দেনমোহর

দেনমোহর

দেনমোহর

পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি, পণ বা যৌতুক নিয়ে, আবার আলোচনা করবো দেনমোহর নিয়ে। আশা করি আপনার আমাদের সাথেই থাকবেন।
পূর্বের প্রবন্ধে আমরা এমন এক স্বপ্নজগৎ ও আজব কথা বলছিলাম যেখানে ‘রাত্তিরেতে বেজায় রোদ, দিনে চাঁদের আলো।’ যে দেশে কিছু কিনতে গেলে ক্রীতবস্তুর বিনিময়ে কোন অর্থ দিতে হয় না, বরং বস্তুর সহিত ইচ্ছামত অর্থ পাওয়া যায়! এখন বাস্তব জগতের কথায় আসা যাক।
বিবাহ এক দ্বিপক্ষিক চুক্তি। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই একে অন্যের কাছে উপকৃত ও পরিতৃপ্ত। কিন্তু স্বামীর অধিকার বেশি। তাই স্ত্রীর কর্তব্য অধিক। স্ত্রী তার দেহ-যৌবনসহ স্বামীর বাড়িতে এসে বা সদা ছায়ার ন্যায় স্বামীর পাশে থেকে তার অনুসরণ ও সেবা করে। তাই তো এই চুক্তিতে তাকে এমন কিছু পরিতোষিক প্রদান করতে হয় যাতে সে সন্তুষ্ট হয়ে স্বামীর বন্ধনে আসতে রাজী হয়ে যায়। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ স্বয়ং মানুষকে এ বিধান দিয়েছেন। তিনি বলেন, “উল্লেখিত নারীগণ ব্যতীত অন্যান্য নারীগণকে তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তোমাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য, ব্যভিচারের জন্য নয়। তাদের মধ্যে যাদেরকে তোমরা উপভোগ করবে তাদেরকে নির্ধারিত মোহর অর্পণ করবে।” (সূরা নিসা: ২৪)
তিনি অন্যত্র বলেন: و آتوا النساء صدقاتهن نحلة “এবং তোমরা নারীদেরকে তাদের মোহর সন্তুষ্ট মনে দিয়ে দাও।” (সূরা নিসা: ৪) আর প্রিয় নবী (সা.) বলেন; “সবচেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত যা পূরণ করা জরুরি, তা হলো সেই বস্তু যার দ্বারা তোমরা (স্ত্রীদের) গুপ্তাঙ্গ হালাল করে থাক। (সহিহ জা‘মে ১৫৪) সুতরাং স্ত্রীকে তার প্রদয় মোহর প্রদান করা ফরয। জমি, জায়গা, অর্থ, অলঙ্কার, কাপড়-চোপড় ইত্যাদি মোহর হিসেবে দেওয়া চলে। বরং প্রয়োজনে (পাত্রীপক্ষ রাজী হলে) কুরআন শিক্ষাদান, ইসলাম গ্রহণও মোহর হতে পারে। (বুখারী ও মুসলিম (৩২০২ – ৩২০৯)
মোহর কম হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তবে স্বেচ্ছায় বেশি দেওয়া নিন্দনীয় নয়। মহানবী (সা.) তাঁর কোন স্ত্রীর ও কন্যার মোহর ৪৮০ দিরহাম (১৪২৮ গ্রাম ওজনের রৌপ্যমুদ্রা) এর অধিক ছিল না। (ইরওয়া: ১৯২) হযরত ফাতেমা (রা.)-এর মোহর ছিলো, একটি লৌহবর্ম। (আবু দাউদ: ১৮৬৫) হযরত আয়েশা (রা.) বলেন; তাঁর মোহর ছিলো, ৫০০ দিরহাম (১৪৮৭.৫ গ্রাম ওজনের রৌপ্যমুদ্রা)। (আবু দাউদ: ১৮৫) তবে কেবল উম্মে হাবীবার মোহর ছিলো ৪০০০ (১১৯০০ রৌপ্যমুদ্রা) অবশ্য এই মোহর বাদশা নাজাশী মহানবী (সা.)-এর তফর থেকে আদায় করে ছিলেন। (আবু দাউদ: ১৮৫৩) তাছাড়া তিনি বলেন, “নারীর বরকতের মধ্যে, তাকে পয়গাম দেওয়া সহজ হওয়া, তার মোহর স্বল্প হওয়া এবং তার গর্ভাশয়ে সহজে সন্তান ধরা অন্যতম।” (সহিহ আল জা‘মে: ২২৩৫)
হযরত মূছা (আ.) তাঁর প্রদেয় মোহরের বিনিময়ে শ্বশুরের আট অথবা দশ বছর মজুরী করে ছিলেন। (সূরা কাসাস: ২৭)
