রাসূল (সা.) এর রাজনৈতিক জীবন ও পর্যালোচনা

রাসূল (সা.) এর রাজনৈতিক জীবন ও পর্যালোচনা

রাসূল (সা.) এর রাজনৈতিক জীবন ও পর্যালোচনা

পূর্বের পর্ব পাঠ করতে এখানে ক্লিক করুন

পর্ব: ৪

ইসলামী রাজনীতি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বিশ্বে মুসলমানরা ছিল ঐক্যবদ্ধ ও সমৃদ্ধ জাতি। বিশ্ব যুদ্ধের পর মুসলমানদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগলিক শক্তি দুর্বল করতে তারা প্রথমে তুরস্ক সা¤্রাজ্যকে (ওসমানিয়া খেলাফতকে) ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দেয়। এর পরেও মুসলমানরা তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে চলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মুসলিম দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের গভীর ষড়যন্ত্র মারাত্মক ব্যধিতে পরিণত হতে থাকে। পশ্চিমাদের যত রাজনীতি সমরনীতি তার অন্যতম মূল টার্গেট হলো মুসলমানদের উত্থান প্রতিহত করার জন্যে। আদর্শ দিয়ে মোকাবালায় ব্যর্থ হয়ে মুসলমানদেরকে দুর্বল করতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টিতে ইন্ধন দেয়া শুরু করে। মুসলিম দেশসমূহ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে তাদের নীল নকশা অনুযায়ী অগ্রসর হতে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গোটা অঞ্চলে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে চতুর্মুখী চক্রান্তে নিত্য নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে থাকে। রাজনৈতিকভাবে যেন মুসলিম দেশসমূহ ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে সে জন্য মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে বিভেদ জিইয়ে রাখার কৌশল নেয়া হয়। যার ফলশ্রুতিতে  শিয়া-সুন্নি বিরোধ, মুসলমান নামধারী বিভিন্ন জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরীতে সহযোগিতা করণ, পবিত্র কুরআন অবমাননা, মহানবী (সা.)-এর কুৎসা রটনা, কাদিয়ানী ফেরকাকে মদদ দেয়া, এক দেশের বিরুদ্ধে অন্য দেশকে উত্তেজিত করে যুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া, মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিশনারীদের মাধ্যমে ধর্মান্তকরণ, সর্বশেষ ইসলামী রাজনীতি নিয়ে তারা গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি দেশের অধিকাংশ মুসলিম জনগণ চায় ইসলামী আদর্শ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হোক। কিন্তু কায়েমী স্বার্থবাদী মহল, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ ও তাদের এজেন্টদের বহুমুখী ষড়যন্ত্র ইসলামী আদর্শ কায়েমের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপর দিকে এক শ্রেণীর মুসলিম শাসকগোষ্ঠী জনগণকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য ইসলামকে ব্যবহার করছে। এরাও পশ্চিমাদের সাথে ইসলামের উত্থানকে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে অধিকাংশ মুসলিম দেশে সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সমস্যা দূরীকরণে বার বার আন্দোলন হচ্ছে, কিন্তু সমস্যা সমাধানে কুরআনের দিকনির্দেশনা নেয়া হচ্ছেনা। মুসলমানদের অভ্যন্তরীণ সমস্যাসমূহ স্থায়ী ভাবে সমাধানের জন্য প্রয়োজন নৈতিক আদর্শ বিবর্জিত সমাজ কাঠামোর পরিবর্তন। একই সাথে দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের অবসান ঘটিয়ে সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য, আল্লাহ ভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত  করা। এটা তখই সম্ভব হবে যখন কুরআন হবে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সংবিধান। এটা যে পর্যন্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সমস্যা জর্জরিত মুসলিম জাতির কোন সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে না। ইসলাম বহির্ভূত কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়া, ব্যক্তি ও জাতির জন্য আত্মঘাতি কাজে শামিল হওয়া। মুসলমানদের মধ্যে বহু মেধা সম্পন্ন লোক অনৈসলামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ায় ইসলামী রাজনীতিতে নেতৃত্বের শূন্যতা দেখা দিয়েছে। এরপর যাও কিছু নেতৃত্ব তৈরী হচ্ছে, পশ্চিমারা তাদেরকে টার্গেট করে নিধন করে চলেছে। ফলে মুসলিম নেতৃত্বের সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিমাদের গবেষণা হচ্ছে যদি কুরআন ভিত্তিক খেলাফত কোন ভূখণ্ডে