মৃত্যুপরবর্তী জীবনকে ইসলামের পরিভাষায় আখেরাত বলা হয়। আখেরাতে বিশ্বাস ইসলামী জীবন দর্শনের অন্যতম মৌল বিষয়। এতে বিশ্বাস না থাকলে মুসলিম হওয়া যায় না। আখেরাত অস্বীকার করলে সব কিছু পণ্ড হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে কুরআনুল কারিমের বাণী হচ্ছে, وبالأخرة هم يوقنون .البقرة 4’ অর্থাৎ যারা মুসলিম তারা আখেরাতে দৃঢ়বিশ্বাস রাখে (বাকারা :৪)। আখেরাতে বিশ্বাস বলতে বোঝায়, এ দুনিয়ার জীবন মানুষের জন্য শেষ নয়; দুনিয়ার জীবনের কর্মফল বা প্রতিদান ভোগ করতে পরকালের জীবন রয়েছে, যা হবে অনন্তকাল। এ জীবনের কোনো শেষ নেই। আখেরাত সংক্রান্ত আরো যেসব বিষয়ের ওপর ঈমান বা বিশ্বাস করতে হয় তা হচ্ছে : ১. কবরের সুখ বা শান্তি, ২. কিয়ামত বা মহাপ্রলয়, ৩. হাশর বা পুনরুত্থান, ৪. দুনিয়ার জীবনের কর্মের বিচার বা প্রতিদান, ৫. পুলসিরাত, ৬. জান্নাত,৭.জাহান্নাম প্রভৃতি।
আখেরাতে বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা : আখেরাতের ধারণা কেবল আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ সা:ই পেশ করেননি, তাঁর আগের সব নবী-রাসূলও এ ধারণা দিয়েছেন। মুসলিম হওয়ার জন্য আখেরাতে বিশ্বাস অপরিহার্য শর্ত। এ ধারণা ব্যতীত আল্লাহ বা তাঁর প্রেরিত নবী-রাসূলদের বিশ্বাস করা সম্পূর্ণ নিরর্থক হয়ে যায়। কাউকে যখন কোনো কাজের কথা বলা হয়, তখন তাকে এ-ও বলতে হয় যে, এ কাজ করলে তার কী লাভ হবে। অনুরূপভাবে যখন কোনো কাজ করতে নিষেধ করা হয়, তখন তাকে জানিয়ে দিতে হয়, এ কাজ করলে তার কী ক্ষতি হবে। কাউকে যদি কারো আনুগত্য করতে বলা হয় তাহলে বলে দিতে হয়, এ আনুগত্যের ফলে তার কী লাভ হবে কিংবা না করলে কী ক্ষতি হবে। লাভ ছাড়া কোনো কাজ করাকে মানুষ অর্থহীন মনে করে। একইভাবে কোনো কাজ ক্ষতিকর বলে মনে না হলে, তা থেকে বিরত থাকাও মানুষ নিরর্থক মনে করে। এমনকি ক্ষতিকর বলে সন্দেহ থাকলেও সে কাজ থেকে মানুষ বিরত থাকতে চায় না। অনুরূপভাবে কোনো কাজের লাভ সম্পর্কেও কোনোরূপ সংশয় বা সন্দেহ থাকলে মানুষ সে কাজ করতে উৎসাহ বোধ করে না।
সুতরাং কেউ যদি আখেরাত তথা কবরের শান্তি বা শাস্তি, কিয়ামত, পুনরুত্থান, পাপ-পুণ্যের বিচার, বেহেশত-দোজখ প্রভৃতি বিশ্বাস না করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালাকে বিশ্বাস করা, তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী চলার ব্যাপারে সে কোনো উৎসাহই পাবে না। তার কাছে আল্লাহ তায়ালার অনুগত্য করার মধ্যে যেমন কোনো লাভ নেই, তেমনি তাঁর আনুগত্য না করার মধ্যেও কোনো ক্ষতি নেই। তাই আল্লাহ তায়ালাকে মানুক আর না মানুক, আখেরাতে বিশ্বাস না থাকলে কেউ আল্লাহ প্রদত্ত আইনকানুন ও বিধিবিধান মেনে চলবে না। যার কাছে মৃত্যুপরবর্তী জীবন বলে কিছু নেই, তার কোনো কর্ম করা বা না করার চালিকাশক্তি হচ্ছে দুনিয়ার লাভ-ক্ষতি ও ভোগবিলাস।