মোহর হালকা হলে বিবাহ সহজসাধ্য হবে; এবং সেটাই বাঞ্ছিত। পক্ষান্তরে পণপ্রথার মত মোহর অতিরিক্ত বেশি চাওয়ার প্রথাও এক কুপ্রথা।
মোহরের অর্থ কেবলমাত্র স্ত্রীর প্রাপ্য হক, অভিভাবকের নয়। এতে বিবাহের পরে স্বামীরও কোন অধিকার নেই। স্ত্রী বৈধভাবে যেখানে ইচ্ছে সেখানে খচর করতে পারে। (ফাতাওয়া মারআহ ইবনে উসাইমীন: ১০৫-১০৯ পৃষ্ঠা) অবশ্য স্ত্রীর সন্তুষ্টচিত্তে স্বেচ্ছায় স্বামীকে দিলে তা উভয়ের জন্য বৈধ। (সূরা নিসা: ৪)
আকদের সময় মোহর নির্ধারিত না করলেও বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মিলনের পর স্ত্রী সেই মহিলার সমপরিমাণ চলতি মোহরের অধিকারিণী হবে, সে সর্বদিক দিয়ে তারই অনুরূপ। মিলনের পূর্বে স্বামী মারা গেলেও ঐরূপ চলতি মোহর ও মীরাসের হকদার হবে। (ফিকহুস সুন্নাহ: ২/ ১৪৯-১৫০)
মোহর নির্দিষ্ট না করে বিবাহ হয়ে মিলনের পূর্বেই স্বামী তালাক দিলে স্ত্রী মোহরের হকদার হয় না। তবে তাকে সাধ্যমত অর্থাদি খরচ-পত্র দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। (সূরা বাকারা: ২৩৬) বিবাহের সময় মোহর নির্ধারিত করে সম্পূর্ণ অথবা কিছু মোহর বাকী রাখা চলে। মিলনের পর স্ত্রী সে ঋণ মওকুফ করি দিতে পারে। নচেৎ ঋণ হয়ে তা স্বামীর ঘাড়ে থেকেই যাবে।
মোহর নির্ধারিত করে বা কিছু আদায়ের পর বিবাহ হয়ে মিলনের পূর্বে স্বামী মারা গেলেও স্ত্রী মোহরের হকদার হবে। স্ত্রী মারা গেলে স্বামী মোহর ফেরত পাবে না। (ফিকহুস সুন্নাহ: ২/ ১৪৮)
মোহর নির্দিষ্ট করে আদায় করে দিয়ে মিলন করার স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিলে মোহর ফেরত পাবে না। মহান আল্লাহ বলেন; “আর যদি এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করা স্থির কর এবং তাদের একজনকে প্রচুর অর্থও দিয়ে থাক বতুও তা থেকে কিছুই গ্রহণ করো না। তোমরা তা গ্রহণ করবে, অথচ তোমরা পরস্পর সহবাস করেছ এবং তারা তোমাদের কাছ থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নিয়েছে?” (সূরা নিসা: ২০-২১)
মোহর ধার্য হয়ে আদায় না করে মিলনের পূর্বেই তালাক দিলে নির্দিষ্ট মোহরের অর্ধেক আদায় করতে হবে। অবশ্য যদি স্ত্রী অথবা যার হাতে বিবাহ বিন্ধন সে (স্বামী) মাফ করে দেয় তবে সে কথা ভিন্ন। তবে মাফ করে দেওয়াটাই আত্মসংযমের নিকটতর। (সূরা বাকারা: ২৩৭)
মিলনে পূর্বে যদি স্ত্রী নিজের দোষে তালাক পায়, অথবা খোলা তালাক নেয়, তবে মোহর তো পাবেই না এবং কোন খরচ-পত্রও পাবে না। (ফিকহুস সুন্নাহ: ২/ ১৫১-১৫২) মোহর আদায় করে দিয়ে থাকলে মিলনের পরেও যদি স্ত্রী খোলা তালাক চায়, তাহলে স্বামীকে তার ঐ প্রদত্ত মোহর ফেরত দিতে হবে। (বুখারী মিসকাতুল মাসাবীহ: ৩২৭৪)
কোন অবৈধ বা অগম্যা নারীর সহিত ভুলক্রমে বিবাহ হয়ে মিলনের পর তার অবৈধতা (যেমন গর্ভ আছে বা দুধ বোন হয় ইত্যাদি) জানা গেলে ঐ স্ত্রী পূর্ণ মোহরের হকদার হবে। তবে তাদের মাঝে বিচ্ছেদ ওয়াজিব। (ফিকহুস সুন্নাহ: ২/১৪৯)
একাধিক বিবাহের ক্ষেত্রে সকল স্ত্রীর মোহর সমান হওয়া জরুরি নয়। (মাজাল্লাতুল বহুসিল ইসলামিয়া : ৬/২৬২)