কায়েম হয় আর তা অব্যাহত থাকে তাহলে ধীরে ধীরে তা গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। তখন মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশ্বে এক নতুন পরাশক্তির জন্ম দিবে। এ পরাশক্তি অনায়াসে যে কোন শক্তির মোকাবালা করতে পারবে। কুরআনের আলোতে আলোকিত মুসলমানরা মৃত্যুর ভয় করে না। তারা শহীদি তামান্নায় উজ্জীবিত হলে যাবতীয় জুলুম-নির্যাতন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে থাকলে অমুসলিমরাও দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করতে থাকবে। কাজেই এ শক্তিকে প্রতিহত করতে তারা বহুমুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইসলাম ও ইসলামী রাজনীতিকে যে কোন মূল্যেই হোক প্রতিহত করতে তারা মরিয়া। কারণ, ইসলামী রাজনীতির মাধ্যমে মুসলমানদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা অতি সহজ। কেননা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর ঐক্য যদি সকলেরই এক হয় তাহলে বৃহত্তর ঐক্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ইসলামী রাজনীতি নিয়ে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইসলামী রাজনীতিকে বিতর্কিত করার খেলায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মহল অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে একশ্রেণীর লেবাসধারী ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ইসলামী ব্যক্তিত্ব, সেক্যুলার ও কমিনিষ্ট মুসলিম রাজনীতিবীদ, সাংবাদিক ও মিডিয়া বা গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এরাই ইসলামী রাজনীতি নিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলে সাধারণ ও সরলপ্রাণ মুসলিম জনতাকে বিভ্রান্ত করছে। অপরদিকে তথাকথিত রাজনীতিবীদরা রাজনৈতিক হীন স্বার্থেই ইসলামকে ব্যবহার করছে যা অবশ্যই নিন্দনীয়। একটু লক্ষ্য করলে সহজেই উপলব্ধি করা যাবে যে, ইসলামী রাজনীতির নিন্দায় যারা যতবেশি সোচ্চার, তারাই ধর্মকে রাজনৈতিক  হাতিয়ার হিসেবে বেশি ব্যবহার করছে। আসলে তাদের টার্গেট হচ্ছে ইসলামী দলসমূহ ও ইসলামী নেতৃবৃন্দকে জন বিচ্ছিন্ন করার অপকৌশল নেয়া। উন্নয়নশীল মুসলিম দেশসমূহের ক্ষেত্রে এটা ব্যাপক আকার ধারণ করছে। মূলত এর কারণ হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ইসলামী পুনর্জাগরণের প্রতিরোধ করার সাথে তাদের আধিপত্য বজায় রাখা। পশ্চিমাদের স্বার্থ রক্ষাকারী শাসকেরা জাতির প্রতি হাজারও অপকর্ম করলেও বিজাতিদের সমর্থনে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারছে। এরা একদিকে পশ্চিমাদের আশির্বাদ পুষ্ট, অপরদিকে আবার ধর্ম ব্যবসায়ী। যাদের দলীয় ইশতেহারে আদর্শের ভিত্তি হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ করা হয় না, যাদের দলীয় কর্মসূচিতে ইসলামী শাসনব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা, অর্থব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থাসহ পূর্ণাঙ্গ ইসলাম বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ থাকে না, যাদের বাস্তব জীবন কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের সাথে সম্পর্কহীন, তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনের সময় এলে জনগণের ভোট পাওয়ার জন্য ইসলামের নাম ব্যবহার করে নিজেদের ধার্মিক বলে পরিচয় দেয়ার অভিনয় করা এটা কি ধর্ম ব্যবসা নয়?  অমুসলিম দেশেও মুসলমানদের নিয়ে নির্বাচনের সময় মায়া-কান্না করতে দেখা যায়। এটা সরলপ্রাণ দ্বীনদার মানুষের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। এটা সর্বাবস্থা নিন্দনীয়। কিন্তু যারা সত্যিকারেই ইসলামের ধারক-বাহক এবং পূর্ণাঙ্গভাবে ইসলামের বাস্তবায়ন চান তাদের ক্ষেত্রে এ শব্দ ব্যবহার করা ষড়যন্ত্র ও জুলুম। জুলুম এখানেই শেষ নয়, তাদের প্রতি নানা ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট অপবাদ দিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রকাশ্য ও গোপনে  জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে একদিকে জনগণ থেকে আলাদা রাখার কৌশল নেয়া হয়। অপরদিকে জনগণ যাতে ইসলামী রাজনীতি সমর্থন না করে সে ভয়ও তাদেরকে দেখানো হয়। এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল। ইসলামী রাজনীতির সমালোচকদের মধ্যে যারা মুসলিম, তাদের উচিত ইসলামী রাজনীতি ও প্রচলিত রাজনীতির  পার্থক্য কোথায় তা নিয়ে গবেষণা করা। বর্তমান সমস্যা উত্তরণে জাতির বৃহত্তর কল্যাণে রাসূল (সা.)