রাসূল (সা.) এর রাজনৈতিক জীবন ও পর্যালোচনা

ইসলামী রাজনীতি ফরয

ইসলামী রাজনীতি ফরয

আগের পর্ব এখানে

পূর্বে প্রকাশিতের পর-

পর্ব- ৭

ইসলামী রাজনীতি ফরয
হিজরতের আগে আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসূল (সা.) -কে শিখিয়েছেন তাঁর নিকট একটি রাষ্ট্রীয় শক্তির সাহায্য চাইতে। এ বিষয়টি যে শুধু রাসূল (সা.) এর জন্য খাস ছিলো তেমন নয়। এর পূর্বে আল্লাহ তায়ালা দাউদ, ‘সুলাইমান ও  ইউসুফ (আ.)’ কে রাষ্ট্র ক্ষমতা দিয়েছিলেন। ক্ষমতা দিয়েছিলেন ‘যুলকার নাইন ও সামুয়েল’ নবীর উপস্থিতিতে তালুতকে, যা কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে। অপরদিকে কুরআনে দুর্দান্ত প্রতাপশালী ক্ষমতাধর ফেরাউন, নমরুদ, সূরা বুরুজ, সূরা কাহাফে দু‘জন ও সূরা বাকারায় জালুতের অত্যাচারী শাসনের চিত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা এ দুই ধারার শাসনের ইতিহাস কুরআনুল কারীমে বিশ্ববাসীর সামনে কেন তুলে ধরেছেন? এর থেকে কি শিক্ষা নেয়ার কিছু নেই, নাকি এমনিতেই ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে? আল্লাহ তায়ালা নিজেই এব্যাপারে ইঙ্গিত দিচ্ছেন; “এটি মানুষের জন্যে এমন এক বার্তা যাতে এর মাধ্যমে তাদেরকে সতর্ক করা যায় এবং তারা জেনে নেয় যে, আসলে আল্লাহ মাত্র একজনই। আর যারা বিবেক-বুদ্ধি রাখে তারা সচেতন হয়ে যায়।” সূরা ইব্রাহীম ৫২
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এর মাধ্যমে সতর্ক ও সচেতন হওয়ার কথা বলছেন। বিবেক বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা ভাবনার কথা বলছেন। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বিগত দিনের ভুল সংশোধন করার সুযোগ দিতে চাচ্ছেন। কাজেই আমাদের সে সুযোগ গ্রহণ করা উচিত যাতে কিয়ামতের দিন জবাবদিহি করতে না হয়। আল্লাহর বাণী, “আর কিছু লোক আছে যারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। তাদের কাজকর্ম মিশ্র ধরনের, কিছু ভাল, কিছু মন্দ। অসম্ভব নয়, আল্লাহ তাদের প্রতি আবার মেহেরবান হয়ে যাবেন। কারণ, তিনি ক্ষমাশীল ও করুণাময়। (সূরা তাওবা-১২০)
যারা ইসলামী রাজনীতি ফরজ মনে করেন না, তাদের জন্য উল্লেখিত দু‘ধরনের ক্ষমতার বিষয় একটু বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন বোধ করছি। লক্ষ্য করুন, সুলাইমান (আ.) আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলেন, “হে আমার রব! আমাকে মাফ করে দাও এবং আমাকে এমন রাজত্ব দান করো যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভন হবে না; নিঃসন্দেহে তুমিই আসল দাতা।” (সূরা সাদ ৩৫) ইউসুফ (আ.) ও রাষ্ট্র ক্ষমতা চেয়ে ছিলেন, “ইউসুফ বললো ‘দেশের অর্থ-সম্পদ আমার হাতে সোপর্দ করুন। আমি সংরক্ষণকারী এবং জ্ঞানও রাখি। এভাবে আমি পৃথিবীতে ইউসুফের জন্য কর্তৃত্বের পথ পরিস্কার করেছি। সে যেখানে ইচ্ছা অবস্থান করতে পারতো। আমি যাকে ইচ্ছা নিজের রহমতে অভিষিক্ত করি। সৎকর্মশীল লোকদের প্রতিদান আমি নষ্ট করি না।”( সূরা  ইউসুফ- ৫৫, ৫৬) এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, ইউসুফ ও সুলাইমান (আ.) কি উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র ক্ষমতা চেয়েছিলেন?  