরের বিস্তারিত লিখা সম্ভব নয় তাই অতি সংক্ষেপে কুরআন এবং হাদিসের আলোকে একজন খাঁটি মুসলমানের পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা বলেন এবং যারা ঈমান আনে এবং মুহাম্মদ এর প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে বিশ্বাস করে আর তাই তাদের প্রতিপালক হতে সত্য তিনি তাদের অপকর্মগুলো দূরীভূত করবেন এবং তাদের অবস্থা ভালো করবে সূরা মুহাম্মদ ২ উক্ত আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম শরীফের নিম্নোক্ত হাদীসটি উল্লেখ করা গেল আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ বর্তমান মানব গোষ্ঠীর কোন ইহুদী বা খ্রিষ্টান আমার আবির্ভাবে সংবাদ শোনার পর যেদিন নিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি ঈমান না আনে মৃত্যুবরণ করলে সে নিশ্চিত জাহান্নামের অন্তর্ভুক্ত হবে ভিন্ন ধর্মের লোক যখন মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেন অথবা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়ে যে সমস্ত মুসলমান ইসলামের নিয়ম-নীতিগুলো আল্লাহ তাআলা যেভাবে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করেছেন এবং প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন চরিত যেভাবে নির্দেশ দেওয়া আছে তার থেকে কম নয় আবার বেশিয় নয় আল্লাহর রাসূল কর্তৃক আনীত বিধান মতে জীবন যাপন করেন তখনই রহমান আল্লাহ সেই মুমিন মোমেনা দের সাক্ষী হয়ে যান আর যার সাক্ষী স্বয়ং আল্লাহ তখন বুঝতে পারেন সে কেমন সৌভাগ্যবান তাছাড়া ঈমানের আলো যখন একজন মুসলমানের দেহ প্রাণের সাড়া জাগাবে তখন সে নিজেই বুঝতে পারবে সে একজন মুসলিম এবং ঈমানদার ও মহান আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে তার প্রিয় হাবিব মোহাম্মদ এর আবির্ভাব পর্যন্ত মোট ১০৪ খানা কিতাব নাযিল করেন সর্বশেষ নবী মোহাম্মদের উপর এযাবতকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হলে অতীতের সমস্ত ধর্মগ্রন্থ রহিত হয়ে যায়।
এ পবিত্র কুরআনে একমাত্র গ্রন্থ যা দিতে পারে এ জাতিকে দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তির একমাত্র গ্যারান্টি এবং মুসলমানি একমাত্র জাতি যাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে সম্মানিত করেছেন তাই গর্বের সাথে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ এছাড়াও মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করার জন্য আল্লাহ রহমানুর রহিম মহাগ্রন্থ আল কুরআনুল কারিমে সতর্ক করে দিয়েছেন যা নিম্নে বিব্রত হল সূরা আলে ইমরানের বলা হয়েছে হে বিশ্বাস স্থাপনকারী কোন তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না অর্থাৎ আমি ভবিষ্যৎ বাণী করছি যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ধর্ম ইসলাম আগামী দিনের বাসীদের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে আজকের ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করেছে এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত প্রবন্ধে এমন দু’জন ব্যক্তিত্বের কথা উল্লেখ করব আমি আশা করি পাঠক সমাজ তাদের জীবনী থেকে দুনিয়া এবং আখেরাতের কল্যাণ লাভে সমর্থ হবেন ইনশা আল্লাহ প্রথমজন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মায়ার তানজানিয়া আফ্রিকা ষাটের দশকের গোড়ার দিকে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের প্রবক্তা জুলিয়াস নায়ারে তানজিয়ার প্রধান নিযুক্ত হন সমাজতন্ত্রের নাম নিয়ে ক্ষমতায় এলেও পরে একজন কট্টর পন্থি খ্রিস্টান এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন দেশটির জনসংখ্যার ৭৮ ভাগ মুসলমান থাকা সত্ত্বেও সামরিক স্বৈরাচারের স্টিমরোলার চালিয়ে তানজিয়া রে একটা খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে রূপান্তরিত করা এক অমানবিক প্রয়াসে অবতীর্ণ হন তানজানিয়া রাজধানী দারুসসালাম সুন্দরী শতকরা ৯০ ভাগই মুসলমান ইসলাম বিরোধী এই নেতা দারুস সালামের মুসলিম নামটি