-এর মাদানী জীবন ও খোলাফায়ে রাশেদার শাসন ব্যবস্থা, উমর বিন আব্দুল আজীজের শাসন ব্যবস্থা, উমাইয়া, আব্বাসিয়া ও ওসমানিয়া শাসন ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা করা। তাহলেই ইসলামী রাজনীতির প্রকৃত চিত্র আমাদের কাছে পরিস্কার হবে। ধর্ম ও রাজনীতির সবচেয়ে আদর্শিক সম্পৃক্ততার উদাহরণ হচ্ছেন শেষ নবী মুহাম্মাদ (সা.), যাকে কুরআনুল কারীমে সর্বোত্তম আদর্শ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অন্যান্য বিষয়াবলীর মধ্যে তাঁর মদীনায় হিজরতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে ক্ষমতা পুনর্গঠন করে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আল্লাহর ইচ্ছার অনুবর্তী করা। এখানেই ইসলামের প্রথম রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল, যার বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক প্রধান ছিলেন মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)। তিনি নামাযের ইমামতি করতেন, যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যবাহিনী ও পরিচালনা করতেন। ধর্মীয় ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতেন, আবার প্রধান বিচারপতির কাজ ও আঞ্জাম দিতেন। মন্ত্রী পরিষদ পরিচালনা করতেন আবার জননীতির নির্ধারক ও ছিলেন। কুরআনের মডেলে একটি আদর্শ রাষ্ট্র পরিচালনায় যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছুই তিনি করেছেন। এরপর খোলাফায়ে রাশেদা তাঁদের শাসনকালে মহানবীর পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ করে যোগ্যতার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। তৃতীয় খলিফা উসমান (রা.)-এর সময় ইসলামী সভ্যতা ‘প্রাচ্য হতে পশ্চিমের আটলান্টিক মহাসাগরের তীর’ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছিল। পৃথিবীর মুসলিম অমুসলিম ঐতিহাসিকেরা এ বিষয়ে একমত যে মদীনায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাজনৈতিক ব্যবস্থা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের নিকট কিয়ামত পর্যন্ত গ্রহণযোগ্যতা ও অনুসরণের জন্যআদর্শ  স্বরূপ।
অথচ আজ বিশ্বে ৫৭ টির ও বেশি মুসলিম দেশ রয়েছে। মুসলমানদের সংখ্যাও প্রায় দেড়শ কোটির উপরে। অর্থবিত্ত, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা, চিকিৎসা, সাংস্কৃতি, ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য কোন ক্ষেত্রেই কমতি নেই। ভৌগলিক ও খনিজ সম্পদের পরিমাণও কোন অংশে কম নয়। তারপরেও কেন আজকের মুসলমানরা দিশেহারা? কারণ, আজকের মুসলমানরা কুরআনের নির্দেশনা ও রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করছে না। বরং একদিকে রাজনীতি থেকে ইসলামকে নির্বাসনে দিয়েছে, অন্যদিকে পশ্চিমাদের ফাঁদে পা দিয়ে তাদের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছে। যা কখনোই মুসলমানদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং দিন দিন মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য থেকে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। আল্লাহ তায়ালার হুঁশিয়ারী; “হে ঈমানদারগণ! যারা অবিশ্বাস করেছে (কাফের) যদি তোমরা তাদের অনুসরণ কর, তাহলে তারা তোমাদেরকে পশ্চাদপদে ফিরিয়ে নেবে, তাতে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” (সূরা আল ইমরান: ১৪৯) মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিম জাতিকে সব কিছু দান করেছেন। অথচ তারা সেটা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। মেরুদণ্ডহীন ভাবে অন্যের দ্বারস্থ হচ্ছে এবং স্বীয় জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তায়ালার বাণী, “তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা আল্লাহর নেয়ামতকে কুফরে পরিণত করেছে এবং স্বজাতিকে ধ্বংস ও বিপর্যয়ের অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে? তারা জাহান্নামে প্রজ্জ্বলিত হবে। জাহান্নাম অত্যন্ত মন্দ আবাস।”(সূরা ইব্রাহীম: ২৮-২৯) এই যদি হয় আল্লাহ তায়ালার হুঁশিয়ারী, তাহলে কেন মুসলমানেরা বিজাতিদের পাতা ফাঁদে পা ফেলতে যাবে? এর পরেও যদি মুসলমানরা কুরআন ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ফিরে না আসে তাহলে ভবিষ্যতে তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে যা কোন মুসলমানেরই কাম্য হতে পারে না।

Related Post