প্রচলিত কুফরী নীতি ও আইনের মূল উৎপাটন করে তথায় আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও তাঁর আইন প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে নয় কি? রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ছাড়া এটা কখনোও কি সম্ভব হয়েছে? এমন কি কোন নবী বিনা ক্ষমতায় (রাষ্ট্রীয়) এটা করতে পেরেছেন বলে কোথাও কি কোন ইতিহাস রয়েছে? তাদের চাওয়া-পাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের মাধ্যমে নৈতিক, তামাদ্দুনিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ইসলামী নীতির ভিত্তিতে ঢেলে সাজাবেন। আল্লাহর বিধান জারি ও সত্য প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে ন্যায় ও ইনসাফের সুফল সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিবেন। আর যে উদ্দেশ্যে নবীদেরকে পাঠানো হয়েছে সেগুলো সম্পন্ন করবেন। আর এটা করতে অবশ্যই রাষ্ট্র ক্ষমতার প্রয়োজন। তাই যদি না হবে তাহলে আল্লাহ তায়ালা যুলকারনাইনের রাষ্ট্র ক্ষমতার কথা কেন কুরআনে বর্ণনা করেছেন? আল্লাহর বাণী, “আমি তাকে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব  দিয়েছিলাম এবং তাকে সবরকমের সাজ-সরাঞ্জাম ও উপকরণ দিয়েছিলাম। (সূরা কাহাফ: ৮৪) এমন কি একজন নবী (সামুয়েল) বিধ্যমান থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ তায়ালা তাঁর দ্বীনের বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য তালুত নামে এক যুবককে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। যা সূরা বাকারার ২৪৭ আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। “তাদের নবী তাদেরকে বললোঃ আল্লাহ তোমাদের জন্য তালূতকে বাদশাহ বানিয়ে দিয়েছেন। একথা শুনে তারা বললোঃ “সে কেমন করে আমাদের ওপর বাদশাহ হবার অধিকার লাভ করলো? তার তুলনায় বাদশাহী লাভের অধিাকার আমাদের অনেক বেশি। সে তো কোন বড় সম্পদশালী লোকও নয়।“ নবী জবাব দিল: “আাল্লাহ তোমাদের মোকাবেলায় তাকেই মনোনীত করেছেন এবং তাকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও শারীরিক উভয় ধরনের যোগ্যতা ব্যাপকহারে দান করেছেন। আর আল্লাহ তাঁর রাজ্য যাকে ইচ্ছা দান করার ইখতিয়ার রাখেন। আল্লাহ অত্যন্ত ব্যাপকতার অধিকারী এবং সবকিছুই তাঁর জ্ঞান-সীমার মধ্যে রয়েছে”। এদের শাসনকালে সর্বস্তরের জনগণ সুখ-শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে যে সুফল ভোগ করেছে সেভাবে কি পরবর্তী ধাপের শাসনে প্রতিফলিত হয়েছিল। নাকি সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র ইতিহাসে রয়েছে।
ফেরাউন ও নমরুদের শাসনের সময়ও কিন্তু ধর্ম ছিল এবং দাওয়াতী কাজ চলেছে। কিন্তু ক্ষমতা তাদের হাতে না থাকায় জনগণকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। শক্তিশালী দু‘জন রাসূল থাকা সত্ত্বেও মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। এমনকি এ জালেম শাসকেরা ইব্রাহীম (আ.) কে আগুণে নিক্ষেপ করেছে।  মুছা (আ.)-কে ফেরাউন হত্যা করার চেষ্টা করেছে। ঈমানদারকে শূলে দিয়ে, আগুণে নিক্ষেপ করে হত্যা করেছে। যালেমদের নিষ্ঠুর থাবা থেকে নিষ্পাপ শিশুরা পর্যন্ত রক্ষা পায়নি। যা আজকের পৃথিবীতে পুণরায় সে চিত্রই দেখা যাচ্ছে। সে সময় ধর্মীয় বিষয়ও ছিলো জালেমদের অধিনে। আল্লাহর পরিবর্তে তারা নিজেরাই রব দাবী করে মানুষকে তা মানতে বাধ্য করেছে। এর ফলে মানুষের দুনিয়া ও আখেরাত উভয় বরবাদ হয়েছে।  