স্ত্রী মোহরের অর্থ খরচ করে ফেলে স্বামী যদি তার বিনিময়ে স্ত্রীকে তার সমপরিমাণ জমি বা জায়গা লিখে দেয়, তবে তা বৈধ। (মাজাল্লাতুল বহুসিল ইসলামিয়া : ২৫/৪৭) পক্ষান্তরে অন্যান্য ওয়ারেসীনরা রাজী না হলে কোন স্ত্রীর নামে (বা কোন ওয়ারেসের নামে) অতিরিক্ত কিছু জমি-জায়গা উইল করা বৈধ নয়। কারণ কোন ওয়ারেসের জন্য অসিয়ত নেই। (মিসকাতুল মাসাবীহ ৩০৪৭, ইরওয়াহ: ১৬৫৫)
পাত্রীর নিকট থেকে ৫০ হাজার (পণ) নিয়ে ১০ বা ২০ হাজার তাকে মোহর দিলে অথবা নামে মাত্র মোহর বাঁধলে এবং আদায়ের নিয়ত না থাকলে অথবা দশ হাজার দশ টাকা আদায় ও অবশিষ্ট বাকী রেখে আদায়ের নিয়ত না রাখলে অর্থাৎ স্ত্রীর ঐ প্রাপ্য হক পূর্ণমাত্রায় আদায় করার ইচ্ছা না থাকলে এই ধোঁকায় বিবাহ হবে কিনা সন্দেহ। অবশ্য একাজ যে আল্লাহর ফরয আইনের বিরুদ্ধাচরণ তাতে কোন সেন্দহ নেই।
প্রকাশ যে, মোহর বিজোড় বাঁধা বা এতে কোন শুভলক্ষণ আছে মনে করা বিদআত।
(হে লোক সকল!) তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য সাথীদের অনুসরণ করো না। (সূরা আ‘রাফ: ৩)

ইসলামে দেনমোহর নারীর একটি ফরজ প্রাপ্য বিধান
ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত সমগ্র মানব জাতির জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ, একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল একটি সার্বিক কল্যাণকর জীবন ব্যবস্থা। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ইত্যাদি প্রতিটি ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা একটি নির্ভুল, সুন্দর, সুশৃংখল দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পারিবারিক জীবনে ইসলামের দিকনির্দেশনা পালন করেই মুসলমানগণ শান্তিতে নিশ্চিন্তে, নির্বিঘ্নে স্ত্রী, সন্তান, পিতামাতা, ভাইবোন নিয়ে পরিবারে সমাজে বসবাস করছেন। ইসলাম পিতামাতা, ভাইবোন, স্ত্রী সন্তান প্রত্যেকের অধিকার, দায়িত্ব কর্তব্য নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং তা পালন করার জন্য, আল্লাহর আদেশ মতো প্রত্যেকের অধিকার আদায়ের জন্য, যার যার কর্তব্য যথাযথ পালনের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। পারিবারিক জীবনে মুসলমান আল্লাহপাকের নির্দেশ যথাযথ পালন করেই শান্তিময়, নিশ্চিন্ত নিরাপদ জীবন-যাপন করছে। পাশ্চাত্যে পারিবারিক ভাঙ্গন, অশান্তি, বিশৃঙ্খলার একমাত্র কারণই হচ্ছে, পারিবারিক জীবনে ইসলামের নির্দেশ মেনে না চলা। পাশ্চাত্য জাতিকে তাদের পারিবারিক অশান্তি, পারিবারিক বিশৃঙ্খলা, কথায় কথায় বিচ্ছেদ এসব রোধ করতে হলে তাদেরকে আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান ইসলামের দিকে আসতেই হবে। এছাড়া আর বিকল্প নেই। ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে পাশ্চাত্য জাতি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইসলামে আল্লাহ তায়ালা মুসলমান নারী-পুরুষদের পারিবারিক জীবনেও তাদের পারস্পরিক প্রাপ্য, অধিকার, তাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দান করেছেন। নারী পুরুষের যার যার প্রাপ্য, যার যার অধিকার এবং তাদের কর্মক্ষেত্র ও তাদের কর্মবণ্টন ব্যবস্থাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তার