পরিবর্তন করে একটি ধর্মনিরপেক্ষ নাম দেওয়ার চেষ্টা করেন মুসলমানদের একক প্রচেষ্টায় রাজধানীর নাম পরিবর্তনে ব্যর্থ হন এর ১০ কিলোমিটার দূরে নতুন রাজধানী নির্মাণ কাজ শুরু করে দারুসসালাম কে পরিত্যক্ত নগরী ঘোষণা করে রাস্তাঘাট বিজলী ও পানি সরবরাহ সরবরাহ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিত্যাগ করা হয় ফলে এককালের তিলোওমা দারুসসালাম একটা ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয় শুধু তাই নয় মুসলমানদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এসব রায় পরিচালিত মাদ্রাসা ও এতিমখানা গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় পাশ্চাত্যের খ্রিস্টান ঔপনিবেশিক তা বিহারিদের যোগসাজশে পার্শ্ববর্তী উগান্ডার ইদি আমিন কে উৎখাত করে নির্দেশে তানজানিয়ার সেনাবাহিনী উগান্ডায় প্রবেশ করে কয়েক লক্ষ মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে মুসলমানদের সমস্ত সম্পত্তি করে একের পর এক সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে তানজানিয়ায় মুসলিম মহিলাদের জন্য পর্দা করা বেআইনি ঘোষিত হয় এমনকি খ্রিস্টান যুবকদের সাথে মুসলিম মেয়েদের বিয়ে ক্ষেত্রবিশেষ বাধ্যতামূলক করা হয় উগান্ডায় ইদি আমিন কে উৎখাত করে রাজধানী কোম্পানিতে খ্রিষ্টান ধর্মযাজকদের একটি বিশ্ব সম্মেলন আহ্বান করা হয় এতে প্রধান অতিথি রূপে দাওয়াত করা হয় খ্রিস্টানদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জুলিয়াস নায়ারকে। প্রধান অতিথি ভাষণে তিনি তাঁর নিজের দেশের তানজানিয়ার মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যাকে একটি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর রূপান্তরিত করে দেওয়ার বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এ ব্যাপারে তিনি বিশ্ব চার্জ পরিষদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে আফ্রিকার বুকে এটা একটা নতুন ধর্ম যুদ্ধ এই যুদ্ধে আমাদেরকে জয়লাভ করতেই হবে উগান্ডার রাজধানী পড়সঢ়ধৎব সম্মেলনে দাঁড়িয়ে পূর্ব আফ্রিকার সর্বাপেক্ষা বড় মুসলিম বিদ্বেষী একনায়ক যখন যুদ্ধের অহমিকায় উদ্বেলিত উচ্চারণ করে আত্মশ্লাঘায় ছিলেন ঠিক তখনই শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে জুলিয়াস নায়ারে পুত্রবধূ আহমদিয়াদের এক সাগরের সাথে ধর্মতত্ত্ব আলোচনায় অভিভূত হয়ে ইসলামে দীক্ষা গ্রহণ করে ফেলেন শুধু তাই নয় সেই প্রথম যুগের সাহাবী আগুনের নেয় ঈমানের উত্তাপ বুকে নিয়ে তিনি ছুটে গেলেন সুদূর আমেরিকায় যেখানে লেখাপড়া উপলক্ষে অবস্থান করছিলেন জুলিয়াস নায়ারে গোটা পরিবার অর্থাৎ তিন পুত্র ও দুই কন্যা আমেরিকায় গিয়ে প্রথমে তিনি স্বামীর সাথে আলোচনা করলেন হৃদয়ের গভীর থেকে পবিত্র কুরআন শিক্ষা সম্পর্কে তাকে অবহিত করলেন যে পবিত্র আহ্বান হৃদয় থেকে উৎসারিত হয় তা সহজেই অন্যের হৃদয়-মন অর্থ করে দিতে সক্ষম হয় মহীয়সী এ মহিলার হৃদয় নিংড়ানো আকুতি ব্যর্থ হলো না প্রিয়তমা জীবনসঙ্গিনীর আহবানে সাড়া দিলেন এবং শেষ পর্যন্ত স্বামী স্ত্রীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আফ্রিকার সর্বাপেক্ষা বড় যুদ্ধ জুলিয়াস নায়ারে পুত্রবধূ তিন পুত্র ও দুই কন্যার ইসলামে দীক্ষিত হয়ে গেলেন আলহামদুলিল্লাহ ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করার পরপরই শায়খ আহমদ দিদাত আলোড়ন সৃষ্টিকারী গোপন রাখার নির্দেশ দিলেন