কাজ যত ভালো বা কল্যাণকর হোক না কেন, দুনিয়াতে এর বিনিময়ে কোনো প্রাপ্তি না থাকলে কেউ এ ধরনের কাজ করে না। অপর দিকে কাজ যত খারাপই হোক না কেন, এর দ্বারা দুনিয়াতে লাভবান হলে বা কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকলে সে এ থেকে বিরত থাকে না। দুনিয়ায় অধিক প্রাপ্তি এবং দুনিয়ার ভোগবিলাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সে নীতি-নৈতিকতার ধার ধারে না, তার ভোগ বৃদ্ধি করতে যা করা দরকার, মনে করে তাই নির্দ্বিধায় করতে থাকে। যেমন- একজন পুঁজিপতি তার পুঁজি বৃদ্ধির জন্য যা যা করা দরকার তাই করে। তার কাছে নীতি-নৈতিকতা ও দয়ামায়ার কোনো স’ান নেই। মুনাফা বৃদ্ধি হলো তার সব ক্রিয়াকর্মের অনুপ্রেরণাদানকারী শক্তি। এ জন্য একজন আখেরাতে অবিশ্বাসী ও একজন পুঁজিপতির কাছে পর্নোগ্রাফি ও সুদ দোষের কিছু নয়। কেননা এগুলো ভোগ ও পুঁজির পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
অপর দিকে একজন আখেরাতে বিশ্বাসীর কাছে দুনিয়া হচ্ছে ক্ষণস’ায়ী, আর আখেরাত হচ্ছে চিরস’ায়ী। তাই সে দুনিয়ার লাভ-ক্ষতির দিকে না তাকিয়ে আখেরাতের লাভ-ক্ষতির কথা বিবেচনা করে দুনিয়ার জীবনকে সেভাবে চালিত করে। যে কাজে আখেরাতের লাভ হবে, সেই কাজকে সে অগ্রাধিকার দেয়। দুনিয়ায় এ জন্য ক্ষতি স্বীকার করে হলেও একজন আখেরাত বিশ্বাসীর পক্ষেই সম্ভব দুনিয়ার জীবনে সবচেয়ে বেশি সৎকাজ করা ও অসৎকাজকে পরিহার করা। কারণ আখেরাতে বিশ্বাসী ব্যক্তি তার ইহকালীন জীবন পরিচালিত করে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর পয়গম্বরের নির্দেশিত পথে। তা হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট পন’া, সহজ-সরল পথ। এ পথের অনুসারীরা দুনিয়ার জীবনে আর্থিক ক্ষতি জেনেও দুস’দের কল্যাণে জাকাত প্রদান করে। আর্থিক লাভ সত্ত্বেও শোষণের হাতিয়ার সুদ পরিহার করে চলে। নীতি-নৈতিকতাকে মূল্য দিয়ে ভোগের প্রলোভন থাকা সত্ত্বেও সব ধরনের পর্নোগ্রাফি ও ব্যভিচার থেকে বিরত থাকে। বড় ধরনের ক্ষতি হলেও সৎ ও সততার পথে চলে, মিথ্যা ও অসত্যকে পরিহার করে, শালীন ও সুশীল জীবন যাপন করে।
স্বাভাবিকভাবে মানুষের প্রকৃতির বা স্বভাবের মধ্যে কল্যাণ প্রবণতার চেয়ে পাপ বা খারাপ প্রবণতা বেশি থাকে, বিশেষ করে শক্তিধর ও ক্ষমতাবানদের মধ্যে। তাদের কাছে নীতি-নৈতিকতা, মানবিকতা ও সহনশীলতার মূল্য খুবই কম। মুষ্টিমেয় শক্তিধরদের কাছে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত, নির্যাতিত, শোষিত ও অপমানিত হয়।
সমাজ, রাষ্ট্র ও ধর্ম মানুষের পাপ ও অন্যায় প্রবণতার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। মানুষ যেহেতু সমাজ ছাড়া বাস করতে পারে না, সেহেতু তারা সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের কারণে অনেক সময় পাপকাজ থেকে বিরত থাকে। অনুরূপভাবে রাষ্ট্রীয় আইনকানুন ও বিচার-আদালতের কারণে অনেক সময় মানুষ পাপকাজ পরিহার করে চলে। সমাজ ও রাষ্ট্র যেহেতু নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় ক্ষমতাবান ও শক্তিধরদের দ্বারা, সেহেতু সমাজ ও রাষ্ট্র বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাধরদের তাদের অন্যায় ও অবিচার থেকে রুখতে পারে না। এ ছাড়া সমাজ ও রাষ্ট্র অপরাধ দমন কিংবা বিচার-আদালতের জন্য যে বিধিবিধান তৈরি করছে তাতে চাক্ষুষ বা পরিবেশ-পরিসি’তিমূলক সাক্ষ্য-প্রমাণের প্রয়োজন হয়। কিন’ এমন কিছু পাপ ও অপরাধ আছে, যার কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকে না অথবা পাওয়া যায় না। এই অবস’ায় কেবল ধর্মীয় তথা আখেরাতের বিশ্বাসই পারে মানুষকে পাপ ও অন্যায় আচরণ থেকে রক্ষা করতে।