নমরুদের সময় ছিলেন ইব্রাহীম (আ.)। আর ফেরাউনের সময় ছিলেন মুছা (আ.)। জলিল কদর শক্তিশালী দুজন নবীর উপস্থিতিতেও জনগণকে কোন ক্ষেত্রেও জালেমদের হাত থেকে রক্ষা করা যায়নি, যে পর্যন্ত না ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। সর্বশেষ তাদেরকে গজব দিয়ে জনগণসহ ধ্বংস করা হয়েছে। জালেমী শাসনে উপর ও নিচ ঊভয় দিক থেকে গজব আসে। আর খেলাফতী শাসনের দ্বারা আল্লাহর রহমত ও শান্তি নেমে আসে। তাইতো খেলাফতী শাসনে কখনো কোন জাতিকে আল্লাহ ধ্বংস করেননি। খেলাফতের শাসকদের দ্বারা জনগণ কখনো জুলুমের স্বীকার হয়নি। কিন্তু আজকে কেন মুসলিম শাসক কর্তৃক জনগণ জুলুমের স্বীকার হচ্ছে?
এ সুযোগে গোটা পৃথিবীতে কাফের মুশরেক কর্তৃক মুসলমানদের রক্তের ¯্রােত বইছে। কেন এমনটি হচ্ছে? সমস্যা খুঁজে বের করতে বেশি শিক্ষিত আর গবেষক হওয়ার প্রয়োজন নেই। ফেরাউনকে ধ্বংসের পর তার লাশ কেন আল্লাহ তায়ালা অক্ষত রেখেছেন, সে বিষয় চিন্তা ভাবনা করলেই পরিস্কার হয়ে যাবে। আল্লাহর বাণী, “এখন তো আমি কেবল তোমার লাশটাকে রক্ষা করবো যাতে তুমি পরবর্তীদের জন্য শিক্ষণীয় নিদর্শন হয়ে থাকো। যদিও অনেক মানুষ এমন আছে যারা আমার নিদর্শনসমূহ থেকে উদাসীন। (সূরা ইউনুছ: ৯২)
অমুসলিমরা না হয় এর থেকে উদাসীন হবে, কিন্তু মুসলমানরা কেন উদাসীন হলো। কেন তারা ইসলামী শাসনে না থেকে ফেরাউনি শাসনে ফিরে এলো? ফেরাউনের উত্তর সূরী যারা তারাই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জনগণের ওপর জুলুম করে যাচ্ছে। আর নিজেদেরকে ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে করছে। তারা জনগণ ও আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতার পরিবর্তে পশ্চিমাদেরকে ভয় করে তাদেরকে খুশি করছে। আর এক শ্রেণী, যারা মুসলমান দাবী করার পর এসকল কুকৃর্তি দেখেও নীরব থেকে জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা খুঁজছেন, তারা একটু ভেবে দেখুন তো, ইসলামের আগমন কেন হয়েছে? ইসলামের আগমনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কি? স্বৈরাচারী লোকেরা যাতে মানুষের ঘাড়ে চড়াও হতে পারে, তাদেরকে সুবিধা করে দেয়ার জন্যেই কি ইসলামের আবির্ভাব? ইসলামের অনুসারীদেরকে যাতে নিজের অনুগত ভৃত্য হিসেবে পেতে পারে, সেজন্যই কি ইসলাম এসেছিলো? সেকি সারা পৃথিবীর সরকারসমূহের ও সাম্রাজ্যবাদীদের জন্য শান্তিপ্রিয় প্রজা সংগ্রহ করে দেয়ার ইজারা নিয়েছে? যে যেকোনো মতাদর্শের অনুসারী শাসকরা নিজেদের ইচ্ছামত রাষ্ট্র পরিচালনা করবে আর মুসলমানরা আত্মতৃপ্তিতে ভোগবে? ইসলামের কাজ কি শুধু এই যে, কিছু মৌলিক আকীদা ও নৈতিক আদর্শ শিক্ষা দিয়ে মানুষকে এতটা বিনয়াবনত ও নমনীয় করে গড়ে তুলবে যাতে সে সকল ধরনের সমাজ ব্যবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে? ক্ষমতা যার হাতেই থাক, তার অধীনে শান্তশিষ্ট নাগরিক হিসেবে বাস করাই কি মুসলমানদের নীতি? আর ক্ষমতাশীন সরকারের আনুগত্য করাই মুসলমানদের ঈমান ও ধর্ম? ব্যাপার যদি সত্যিই এমন হয় তাহলে রাসূল (সা.)  