গুনাহ সর্ম্পকে কুরআনের ভাষ্য

গুনাহ সর্ম্পকে কুরআনের ভাষ্য

গুনাহ সর্ম্পকে কুরআনের ভাষ্য

১. হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজের আত্মার উপর জুলুম করেছ, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই, আল্লাহ সকল গুনাহ মাফ করেন। নিঃসন্দেহে তিনি অধিক ক্ষমাশীল ও মেহেরবান। (যুমার : ৫৩)
এ আয়াত অনুযায়ী আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া নিষিদ্ধ বা কুফরী।
২. যারা অশ্লীল কাজ করে ফেললো কিংবা নিজেদের আতœার উপর জুলূম করে ফেললো, নিজেদের গুনাহর জন্য আল্লাহ কে স্মরণ করলো; আল্লাহ ছাড়া আর কে আছে যিনি গুনাহ মাফ করেন এবং তারা জেনে-শুনে কৃত গুনাহর পুনারাবৃত্তি করে না। তাদের পুরস্কার হলো, আল্লাহ ক্ষমা এবং এমন জান্নাত যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত তারা সেখানে চিরদিন থাকবে। আমলকারীদের পুরস্কার কতই না উত্তম! (ইমরান : ১৩৫ ও ১৩৬)
৩. আপনি যাদের মধ্যে মওজুদ থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে আজাব দেবেন না, যারা গুনাহ মাফ চায়, আল্লাহ তাদের উপরও আজাব দেন না। (আনফাল : ৩৩)
৪. অত:পর আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টি ধারা ছেড়ে দেবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য বাগান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী-নালা প্রবাহিত করবেন। (নুহ : ৯-১২)
৫. নিশ্চয়ই নেক কাজ পাপ ও গুনাহ দূর করে দেয়। (হুদ : ১১৪)
৬. জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ক্ষমা প্রার্থনা করুন, আপনার ক্রটির জন্যে এবং মু’মিন পুরুষ ও নারীদের জন্যে। আল্লাহ, তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত। (মুহাম্মদ : ১৯)
৭. হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যারা মু’মিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে-তাদেরকে এবং মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং যালেমদের কেবল ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন। (নূহ : ২৮)
৮. তারা উভয়ে বলল : হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। (আ’রাফ : ২৩)
৯. আপনি আমার বান্দাদের জানিয়ে দিন যে, নিশ্চয় আমিই একমাত্র ক্ষমাকারী দয়ালু। (হিজর : ৪৯)
১০. তোমরা তোমাদের প্রভূর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন (তাওবা) কর। (হুদ : ৩)
১১. এবং তোমরা আল্লাহ কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। (মুযযাম্মিল : ২০)
১২. হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবাই তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, যাতে করে তোমরা সফলকাম হতে পারো। (নূর : ৩১)
১৩. তুমি ক্ষমা চাও তোমার ও মু’মিন নারী-পুরুষদের ক্রটি-বিচ্যুতির জন্য। (মুহাম্মদ : ১৯)
১৪. আর তুমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালূ । (নিসা : ১০৬)
১৫. হযরত মূসা (আঃ) বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর যুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। (কাসাস : ১৬)

Related Post