নিঃসঙ্গ ও নির্জন পথ চলার সময় যদি কেউ কোনো মূল্যবান বস’ পড়ে থাকতে দেখে, তখন তাকে সমাজ ও রাষ্ট্র এ মূল্যবান বস’ গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে পারে না। কারণ অপরের এ মূল্যবান সম্পদ গ্রহণ করতে কেউ তাকে দেখেনি। সুতরাং সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে সে দোষী নয়। অপরের সম্পদ গ্রহণজনিত এই অন্যায্য আচরণের জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো শাস্তিও সে পাবে না। সমাজ-রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তি দিতে হলে দরকার বিচারপ্রার্থী এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ। এ ক্ষেত্রে এ দু’টির কোনোটাই নেই। তাই এই অপরাধটি বিনা প্রতিফলে থেকে যাবে, যা ইনসাফের পরিপন’ী। কিন’ এই ব্যক্তি যদি ধর্মপ্রাণ, আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাসী হন, তাহলে তিনি তা গ্রহণ করবেন না এই ভেবে যে, এটা আমার সম্পত্তি নয়, কিছুতেই তা আমি গ্রহণ করতে পারি না। অপরের এই সম্পদ গ্রহণ করতে দুনিয়ার কেউ আমাকে না দেখলেও আল্লাহ তায়ালা তা দেখছেন, তাঁর নিয়োজিত দুই ফেরেশতা লিখে রাখছেন। আমি যে হাতে তা গ্রহণ করব সে হাতই পাপ-পুণ্য বিচারের দিন আমার বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দেবে। আর বিচার শেষে অপরের সম্পদ ভোগের অপরাধের কারণে আমাকে জাহান্নামে নিপতিত হতে হবে। সুতরাং কোনো অবস’াতেই আমি তা গ্রহণ করতে পারি না। এভাবে আখেরাতে বিশ্বাস ও বোধই মানুষকে পাপকাজ থেকে প্রতিনিয়ত বিরত রাখছে। যে অপরাধ দমনে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যর্থ, ধর্ম ও আখেরাতের বিশ্বাস সে অপরাধ দমনে কৃতকার্য।
আখেরাতের বিশ্বাস কেবল নিঃসঙ্গ ও নির্জন পথিককেই পাপকাজ থেকে বিরত রাখে না, ক্ষমতাধর সমাজপতি, রাষ্ট্রপতি, চাকরিজীবী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, কর্মজীবী ও রাজনীতিবিদ সবাইকে পাপকাজ থেকে বিরত রাখে। সামাজিক রীতিনীতি বা বিচার-আচারের ঊর্ধ্বে সমাজপতির অবস’ান, রাষ্ট্রীয় আইনকানুন ও বিচার-আচারের ঊর্ধ্বে রাষ্ট্রপতির অবস’ান । সুতরাং সমাজের রীতিনীতি ও রাষ্ট্রের আইনকানুন তাদের অপরাধ দমনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। অনুরূপভাবে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আইনকানুন এবং বিধিবিধানের ফাঁকফোকর দিয়ে এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও অন্য পেশাজীবীরা পার পেয়ে যান।