তেরটি বছর পর্যন্ত লোক তৈরি করার পর মদীনায় ইসলামী হুকুমত কায়েম কেন করেছিলেন? আর এ হুকুমত অক্ষুন্ন রাখতে তাঁর জীবদ্দশায়ই আশিটির ও বেশী যুদ্ধের সম্মুখীন কেন হয়েছিলেন? তিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় কুরআনের আইন অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করেছেন। বিদেশী স¤্রাটদের কাছে দূত পাঠিয়েছেন। যুদ্ধের ময়দানে তিনি প্রধান সেনাপতি হয়েছেন। যাকাত আদায় করে তা আর্তমানবতার সেবায় রাষ্ট্রীয়ভাবে সুষ্ঠু বন্টন করেছেন। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী লেন-দেন ও অর্থ প্রশাসন পরিচালনা করেছেন। এক কথায় রাষ্ট্রী সমস্ত কার্যক্রম তিনি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করেছেন। আল্লাহর নবী নিজের জীবনে এত ঝুকি নিয়ে যে কাজ করলেন সে কাজ যদি কোন মুসলমান খারাপ মনে করে, গুরুত্ব না দেয় এবং সে কাজে আত্মনিয়োগ না করে তাহলে সে কি কখনও ঈমানের দাবীতে সত্যবাদী হতে পারে? রাসূল (সা.) এর অনুসারী হতে পারে?
আল্লাহর নবীর চেয়ে তো কেউ বেশি ঈমানদার ও পরহেযগার নন? যে কাজ আল্লাহর নবীকে ফরজ মনে করে করতে হলো, তা না করে একজন মুসলমান  নিজেকে কি করে নবীর উম্মত বলে দাবি করতে পারেন? তাঁর আদর্শ ছাড়া আমরাতো অন্য কারো আদর্শ গ্রহণ করতে পারিনা? সুতরাং বেহেশতে যাবার যদি কোন সহজ, সরল ও ঝুকি মুক্ত রাস্তাই থাকতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে কেন এ রাস্তায় নিয়ে আসলেন? তিনি নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত এবং যিকির আযকার করা সত্ত্বেও কেন ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে গেলেন। আর আমরা নবীর দেখানো রাজনীতি না করেই তাঁর চেয়ে সংক্ষেপে খাঁটি মুসলমান বনে যাব- এটা কি আদৌ সম্ভব? ভুলে গেলে চলবেনা, স্বৈর শাসন ব্যবস্থা সব সময় সত্যকে গলা টিপে হত্যা করে। আর অসত্যের ওপর দাঁড়িয়ে নিজেদের ক্ষমতা অক্ষত রাখতে চায়। ফলে জাতীয় জীবনে নেমে আসে এক মহা দুর্যোগ যা আজকের বাস্তবতা। আর এ দুর্যোগ মোকাবেলায় ইসলামী রাজনীতির বিকল্প কোন পথ রয়েছেকি?
মনে রাখতে হবে যে, শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতা আর মুসলিম শাসক হলেই মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবেনা, যে পর্যন্ত মুসলিম শাসকেরা কুরআন ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা না করবেন। আল্লাহ তায়ালা তো ঘোষণায়ই করেছেন যে, “সত্য এসে গেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যার তো বিলুপ্ত হবারই কথা।” (বানী ইসরাইল ৮১) মুসলমান দাবী করবে অথচ মিথ্যার মোকাবেলায় সত্যের ঝান্ডা নিয়ে ময়দানে থাকবে না এটা কি করে সম্ভব হতে পারে? কুরআনের কোথাও তো এ ঘোষণা নেই যে, কুরআনের সামন্য কিছু অংশ আমল করলেই চলবে, বাকী যা আছে তা শুধু তেলাওয়াতের জন্যে?  নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি বিষয় যে সমস্ত আয়াত আছে তা সব একত্রিত করলে এক পারার বেশি হবে না। বাকী ঊনত্রিশ পারায় যে অসংখ্য হুকুম রয়েছে তার বাস্তবায়ন কে করবে? না কি সে হুকুমগুলো শুধু তথাকথিত তেলাওয়াতের জন্য আল্লাহ পাঠিয়েছেন? (চলবে—)

Related Post