ইতোমধ্যে পড়ালেখা শেষ করে দেশে ফিরেই আহমদ দিদারের বিখ্যাত তিনি শীর্ষ মুসা ফন্দি এবং শায়খ আহমদ মাতার সাথে জুলিয়াস নায়ারে পুত্রবধূ ছেলেরা এবং দুই কন্যা দারুসসালামে দিনে হককে কায়েম করার জন্য আলোচনা করতেন এঁদের এই আসা-যাওয়াটা কিন্তু গির্জা অধিপতিদের অসহ্য এ ব্যাপারে তারা রাষ্ট্রপ্রধানকে অভিযোগ দেন কিন্তু তারা আশ্চর্যান্বিত হয়ে লক্ষ্য করলেন তাদের সেই ক্রুসেড সেনানী জুলিয়াস নায়ারে ধর্মযুদ্ধের ব্যাপারে কেমন যেন নিস্পৃহ হয়ে পড়েছেন আসলে ইসলাম বিরোধী নেতা ইতোমধ্যেই তার গোটা পরিবারের ধর্মান্তরের বিষয়টা আজ করে ফেলেছিলেন ছেলেদের চেয়ে দুই মেয়ে এবং পুত্রবধূর উৎসাহ টাই বেশি লক্ষ্য করছিলেন ব্যাপারটা অন্য কোনো পরিবারে ঘটলে তিনি হয়তো সিংহের মতো গর্জে উঠতেন প্রয়োজনে স্বৈরাচারের তীক্ষ্ন দাঁত বসিয়ে দিয়ে হলেও এ সর্বনাশা কান্ড প্রতিহত করতেন কিন্তু এখন তিনি লড়বেন কার বিরুদ্ধে সন্তান-সন্ততি এবং পুত্রবধূ সবাই শিক্ষিত সমাজের দৃষ্টিতে যোগ্য এদের উপেক্ষা করা অসম্ভব নয় এদেশে পুত্র-কন্যাদের থেকে বিচ্ছিন্ন ও উপেক্ষিত হয়ে পড়ার ভয়ে কিভাবে তা হজম করা যায় সে চিন্তা করছিলেন জুলিয়াস নায়ার।
প্রেসিডেন্টের ছেলেমেয়েরা কিন্তু দারুসসালামে ফিরে এসেই শায়খ মুসা নবীর মাধ্যমে মুসলিম যুবকদের সংগঠিত করে ফেললেন নিজেরা তখনও আত্ম প্রকাশ না করে দারুস সালাম ও পার্শ্ববর্তী জনপদগুলোতে খ্রিস্টান মিশনারীদের চ্যালেঞ্জ করে নানা ধরনের প্রচারপত্র ছাড়তে শুরু করলেন মিশনারীরা মুসলিম যুবকদের এ তৎপরতা লক্ষ্য করে স্তম্ভিত হয়ে হলেন কিন্তু উপায় নেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে হবে তারা প্রচারপত্রে জবাব দিলেন এবার যুবকরা মিশনারীদের একে প্রকাশ্য তর্ক যুদ্ধে শরীক হওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ করে বসলেন ঈমানের বলে বলিয়ান মুসলমান যুবকরা তেজোদীপ্ত কন্ঠে তাদের সাথে সিদ্ধান্ত নিলেন দারুস সালামের সর্বাপেক্ষা বড় ময়দান রিপাব্লিক পার্কে তর্কযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হবে।
তারিখ হাজার ১৯৮৬ ইংরেজি সনের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ দিন পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ করার চাইতে এলএনজি টিকে থাকাটাই মুসলমান যুবকদের জন্য ছিল রহস্যজনক জুলিয়াস নায়ারে রাজত্বে কিছু সংখ্যক মুসলিম যুবক খ্রিস্টধর্মের প্রকাশ্য সমালোচনা এবং সামনাসামনি বিতর্ক অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ বিশ্বাসের অযোগ্য একটা ব্যাপার খ্রিস্টানদের পক্ষে এ ধরনের একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার এর রহস্য উদঘাটন করছিল খুব কঠিন তারা ভেবেই পাচ্ছিলো না স্বল্প সংখ্যক মুসলিম যুবকদের পিছনে এতো বড় দুঃসাহস কে যোগাচ্ছে যাদেরকে আল্লাহ সাহায্য করেন তাদের কে ঠেকায় নির্ধারিত দিনে ৎবঢ়ঁনষরপ পার্কে যেন জনতার ঢল নামলো এ মহা তর্ক যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ মুসলিম ও খ্রিস্টান জনতায় ময়দান যেন কানায় কানায় ভরে উঠলো সাজান পাশে এসে আগেই অবস্থান গ্রহণ করলেন পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত স্বনামখ্যাত পাদ্রী পণ্ডিতেরা তাদের চোখ মুখ থেকে যেন ঠিকরে পড়ছিল মেধা অবিদ্যার উদ্ধত অহংকার কিছুক্ষণ পরই ধীর পদক্ষেপে মঞ্চে আরোহন করলেন আহমদ দিদাতের তিন বিশিষ্ট সাগরেদ শায়খ মুসা ফোন ডি আহমদ পঁসনরধ ও মোহাম্মদ মাটাটা।