তাই যতক্ষণ পর্যন্ত একজন সমাজপতি, রাষ্ট্রপতি, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, আমলা, সাধারণ চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীর মাঝে এই বিশ্বাস ও বোধ না জন্মাবে যে, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার সমস্ত ক্ষমতা ও বুদ্ধি নিঃশেষ হয়ে যাবে। অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো তাকেও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার কাছে দুনিয়ার জীবনের কৃতকর্মের আমলনামা নিয়ে হাজির হতে হবে, বিচারের সম্মুখীন হতে হবে, আর এই আমলনামাভিত্তিক বিচারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে তার চিরস’ায়ী সুখের আবাস জান্নাত অথবা কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির আবাস জাহান্নাম; ততক্ষণ পর্যন্ত তারা সার্বিকভাবে পাপাচার থেকে বিরত থাকে না, কল্যাণকর কাজের দিকে ধাবিত হয় না। সুতরাং মানুষের পার্থিব জীবনকেও সার্বিকভাবে সার্থক ও কল্যাণকর করতে আখেরাতে বিশ্বাস অপরিহার্য। আখেরাতকে অস্বীকার মানুষকে মনুষ্যত্বের স্তর থেকে, পশুত্বের স্তর থেকেও আরো নিচে নিয়ে যায়। সুতরাং মানুষের পার্থিব জীবনকে মানবিক করা এবং পূতপবিত্র রাখার জন্যও আখেরাতের বিশ্বাস অপরিহার্য।আখেরাতে বিশ্বাসের দার্শনিক ভিত্তি : আখেরাতে বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা ও এর কল্যাণকারিতাকে যেমন অস্বীকার করা যায় না, তেমনি এর বাস্তবতাকেও অস্বীকার করা যায় না। এর রয়েছে একটি দার্শনিক ভিত্তি। আখেরাত সম্পর্কে পৃথিবীতে তিন প্রকারের বিশ্বাস দেখা যায়।
(১) নাস্তিক, জড়বাদী, প্রকৃতিবাদী এবং কিছু চিন্তাবিদ, দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও মনস্তত্ত্ববিদ আখেরাতকে অস্বীকার করেন। তারা মনে করেন, মৃত্যুর পর মানুষ ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর আর কোনো জীবন নেই। তাদের মতে, এ জগৎ ভৌত রাসায়নিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। ভৌত রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার ব্যর্থতার ফলে বস’ অস্তিত্ব হারায়। অন্যান্য বস’র মতো মানুষও ভৌত রাসায়নিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। মানবদেহেও ভৌত রাসায়নিক প্রক্রিয়া যখন ব্যর্থ হয়, তখন মানুষের মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর পর তার আর কোনো কিছু অবশিষ্ট থাকে না। মরণোত্তর জীবন, ঈশ্বর, স্বর্গ, নরক সবই মানুষের কল্পনা। বাস্তবে এসবের কোনো অস্তিত্ব নেই।
মানুষ ভৌত রাসায়নিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয় বললে, তার সব গুণ ও ক্ষমতার ব্যাখ্যা হয় না। জড়বাদীদের মতে, মানুষ যন্ত্রবৎ হলেও আসলে মানুষ যন্ত্রবৎ নয়। মানুষের রয়েছে স্বাধীনতা, নান্দনিকবোধ, মূল্যবোধ ইত্যাদি। মানুষের কল্পনাশক্তি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ, মেধাশক্তি প্রখর, রয়েছে অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা। তাই মানুষের মধ্যে ভৌত রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ঊর্ধ্বে কোনো সত্তা রয়েছে। ধর্মসত্তাকে আত্মা রূপে অভিহিত করেছে। এ আত্মা মৃত্যুতে ধ্বংস হয় না, কেবল কিছু সময়ের জন্য দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। আত্মা মৃত্যু-পরবর্তী জীবনে বিভিন্ন অবস্হান’র সম্মুখীন হয়, সুখ-দুঃখ বা শান্তি-শাস্তি ভোগ করে। যেহেতু মৃত্যুর পর সুখ-দুঃখ, শান্তি-শাস্তির উপলব্ধি আছে, সেহেতু ধর্ম একে জীবন বলে অভিহিত করেছ সমাপ্ত