মধ্যে নারীর একটি প্রধান প্রাপ্য হচ্ছে তার দেনমোহরের অধিকার। এই বিষয়টি আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আরো আলোচিত হয়েছে যে, রাসূল করিম (সাঃ) এবং সাহাবীগণ স্ত্রীদের দেনমোহর পুরো আদায় করেই স্ত্রীদের ঘরে আনতেন। দেনমোহরের অর্থ সংগ্রহ না করা পর্যন্ত রাসূলে করিম (সাঃ) বিবি আয়শাকে ঘরে আনেননি। হযরত আবু বকর (রাঃ) তাঁকে দেনমোহরের অর্থ ধার দিলে তিনি সে অর্থ দিয়ে বিবি আয়েশার দেনমোহর পরিশোধ করে তাঁকে ঘরে তুলে আনেন।

এ দেনমোহর কেন? ইসলাম নারী পুরুষের জন্য কর্মবণ্টন ব্যবস্থাও নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং যার যার কর্মক্ষেত্রও নির্ধারণ করে দিয়েছে। নারীর প্রকৃতি প্রদত্ত একক দায়িত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখে, নারীর দৈহিক আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, চেহারা, তার আকার আকৃতি পুরুষ অপেক্ষা অধিক দুর্বল, ছোট ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং কে কোন্ কোন্ কর্মক্ষেত্রের জন্য অধিকতর উপযোগী, এসব বিষয়ের প্রতি মহাবিজ্ঞজনোচিত দৃষ্টি রেখে বিশেষ করে নারীর নিরাপত্তার লক্ষ্যে মহান আল্লাহ রাববুল আলামীন নারী-পুরুষের কর্মক্ষেত্র বণ্টন করে দিয়েছেন। নারীরা সন্তান গর্ভে ধারণ করে নিশ্চিন্তে, নিরাপদে, আরামদায়ক চলাফেরা, সন্তান প্রসবের উপযোগী ক্ষেত্র, সন্তান লালন পালন, সন্তানের ২ বৎসর, আড়াই বৎসর স্তন্যদানের উপযোগী ক্ষেত্র হিসেবে সংসারের বহুমুখী দায়িত্ব পালন, পরিবারের সদস্যদের খানাপিনার ব্যবস্থা করা, মেহমানদারী করা, সংসারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সংসারটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা, ছোট ছোট সন্তানের স্নেহশীল সঙ্গ দান, তাদের যত্ন, খাওয়া-দাওয়া, গোসল করানো, ঘুম পাড়ানো ইত্যাদি স্নেহশীল দায়িত্বের জন্য নারীই একমাত্র উপযোগী ইত্যাদি বিবেচনা করে এবং নারীর বহুমুখী দায়িত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখে, সংসার পরিচালনার দায়িত্ব নারীর উপর অর্পণ করেছেন।, নারীকে অর্থ উপার্জনের কঠিন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন এবং পুরুষকে বাধ্য করেছেন তার স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ পিতামাতা, নাবালক ভাইবোনদের ভরণ পোষণ, শিক্ষাদীক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের।
সুতরাং সকল পুরুষের উচিত হয়ে বিবায়ের পূর্বেই এই দেনমোহরের ব্যবস্থা করা। রাসূল (সা.) বলেছেন, হে যুবকগণ! তোমরা যারা বিয়ের পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা রাখ, তারা বিয়ে করে নেও। এখানে কিন্তু দেনমোহরের মালিক হওয়া ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত। তাই সকল যুবকগণের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, যেন প্রত্যেকে বিয়ের পূর্বেই দেনমোহরের মালিক হয়ে বিয়ের কাজে অগ্রসর হই। আর তা সম্ভব না হলে, রোযা রেখে আত্মসংযম করি। আল্লাহ আমাদের সকলকে সেই তাওফীক দান করুন। আমীন

Related Post