কিন্তু একি এদের পিছনেই এলেন যে তিন নব্য যুবক এরা কারা স্তম্ভিত জনতার মুহুর্মুহু তকবির ধনীর সাথে সাথে ঘোষিত হল এদের পরিচয় ইসলামের ধ৩ নতুন যোদ্ধা দেশের দোর্দণ্ডপ্রতাপ খ্রিস্টান রাষ্ট্রপ্রধান জুলিয়াস নায়ারে তিন পুত্র ঘোষণার সাথে সাথে যেন তর্ক যুদ্ধের ফলাফল অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গেল সাথে সাথে দারুস সালামের আবেগ উত্তেজিত জনতার আকাশ ফাটা তকদিরে ধ্বনি যেন সমুদ্র গর্জন কেও হার মানালো জনতাকে শান্ত হতে বলেন তার পর পাদ্রী সাহেবদের বিতর্ক উদ্বোধন করতে অনুরোধ করলেন।
মুসলিম আলেম-ওলামাদের সম্পর্কে পাদ্রীদের পূর্ব ধারণা ছিল অন্যরকম তারা কুরআন-হাদীসের প্রচুর জ্ঞান রাখেন সত্য কিন্তু ইংরেজি ও ফার্সি ভাষায় দক্ষতা এবং বিশেষ করে বাইবেল ও খ্রিস্টান ধর্ম পুস্তকাদি সম্পর্কে গভীর পড়াশোনা না থাকার কারণে পাদ্রীদের কথার মারপ্যাঁচ বিশেষত আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বরাত দিয়ে কথাবার্তা বলার সময় তারা অনেকটা অবহিত হয়ে পড়তেন তাই পাদ্রীরা এ বিতর্ক অনুষ্ঠানে তাঁদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চেষ্টা করেন কিন্তু দু একটা প্রশ্ন প্রশ্ন উত্তর এর পরপরই তারা বুঝতে পারলেন যে এসব আলিমের বেলায় তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা মোটেও কাজে লাগার মত নয় আর কোন প্রশ্ন উত্থাপন করার সাথে সাথেই শায়খ মুসা জবাব দিতেন আর তার প্রতিটি জবাবের সমর্থনে বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর পর্যন্ত উল্লেখ করতেন এখানে আমি একটি কথা অতিরিক্ত সংযোজন করা প্রয়োজন মনে করি আর তা হল বর্তমান বিশ্বে ডাক্তার জাকির নায়েক এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যিনি একাধারে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম আল্লাহ তাআলা জাকির নায়েককে দীর্ঘ হায়াত দান করুন অবশেষে তিন দিনে সুদীর্ঘ বিতর্ক সভার অবসান হলো পাদ্রীরা আহমদ দিদাতের তিন যুবক সাগরেদের নিকট প্রকাশ্য পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হলেন ফলে উক্ত বিতর্ক সভাতেই অন্তত তিন শত খ্রিস্টান প্রকাশ্যে ইসলামে দীক্ষিত হলেন প্রকাশ্য বিতর্ক সভায় মুসলমানদের সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবনে ও দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করে নিজের সন্তানদের নিকট পরাজিত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তার সামাজিক মর্যাদা এমন ক্ষতিগ্রস্ত হলো যে এ ঘটনার দুই সপ্তাহের মধ্যেই তিনি রাষ্ট্র প্রধানের পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন পুত্রকন্যা গনের ক্রমাগত প্রচেষ্টার ফলে পুরুষের আর জুলিয়াস নায়ারে শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যাবে তা আলম আল ইসলামীর স্থানীয় প্রতিনিধি শেখ মোস্তফা আজাদ এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন আলহামদুলিল্লাহ কবির কণ্ঠে আজ বলতে ইচ্ছে হয়
সেই সংগ্রামী মানুষের সারিতে
আমাকেও রাখিও রহমান
যারা কোরআনের আহবানে নির্ভিক
নির্ভয়ে সব করে দান
নির্দ্বিধায় সব করে দান

Related Post