সৎ আমল করা একজন মুমিনের চরিত্র

P1020410

আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার সাথে সাথে সৎ আমল করতে হবে। তাহ’লে ইহকাল ও পরকাল কল্যাণময় হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
‘মুমিন পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকর্ম করবে, নিশ্চয়ই তাকে আমরা আনন্দময় জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার প্রদান করব’ (নাহল ১৬/৯৭)
যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে ও সৎ আমল করে তারাই সৃষ্টির মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট। মহান আল্লাহ বলেন,
‘যারা ঈমান আনে ও সৎ আমল করে, তারাই সৃষ্টির মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট। তাদের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে তাদের জন্য এমন জান্নাত যার পাদদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ীভাবে থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর উপর সমুতষ্ট। এটা তার জন্য, যে তার প্রতিপালককে ভয় করে’ (বাইয়িনাহ ৯৮/৭-৮)। জান্নাত পেতে হ’লে বেশী বেশী সৎ আমল করতে হবে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন,
‘যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফিরদাঊস। সেখানে তারা চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে। এর পরিবর্তে তারা অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার কামনা করবে না’ (কাহাফ ১৮/১০৭-১০৮)। আল্লাহ আরো বলেন, ‘যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর সমূহ প্রবাহিত। সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণ-কংকন ও মুক্তা দ্বারা এবং সেখানে তাদের পোশাক পরিচ্ছদ হবে রেশমের’ (হজ্জ ২৩) আল্লাহর ভালবাসা পেতে হ’লে সৎ আমল করতে হবে, আল্লাহ বলেন, ‘যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে দয়াময় তাদের জন্যে সৃষ্টি করবেন ভালবাসা’ (মারিয়াম ১৯/৯৬)। আল্লাহ স্বীয় বান্দাদেরকে যে ভালবাসেন এ সম্পর্কে নবী করীম (ছাঃ) বলেন,
‘আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন, তখন জিবরাঈল (আঃ)-কে ডেকে বলেন, আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালবাসেন। তুমিও তাকে ভালবাস। তখন জিবরাঈল (আঃ)ও তাকে ভালবাসেন। অতঃপর জিবরাঈল (আঃ) আসমানবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালবাসেন। তোমরাও তাকে ভালবাস। তখন আসমানবাসীরাও তাকে ভালবাসতে থাকে। তারপর পৃথিবীবাসীর অন্তরেও তাকে গ্রহণীয় ও বরণীয় করে রাখা হয়’।[বুখারী হা/৬০৪০
উল্লেখ্য যে, ছহীহ সুন্নাহ অনুযায়ী সকল আমল সম্পন্ন করা এবং সকল প্রকার বিদ‘আতী কর্ম থেকে বেঁচে থাকাই হচ্ছে ‘আমলে ছালেহ’ বা সৎ আমল। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর শিখানো পদ্ধতিতে ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাত সহ শরী‘আতের সকল হুকুম-আহকাম পালন করা, সকল অন্যায়-অশ্লীল কাজ-কর্ম থেকে নিজেকে হেফাযত করা এবং অপরকে বিরত রাখার জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এর মাধ্যমে ইহলোক-পরলোক কল্যাণময় হবে ইনশাআল্লাহ।

Related Post